hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুমিনের আমল ও চরিত্র যেমন হওয়া উচিত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩৫
সালাতুদ্দোহা বা চাশতের নামায
‘দোহা’ আরবি শব্দ। এর অর্থ পূর্বাহ্ন বা দিনের প্রথম অংশ। ফারসি ভাষায় একে চাশত বলা হয়। সূর্যোদয়ের পর থেকে মধ্যাহ্ন বা দুপুরের পূর্ব পর্যন্ত সময়কে আরবিতে দোহা বলা হয়।

সূর্য পরিপূর্ণ রূপে উদিত হওয়ার পর অর্থাৎ সূর্যোদয়ের মুহুর্ত থেকে প্রায় ২৫ মিনিট পর দোহা বা চাশতের নামাযের সময় শুরু হয়। এ সময় থেকে শুরু করে দ্বিপ্রহরের পূর্ব পর্যন্ত দীর্ঘ্য সময়ের মধ্যে যে কোনো সময়ে এ নামায আদায় করা যায়। দোহার নামায দুই রাকাত থেকে বার রাকাত আদায় করা যায়। তাহাজ্জুদ নামাযের পরে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাসনূন নফল নামায হচ্ছে দোহার নামায। বিভিন্ন সহীহ হাদীসে এ নামাযকে সালাতুল আওয়াবীন অর্থাৎ অধিক তওবাকারীদের নামায বা আল্লাহওয়ালাগণের নামায বলে অভিহিত করা হয়েছে। আমাদের দেশে এ নামায ইশরাকের নামায বা সূর্যোদয়ের নামায হিসেবে পরিচিত।

অনেকে সূর্যোদয়ের পরের নামাযকে ইশরাকের নামায এবং পরবর্তী সময়ের নামাযকে দোহা বা চাশতের নামায বলেন। তবে হাদীস অনুযায়ী সূর্যোদয় থেকে দুপুরের পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো সময় নফল নামায আদায় করলে তা সালাতুদ্দোহা বা দোহার নামায বলে গণ্য হবে।

সালাতুদ্দোহার ফযীলত :

রাসূল ﷺ বলেন,

مَنْ صَلَّى الْغَدَاةَ فِي جَمَاعَةٍ ثُمَّ قَعَدَ يَذْكُرُ اللهَ حَتّٰى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ كَانَتْ لَهٗ كَأَجْرِ حَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ

‘‘যে ব্যক্তি জাম’আতের সাথে ফজরের নামায আদায় করার পর সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত যিকিরে লিপ্ত থাকবে এবং সূর্য আলোকিত হলে দু’রাকাত নামায আদায় করবে, আল্লাহ তাকে একটি পরিপূর্ণ হজ্জ ও উমরার সওয়াব দান করবেন।’’ (তিরমিযী হা: ৫৮৬, তিনি হাদীটিকে হাসান বলেছেন)

ফজরের নামাযের পর কিছু হাটাহাটি করে অথবা কোন কাজ-কর্ম করে অথবা মসজিদ থেকে বাড়ি ফিরে এসেও এ নামায পড়া যায়। কোন মুসলিম, ফজরের জামাআতের পরে মসজিদে বসুক বা না বসুক, সূর্যোদয়ের পর থেকে দ্বি-প্রহরের মধ্যে দুই বা চার রাক‘আত দোহার নামায আদায় করলেই অশেষ সওয়াব ও বরকতের আশা করতে পরবে।

আবু দরদা (রাঃ) বলেন,

أَوْصَانِى حَبِيْبِى -صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- بِثَلَاثٍ لَنْ أَدَعَهُنَّ مَا عِشْتُ بِصِيَامِ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ وَصَلَاةِ الضُّحٰى وَبِأَنْ لَا أَنَامَ حَتّٰى أُوْتِرَ

আমার প্রিয়তম বন্ধু রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে তিনটি বিষয়ের উপদেশ দিয়েছেন যেগুলো আমি কখনোই পরিত্যাগ করি না।

(১) ঘুমানোর আগে বেতরের নামায আদায় করতে,

(২) দুই রাকাত দোহার বা চাশাতের নামায কখনো পরিত্যাগ না করতে, কারণ তা সালাতুল আওয়াবীন (তওবাকারীগণের নামায) এবং

(৩) প্রতি মাসে ৩ দিন রোযা রাখতে। (মুসলিম হা: ১৭০৮)

আবু যর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘‘তোমাদের প্রত্যেকের শরীরের প্রতিটি জোড়ার উপর সদকা ওয়াজিব। আর প্রত্যেকবার ‘সুবহা-নাল্লা-হ’ বলা একটি সদকা, প্রত্যেকবার ‘আল-হাম্দুলিল্লা-হ’ বলা একটি সদকা, প্রত্যেকবার ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ বলা একটি সদকা, প্রত্যেকবার ‘আল্লা-হু আকবার’ বলা একটি সদকা, উত্তম কাজের নির্দেশ দেয়া একটি সদকা এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করাও একটি সদকা। আর এই সবকিছুর জন্য চাশ্তের দুই রাকাত নামাযই যথেষ্ঠ হবে।’’ (মুসলিম হা: ১৭০৪)

হাদীসে কুদসীতে বর্ণিত আছে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

يَا بْنَ آدَمَ صَلِّ لِيْ أَرْبَعًا فِي أَوَّلِ النَّهَارِ أَكْفِكَ آخِرَهٗ

‘‘হে আদম সন্তান! তুমি দিনের শুরুতে আমার জন্য চার রাকাত নামায আদায় কর, আমি তোমার সারাদিনের জন্য যথেষ্ট হয়ে যাব।’’

(মুসনাদে আহমাদ হা: ২৫৫২৫, ইবনে হিববান)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন