hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুমিনের আমল ও চরিত্র যেমন হওয়া উচিত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৬
সকাল-সন্ধ্যার গুরুত্বপূর্ণ আমল
দিনের শুরুতে এবং রাতের শুরুতে নবী ﷺ অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ যিকির ও দো‘আ পড়তেন এবং উম্মতকেও পড়ার জন্য উৎসাহিত করতেন। সহীহ হাদীসে এ মর্মে অনেক দো‘আ পাওয়া যায়, যেগুলোর অর্থ ও ভাব খুবই চমৎকার। একজন মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যা কিছু চাওয়া-পাওয়ার থাকে তার সবকিছুই এসব দো‘আর মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকেও নিচের দো‘আ এবং যিকিরগুলোর উপর আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন।

১. সকাল হলে নবী ﷺ এ দো‘আ পাঠ করতেন-

أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ الْمُلْكُ للهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَسْأَلُكَ خَيْرَ هٰذَا الْيَوْمِ فَتْحَهٗ وَنَصْرَهٗ وَ نُوْرَهٗ وَبَرَكَتَهٗ وَهُدَاهٗ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِيْهِ وَشَرِّ مَا بَعْدَهٗ

আসবাহনা ওয়া আসবাহাল মুলকু লিল্লা-হি রবিবল ‘আ-লামীন। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা খায়রা হা-যাল ইয়াউমি ফাতহাহু ওয়া নাসরাহু ওয়া নূরাহু ওয়া বারাকাতাহু ওয়া হুদা-হু, ওয়া আঊযুবিকা মিন শাররি মা ফীহি ওয়া শাররি মা বা‘দাহু।

অর্থ : ‘‘আমরা এবং সমগ্র জগত রাববুল ‘আলামীন আল্লাহর জন্য সকালে উপণীত হয়েছি। হে আল্লাহ! আমি এই দিনের কল্যাণ, সফলতা, সাহায্য, নূর, বরকত এবং হেদায়াত কামনা করছি এবং আমি আশ্রয় চাচ্ছি এই দিনের মধ্যে এবং তার পরে যে অকল্যাণ রয়েছে তার অনিষ্ট থেকে।’’

(আবু দাউদ, মেশকাত)

২. আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, সকাল হলে নবী ﷺ এ দো‘আ বলতেন-

اَللّٰهُمَّ بِكَ أَصْبَحْنَا ، وَبِكَ أَمْسَيْنَا ، وَبِكَ نَحْيَا ، وَبِكَ نَمُوْتُ وَإِلَيْكَ النُّشُوْرُ

আল্লা-হুম্মা বিকা আসবাহ্না ওয়াবিকা আমসাইনা ওয়াবিকা নাহ্ইয়া ওয়াবিকা নামূতু ওয়া ইলাইকান নুশূর।

অর্থ : ‘‘হে আল্লাহ! তোমার কুদরতে আমরা সকাল করি এবং তোমার কুদরতে আমরা সন্ধ্যা করি, তোমার নামে আমরা বাঁচি আর তোমার নামে আমরা মৃত্যুবরণ করি এবং তোমার দিকেই আমাদের প্রত্যাবর্তন করতে হবে।’’

৩. আবার সন্ধ্যা হলে তিনি বলতেন-

اَللّٰهُمَّ بِكَ أَمْسَيْنَا وَبِكَ أَصْبَحْنَا، وبِكَ نَحْيَا ، وَبِكَ نَمُوْتُ وَإِلَيْكَ النُّشُوْرُ

আল্লা-হুম্মা বিকা আমসাইনা ওয়াবিকা আস্বাহনা ওয়াবিকা নাহ্ইয়া ওয়াবিকা নামূতু ওয়া ইলাইকান নুশূর।

অর্থ : ‘‘হে আল্লাহ! তোমার কুদরতে আমরা সন্ধ্যা করি এবং তোমার কুদরতে আমরা সকাল করি, তোমার নামে আমরা বাঁচি আর তোমার নামে আমরা মৃত্যুবরণ করি এবং তোমার দিকেই আমাদের প্রত্যাবর্তন করতে হবে।’’ (আবু দাঊদ, তিরমিযী, মেশকাত হা: ২৩৮৯)

৪. সন্ধ্যার সময় নবী ﷺনিচের দো‘আটিও পড়তেন :

أَمْسَيْنَا وَأَمْسَى الْمُلْكُ للهِ وَالْحَمْدُ للهِ وَ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيْرٌ اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ هٰذِهِ اللَّيْلَةِ وَخَيْرِ مَا فِيْهَا وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا فِيْهَا اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَالْهَرَمِ وَسُوْءِ الْكِبَرِ اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابٍ فِى النَّارِ وَعَذَابٍ فِى الْقَبْرِ

আমসাইনা ওয়া আমসাল মুলকু লিল্লা-হ, ওয়ালহামদু লিল্লা-হ, ওয়ালা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকালাহ্, লাহুলমুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন খাইরি হা-যিহিললাইলাতি ওয়াখাইরি মা ফীহা, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিনশাররিহা ওয়াশাররি মা ফীহা, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল কাসালি ওয়াল হারামি ওয়া সূইল কিবারি, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন আযা-বিন ফিন্না-রি ওয়া আযা-বিন ফিল ক্বাবরি।

অর্থ : ‘‘আল্লাহর উদ্দেশ্যে আমরা এবং সমগ্র জগত সন্ধ্যায় প্রবেশ করলাম। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। তিনি ব্যতীত ইবাদাতের যোগ্য কোন মাবূদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং সমস্ত প্রশংসা তাঁর। তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট এ রাতের মঙ্গল এবং এ রাতে যা আছে তার মঙ্গল কামনা করছি, আর আমি আশ্রয় চাই এ রাতের অমঙ্গল এবং এ রাতে যে অমঙ্গল রয়েছে তা হতে। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই অলসতা, বার্ধক্য ও বার্ধক্যের অপকারিতা হতে। হে আল্লাহ! আমি আশ্রয় চাই জাহান্নামের আযাব ও কবরের শাস্তি হতে।’’ (মুসলিম, মেশকাত হা: ২৩৮১)

৫. আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) নবী ﷺ কে বললেন, আমাকে কিছু বাক্য শিখিয়ে দিন যা আমি সকালে ও সন্ধ্যায় পড়ব। তখন নবী ﷺ বললেন, তুমি সকালে, সন্ধ্যায় এবং শয়নের সময় নিচের বাক্যগুলো পড়বে :

اَللّٰهُمَّ فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَ الْاَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَ الشَّهَادَةِ رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَ مَلِيْكَهٗ أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِيْ وَ شَرِّ الشَّيْطَانِ وَ شِرْكِهٖ

আল্লাহুম্মা ফা-তিরাস সামাওয়াতি ওয়াল আরযি আ-লিমাল গায়বি ওয়াশ শাহাদাতি, রববা কুল্লি শায়ইন ওয়ামালীকাহু আশহাদু আল্লা-ই লা-হা ইল্লা আনতা, আওযুবিকা মিন শাররি নাফসী, ওয়া শার্রিশ শায়তা-নি ওয়া শিরকিহ।

অর্থ : ‘‘হে আল্লাহ! আপনি আসমান এবং যমীনের স্রষ্টা, দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানী, প্রত্যেক জিনিসের রব এবং মালিক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া কোন মাবূদ নেই আর আমি আমার অন্তরের অনিষ্ট থেকে এবং শয়তানের অনিষ্ট ও তার শির্ক থেকে আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি।’’ (মুসতাদরাকে হাকীম হা: ১৮৯২)

৬. আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, রাসূল ﷺ কোন দিনই সকালে এবং সন্ধ্যায় নিচের দো‘আগুলো পড়া বাদ দিতেন না।

اَللّٰهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ فِى الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ اَللّٰهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِى دِينِى وَدُنْيَاىَ وَأَهْلِى وَمَالِى اَللَّهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِى وَآمِنْ رَوْعَاتِى اَللّٰهُمَّ احْفَظْنِى مِنْ بَيْنِ يَدَىَّ وَمِنْ خَلْفِى وَعَنْ يَمِيْنِى وَعَنْ شِمَالِى وَمِنْ فَوْقِى وَأَعُوذُ بِعَظَمَتِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِىْ

আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল আ-ফিয়াতা ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আ-খিরাতি, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল আফওয়া ওয়াল আ-ফিয়াতা ফী দীনী ওয়াদুন ইয়া ওয়াআহলী ওয়ামা-লী আল্লা-হুম্মাসতুর ‘আওরা-তী ওয়াআমিন রাওআ-তী, আল্লা-হুম্মাহ ফাযনী মিমবাইনি ইয়াদাইয়া ওয়ামিন খালফী ওয়া ‘আন ইয়ামীনী ওয়াআন শিমা-লী ওয়ামিন ফাওক্বী ওয়া আউযূ বিআযমাতিকা আন-উগতা-লা মিন তাহতী।

অর্থ : ‘‘হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতের নিরাপত্তা চাই, হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার নিকট আমার দ্বীন ও দুনিয়া এবং আমার পরিবার ও আমার মালের নিরাপত্তা চাই। হে আল্লাহ! আমার দোষ-ত্রুটি ঢেকে রাখুন এবং আমার ভয় দূর করুন, হে আল্লাহ! আমাকে আমার সামনে থেকে, পিছন থেকে, ডান থেকে, বাম থেকে, উপর থেকে এবং নিচ থেকে হেফাযত করুন।’’ (আবু দাউদ হা: ৫০৭৬)

৭. সায়্যিদুল ইস্তেগফার :

শাদ্দাদ ইবনে আউস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি বিশ্বাস সহকারে সকালে এটা পড়বে, সে মারা গেলে জান্নাতবাসী হয়ে মারা যাবে। আর যদি সন্ধ্যায় তা পড়ে, অতঃপর যদি মারা যায় তাহলেও সে জান্নাতবাসী হবে :

اَللّٰهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِيْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلٰى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِيْ فَاغْفِرْ لِيْ فَإِنَّهٗ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلَّا أَنْتَ

আল্লা-হুম্মা আনতা রাববী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী ওয়াআনা ‘আবদুকা ওয়াআনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্বা‘তু, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রি মা-সানা‘তু, আবুউ লাকা বিনি‘মাতিকা আলাইয়্যা ওয়া আবুউ বিযামবী, ফাগফিরলী ফাইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।

অর্থ : ‘‘হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক, তুমি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার বান্দা। আমি আমার সাধ্যমত তোমার প্রতিশ্রুতিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ রয়েছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হতে তোমার নিকট আশ্রয় চাই। আমার উপর তোমার অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমার পাপও স্বীকার করছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও, কেননা তুমি ছাড়া গুনাহ ক্ষমা করার আর কেউ নেই।’’

(আহমাদ হা: ১৭১১১, মেশকাত হা: ২৩৩৫)

৮. উসমান ইবনে আফ্ফান (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কোন লোক দৈনিক সকালে ও সন্ধ্যায় নিচের দো‘আটি তিন বার পাঠ করলে কোন বস্তু তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না :

بِسْمِ اللهِ الَّذِيْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهٖ شَيْءٌ فِي الْاَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ

বিস্মিল্লা-হিললাযী লা ইয়াযুর্রু মা‘আসমিহী শাইউন ফিলআর্যি ওয়ালা ফিস্সামা-ই ওয়াহুয়াস সামী‘উল ‘আলীম।

অর্থ : ‘‘সেই আল্লাহর নামে আমি শুরু করছি যার নামের বরকতে আসমান ও যমীনের কোন বস্তু ক্ষতি করতে পারে না এবং তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।’’ (আবু দাঊদ, তিরমিযী, মেশকাত হা: ২৩৯১)

৯. সাওবান (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় তিন বার করে নিচের দো‘আ পাঠ করবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার উপর খুশি হয়ে যাবেন :

رَضِيْتُ بِاللهِ رَبًّا وَّبِالْاِسْلَامِ دِيْنًا وَّبِمُحَمَّدٍ نَّبِيًّا

রাযীতু বিল্লা-হি রাববাও ওয়াবিল ইসলা-মি দ্বীনাও ওয়া বিমুহাম্মাদিন নাবিয়্যা।

অর্থ : ‘‘আমি আল্লাহকে রব হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ ﷺকে নবী হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট হয়েছি।’’ (তিরমিযী, মেশকাত হা: ২৩৯৯)

১০. উম্মুল মু‘মিনীন জুওয়াইরিয়া (রাঃ) ফজরের নামায পড়ার পর চাশ্তের সময় পর্যন্ত নিজের স্থানে বসা ছিলেন। নবী ﷺ বাহির থেকে এসে তাকে বললেন, তোমার এখান থেকে যাওয়ার পর আমি এমন চারটি কালিমা তিন বার পাঠ করেছি, আজ তুমি যা কিছু পড়েছ তার সাথে ওজন করা হলে তা সমান হবে। সে কালিমাগুলো হচ্ছে :

سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدهٖ عَدَدَ خَلْقِه ٖ وَ رِضَا نَفْسِهٖ وَ زِنَةَ عَرْشِهٖ وَ مِدَادَ كَلِمَاتِهٖ

সুবহা-নাল্লা-হি ওয়াবিহামদী ‘আদাদা খালক্বিহী ওয়ারিযা নাফসিহী ওয়া যিনাতা ‘আরশিহী ওয়া মিদা-দা কালিমা-তিহ।

অর্থ : ‘‘আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি তাঁর সৃষ্টির সংখ্যা, তাঁর সন্তুষ্টি, তাঁর আরশের ওজন এবং তাঁর বাক্যাবলীর সমান সংখ্যক।’’

(মুসলিম হা: ৭০৮৯, তিরমিযী হা: ৩৫৫৫)

১১. রাসূল ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি দৈনিক ৩ বার আল্লাহর কাছে জান্নাত কামনা করে জান্নাত তার জন্য বলতে থাকে, হে আল্লাহ! তুমি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও। আর যে ব্যক্তি ৩ বার জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি কামনা করে জাহান্নামও তার জন্য এ বলে দো‘আ করে, হে আল্লাহ! তুমি তাকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি দাও। (ইবনে মাজাহ)

জান্নাত লাভের দো‘আ :

اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ اَسْأَلُكَ جَنَّةَ الْفِرْدَوْسِ

আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা জান্নাতাল ফির্দাউস।

‘‘হে আল্লাহ! আমি জান্নাতুল ফিরদাউস কামনা করছি।’’

জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের দো‘আ :

اَللّٰهُمَّ اَجِرْنِىْ مِنَ النَّارِ -

আল্লাহুম্মা আজিরনী মিনান নার।

‘‘হে আল্লাহ আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিন।’’ (আবু দাউদ)

১২. মুয়াজ ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘‘সকালে ও সন্ধ্যায় সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস তিনবার করে পাঠ কর, তাহলে সবকিছু থেকে তোমাকে হেফাযত করার জন্য এগুলো যথেষ্ট হবে।’’ (আবু দাঊদ, তিরমিযী হা: ৩৫৭৫)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন