hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

পরিবার ও পারিবারিক জীবন

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (র.)

৭৯
স্বামী পরিচর্যায় মহিলা সাহাবী
হযরত আয়েশা (রা)-এর সাথে নবী করীম (ﷺ)-এর ভালোবাসা ইতিহাসে দৃষ্টান্তমূলক। হযরত আয়েশা (রা) একদিন হাতে রৌপ্য নির্মিত দস্তানা পরেছিলেন। নবী করীম (ﷺ) এসে জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আয়েশা, তোমরা হাতে কি পরেছ? তিনি বললেনঃ আপনার সন্তুষ্টির জন্যে এ দস্তানা পরিধান করেছি। হযরত আয়েশা রাসূলের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন। তাঁর কাপড়-চোপড় তিনি নিজ হাতে ধুয়ে সাফ করে দিতেন, তাঁর পোশাকে সুগন্ধি লাগিয়ে দিতেন, তাঁর মিসওয়াক শুকনো থাকলে তিনি তা চিবিয়ে মুখের লালায় ভিজিয়ে মসৃণ করে দিতেন এবং সেটাকে তিনি নিজের হেফাযতে রাখতেন। তিনি নিজ হাতে রাসূলের চুলে দাঁড়িতে চিরুণী করে দিতেন। বুখারী ও অন্যান্য হাদীসে তার অকাট্য প্রমাণ উল্লেখ করা হয়েছে।

হযরত খাওলা (রা) একদা হযরত আয়েশার খেদমতে হাযির হয়ে বললেনঃ আমি প্রতি রাতে সুসাজে সজ্জিতা হয়ে আল্লাহর ওয়াস্তে স্বামীর জন্যে দুলহিন সেজে তার কাছে উপস্থিত হই, তারই পাশে গিয়ে শয়ন করি। কিন্তু তা সত্ত্বেও স্বামীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারিনি –সে আমার দিকে ফিরেও তাকায় না। হযরত আয়েশার জবানীতে রাসূলে করীম (ﷺ) এ কথা শুনে বললেনঃ তাকে বলো, সে যেন তার স্বামীর আনুগত্য ও মনতুষ্টি সাধনেই সতত ব্যস্ত থাকে।

এ ধরনের সমাজ-পরিবেশের ফলে স্বামী-স্ত্রীর ভালবাসা গভীর ও অসীম হয়ে যায়। একজন অপরজনের জন্যে প্রাণ দিতেও প্রস্তুত হয়ে যায়। স্বয়ং রাসূলে করীম (ﷺ)-এর সাথে তাঁর বেগমদের প্রেম-ভালোবাসা ছিল বর্ণনাতীত। হযরত খাদীজাতুল কুবরা রাসূলের জন্যে –জিন্দেগীর মিশনের জন্যে রাসূল হিসেবে তাঁর কঠিন দায়িত্ব পালনে তাঁর যাবতীয় ধন-সম্পদ নিঃশেষ খরচ করে দিয়েছিলেন। আর সেজন্যে তিনি কোনোদিন এতটুকু আফসোসও প্রকাশ করেন নি। বরং নবী করীম (ষ) যদি কখনও সে বিষয়ে কথা তুলতেন, তাহলে তিনি নিজেই রাসূলকে সান্ত্বনা দিতেন।

রাসূলে করীম (ﷺ)-এর মহিলা সাহাবিগণ প্রায় সকলেই এই একই ভাবধারায় মহিমান্বিত ছিলেন। হযরতের কন্যা জয়নব তাঁর স্বামীকে বন্দীশালা থেকে মুক্তিদানের জন্যে নিজের কণ্ঠের বহু মূল্যের হার ফিদিয়া-বিনিময় মূল্য হিসেবে দিয়েছিলেন ও তাকে মুক্ত করেছিলেন।

এসব ঘটনা হতে নিঃসন্দেহে বোঝা যায় যে, ইসলাম স্বামী-স্ত্রীর জীবনকে এক উত্তম প্রেম-ভালেবাসার মাধুর্যপূর্ণ ভাবধারায় সঞ্জীবিত দেখতে চায়। কেননা প্রেম-ভালোবাসা, পারস্পরিক আদর-যত্ন ও সোহাগ না হলে দাম্পত্য জীবন আর বিয়ের বন্ধন যে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে, সম্পূর্ণ অর্থহীন হয়ে যায়, তা কেউ অস্বীকার করতে পারে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন