মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আল কুরআনুল কারীমের সকল সূরা ও আয়াতই মর্যাদাপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ। তবে কিছু বিশেষ আয়াত ও সূরা রয়েছে যেগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে আল্লাহর গুণাবলীর কথা উল্লেখ রয়েছে। হাদীসেও এসব আয়াত ও সূরার ফযীলত বর্ণনা করা হয়েছে। সকাল-সন্ধ্যায় এসব আয়াত ও সূরা পাঠ করলে বিশেষ উপকার লাভ করা যায়। নিম্নে এ সংক্রান্ত কিছু আয়াত উল্লেখ করা হল :
অর্থ : ‘‘আল্লাহ তিনি, যিনি ব্যতীত কোন (প্রকৃত) উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও সবকিছুর ধারক। তন্দ্রা এবং নিদ্রা কিছুই তাঁকে স্পর্শ করে না। আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে সবকিছু তাঁরই মালিকানাধীন। তাঁর হুকুম ব্যতীত এমন কে আছে, যে তাঁর নিকট সুপারিশ করতে পারে? তাদের সম্মুখে ও পিছনে যা কিছু আছে সবকিছুই তিনি জানেন। তিনি যতটুকু ইচ্ছা করেন ততটুকু ছাড়া তাঁর জ্ঞানসমুদ্র হতে তারা কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না। তার সিংহাসন আসমান ও যমীনকে বেষ্টন করে আছে। আর সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ তাঁকে মোটেই ক্লান্ত করে না। তিনি সর্বোচ্চ ও সর্বাপেক্ষা মহান।’’ (সূরা বাক্বারা- ২৫৫)
অর্থ : ‘‘রাসূল বিশ্বাস করেছেন যা তার রবের পক্ষ থেকে নাযিল হয়েছে এবং ঈমানদাররাও। প্রত্যেকেই আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতা, তাঁর কিতাবসমূহ এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান এনেছে। আমরা তাঁর রাসূলদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না এবং তারা বলেছেন, আমরা শুনলাম এবং মেনে নিলাম। হে আমাদের রব! আমরা আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করি। আর আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তন স্থল। আল্লাহ সামর্থ্যের বাইরে কাউকে দায়িত্ব দেন না। সে যা ভাল করেছে তা তার কল্যাণে আসবে এবং যা মন্দ করেছে তা তার বিপক্ষে আসবে। হে আমাদের রব! আমাদের উপর এমন বোঝা চাপিয়ে দেবেন না যা আমাদের পূর্ববর্তীদের দিয়েছেন। আর আমাদের উপর এমন ভার দেবেন না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই। আমাদেরকে মুক্তি দান করুন, ক্ষমা করুন এবং দয়া করুন। আপনি আমাদের অভিভাবক। সুতরাং আমাদেরকে কাফিরদের উপর সাহায্য করুন।’’
অর্থ : ‘‘আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি ছাড়া কোন মাবূদ নেই। (এ বিষয়ে আরো সাক্ষ্যদানকারী হচ্ছেন) ফেরেশতারা এবং জ্ঞানীরা। তিনি ন্যায়-নীতিতে প্রতিষ্ঠিত। তিনি ছাড়া কোন মাবূদ নেই। তিনি পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়।’’
অর্থ : ‘‘বলুন, হে আল্লাহ! আপনিই রাজত্বের মালিক যাকে চান রাজত্ব দান করেন, আবার যার থেকে চান রাজত্ব কেড়ে নেন। আর যাকে চান সম্মানিত করেন আবার যাকে চান অপদস্থ করেন। আপনার হাতেই কল্যাণ। নিশ্চয় আপনি সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান। আপনি রাতকে দিনের মধ্যে এবং দিনকে রাতের মধ্যে প্রবেশ করান এবং জীবিতকে মৃত হতে আর মৃতকে জীবিত হতে বের করেন। আর যাকে ইচ্ছা করেন অগণিত রিযিক দান করেন।’’
অর্থ : ‘‘অবশ্যই তোমাদের মধ্য হতেই তোমাদের নিকট একজন রাসূল এসেছে। তোমাদেরকে যা বিপন্ন করে সেটা তার জন্য কষ্টদায়ক। সে তোমাদের মঙ্গলকামী, মুমিনদের প্রতি সে দয়ার্দ্র ও পরম দয়ালু। অতঃপর তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তুমি বলও, আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই। আমি তাঁরই উপর নির্ভর করি এবং তিনি মহান আরশের অধিপতি।’’
অর্থ : ‘‘বল, তোমরা ‘আল্লাহ’ নামে আহবান করো বা ‘রহ্মান’ নামে আহবান করো, সকল সুন্দর নামই তো তাঁর। তোমার সালাতে স্বর উচ্চ করো না এবং অতিশয় ক্ষীণও করো না; দু’য়ের মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা। বলো, ‘প্রশংসা আল্লাহরই যিনি কোন সমত্মান গ্রহণ করেননি, তার সার্বভৌমত্বে কোন অংশিদার নেই এবং যিনি দুর্দশাগ্রসত্ম হন না যে কারণে তাঁর অভিভাবকের প্রয়োজন হতে পারে। সুতরাং সম্ভ্রমে তাঁর মাহাত্ম্য ঘোষণা কর।’’
অর্থ : ‘‘তোমরা কি মনে করেছিলে যে, আমি তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে না?’ মহিমান্বিত আল্লাহ যিনি প্রকৃত মালিক, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই; তিনি সম্মানিত ‘আর্শের অধিপতি। যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহ্কে ডাকে যে বিষয়ে তার নিকট কোন প্রমাণ নেই; তার হিসাব তার প্রতিপালকের নিকট আছে; নিশ্চয় কাফিরগণ সফলকাম হবে না। বলো, ‘হে আমার প্রতিপালক! ক্ষমা করো ও দয়া করো, তুমিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’’
অর্থ : ‘‘অতঃপর তোমরা আল্লাহর পবিত্র ও মহিমা ঘোষণা কর সন্ধ্যায় ও প্রতুষ্যে। এবং অপরা হ্ন ও যোহরের সময়; আর আসমানে ও যমীনে সকল প্রশংসা তো তাঁরই। তিনি জীবিতকে মৃত থেকে আর মৃতকে জীবিত থেকেবের করে আনেন, আর তিনিই যমীনকে তার মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত করেন। এভাবেই তোমাদেরকে (মৃত্যুর পর পুনরায়) বের করে আনা হবে।’’
অর্থ : ‘‘হা-মীম, এই কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর নিকট হতে- যিনি পাপ ক্ষমাকারী, তওবা কবুলকারী, যিনি শাস্তিদানে কঠোর এবং শক্তিশালী। তিনি ব্যতীত (সত্য) কোন মাবূদ নেই। তাঁরই নিকট প্রত্যাবর্তনস্থল।’’
অর্থ : ‘‘তিনিই আল্লাহ, তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ্ নেই। গুপ্ত ও প্রকাশ্য সবই তিনি জানেন। তিনি পরম দয়ালু, পরম করুণাময়। তিনিই আল্লাহ, তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তিনিই মালিক, তিনি পবিত্র, তিনিই শান্তি, তিনিই নিরাপত্তাদাতা, তিনিই রক্ষক, তিনিই পরাক্রান্ত, তিনিই প্রবল, তিনিই মহান, আল্লাহই সর্ব প্রকার শিরক হতে পবিত্র মহান। তিনিই আল্লাহ, তিনিই স্রষ্টা, তিনিই উদ্ভাবনকারী, তিনিই আকৃতিদাতা, আর তাঁরই জন্য উত্তম নামসমূহ রয়েছে; আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে তার সবই তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছে। তিনি মহা পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়।’’
অর্থ : ১. (হে নবী!) আপনি বলে দিন, হে কাফিররা! ২. আমি তাদের ইবাদাত করি না তোমরা যাদের ইবাদাত কর। ৩. আর তোমরা তার ইবাদাতকারী নও যার ইবাদাত আমি করি। ৪. এবং আমিও তাদের ইবাদাতকারী নই যাদের ইবাদাত তোমরা কর। ৫. আর তোমরা তার ইবাদাতকারী নও যার ইবাদাত আমি করি। ৬. (এ দ্বীনের মধ্যে কোন মিশ্রণ সম্ভব নয়, অতএব) তোমাদের পথ তোমাদের জন্য আর আমার পথ আমার জন্য।
অর্থ : ১. যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য ও বিজয় আসবে। ২. তখন মানুষদেরকে তুমি দেখবে, তারা দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে দাখিল হচ্ছে। ৩. অতঃপর তুমি তোমার মালিকের প্রশংসা কর এবং তার কাছেই ক্ষমাপ্রার্থনা কর; অবশ্যই তিনি তওবা কবুলকারী।
অর্থ : ১. আবু লাহাবের (দুনিয়া-আখিরাতে) দু’হাতই ধ্বংস হয়ে যাক, ধ্বংস হয়ে যাক সে নিজেও। ২. তার ধন-সম্পদ ও আয়-উপার্জন তার কোন কাজে আসেনি। ৩. অচিরেই সে লেলিহান শিখা বিশিষ্ট আগুনে প্রবেশ করবে। ৪. সাথে থাকবে জ্বালানিকাঠের বোঝা বহনকারিণী তার স্ত্রীও। ৫. (অবস্থা দেখে মনে হবে) তার গলায় যেন খেজুরপাতার পাকানো শক্ত কোন রশি জড়িয়ে আছে।
অর্থ : ১. (হে মুহাম্মাদ) আপনি বলুন, তিনি আল্লাহ, তিনি এক ও একক। ২. তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। ৩. তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কারো থেকে জন্মগ্রহণও করেননি। ৪. আর তাঁর সমতুল্য দ্বিতীয় কেউ নেই।
অর্থ : ১. (হে নবী) আপনি বলুন, আমি উজ্জ্বল প্রভাতের মালিকের কাছে আশ্রয় চাই। ২. (আশ্রয় চাই) তাঁর সৃষ্টি করা প্রতিটি জিনিসের অনিষ্ট থেকে ৩. আমি আশ্রয় চাই রাতের অন্ধকারে সংঘটিত অনিষ্ট থেকে, (বিশেষ করে) যখন রাত তার অন্ধকার বিছিয়ে দেয়। ৪. (আমি আশ্রয় চাই) গিরায় ফুঁক দিয়ে যাদুটোনাকারিণীদের অনিষ্ট থেকে। ৫. (আমি আশ্রয় চাই) হিংসুকের অনিষ্ট থেকেও যখন সে হিংসা করে।
অর্থ : ১. (হে নবী) আপনি বলুন, আমি আশ্রয় চাই মানুষের মালিকের কাছে। ২. আশ্রয় চাই মানুষের প্রকৃত বাদশাহের কাছে। ৩. আশ্রয় চাই মানুষের একমাত্র মাবূদের কাছে। ৪. আশ্রয় চাই কুমন্ত্রণাকারীর অনিষ্ট থেকে, যে প্ররোচনা দিয়েই গা ঢাকা দেয়। ৫. যে মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা দেয়। ৬. জ্বিনের মধ্য থেকে হোক বা মানুষের মধ্য থেকে হোক।
তাছাড়া সকালে সূরা ইয়াসীন ও সূরা আর রহমান এবং রাতে সূরা ওয়াকিয়া ও সূরা মূলক তেলাওয়াত করা উত্তম।
অর্থ : ‘‘এমন কত জীবজন্তু আছে যারা নিজেদের খাদ্য মওজুদ রাখে না। আল্লাহই তাদেরকে ও তোমাদেরকে রিযিক দান করেন এবং তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।’’ (সূরা আনকাবুত- ৬০)
অর্থ : ‘‘বল, আল্লাহ আমাদের জন্য যা নির্দিষ্ট করেছেন তা ব্যতীত আমাদের অন্যকিছু হবে না; তিনি আমাদের কর্মবিধায়ক এবং আল্লাহর উপরই মুমিনদের নির্ভর করা উচিত।’’ (সূরা তওবা- ৫১)
অর্থ : ‘‘আল্লাহ তোমাকে ক্লেষ দিলে তিনি ব্যতীত এটা মোচনকারী আর কেউ নেই এবং আল্লাহ যদি তোমার মঙ্গল চান তবে তাঁর অনুগ্রহ রদ করারও কেউ নেই। তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তিনি মঙ্গল দান করেন। তিনি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।’’ (সূরা ইউনুস- ১০৭)
অর্থ : ‘‘আমি নির্ভর করি আমার ও তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহর উপর; এমন কোন জীবজন্তু নেই, যে তাঁর পূর্ণ আয়ত্তাধীন নয়; নিশ্চয় আমার প্রতিপালক সরল পথে আছেন। ’’ (সূরা হুদ- ৫৬)
অর্থ : ‘‘আল্লাহ মানুষের জন্য যে রহমত মুক্ত করে দেন তা কেউ প্রতিরোধ করতে পারে না; আর যা তিনি বন্ধ করে দেন তা বন্ধ করার পরে কেউ মুক্ত করতে পারে না। তিনি প্রতাপশালী ও পরম কৌশলী।’’ (সূরা ফাতির- ২)
অর্থ : ‘‘তুমি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস কর আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী কে সৃষ্টি করেছেন? তারা অবশ্যই বলবে আল্লাহ। বল তোমরা কি ভেবে দেখছো যে, আল্লাহ আমার অনিষ্ট চাইলে তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডাকো তারা কি সেই অনিষ্ট দূর করতে পারবে? অথবা তিনি আমার প্রতি অনুগ্রহ করতে চাইলে তারা কি সেই অনুগ্রহকে বন্ধ করতে পারবে? বল আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। নির্ভরকারীরা তাঁর উপরই নির্ভর করে।’’ (সূরা যুমার- ৩৮)
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/542/19
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।