hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুমিনের আমল ও চরিত্র যেমন হওয়া উচিত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৬২
৬. আমলের হিসাব নেয়া (মুহাসাবা)
নিজের আমলের পরিমাণ, বৃদ্ধি এবং ত্রুটি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার নাম মুহাসাবা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَلْتَنْظُرْ نَفْسٌ مَا قَدَّمَتْ لِغَدٍ وَّاتَّقُوا اللهَ إِنَّ اللهَ خَبِيْرٌ ۢبِمَا تَعْمَلُوْنَ

‘‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, প্রত্যেকেই ভেবে দেখুক যে, আগামীকালের (কিয়ামতের) জন্য সে কী পাঠিয়েছে? আর আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্পর্কে সর্বাধিক জ্ঞাত।’’ (সূরা হাশর -১৮)

উমর (রাঃ) বলেন, ‘‘আল্লাহর কাছে হিসাব দেয়ার আগে তোমরা নিজেরা নিজেদের হিসাব নাও এবং হাশরের ময়দানে ওজন হওয়ার পূর্বে নিজের আমল ওজন কর।’’

উমর (রাঃ) নিজের করে হিসাব নিতেন, রাত আসলে নিজেকে বলতেন আজ কী আমল করেছ?

মায়মুনা ইবনে মিহরান (রহঃ) বলেন, ‘‘কোন বান্দা মুত্তাকির কাতারে দাঁড়াতে পারবে না যতক্ষণ না সে তার শরীকের কাছ থেকে যেভাবে হিসাব বুঝে নেয় তার চেয়ে বেশি নিজের আমলের হিসাব না নেবে।’’

আহনাফ (রহঃ) এর কোন এক সাথি বর্ণনা করেন, আমি একদিন তার সঙ্গী হয়েছিলাম। দেখলাম তার রাতের অধিকাংশ সময়ই কাটত নামায এবং দো‘আর মাধ্যমে। তিনি আগুনের কাছে গিয়ে তার আঙ্গুল আগুনে দিয়ে আগুনের তাপ অনুভব করতেন এবং (কোন পাপের কথা স্মরণ করে) নিজেকে সম্বোধন করে বলতেন, হে আহনাফ! অমুক দিন এই পাপটি করার জন্য তোমাকে কিসে উৎসাহিত করেছিল?

উমর ইবনে আব্দুল আজিজ (রহঃ) সূরা শুয়ারার- ২০৫ নং আয়াতটি পড়ে প্রতিদিন ভোরে দাঁড়িতে ধরে কাঁদতেন আর নিজেকে বলতেন, কিয়ামতের দিন যখন অমুক পাপীদের বলা হবে- ‘‘উঠো’’ তখন তোমাকে উঠতে হবে, কারণ তুমি সব গুনাহই করেছ।

যেকোন জ্ঞানী ব্যক্তির জন্য এ চারটি কাজের ব্যাপারে অবশ্যই সময় নির্ধারণ করা উচিত :

১. আল্লাহর সাথে নির্জনে মুনাজাতের সময়।

২. আল্লাহর কুদরত ও সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার সময়।

৩. খাদ্য ও পানীয় গ্রহণের সময়।

৪. নিজের কাজ-কর্মের হিসাব নেয়ার সময়।

মুহাসাবার সময় :

নিজের হিসাব গ্রহণের জন্য দু’টি সময় উপযুক্ত। তা হল :

(১) ফজরের পরে ও (২) এশার পরে।

ফজরের পরে নফসের সাথে এ মর্মে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া যে, হে নফস! তুমি মরে গিয়েছিলে, তোমার রব দয়া করে তোমাকে আজকের দিনটি উপহার দিয়েছেন। এটা হল তোমার পুঁজি আর অঙ্গ হল কর্মচারী, তাই দিনটা কাজে লাগাও।

প্রত্যেক নতুন দিন মানুষকে বলে আমি তোমার জন্য নতুন দিন, আমি এমন এক সম্পদ চলে গেলে আর ফিরে আসি না। হে আদম সন্তান! তুমি আজ যা করবে পরকালে আমি এর সাক্ষী দেব, তাই তুমি অপরাধ না করে কিছু নেকী সঞ্চয় করে নাও।

তারপর পাপ না করার জন্য অঙ্গে-প্রতঙ্গের সাথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে। কারণ সব গুনাহই অঙ্গ-প্রতঙ্গের মাধ্যেমেই সম্পাদিত হয়ে থাকে। হাত, পা, চক্ষু, কান, লজ্জাস্থান, পেট ও মুখ এ সাতটি অঙ্গ দিয়ে অপরাধ করা হয় আর জাহান্নামের দরজাও রয়েছে সাতটি।

لَهَا سَبْعَةُ أَبْوَابٍ لِكُلِّ بَابٍ مِنْهُمْ جُزْءٌ مَّقْسُوْمٌ

‘‘তার সাতটি দরজা আছে, প্রত্যেক দরজার জন্য পৃথক পৃথক শ্রেণী আছে।’’ (সূরা হিজর- ৪৪)

কোন গুনাহের কাজ করার চিন্তা মনে আসলে অন্তর হতে সে চিন্তা দূর করে দিতে হবে। দূর না করলে এর প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়, আর আগ্রহ হয়ে গেলে এটা সম্পাদনের চিন্তায় লিপ্ত হতে হয়। এরপর কাজের দৃঢ় ইচ্ছা তৈরি হয় আর তখন গুনাহ সম্পাদিত হয়ে যায়। এরপর থেকে শুরু হয় মনের অশান্তি ও শাস্তি।

এশার নামাযের পর দিনের আমলের হিসাব নিতে হবে :

প্রথমে ফরজ ইবাদাতসমূহের হিসাব নিতে হবে। যদি সকল ফরজ সুন্দরভাবে আদায় হয় তবে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হবে। আর যদি অসম্পূর্ণভাবে আদায় হয়, তবে নফলের মাধ্যমে এর ক্ষতিপূরণ করতে হবে। আর যদি ফরজ কাজা হয়ে যায়, তবে অবশ্যই কাজা আদায় করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

তারপর পর্যায়ক্রমে ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফলের হিসাব নিতে হবে।

এরপর সকালে অঙ্গ-প্রতঙ্গগুলোকে যেভাবে শর্ত দেয়া হয়েছিল সেভাবে দিন অতিবাহিত হয়েছে কি না তার হিসাব নিতে হবে। যদি কোন গুনাহ ধরা পড়ে তবে খালিস নিয়তে তওবা করতে হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের গুনাহ না করার জন্য দৃৃৃঢ় প্রতিজ্ঞা করতে হবে। আর যদি সেই গুনাহ বান্দার হক সংক্রান্ত হয় তবে সেই হক আদায় করে দিতে হবে অথবা হকদারের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।

মাঝে মধ্যে সারাজীবনের হিসাব নিতে হবে। সবসময় নিজের গুনাহগুলোর কথা স্মরণ রাখতে হবে।

রোজ যদি একটি পাপও কেউ করে তবে সপ্তাহে ৭টি, মাসে ৩০টি, বছরে ৩৬৫টি। এভাবে পাপের স্তুপ জমা হতে থাকে, কিন্তু বান্দা তা অনুভব করতে পারে না।

যেমন কেউ যদি রোজ একটি পাথর তার ঘরের কোনায় জমা করে, তবে ১০ বছর পর ৩৬৫০টি পাথরের একটি বিরাট স্তুপ দেখতে পাবে।

বান্দা যখন নিজ থেকে গুনাহের হিসাব নেবে তখন অবশ্যই তার কাছে নিজের গুনাহ ধরা পড়বে। মানুষ সাধারণত গুনাহের কথা ভুলে যায়, অথচ আল্লাহ তার গুনাহের হিসাব রাখেন, আল্লাহর ফেরেশতারা তা লিখে রাখে।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

يَوْمَ يَبْعَثُهُمُ اللهُ جَمِيْعًا فَيُنَبِّئُهُمْ بِمَا عَمِلُوْا أَحْصَاهُ اللهُ وَنَسُوْهُ وَاللهُ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيْدٌ

‘‘যেদিন আল্লাহ সকলকে পুনর্জীবিত করবেন, অতঃপর তারা যা কিছু করেছে তা তাদেরকে জানিয়ে দেবেন। আল্লাহ তা সংরক্ষিত করে রেখেছেন, আর তারা তা ভুলে গেছে। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক দ্রষ্টা।’’ (সূরা মুজাদালা- ৬)

إِذْ يَتَلَقَّى الْمُتَلَقِّيَانِ عَنِ الْيَمِيْنِ وَعَنِ الشِّمَالِ قَعِيْدٌ - مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ إِلَّا لَدَيْهِ رَقِيْبٌ عَتِيْدٌ

‘‘স্মরণ রেখো! দুই ফেরেশতা তার ডানে ও বামে বসে তার কর্ম লিপিবদ্ধ করে। মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে তা লিপিবদ্ধ করার জন্য তৎপর প্রহরী তার নিকটেই রয়েছে।’’ (সূরা কাফ- ১৭, ১৮)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন