মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
পূর্বোক্ত আলোচনা থেকে একথা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, মেয়ে পুরুষের অবাধ দেখা-সাক্ষাতের জন্যে একটা পরিসর রয়েছে এবং সে পরিসরের বাইরে মেয়ে পুরুষের দেখা-সাক্ষাত করা, কথাবার্তা বলা ও গোপন অভিসারে মিলিত হওয়া সম্পূর্ণ হারাম। যে আয়াতে ঘরের মেয়েলোকদের কাছে কোনো জরুরী জিনিস চাইতে হলে পর্দার আড়ালে থেকে বাইরে বসে চাইতে হবে বলে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, সে আয়াতেরই ব্যাখ্যায় ইমাম শাওকানী লিখেছেনঃ
(আরবী)
এ আয়াত প্রত্যেক মু’মিন ব্যক্তির জন্যে একটি নীতি শিক্ষা দেয় এবং গায়র-মুহাররম মেয়েলোকদের সাথে গোপনে মিলিত হওয়া ও পর্দার অন্তরাল ছাড়াই পরস্পরে কথাবার্তা বলা সম্পর্কে স্পষ্ট ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে।
নবী করীম (ﷺ)-ও একথাই বলেছেন নিম্নোদ্ধৃত হাদীসেঃ
(আরবী))
যে সব মহিলার স্বামী বা নিকটাত্মীয় পুরুষ অনুপস্থিত, তাদের কাছে যেও না। কেননা তোমাদের প্রত্যেকের দেহের প্রতিটি ধমনীতে শয়তানের প্রভাব রক্তের মতো প্রবাহিত হয়।
অন্যত্র আরো কঠোর ভাষায় বলেছেনঃ
(আরবী)
আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমানদার কোনো ব্যক্তিই যেন এমন মেয়েলোকের সাথে গোপনে মিলিত না হয়, যার সাথে তার আপন মুহাররম কোনো পুরুষ নেই। কেননা গোপনে মিলিত এমন দুজন স্ত্রী পুরুষের সাথে শয়তান তৃতীয় হিসেবে উপস্থিত থাকে। ঠিক এ কারণেই সতীসাধ্বী স্ত্রী হওয়ার জন্য অপরিহার্য গুণ হিসেবে নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ
(আরবী)
স্বামীর ঘরে তার অনুমতি ছাড়া কোনো লোককেই প্রবেশ করতে দেবে না।
আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী এ হাদীসের অর্থ লিখেছেন এ ভাষায়ঃ
(আরবী)
অর্থাৎ স্ত্রী তার স্বামীর ঘরে স্বামীর পছন্দ নয় –এমন পুরুষ বা স্ত্রীলোককে প্রবেশ করার অনুমতি দেবে না। কেননা এতে করে খারাপ খারাপ ধারণার সৃষ্টি হতে পারে এবং তার ফলে স্বামীর মনে আত্মমর্যাদাবোধ তীব্র হয়ে উঠে দাম্পত্য সম্পর্ককেই ছিন্ন করে দিতে পারে।
স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগ তার স্ত্রীর কাছে কোনো গায়র-মুহাররম পুরুষের উপস্থিতি এবং তার ঘরে প্রবেশ করা ইসলামী শরীয়তে বড়ই গুনাহের কাজ, নিষিদ্ধ এবং অভিশপ্ত। হাদীসে এ পর্যায়ে বিস্তারিত আলোচনার উল্লেখ পাওয়া যায়। হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) একদা বাইরে থেকে এসে তাঁর ঘরে তাঁর স্ত্রীর কাছে বনু হাশিম বংশের কিছু লোককে উপস্থিত দেখতে পান। তিনি গিয়ে নবী করীম (ﷺ)-এর কাছে বিষয়টি বিবৃত করেন এবং বলেন যে, ঘটনা এই; কিন্তু ভালো ছাড়া খারাপ কিছু দেখতে পাইনি; তখন নবী করীম (ﷺ) বললেনঃ
(আরবী) –খারাবী থেকে আল্লাহ তাঁকে মুক্ত করেছেন।
অতঃপর তিনি মিম্বরে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিলেন এবং ঘোষণা করলেনঃ
(আরবী)
আজকের দিনের পর কোনো পুরুষই অপর কোনো ঘরের স্ত্রীর কাছে তার স্বামীর অনুপস্থিতিতে কখনো প্রবেশ করবে না, যদি না তার সাথে আরো একজন বা দুইজন পুরুষ থাকে।
হযরত ফাতিমা (রা) –এর ঘরে প্রবেশ করার জন্যে হযরত আমর ইবনে আ’স (রা) একদিন বাইরে থেকে অনুমতি চাইলেন। তাঁকে অনুমতি দেয়া হলে তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ ওখানে আলী উপস্থিত আছে কি? বলা হলঃ ‘না, তিনি নেই”। একতা শুনে হযরত আমর ফিরে চলে গেলেন। পরে আবার এসে অনুমতি চাইলে হযরত আলী উপস্থিত কিনা জিজ্ঞেস করলেন। বলা হলো –তিনি ঘরে উপস্থিত রয়েছে। অতঃপর হযরত আমর প্রবেশ করলেন। হযরত আলী জিজ্ঞেস করলেনঃ
(আরবী)
আমাকে এখানে অনুপস্থিত পেয়ে তুমি ঘরে প্রবেশ করলে না কেন –কে নিষেধ করেছিল?
তখন হযরত আমর বললেনঃ
(আরবী)
যে মেয়েলোকের স্বামী উপস্থিত নেই, তার ঘরে প্রবেশ করতে রাসূলে করীম (ﷺ) আমাদরে নিষেধ করেছেন।
যে পুরুষ লোক স্বামীর অনুপস্থিতিতে কোনো মেয়েলোকের শয্যায় বসবে, আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন তার উপর (তার শাস্তির জন্যে) একটি বিষধর অজগর নিযুক্ত করে দিবেন।
আল্লামা আহমাদুল বান্না এসব হাদীসের ভিত্তিতে লিখেছেনঃ
(আরবী)
এ পর্যায়ের সমস্ত হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রীর কাছে কোনো একজন পুরুষের প্রবেশ করা এবং ভিন-গায়র মুহাররম মেয়েলোকের সাথে গোপনে মিলিত হওয়া সম্পূর্ণ হারাম এবং এ সম্পর্কে সকল ইসলামবিদ সম্পূর্ণ একমত।
ইমাম নববী লিখেছেনঃ দুইজন-তিনজন পুরুষের প্রবেশ জায়েয প্রমাণিত হয় যে, হাদীস থেকে তা ব্যাখ্যা সাপেক্ষ। এজন্যে একাধিক ব্যক্তির উপস্থিতিতে কোনো দুষ্কৃতির কল্পনা করা যায় না। অন্যথায়, তা সত্ত্বেও যদি দুষ্কার্য হওয়ার সম্ভাবনা দেকা দেয় তাও হারাম। (আরবী)
স্বামীর উপস্থিতিতেও যেমন এ কাজ করা যেতে পারে না, তেমনি তার অনুপস্থিতিতেও করা যেতে পারে না। বরং স্বামীর অনুপস্থিতিতে এ কাজ এক ভয়ানক অপরাধে পরিণত হয়ে যায়।
বস্তুত স্বামীর নিকটাত্মীয় বন্ধুদের সাথে স্ত্রীর এবং স্ত্রীর নিকটাত্মীয় বান্ধবীদের সাথে স্বামীর –মুহাররম নয় এমন সব মেয়ে পুরুষের –গোপন সাক্ষাতকার বড়ই বিপদজনক হয়ে থাকে। উপরোক্ত হাদীসে মেয়েদেরকে যেমন সতর্ক করে দেয়া হয়েছে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়িয়ে চলবার জন্যে, তেমনি নিম্নোদ্ধৃত হাদীসে সাবধান করে দেয়া হয়েছে পুরুষদের।
রাসূলে করীম (ﷺ) কড়া ভাষায় বলেছেনঃ
(আরবী)
তোমরা পুরুষেরা গায়র-মুহাররম মেয়েলোকের কাছে যাওয়া-আসা থেকে দূরে থাকো –সাবধান থাক।
এ হাদীসের ব্যাখ্যায় আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী লিখেছেনঃ
(আরবী)
এ হাদীস থেকে যে দুটি কথা প্রমাণিত হয়, তার একটি হচ্ছে, ভিন মেয়েলোকদের সাথে পুরুষের নিরিবিলিতে গোপনবাবে মিলিত হওয়া নিষেধ; আর দ্বিতীয়তটি হচ্ছে স্বামী বা ঘরের পুরুষ উপস্থিত নেই এমন মেয়েলোকের ঘরে প্রর্বেশ করা নিষেধ।
রাসূলে করীম (ﷺ)-এর নির্দেশের ফলে এ দুটো কাজই হারাম। এ পর্যায়ে দেবর-ভাসুর সম্পর্কে পুরুষদের সাথে মেয়েদের একাকীত্বের সাক্ষাত সর্বাধিক বিপদজনক এবং এ ব্যাপারে সর্বাধিক সতর্কতা অবলম্বন করার জন্যে স্পষ্ট নির্দেশও রয়েছে।
রাসূলে করীম (ﷺ)-এর উপরোক্ত কতা শুনে একজন সাহাবী জিজ্ঞেস করলেনঃ
(আরবী)
হে রাসূল, দেবর-ভাসুর প্রভৃতি স্বামীর নিকটাত্মীয় পুরুষদের সম্পর্কে আপনি কি নির্দেশ দিচ্ছেন?
জবাবে তিনি বলেনঃ
(আরবী) –স্বামীর এসব নিকটাত্মীয়রাই হচ্ছে মৃত্যুদূত।
(আরবী) শব্দের অর্থ কি? –এ সম্পর্কে মুহাদ্দিসদের বিভিন্ন কথা উদ্ধৃত হয়েছে। ইমাম তিরমিযী বলেছেনঃ
(আরবী) –‘হামো’ মানে স্বামীর ভাই –স্বামীর ছোট হোক কি বড়।
ইমাম লাইস বলেছেনঃ
(আরবী)
‘হামো’ হচ্ছে স্বামীর ভাই, আর তারই মতো স্বামীর অপরাপর নিকটবর্তী লোকের যেমন চাচাত, মামাত, ফুফাত ভাই ইত্যাদি।
ইমাম নববীর মতে ‘হামো’ মানে হচ্ছেঃ
(আরবী)
স্বামীর নিকটবর্তী লোক –আত্মীয়, স্বামীর বাপ ও পুত্র সন্তান –এর মধ্যে শামিল নয়। কেননা তারা তো স্ত্রীর জন্যে মুহাররম। এদের সঙ্গে একাকীত্বে একত্রিত হওয়া শরীয়তে জায়েয। কাজেই এদেরকে মৃত্যুদূত বলে অভিহিত করা যায় না।
বরং এর সঠিক অর্থে বোঝা যায়ঃ
স্বামীর ভাই, স্বামীর ভাইপো, স্বামীর চাচা, চাচাত ভাই, ভাগ্নে এবং এদেরই মতো অন্যসব পুরুষ যাদের সাথে এ মেয়েলোকের বিয়ে হতে পারে, যদি না সে বিবাহিতা হয়। ৱ
কিন্তু নবী করীম (ﷺ) এদেরকে মৃত্যু বা মৃত্যুদূত বলে কেন অভিহিত করেছেন? এর কারণস্বরূপ বলা হয়েছেঃ
(আরবী)
সাধারণ প্রচলিত নিয়ম ও লোকদের অভ্যাসই হচ্ছে এই যে, এসব নিকটাত্মীয়ের ব্যাপারে উপেক্ষা প্রদর্শন করা হয়। (এবং এদের পারস্পরিক মেলা-মেমায় কোনো দোস মনে করা হয় না) ফল তাই ভাইর বউর সাথে একাকীত্বে মিলিত হয় এ কারণেই এদেরকে মৃত্যু সমতূল্য বলা হয়েছে। আল্লামা কাযী ইয়ায বলেছেনঃ
(আরবী)
স্বামীর এসব নিকটাত্মীয়ের সাথে স্ত্রীর (কিংবা স্ত্রীর এসব নিকটাত্মীয়ের সাথে স্বামীর) গোপন মেলামেশা নৈতিক ধ্বংস টেনে আনে।
ইমাম কুরতুবী বলেছেনঃ
(আরবী)
এ ধরনের লোকদের সাথে গোপন মিলন নৈতিক ও ধর্মের মৃত্যু ঘটায় কিংবা স্বামীর আত্মসম্মানবোধ তীব্র হওয়ার পরিণামে তাকে তালাক দেয় বলে তার দাম্পত্য জীবনের মৃত্যু ঘটে। কিংবা এদের কারোর সাথে যদি জ্বেনায় লিপ্ত হয়, তাহলে তাকে সঙ্গেসার কারার দণ্ড দেয়া হয়, ফল তার জৈবিক মৃত্যুও ঘটে।
স্বামী বা স্ত্রীর নিকটাত্মীয়-আত্মীয়দের ব্যাপারে শরীয়তে যখন কড়া নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তখন স্বামীর পুরষ বন্ধুদের সাথে স্ত্রীর এবং স্ত্রীর বান্ধবীদের সাথে স্বামীর অবাধ মেলামেশা, বাড়িতে-পার্কে, হোটেল-রেস্তোরায় আর পথে-ঘাটে কি অফিসে-ক্লাবে গোপন অভিসার কিভাবে বিধিসম্মত হতে পারে! অথচ তাই চলছে বর্তমান সামজের সর্বস্তরে। এখনকার সমাজে শালার বউ আর বউর বোন অর্ধেক বধু। স্ত্রীর বান্ধবী আর স্বামীর বন্ধুরাই হচ্ছে নিঃসঙ্গের সঙ্গী –আসর বিনোদনের সামগ্রী, আনন্দের ফল্গুধার। ভাবীর বোন আর বোনোর ননদও এ ব্যাপারে কম যায় না। বন্ধু বাড়ীতে বন্ধুর স্ত্রীর আদর-আপ্যায়ন ও খাবার টেবিলে পরিবেশন না করলে বন্ধুত্বই অর্থহীন। শ্বশুর বাড়িতে শালার বউ আদর-যত্ন না করলে শ্বশুর বাড়িতে আর মধুর হাঁড়ির সন্ধান পাওয়া যায় না। বোনের সহপাঠিনী আর সহপাঠির বোনের তো নিত্য সহচরী, গোপন অভিসারের মধু-মল্লিকা। কিন্তু এর পরিণামটা কি হচ্ছে? নৈতিক পবিত্রতা বিলীন হচ্ছে। বিয়ের আগেই কার্যের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জিত হচ্ছে; আর যুবক-যুবতীরা হারাচ্ছে তাদের মহামূল্য কুমারিত্ব।
নর-নারীর অবাধ মেলামেশার এ মারাত্মক পরিণতি অনিবার্য বলেই আল্লাহ তা’আলা তা চিরতরে হারাম করে দিয়েছেন। অন্যথায় এর মূলে নারী-পুরুষের প্রতি কোনো খারাপ ধারণার স্থান নেই। মানব চরিত্র ও মানুষের স্বভাবই এমন যে, তার জন্যে এরূপ নিয়ম বিধান না থাকলে জীবনই দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। শুষ্ক খড় কুটোর স্তুপের কাছাকাছি আগুন নিয়ে খেলা করতে দিয়ে যে কোনো মুহুর্তে সে আগুন লেগে সব জ্বলে ভস্ম হয়ে যেতে পারে, তাতে আর সন্দেহ কি।
ইসলামে যেহেতু মানুষের নৈতিক চরিত্রের পবিত্রতা এবং পারিবারিক স্থায়িত্বই হচ্ছে সবচেয়ে মূল্যবান ও সর্বাপেক্ষা অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং যে কোনো মূল্যে তা রক্ষা করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, এ জন্যেই ইসলাম এমন কিছুই বরদাশত করতে রাজি নয়, যার ফলে এক্ষেত্রে ভাঙন ও বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে। এ জন্যে নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ
(আরবী)
তোমরা গায়র-মুহাররম মেয়েলোকদের সাথে গোপনে ও একাকীত্বে মিলিত হবে না। আল্লাহর শপথ, যেখানেই একজন পুরুষভিন মেয়েলোকের সাথে গোপনে মিলিত হবে, সেখানেই তাদের দুজনার মধ্যে শয়তান অবশ্যই প্রবেশ করবে ও প্রভাব বিস্তার করবে।
ব্যাপাটিকে আমরা এভাবেও বুঝতে পারি যে, ইলেকট্রিক লাইনের দুটো করে তার থাকে, একটি ‘পজিটিভ’ আর অপরটি ‘নেগেটিভ’। এ দুটোই অপরিহার্য, একটি ছাড়া অপরটি অর্থহীন। কিন্তু এ দুটো থেকেসত্যিকার আলো জ্বলা বা পাখা চলার কাজ পাওয়া যেতে পারে তখন, যখন উভয় তারকে বিশেষ এক ব্যবস্থাধীন পরস্পরের সাথে যুক্ত করা হয়। কিন্তু দুটো পাশাপাশি চলতে গিয়ে চলাবস্থাতে যদি পারস্পরিক ব্যবচ্ছেদ ছিণ্ন করে দিয়ে মিলিত হয়ে পড়ে তাহলে তাতে আলো জ্বলবে না, পাখা চলবে না, বরং এমন আগুন জ্বলে উঠবে, তার ফলে গোটা ঘর-সংসার জ্বলে-পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে।
নারী-পুরুষও নেগেটিভ-পজিটিভ দুই বিপরীতমুখী, বিপরীত গুণ-সম্পন্ন শক্তি। এ দুয়োর সমন্বয়ে যদি মানবতার কল্যাণ লাভ করতে হয় তাহলে অবশ্যই এক নির্দিষ্ট নিয়মে উভয়ের মিলন সম্পন্ন করতে হবে। ঘাটে-পথে, হাটে-মাঠে, পার্কে-ক্লাবে আর হোটেল-রেস্তোরায় যদি এদের অবাধ মেলামেশাকে সম্ভব করে দেয়া হয় তাহলে নৈতিকতা ও মনুষ্যত্যের অপমৃত্যু অনিবার্য। দাম্পত্য জীবনের পবিত্রতা আর পারিবারিক সুস্থতা ও শান্তি-তৃপ্তি নিঃশেষে ফুরিয়ে যাবে, তাতে আর কোনোই সন্দেহ নেই। বর্তমানে ইউরোপ আমেরিকার সমাজে এ কথাই অকাট্য হয়ে প্রতিভাত হচ্ছে। বস্তুত যে সমাজে একটি কুমারী মেয়েও সন্ধান করে পাওয়া যায় না সে সমাজ যে মানুষের সমাজ নয়, নিতান্ত পশুর –পশুর চাইতেও নিকৃষ্টতম জীবনের সমষ্টি, তাতে একবিন্দু সন্দেহ থাকতে পারে না। আল্লাহ তা’আলা সত্যিই বলেছেনঃ
(আরবী)
মানুষকে অতীব উত্তম মানদণ্ডে সৃষ্টি করেছি বটে; কিন্তু অতঃপর তাদের অমানবিক কার্যখলাপের দরুনই তাদের নামিয়ে দিয়েছি চরমতম নিম্ন পংকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/505/101
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।