hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুমিনের আমল ও চরিত্র যেমন হওয়া উচিত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৯
কুরআনের বিশেষ কিছু আয়াত ও সূরা
আল কুরআনুল কারীমের সকল সূরা ও আয়াতই মর্যাদাপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ। তবে কিছু বিশেষ আয়াত ও সূরা রয়েছে যেগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে আল্লাহর গুণাবলীর কথা উল্লেখ রয়েছে। হাদীসেও এসব আয়াত ও সূরার ফযীলত বর্ণনা করা হয়েছে। সকাল-সন্ধ্যায় এসব আয়াত ও সূরা পাঠ করলে বিশেষ উপকার লাভ করা যায়। নিম্নে এ সংক্রান্ত কিছু আয়াত উল্লেখ করা হল :

আয়াতুল কুরসী :

اَللهُ لَا إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لَا تَأْخُذُهٗ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَهٗ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْاَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِيْ يَشْفَعُ عِنْدَهٗ إِلَّا بِإِذْنِهٖ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيْطُوْنَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهٖ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضَ وَلَا يَئُوْدُهٗ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ

আল্লা-হু লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ূম। লা-তা’খুযুহূ সিনাতুঁ ওয়ালা- নাঊম। লাহূ মা- ফিস্সামা-ওয়াতি ওয়ামা-ফিল আরয্। মান্যাল্লাযী ইয়াশ্ফা‘উ ‘ইন্দাহূ ইল্লা- বিইয্নিহ, ইয়া‘লামু মা- বাইনা আইদীহিম ওয়া মা-খল্ফাহুম ওয়ালা-ইউহীতূনা বিশায়ইম্ মিন ‘ইলমিহী ইল্লা- বিমা-শা-আ ওয়াসি‘আ কুর্সিয়্যুহুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরয্, ওয়ালা-ইয়াউদুহূ হিফ্যুহুমা- ওয়া হুয়াল ‘আলিয়্যুল ‘আযীম।

অর্থ : ‘‘আল্লাহ তিনি, যিনি ব্যতীত কোন (প্রকৃত) উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও সবকিছুর ধারক। তন্দ্রা এবং নিদ্রা কিছুই তাঁকে স্পর্শ করে না। আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে সবকিছু তাঁরই মালিকানাধীন। তাঁর হুকুম ব্যতীত এমন কে আছে, যে তাঁর নিকট সুপারিশ করতে পারে? তাদের সম্মুখে ও পিছনে যা কিছু আছে সবকিছুই তিনি জানেন। তিনি যতটুকু ইচ্ছা করেন ততটুকু ছাড়া তাঁর জ্ঞানসমুদ্র হতে তারা কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না। তার সিংহাসন আসমান ও যমীনকে বেষ্টন করে আছে। আর সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ তাঁকে মোটেই ক্লান্ত করে না। তিনি সর্বোচ্চ ও সর্বাপেক্ষা মহান।’’ (সূরা বাক্বারা- ২৫৫)

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত :

آمَنَ الرَّسُوْلُ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مِنْ رَّبِّهٖ وَالْمُؤْمِنُوْنَ كُلٌّ آمَنَ بِاللهِ وَمَلَائِكَتِهٖ وَكُتُبِهٖ وَرُسُلِهٖ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهٖ وَقَالُواْ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ لَا يُكَلِّفُ اللهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهٗ عَلَى الَّذِيْنَ مِن قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهٖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنتَ مَوْلَانَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِيْنَ -

আ-মানার রাসূলু বিমা উনযিলা ইলাইহি মির রাবিবহী ওয়াল মুমিনূন, কুল্লুন আমানা বিল্লাহি ওয়া মালা-ইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুসুলিহ। লা নুফাররিক্কু বাইনা আহাদিম মিররুসূলিহ ওয়াক্বালু ছামি’না ওয়া আতা’না গুফরানাকা রাববানা ওয়া ইলাইকাল মাসীর। লা-ইয়ুকাল্লিফুল্লাহু নাফসান ইল্লা উসআহা লাহা মা কাসাবাত ওয়া আলাইহা মাকতাসাবাত, রববানা লা তুআ-খিযনা ইন নাসীনা আও আখতা’না রববানা ওয়ালা তাহমিল আলাইনা ইসরান কামা হামালতাহু আল্লাযীনা মিন কাবলিনা, রববানা ওয়ালা তুহাম্মিল না মা-লা-ত্বা-কাতা-লানা বিহ, ওয়া’ফু আন্না, ওয়াগফির লানা, ওয়ার হামনা আন্তা মাওলানা ফানসুরনা আলাল ক্বাওমিল কাফিরীন।

অর্থ : ‘‘রাসূল বিশ্বাস করেছেন যা তার রবের পক্ষ থেকে নাযিল হয়েছে এবং ঈমানদাররাও। প্রত্যেকেই আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতা, তাঁর কিতাবসমূহ এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান এনেছে। আমরা তাঁর রাসূলদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না এবং তারা বলেছেন, আমরা শুনলাম এবং মেনে নিলাম। হে আমাদের রব! আমরা আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করি। আর আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তন স্থল। আল্লাহ সামর্থ্যের বাইরে কাউকে দায়িত্ব দেন না। সে যা ভাল করেছে তা তার কল্যাণে আসবে এবং যা মন্দ করেছে তা তার বিপক্ষে আসবে। হে আমাদের রব! আমাদের উপর এমন বোঝা চাপিয়ে দেবেন না যা আমাদের পূর্ববর্তীদের দিয়েছেন। আর আমাদের উপর এমন ভার দেবেন না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই। আমাদেরকে মুক্তি দান করুন, ক্ষমা করুন এবং দয়া করুন। আপনি আমাদের অভিভাবক। সুতরাং আমাদেরকে কাফিরদের উপর সাহায্য করুন।’’

সূরা আলে ইমরানের ১৮ আয়াত :

شَهِدَ اللهُ أَنَّهٗ لَا إِلٰهَ إِلَّا هُوَ وَالْمَلَائِكَةُ وَأُولُو الْعِلْمِ قَائِمًا ۢبِالْقِسْطِ لَا إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ

শাহিদাল্লা-হু আন্নাহু লা-ইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ওয়াল মালাইকাতু ওয়া উলুলইল্মি ক্বা-ইমাম বিলক্বিস্তি লা-ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল আযীযুল হাকীম।

অর্থ : ‘‘আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি ছাড়া কোন মাবূদ নেই। (এ বিষয়ে আরো সাক্ষ্যদানকারী হচ্ছেন) ফেরেশতারা এবং জ্ঞানীরা। তিনি ন্যায়-নীতিতে প্রতিষ্ঠিত। তিনি ছাড়া কোন মাবূদ নেই। তিনি পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়।’’

সূরা আলে ইমরানের ২৬, ২৭ আয়াত :

قُلِ اللّٰهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاءُ بِيَدِكَ الْخَيْرُ إِنَّكَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ - تُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَتُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَتُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَتُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ وَتَرْزُقُ مَنْ تَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ

কুলিল্লা-হুম্মা মা-লিকাল মুলকি তু’তিল মুলকা মানতাশা-উ ওয়াতানযিউল মুলকা মিমমানতাশা-উ ওয়াতুইযযূ মানতাশা-উ ওয়াতুযিল্লু মানতাশা-উ বিয়াদিকাল খায়রু, ইন্নাকা আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদী-র। তু-লিযুল লায়লা ফিন্নাহারি ওয়াতু-লিযূন্নাহারা ফিল্লায়লি ওয়াতুখরিযুল হায়্যাই মিনাল মায়্যিতি ওয়া তুখরিযূল মায়্যিতা মিনাল হায়্যি, ওয়াতারযুকু মানতাশা-উ বিগাইরি হিসা-ব।

অর্থ : ‘‘বলুন, হে আল্লাহ! আপনিই রাজত্বের মালিক যাকে চান রাজত্ব দান করেন, আবার যার থেকে চান রাজত্ব কেড়ে নেন। আর যাকে চান সম্মানিত করেন আবার যাকে চান অপদস্থ করেন। আপনার হাতেই কল্যাণ। নিশ্চয় আপনি সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান। আপনি রাতকে দিনের মধ্যে এবং দিনকে রাতের মধ্যে প্রবেশ করান এবং জীবিতকে মৃত হতে আর মৃতকে জীবিত হতে বের করেন। আর যাকে ইচ্ছা করেন অগণিত রিযিক দান করেন।’’

সূরা তওবার শেষ দুই আয়াত :

لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُوْلٌ مِّنْ أَنْفُسِكُمْ عَزِيْزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيْصٌ عَلَيْكُمْ بِالْمُؤْمِنِيْنَ رَؤُوْفٌ رَّحِيْمٌ - فَإِنْ تَوَلَّوْا فَقُلْ حَسْبِيَ اللهُ لَا إِلٰهَ إِلَّا هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ

লাকাদ জা-আকুম্ রাসূলুম্ মিন আনফুসিকুম আযীযুন আলাইহি মা আনিত্তুম্ হারীসুন আলাইকুম্ বিল মু’মিনীনা রাউফুর রাহীম। ফাইন্ তাওয়াল্লাও ফাকুল হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রববুল আরশিল আযীম্।

অর্থ : ‘‘অবশ্যই তোমাদের মধ্য হতেই তোমাদের নিকট একজন রাসূল এসেছে। তোমাদেরকে যা বিপন্ন করে সেটা তার জন্য কষ্টদায়ক। সে তোমাদের মঙ্গলকামী, মুমিনদের প্রতি সে দয়ার্দ্র ও পরম দয়ালু। অতঃপর তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তুমি বলও, আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই। আমি তাঁরই উপর নির্ভর করি এবং তিনি মহান আরশের অধিপতি।’’

সূরা বনী ইসরাঈলের শেষ দুই আয়াত :

قُلِ ادْعُوا اللّٰهَ أَوِ ادْعُوا الرَّحْمٰنَ أَيًّا مَّا تَدْعُوا فَلَهُ الْاَسْمَاءُ الْحُسْنٰى وَلَا تَجْهَرْ بِصَلَاتِكَ وَلَا تُخَافِتْ بِهَا وَابْتَغِ بَيْنَ ذٰلِكَ سَبِيْلًا - وَقُلِ الْحَمْدُ للهِ الَّذِي لَمْ يَتَّخِذْ وَلَدًا وَّلَمْ يَكُنْ لَّهٗ شَرِيْكٌ فِي الْمُلْكِ وَلَمْ يَكُنْ لَّهٗ وَلِيٌّ مِّنَ الذُّلِّ وَكَبِّرْهُ تَكْبِيْرًا

কুলিদ উল্লা-হা আওভিদ উররহমা-না আইয়াম মা-তাদউ ফালাহুল আসমা-উল হুসনা- ওয়ালা তাজহার বিসালা-তিকা ওয়ালা তুখা-ফিত বিহা ওয়াবতাগি বাইনা যা-লিকা সাবীলা। ওয়া কুলিল হামদু লিল্লা-হিললাযি লাম ইয়াত্তাখিয ওয়ালাদাও ওয়া লাম ইয়াকুল লাহু শারীকুন ফীল মুলকি ওয়া লাম ইয়াকুল লাহু ওয়ালিয়্যুম মিনাযযুল্লি ওয়া কাবিবরহু তাকবীরা।

অর্থ : ‘‘বল, তোমরা ‘আল্লাহ’ নামে আহবান করো বা ‘রহ্মান’ নামে আহবান করো, সকল সুন্দর নামই তো তাঁর। তোমার সালাতে স্বর উচ্চ করো না এবং অতিশয় ক্ষীণও করো না; দু’য়ের মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা। বলো, ‘প্রশংসা আল্লাহরই যিনি কোন সমত্মান গ্রহণ করেননি, তার সার্বভৌমত্বে কোন অংশিদার নেই এবং যিনি দুর্দশাগ্রসত্ম হন না যে কারণে তাঁর অভিভাবকের প্রয়োজন হতে পারে। সুতরাং সম্ভ্রমে তাঁর মাহাত্ম্য ঘোষণা কর।’’

সূরা আম্বিয়ার ৮৭ আয়াত :

لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّيْ كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْن

লা ইলা-হা ইল্লা আনতা সুবহা-নাকা ইন্নী কুনতু মিনায্যো-লিমীন।

অর্থ : ‘‘হে আল্লাহ! আপনি ব্যতীত কোন মাবূদ নেই। আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করি। নিশ্চয় আমি অপরাধীদের অন্তর্ভুক্ত।’’

সূরা মু’মিনূনেরর শেষ ৪ আয়াত :

أَفَحَسِبْتُمْ أَنَّمَا خَلَقْنَاكُمْ عَبَثًا وَّأَنَّكُمْ إِلَيْنَا لَا تُرْجَعُوْنَ ---- فَتَعَالَى اللهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ لَا إِلٰهَ إِلَّا هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيْمِ - وَمَنْ يَّدْعُ مَعَ اللهِ إِلٰهًا آخَرَ لَا بُرْهَانَ لَهٗ بِهٖ فَإِنَّمَا حِسَابُهٗ عِنْدَ رَبِّهٖ إِنَّهٗ لَا يُفْلِحُ الْكَافِرُوْنَ - وَقُلْ رَّبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِيْنَ

আফাহাসিবতুম আন্নামা খালাকনা-কুম আবাসাওঁ ওয়া আন্নাকুম ইলাইনা লা তুরজাউন। ফাতা‘আলাল্লাহুল মালিকুল হাক্কু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়া রববুল আরশিল কারীম। ওয়া মাই ইয়াদউ মা‘আল্লাহি ইলা-হান আ-খারা লা বুরহা-না লাহু বিহী ফাইন্নামা হিসা-বুহু ইন্দা রবিবহ, ইন্নাহু লা-ইউফলিহুল কা-ফিরু-ন। ওয়া কুররবিবগফির ওয়ারহাম ওয়া আনতা খাইরুর রা-হিমীন।

অর্থ : ‘‘তোমরা কি মনে করেছিলে যে, আমি তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে না?’ মহিমান্বিত আল্লাহ যিনি প্রকৃত মালিক, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই; তিনি সম্মানিত ‘আর্শের অধিপতি। যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহ্কে ডাকে যে বিষয়ে তার নিকট কোন প্রমাণ নেই; তার হিসাব তার প্রতিপালকের নিকট আছে; নিশ্চয় কাফিরগণ সফলকাম হবে না। বলো, ‘হে আমার প্রতিপালক! ক্ষমা করো ও দয়া করো, তুমিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’’

সূরা রূমের ১৭, ১৮ ও ১৯ আয়াত :

فَسُبْحَانَ اللهِ حِيْنَ تُمْسُوْنَ وَحِيْنَ تُصْبِحُوْنَ - وَلَهُ الْحَمْدُ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ وَعَشِيًّا وَّحِيْنَ تُظْهِرُوْنَ - يُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَيُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ وَيُحْيِي الْاَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا وَكَذَالِكَ تُخْرَجُوْنَ

ফাসুবহা-নাল্লাহি হী-না তুমসু-না ওয়া হী-না তুসবিহুন। ওয়া লাহুল হামদু ফিস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি ওয়া আশিয়্যাও ওয়া হী-না তুযহিরুন। ইউখরিযুল হাইয়্যা মিনাল মায়্যিতি ওয়া ইউখরিযুল মায়্যিতা মিনাল হায়্যি ওয়া ইউহয়িল আরযা বা‘দা মাওতিহা ওয়া কাযা-লিকা তুখরাযু-ন।

অর্থ : ‘‘অতঃপর তোমরা আল্লাহর পবিত্র ও মহিমা ঘোষণা কর সন্ধ্যায় ও প্রতুষ্যে। এবং অপরা ‎‎ হ্ন ও যোহরের সময়; আর আসমানে ও যমীনে সকল প্রশংসা তো তাঁরই। তিনি জীবিতকে মৃত থেকে আর মৃতকে জীবিত থেকেবের করে আনেন, আর তিনিই যমীনকে তার মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত করেন। এভাবেই তোমাদেরকে (মৃত্যুর পর পুনরায়) বের করে আনা হবে।’’

সূরা মুমিন এর প্রথম ৩ আয়াত :

حٰم - تَنْزِيلُ الْكِتَابِ مِنَ اللهِ الْعَزِيْزِ الْعَلِيْمِ - غَافِرِ الذَّنْبِ وَقَابِلِ التَّوْبِ شَدِيْدِ الْعِقَابِ ذِي الطَّوْلِ لَا إِلٰهَ إِلَّا هُوَ إِلَيْهِ الْمَصِيْرُ

হা-মীম। তানযীলুল কিতা-বি মিনাল্লা-হিল আযীযিল আলীম। গা-ফিরিয যানবি ওয়া কা-বিলিত তাওবি শাদীদিল ইকা-বি যিত তাওলি লা ইলাহা ইল্লা- হুওয়া ইলাইহিল মাসীর।

অর্থ : ‘‘হা-মীম, এই কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর নিকট হতে- যিনি পাপ ক্ষমাকারী, তওবা কবুলকারী, যিনি শাস্তিদানে কঠোর এবং শক্তিশালী। তিনি ব্যতীত (সত্য) কোন মাবূদ নেই। তাঁরই নিকট প্রত্যাবর্তনস্থল।’’

সূরা জাসিয়ার শেষ ২ আয়াত :

فَلِلّهِ الْحَمْدُ رَبِّ السَّمَاوَاتِ وَرَبِّ الْاَرْضِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ - وَلَهُ الْكِبْرِيَاءُ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ

ফালিল্লা-হিল হামদু রবিবস সামা-ওয়া-তি ওয়া রবিবল আরযি রবিবল আলামীন। ওয়ালাহুল কিবরিয়া-উ ফিস্সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি ওয়া হুওয়াল আযীযুল হাকীম।

অর্থ : ‘‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। যিনি আসমান-যমীন ও জগতসমূহের প্রতিপালক। আসমান ও যমীনে তাঁরই রাজত্ব এবং তিনি মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাবান।’’

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত :

هُوَ اللهُ الَّذِيْ لَا إِلٰهَ إِلَّا هُوَ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِيْمُ - هُوَ اللهُ الَّذِيْ لَا إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوْسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيْزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ سُبْحَانَ اللهِ عَمَّا يُشْرِكُوْنَ - هُوَ اللهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْاَسْمَاءُ الْحُسْنٰى يُسَبِّحُ لَهٗ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ -

হুয়াল্লা-হুল্লাযী লা-ইলাহা ইল্লা-হুওয়া, ‘আলিমুল গাইবি ওয়াশ্ শাহা-দাতি হুয়ার রাহমানুর রাহীম। হুয়াল্লা-হুল্লাযী লা-ইলাহা ইল্লা হুওয়াল মালিকুল ক্কুদ্দٍূ-সুস সালা-মুল মু‘মিনুল মুহাইমিনুল আযীযুল জাববা-রুল মুতাক্কাবির, সুবহানাল্লা-হি আম্মা ইউশরিকু-ন। হুয়াল্লা-হুল খা-লিক্কুল বা-রিউল মুসাবিবরু লাহুল আসমা-উল হুসনা। ইউসাবিবহু লাহু মা- ফিসসামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি ওয়া হুয়াল আযীযুল হাকীম।

অর্থ : ‘‘তিনিই আল্লাহ, তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ্ নেই। গুপ্ত ও প্রকাশ্য সবই তিনি জানেন। তিনি পরম দয়ালু, পরম করুণাময়। তিনিই আল্লাহ, তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তিনিই মালিক, তিনি পবিত্র, তিনিই শান্তি, তিনিই নিরাপত্তাদাতা, তিনিই রক্ষক, তিনিই পরাক্রান্ত, তিনিই প্রবল, তিনিই মহান, আল্লাহই সর্ব প্রকার শিরক হতে পবিত্র মহান। তিনিই আল্লাহ, তিনিই স্রষ্টা, তিনিই উদ্ভাবনকারী, তিনিই আকৃতিদাতা, আর তাঁরই জন্য উত্তম নামসমূহ রয়েছে; আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে তার সবই তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছে। তিনি মহা পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়।’’

সূরা তাকাছুর :

﷽(1) --أَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ (2) حَتّٰى زُرْتُمُ الْمَقَابِرَ (3) كَلَّا سَوْفَ تَعْلَمُونَ (4) ثُمَّ كَلَّا سَوْفَ تَعْلَمُوْنَ (5) كَلَّا لَوْ تَعْلَمُوْنَ عِلْمَ الْيَقِيْنِ (6) لَتَرَوُنَّ الْجَحِيْمَ (7) ثُمَّ لَتَرَوُنَّهَا عَيْنَ الْيَقِيْنِ (8) ثُمَّ لَتُسْأَلُنَّ يَوْمَئِذٍ عَنِ النَّعِيْمِ

আল হা-কুমুত্তাকা-সুর। হাত্তা যুরতুমুল মাকা-বির। কাল্লা- সাওফাতা‘লামু-ন। সুম্মা কাল্লা- সাওফাতা‘লামু-ন। কাল্লা- লাও তা‘লামু-না ‘ইল মালইয়াকীন। লাতারাভুন্নাল জাহীম। ছুম্মা লাতারাভু্ন্নাহা- আইনাল ইয়াকী-ন। ছুম্মা লাতুস আলুন্না ইয়াওমাইযিন ‘আনিন্নাইম।

অর্থ : ১. প্রাচুর্যের লালসা তোমাদেরকে গাফেল রাখে, ২. এমনকি তোমরা কবরস্থানে পৌঁছে যাও। ৩. এটা কখনও উচিত নয়। তোমরা অচিরেই জেনে নেবে, ৪. অতঃপর কখনও উচিত নয়। তোমরা অচিরেই জেনে নেবে। ৫. কখনই নয়; যদি তোমরা নিশ্চিত জানতে। ৬. তোমরা অবশ্যই জাহান্নাম দেখবে, ৭. অতঃপর তোমরা তা অবশ্যই দেখবে স্বচক্ষে, ৮. এরপর অবশ্যই সেদিন তোমরা নিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞেসিত হবে।

সূরা কাফিরুন :



(1) قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُوْنَ (2) لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُوْنَ (3) وَلَا أَنْتُمْ عَابِدُوْنَ مَا أَعْبُدُ (4) وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدْتُمْ (5) وَلَا أَنْتُمْ عَابِدُوْنَ مَا أَعْبُدُ (6) لَكُمْ دِيْنُكُمْ وَلِيَ دِيْنِ

বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহীম- (১) কুল্ ইয়া আইয়ুহাল কা-ফিরূন, (২) লা- আ‘বুদু মা- তা‘বুদূন, (৩) ওয়ালা আন্তুম ‘আবিদূনা মা আ‘বুদ, (৪) ওয়ালা আনা ‘আবিদুমমা ‘আবাত্তুম, (৫) ওয়ালা আনতুম ‘আবিদূনা মা আ‘বুদ, (৬) লাকুম দ্বী-নুকুম ওয়ালিয়া দ্বীন।

অর্থ : ১. (হে নবী!) আপনি বলে দিন, হে কাফিররা! ২. আমি তাদের ইবাদাত করি না তোমরা যাদের ইবাদাত কর। ৩. আর তোমরা তার ইবাদাতকারী নও যার ইবাদাত আমি করি। ৪. এবং আমিও তাদের ইবাদাতকারী নই যাদের ইবাদাত তোমরা কর। ৫. আর তোমরা তার ইবাদাতকারী নও যার ইবাদাত আমি করি। ৬. (এ দ্বীনের মধ্যে কোন মিশ্রণ সম্ভব নয়, অতএব) তোমাদের পথ তোমাদের জন্য আর আমার পথ আমার জন্য।

সূরা নাসর :

﷽ (1) إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللهِ وَالْفَتْحُ (2) وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُوْنَ فِي دِيْنِ اللهِ أَفْوَاجًا (3) فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهٗ كَانَ تَوَّابًا

বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহীম- (১) ইযা জা-আ নাস্রুল্লাহি ওয়াল্ ফাত্হু, (২) ওয়ারা আইতান্নাসা ইয়াদ্খুলূনা ফী দ্বীনিল্লাহি আফ্ওয়াজা, (৩) ফাসাব্বিহ বিহাম্দি রাবিবকা ওয়াস্তাগ্ফিরহু ইন্নাহূ কা-না তাও্ওয়াবা।

অর্থ : ১. যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য ও বিজয় আসবে। ২. তখন মানুষদেরকে তুমি দেখবে, তারা দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে দাখিল হচ্ছে। ৩. অতঃপর তুমি তোমার মালিকের প্রশংসা কর এবং তার কাছেই ক্ষমাপ্রার্থনা কর; অবশ্যই তিনি তওবা কবুলকারী।

সূরা লাহাব :

﷽ (1) تَبَّتْ يَدَا أَبِيْ لَهَبٍ وَّتَبَّ (2) مَا أَغْنٰى عَنْهُ مَالُهٗ وَمَا كَسَبَ (3) سَيَصْلٰى نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ (4) وَّامْرَأَتُهٗ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ (5) فِيْ جِيْدِهَا حَبْلٌ مِّنْ مَّسَدٍ

বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহীম- (১) তাব্বাত্ ইয়াদা আবী লাহাবিওঁ ওয়া তাববা, (২) মা আগ্না-আন্হু মা-লুহূ ওয়ামা-কাসাব, (৩) সাইয়াস্লা না-রান্ যা-তা লাহাব, (৪) ওয়াম্রাআতুহূ হাম্মা-লাতাল হাত্বাব, (৫) ফী জীদিহা হাব্লুম মিম্ মাসাদ।

অর্থ : ১. আবু লাহাবের (দুনিয়া-আখিরাতে) দু’হাতই ধ্বংস হয়ে যাক, ধ্বংস হয়ে যাক সে নিজেও। ২. তার ধন-সম্পদ ও আয়-উপার্জন তার কোন কাজে আসেনি। ৩. অচিরেই সে লেলিহান শিখা বিশিষ্ট আগুনে প্রবেশ করবে। ৪. সাথে থাকবে জ্বালানিকাঠের বোঝা বহনকারিণী তার স্ত্রীও। ৫. (অবস্থা দেখে মনে হবে) তার গলায় যেন খেজুরপাতার পাকানো শক্ত কোন রশি জড়িয়ে আছে।

সূরা ইখলাস :



(1) قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ (2) اَللهُ الصَّمَدُ (3) لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ (4) وَلَمْ يَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا أَحَدٌ

বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহীম- (১) কুল্ হুওয়াল্লা-হু আহাদ, (২) আল্লা-হুস্সামাদ, (৩) লাম্ ইয়ালিদ্ ওয়ালাম্ ইউলাদ্, (৪) ওয়ালাম্ ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান্ আহাদ।

অর্থ : ১. (হে মুহাম্মাদ) আপনি বলুন, তিনি আল্লাহ, তিনি এক ও একক। ২. তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। ৩. তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কারো থেকে জন্মগ্রহণও করেননি। ৪. আর তাঁর সমতুল্য দ্বিতীয় কেউ নেই।

সূরা ফালাক :

﷽ (1) قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ (2) مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ (3) وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ (4) وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ (5) وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ

বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহীম, (১) কুল আ‘উযু বিরাবিবল্ ফালাক্ব, (২) মিনশার্রিমা খালাক্ব, (৩) ওয়ামিন শার্রি গা-সিক্বিন ইযা-ওয়াক্বাব, (৪) ওয়ামিন শার্রিন্ নাফ্ফা-সা-তি ফিল্‘উক্বাদ, (৫) ওয়ামিন শার্রি হা-সিদিন্ ইযা-হাসাদ।

অর্থ : ১. (হে নবী) আপনি বলুন, আমি উজ্জ্বল প্রভাতের মালিকের কাছে আশ্রয় চাই। ২. (আশ্রয় চাই) তাঁর সৃষ্টি করা প্রতিটি জিনিসের অনিষ্ট থেকে ৩. আমি আশ্রয় চাই রাতের অন্ধকারে সংঘটিত অনিষ্ট থেকে, (বিশেষ করে) যখন রাত তার অন্ধকার বিছিয়ে দেয়। ৪. (আমি আশ্রয় চাই) গিরায় ফুঁক দিয়ে যাদুটোনাকারিণীদের অনিষ্ট থেকে। ৫. (আমি আশ্রয় চাই) হিংসুকের অনিষ্ট থেকেও যখন সে হিংসা করে।

সূরা সূরা নাস :

﷽ (1) قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ (2) مَلِكِ النَّاسِ (3) إِلٰهِ النَّاسِ (4) مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ (5) الَّذِيْ يُوَسْوِسُ فِيْ صُدُوْرِ النَّاسِ (6) مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ

বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহীম (১) কুল্ আ‘উযু বিরাবিবন্ না-স, (২) মালিকিন্ না-স, (৩) ইলা-হিন্ না-স, (৪) মিন শার্রিল্ ওয়াসওয়া-সিল্ খান্না-স, (৫) আল্লাযী ইউওয়াসওয়িসু ফী সুদূরিন্না-স, (৬) মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-স।

অর্থ : ১. (হে নবী) আপনি বলুন, আমি আশ্রয় চাই মানুষের মালিকের কাছে। ২. আশ্রয় চাই মানুষের প্রকৃত বাদশাহের কাছে। ৩. আশ্রয় চাই মানুষের একমাত্র মাবূদের কাছে। ৪. আশ্রয় চাই কুমন্ত্রণাকারীর অনিষ্ট থেকে, যে প্ররোচনা দিয়েই গা ঢাকা দেয়। ৫. যে মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা দেয়। ৬. জ্বিনের মধ্য থেকে হোক বা মানুষের মধ্য থেকে হোক।

তাছাড়া সকালে সূরা ইয়াসীন ও সূরা আর রহমান এবং রাতে সূরা ওয়াকিয়া ও সূরা মূলক তেলাওয়াত করা উত্তম।

হেফাযতের ৫টি আয়াত :

فَاللهُ خَيْرٌ حَافِظًا وَّهُوَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِيْنَ

ফাল্লা-হু খাইরুন হা-ফিযাও ওয়া হুওয়া আরহামুর রাহিমী-ন।

‘‘আল্লাহই রক্ষণাবেক্ষণে শ্রেষ্ঠ এবং তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’’ (সূরা ইউসূফ- ৬৪)

إِنْ كُلُّ نَفْسٍ لَّمَّا عَلَيْهَا حَافِظٌ

ইন কুল্লু নাফসিল লাম্মা- আলাইহা- হা-ফিয।

‘‘নিশ্চয় প্রত্যেক জীবের উপরই এক সংরক্ষক রয়েছে।’’ (সূরা আত-তারিক- ৪)

وَلَا يَئُودُهٗ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ

ওয়ালা- ইয়াউ-দুহূ হিফযুহুমা- ওয়া হুওয়াল আলিয়্যুল আযীম।

‘‘সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ তাঁকে মোটেই ক্লান্ত করে না। তিনি সর্বোচ্চ ও সর্বাপেক্ষা মহান।’’ (সূরা বাকারা- ২৫৫)

وَحِفْظًا مِّنْ كُلِّ شَيْطَانٍ مَّارِدٍ

ওয়া হিফযাম মিন কুল্লি শাইতা-নিম মা-রিদ।

‘‘নিরাপদ করেছি প্রত্যেক অবাধ্য শয়তান থেকে।’’ (সূরা সফফাত- ৭)

وَحَفِظْنَاهَا مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ رَّجِيمٍ

ওয়াহিয না-হা- মিন কুল্লি শাইতা-নির রাজীম।

‘‘প্রত্যেক অভিশপ্ত শয়তান হতে আমি সেটাকে রক্ষা করে থাকি।’’ (সূরা হিজর- ১৭)

মনে প্রশান্তি দানকারী কয়েকটি আয়াত :

وَكَأَيِّنْ مِّنْ دَابَّةٍ لَّا تَحْمِلُ رِزْقَهَا ---. اَللهُ يَرْزُقُهَا وَإِيَّاكُمْ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ

ওয়াকাআইয়িম মিন দা-ববাতিল্লা- তাহমিলূ রিযিকাহা- আল্লাহু ইয়ার যুকুহা ওয়াইয়্যা-কুম ওয়াহুওয়াস সামি-উল-‘আলি-ম।

অর্থ : ‘‘এমন কত জীবজন্তু আছে যারা নিজেদের খাদ্য মওজুদ রাখে না। আল্লাহই তাদেরকে ও তোমাদেরকে রিযিক দান করেন এবং তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।’’ (সূরা আনকাবুত- ৬০)

قُلْ لَّنْ يُّصِيْبَنَا إِلَّا مَا كَتَبَ اللهُ لَنَا هُوَ مَوْلَانَا وَعَلَى اللهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُوْنَ

কুল্লাই ইউসি-বানা- ইল্লা- মা-কাতাবাল্লা-হু লানা- হুওয়া মাওলা-না ওয়া ‘আলাল্লা-হি ফালইয়াতাওয়াক্কালীল মু‘মিনূ-ন।

অর্থ : ‘‘বল, আল্লাহ আমাদের জন্য যা নির্দিষ্ট করেছেন তা ব্যতীত আমাদের অন্যকিছু হবে না; তিনি আমাদের কর্মবিধায়ক এবং আল্লাহর উপরই মুমিনদের নির্ভর করা উচিত।’’ (সূরা তওবা- ৫১)

وَإِنْ يَّمْسَسْكَ اللهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَهٗ إِلَّا هُوَ وَإِنْ يُّرِدْكَ بِخَيْرٍ فَلَا رَادَّ لِفَضْلِهٖ يُصِيبُ بِهٖ مَنْ يَّشَاءُ مِنْ عِبَادِهٖ وَهُوَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ

ওয়া ইন ইয়াম-সাসকাল্লা-হু বিযুররিন ফালা-কা-শিফালাহু ইল্লা-হু, ওয়াইন-ইউরিদ-কা বিখাইরিন ফালা-রা-দ্দা- লিফাযলিহী- ইউসী-বু বিহি-মাইয়াশা-উ মিন-ইবা-দিহি ওয়াহুওয়াল-গাফু-রুর রাহী-ম।

অর্থ : ‘‘আল্লাহ তোমাকে ক্লেষ দিলে তিনি ব্যতীত এটা মোচনকারী আর কেউ নেই এবং আল্লাহ যদি তোমার মঙ্গল চান তবে তাঁর অনুগ্রহ রদ করারও কেউ নেই। তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তিনি মঙ্গল দান করেন। তিনি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।’’ (সূরা ইউনুস- ১০৭)

إِنِّيْ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهِ رَبِّي وَرَبِّكُمْ مَا مِنْ دَابَّةٍ إِلَّا هُوَ آخِذٌ ۢبِنَاصِيَتِهَا إِنَّ رَبِّي عَلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ

ইন্নি-তাওয়াক্কালতু আলাল্লা-হি রবিব- ওয়ারবিবকুম মা-মিন দা-ববাতিন ইল্লা-হুওয়া আ-খিযূমবিনা সিয়াতিহা- ইন্নারববী- আলা- সিরা-তিমমুস্তাকীম।

অর্থ : ‘‘আমি নির্ভর করি আমার ও তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহর উপর; এমন কোন জীবজন্তু নেই, যে তাঁর পূর্ণ আয়ত্তাধীন নয়; নিশ্চয় আমার প্রতিপালক সরল পথে আছেন। ’’ (সূরা হুদ- ৫৬)

مَا يَفْتَحِ اللهُ لِلنَّاسِ مِنْ رَّحْمَةٍ فَلَا مُمْسِكَ لَهَا وَمَا يُمْسِكْ فَلَا مُرْسِلَ لَهٗ مِنْۢ بَعْدِهٖ وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ

মা-ইয়াফতাহিললা-হু লিন্না-সি মিররাহমাতিন ফালা-মুমসিকা লাহা- ওয়ামা ইউমসিক ফালা-মুরসিলা-লাহু মিম-বা‘দিহি, ওয়াহুওয়ালা-আযীযুল-হাকীম।

অর্থ : ‘‘আল্লাহ মানুষের জন্য যে রহমত মুক্ত করে দেন তা কেউ প্রতিরোধ করতে পারে না; আর যা তিনি বন্ধ করে দেন তা বন্ধ করার পরে কেউ মুক্ত করতে পারে না। তিনি প্রতাপশালী ও পরম কৌশলী।’’ (সূরা ফাতির- ২)

وَلَئِنْ سَأَلْتَهُمْ مَّنْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضَ لَيَقُوْلُنَّ اللهُ قُلْ أَفَرَأَيْتُمْ مَّا تَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللهِ إِنْ أَرَادَنِيَ اللهُ بِضُرٍّ هَلْ هُنَّ كَاشِفَاتُ ضُرِّهٖ أَوْ أَرَادَنِي بِرَحْمَةٍ هَلْ هُنَّ مُمْسِكَاتُ رَحْمَتِهٖ - قُلْ حَسْبِيَ اللهُ عَلَيْهِ يَتَوَكَّلُ الْمُتَوَكِّلُوْنَ

ওয়ালাইন সাআলতাহুম মান খালাক্বাসসামা-ওয়া-তি ওয়াল-আরযা লাইয়াকু লুন্নাল্লা-হু কুল আফারাইতুম মা-তাদউনা মিনদু-নিল্লাহি ইন আ‘রা-দানিয়াল্লা-হু বিযুররিন হাল হুন্না কা-শিফা-তু যুররিহী আও ‘আরা-দানি-বিরাহমাতিন হাল হুন্না মুমসিকা-তু রাহমাতিহ। কুল হাসবিয়াল্লা-হু ‘আলাইহি ইয়াতা ওয়াক্কালুল মুতাওয়াক্কিলূন।

অর্থ : ‘‘তুমি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস কর আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী কে সৃষ্টি করেছেন? তারা অবশ্যই বলবে আল্লাহ। বল তোমরা কি ভেবে দেখছো যে, আল্লাহ আমার অনিষ্ট চাইলে তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডাকো তারা কি সেই অনিষ্ট দূর করতে পারবে? অথবা তিনি আমার প্রতি অনুগ্রহ করতে চাইলে তারা কি সেই অনুগ্রহকে বন্ধ করতে পারবে? বল আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। নির্ভরকারীরা তাঁর উপরই নির্ভর করে।’’ (সূরা যুমার- ৩৮)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন