মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
দিনের শুরুতে এবং রাতের শুরুতে নবী ﷺ অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ যিকির ও দো‘আ পড়তেন এবং উম্মতকেও পড়ার জন্য উৎসাহিত করতেন। সহীহ হাদীসে এ মর্মে অনেক দো‘আ পাওয়া যায়, যেগুলোর অর্থ ও ভাব খুবই চমৎকার। একজন মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যা কিছু চাওয়া-পাওয়ার থাকে তার সবকিছুই এসব দো‘আর মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকেও নিচের দো‘আ এবং যিকিরগুলোর উপর আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন।
অর্থ : ‘‘আমরা এবং সমগ্র জগত রাববুল ‘আলামীন আল্লাহর জন্য সকালে উপণীত হয়েছি। হে আল্লাহ! আমি এই দিনের কল্যাণ, সফলতা, সাহায্য, নূর, বরকত এবং হেদায়াত কামনা করছি এবং আমি আশ্রয় চাচ্ছি এই দিনের মধ্যে এবং তার পরে যে অকল্যাণ রয়েছে তার অনিষ্ট থেকে।’’
(আবু দাউদ, মেশকাত)
২. আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, সকাল হলে নবী ﷺ এ দো‘আ বলতেন-
অর্থ : ‘‘হে আল্লাহ! তোমার কুদরতে আমরা সকাল করি এবং তোমার কুদরতে আমরা সন্ধ্যা করি, তোমার নামে আমরা বাঁচি আর তোমার নামে আমরা মৃত্যুবরণ করি এবং তোমার দিকেই আমাদের প্রত্যাবর্তন করতে হবে।’’
অর্থ : ‘‘হে আল্লাহ! তোমার কুদরতে আমরা সন্ধ্যা করি এবং তোমার কুদরতে আমরা সকাল করি, তোমার নামে আমরা বাঁচি আর তোমার নামে আমরা মৃত্যুবরণ করি এবং তোমার দিকেই আমাদের প্রত্যাবর্তন করতে হবে।’’ (আবু দাঊদ, তিরমিযী, মেশকাত হা: ২৩৮৯)
অর্থ : ‘‘আল্লাহর উদ্দেশ্যে আমরা এবং সমগ্র জগত সন্ধ্যায় প্রবেশ করলাম। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। তিনি ব্যতীত ইবাদাতের যোগ্য কোন মাবূদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং সমস্ত প্রশংসা তাঁর। তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট এ রাতের মঙ্গল এবং এ রাতে যা আছে তার মঙ্গল কামনা করছি, আর আমি আশ্রয় চাই এ রাতের অমঙ্গল এবং এ রাতে যে অমঙ্গল রয়েছে তা হতে। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই অলসতা, বার্ধক্য ও বার্ধক্যের অপকারিতা হতে। হে আল্লাহ! আমি আশ্রয় চাই জাহান্নামের আযাব ও কবরের শাস্তি হতে।’’ (মুসলিম, মেশকাত হা: ২৩৮১)
৫. আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) নবী ﷺ কে বললেন, আমাকে কিছু বাক্য শিখিয়ে দিন যা আমি সকালে ও সন্ধ্যায় পড়ব। তখন নবী ﷺ বললেন, তুমি সকালে, সন্ধ্যায় এবং শয়নের সময় নিচের বাক্যগুলো পড়বে :
অর্থ : ‘‘হে আল্লাহ! আপনি আসমান এবং যমীনের স্রষ্টা, দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানী, প্রত্যেক জিনিসের রব এবং মালিক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া কোন মাবূদ নেই আর আমি আমার অন্তরের অনিষ্ট থেকে এবং শয়তানের অনিষ্ট ও তার শির্ক থেকে আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি।’’ (মুসতাদরাকে হাকীম হা: ১৮৯২)
৬. আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, রাসূল ﷺ কোন দিনই সকালে এবং সন্ধ্যায় নিচের দো‘আগুলো পড়া বাদ দিতেন না।
অর্থ : ‘‘হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতের নিরাপত্তা চাই, হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার নিকট আমার দ্বীন ও দুনিয়া এবং আমার পরিবার ও আমার মালের নিরাপত্তা চাই। হে আল্লাহ! আমার দোষ-ত্রুটি ঢেকে রাখুন এবং আমার ভয় দূর করুন, হে আল্লাহ! আমাকে আমার সামনে থেকে, পিছন থেকে, ডান থেকে, বাম থেকে, উপর থেকে এবং নিচ থেকে হেফাযত করুন।’’ (আবু দাউদ হা: ৫০৭৬)
৭. সায়্যিদুল ইস্তেগফার :
শাদ্দাদ ইবনে আউস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি বিশ্বাস সহকারে সকালে এটা পড়বে, সে মারা গেলে জান্নাতবাসী হয়ে মারা যাবে। আর যদি সন্ধ্যায় তা পড়ে, অতঃপর যদি মারা যায় তাহলেও সে জান্নাতবাসী হবে :
অর্থ : ‘‘হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক, তুমি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার বান্দা। আমি আমার সাধ্যমত তোমার প্রতিশ্রুতিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ রয়েছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হতে তোমার নিকট আশ্রয় চাই। আমার উপর তোমার অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমার পাপও স্বীকার করছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও, কেননা তুমি ছাড়া গুনাহ ক্ষমা করার আর কেউ নেই।’’
(আহমাদ হা: ১৭১১১, মেশকাত হা: ২৩৩৫)
৮. উসমান ইবনে আফ্ফান (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কোন লোক দৈনিক সকালে ও সন্ধ্যায় নিচের দো‘আটি তিন বার পাঠ করলে কোন বস্তু তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না :
অর্থ : ‘‘সেই আল্লাহর নামে আমি শুরু করছি যার নামের বরকতে আসমান ও যমীনের কোন বস্তু ক্ষতি করতে পারে না এবং তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।’’ (আবু দাঊদ, তিরমিযী, মেশকাত হা: ২৩৯১)
৯. সাওবান (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় তিন বার করে নিচের দো‘আ পাঠ করবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার উপর খুশি হয়ে যাবেন :
অর্থ : ‘‘আমি আল্লাহকে রব হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ ﷺকে নবী হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট হয়েছি।’’ (তিরমিযী, মেশকাত হা: ২৩৯৯)
১০. উম্মুল মু‘মিনীন জুওয়াইরিয়া (রাঃ) ফজরের নামায পড়ার পর চাশ্তের সময় পর্যন্ত নিজের স্থানে বসা ছিলেন। নবী ﷺ বাহির থেকে এসে তাকে বললেন, তোমার এখান থেকে যাওয়ার পর আমি এমন চারটি কালিমা তিন বার পাঠ করেছি, আজ তুমি যা কিছু পড়েছ তার সাথে ওজন করা হলে তা সমান হবে। সে কালিমাগুলো হচ্ছে :
অর্থ : ‘‘আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি তাঁর সৃষ্টির সংখ্যা, তাঁর সন্তুষ্টি, তাঁর আরশের ওজন এবং তাঁর বাক্যাবলীর সমান সংখ্যক।’’
(মুসলিম হা: ৭০৮৯, তিরমিযী হা: ৩৫৫৫)
১১. রাসূল ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি দৈনিক ৩ বার আল্লাহর কাছে জান্নাত কামনা করে জান্নাত তার জন্য বলতে থাকে, হে আল্লাহ! তুমি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও। আর যে ব্যক্তি ৩ বার জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি কামনা করে জাহান্নামও তার জন্য এ বলে দো‘আ করে, হে আল্লাহ! তুমি তাকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি দাও। (ইবনে মাজাহ)
‘‘হে আল্লাহ আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিন।’’ (আবু দাউদ)
১২. মুয়াজ ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘‘সকালে ও সন্ধ্যায় সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস তিনবার করে পাঠ কর, তাহলে সবকিছু থেকে তোমাকে হেফাযত করার জন্য এগুলো যথেষ্ট হবে।’’ (আবু দাঊদ, তিরমিযী হা: ৩৫৭৫)
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/542/16
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।