hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

পরিবার ও পারিবারিক জীবন

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (র.)

৯১
একাধিক স্ত্রী গ্রহণের সামাজিক গুরুত্ব
এমন বহু সামাজিক প্রয়োজনও দেখা দিতে পারে, যার দরুন এক –একজন পুরুষ একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। আর তা না করলে সমাজ মারাত্মক পরিণতির সম্মুখীন হয়ে যায়। দুটো পরিস্থিতি সামনে রেখে এ সামাজিক প্রয়োজনের যথার্থতা বিচার করা যেতে পারেঃ

১.কোনো কারণে সমাজে যদি নারীর সংখ্যা পুরুষের তুলনায় অধিক হয়ে যায় –যেমন উত্তর ইউরোপে বর্তমানে রয়েছে। ফিনল্যাণ্ডের জনৈক চিকিৎসক বলেছেন, সেখানে প্রত্যেক চারটি সন্তানের মধ্যে একটি হয় পুরুষ আর বাকী হয় মেয়ে।

এরূপ অবস্থায় একাধিক স্ত্রী গ্রহণ এক নৈতিক ও সামাজিক কর্তব্য হয়ে পড়ে। কেননা এক স্ত্রী গ্রহণের রীতিতে সেখানে বহু মেয়েলোক থেকে যাবে, যাদের কোনো দিন বিয়ে হবে না, যারা স্বামীর মুখ দেখতে পাবে না কখনো, তখন তারা তাদের যৌন প্রবৃত্তির চরিতার্থতার জন্যে পথে-ঘাটে মৌমাছির সন্ধান করে বেড়াবে। তাদের স্বামী হবে না কেউ, হবে না কোনো ঘর, আশ্রয়স্থল, হবে না কোনো বৈধ সন্তান। আর সে কারণে সামাজিক জীবনে তাদের কোনো প্রতিষ্ঠা হবে না। আগাছা-পরগাছার মতো লাঞ্ছিত জীবন যাপনে বাধ্য হবে। চিন্তা করা যেতে পারে, তাদের এ রকমের উপেক্ষিত জীবনের অপেক্ষা একজন নির্দিষ্ট স্বামীর অধীন অপর নারীর সাথে একত্রে ও সমান মর্যাদার জীবন যাপন কি অধিকতর কল্যাণকর নয়?

বিংশ শতকের শুরু থেকেই ইউরোপীয় সমাজ-দার্শনিকগণ একাধিক বিয়ে নিষিদ্ধ করণের কুফল প্রত্যক্ষ করতে পাচ্ছেন। তাঁরা দেখছেন, সমাজে হু হু করে যৌন উচ্ছৃংখলতার মাত্রা কিভাবে বেড়ে যাচ্ছে, কিভাবে অবৈধ সন্তানের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে তাঁরা স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছেনঃ একাধিক স্ত্রী গ্রহণের রেওয়াজ করে না দিলে এ সমস্যার কোনো সমাধানই সম্ভব নয়।

‘লণ্ডন ট্রিবিউট’ পত্রিকার ১৯০১ সালে ২০শে নভেম্বরের সংখ্যায় এক ইউরোপীয় মহিলার নিম্নোদ্ধৃত কথাগুলো প্রকাশিত হয়েছেঃ

আমাদের অনেক মেয়েই অবিবাহিত থেকে যাচ্ছে, ফলে বিপদ কঠিনতর হয়ে আসছে। আমি নারী, আমি যখন এ বিবাহাতিরিক্ত মেয়েদের দিকে তাকাই, তখন তাদের মমতায় আমার দিল দুঃখ-ব্যথায় ভরে যায়। আর আমার সাথে সব মানুষ একত্রিত হয়ে দুঃখ করলেও কোনো ফায়দা হবার নয়, যদি না এ দুরবস্থার কোনো প্রতিবিধান কার্যত করা হয়।

মনীষী টমাস এ মহারোগের ঔষধ বুঝতে পেরেছেন এবং পূর্ণ নিরাময় হওয়ার ‘ঔষধ’ও ঠিক করে দিয়েছেন। আর তা হচ্ছে এই যে, প্রত্যেক পুরুষের জন্যে একাধিক স্ত্রী গ্রহণের অবাধ অনুমতি দিতে হবে। এর ফলেই এ বিপদ কেটে যাবে এবং আমাদের মেয়েরা ঘর পাবে, স্বামী পাবে। এতে করে বোঝা গেল যে, বহু নারী সমস্যার একমাত্র কারণ হচ্ছে একজন মাত্র স্ত্রী গ্রহণ করতে পুরুষদের বাধ্য করা। এ বাধ্যবাধকতায়ই আমাদের বহু মেয়ে বৈধব্যের জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। যদ্দিন না প্রত্যেক পুরুষকে একাধিক স্ত্রী গ্রহণের অধিকার দেয়া হবে, এ সমস্যার কোনো সমাধান হওয়াই সম্ভব হবে না। (আরবী)

বর্তমান ইউরোপীয় সমাজে এমন অনেক বিবাহিত পুরুষও রয়েছে যাদের বহু সংখ্যক অবৈধ সন্তান রয়েছে, আর তারা ঘাটে-পথে তাড়া খাচ্ছে, লাঞ্ছিত হচ্ছে। যদি একাধিক স্ত্রী বৈধভাবে গ্রহণের অনুমতি থাকত, তাহলে এ অবৈধ সন্তান আর তাদের মায়ের বর্তমান লাঞ্ছিত অবস্থার নিশ্চয়ই পড়তে হতো না। তাদের ও তাদের সন্তানদের ইযযত রক্ষা পেত। বস্তুত একাধিক বিয়ের অনুমতি প্রত্যেক নারীকে বৈধভাবে স্বামীর ঘরের গৃহিণী ও সন্তানের মা হওয়ার সুযোগ দান করে। দুনিয়ায় এমন নারী কে আছে যে তা পছন্দ করে না, কামনা করে না। আর এমন বুদ্ধিমান কে আছে, যে এ ব্যবস্থার সৌন্দর্য ও কল্যাণকারিতাকে অস্বীকার করতে পারে।

বর্তমানে আমেরিকায় যে লক্ষ লক্ষ সন্তান এক জটিল সামাজিক সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে, তা থেকে একথাই প্রমাণিত হয় যে, পুরুষেরা নিজের এক স্ত্রী নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে পারছে না, আর শত সহস্র নারী বৈধ উপায়ে পাচ্ছে না যৌন মিলন লাভের সুযোগ। এরূপ অবস্থার প্রতিকারের একমাত্র উপায় হচ্ছে –একসঙ্গে একাধিক স্ত্রী গ্রহণের বিধান।

২. সর্বধ্বংসী যুদ্ধের ফলে কোনো দেশে যদি পুরুষ সংখ্যা কম হয়ে যায় আর মেয়েরা থেকে যায় অনেক বেশি, তখনো যদি সমাজের পুরুষদের পক্ষে একাধিক স্ত্রী গ্রহণের অনুমতি না থাকে, তাহলে বেশির ভাগ মেয়ের জীবনে কখনো স্বামী জুটবে না। ইউরোপ বিগত দুটো বিশ্বযুদ্ধে লক্ষ লক্ষ যুবক হারিয়েছে, এ কারণে যুবতী মেয়েদের মধ্যে খুব কমই বিবাহিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। ফলে এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে যে, হয় বিবাহিত পুরুষেরা আরো এক-দুই-তিন করে স্ত্রী গ্রহণ করবে, তবে অবশিষ্ট অবিবাহিতা মেয়েদের কোনো গতি হবে, নয় সে বিবাহিত যুবকরা নিজেদের স্ত্রীদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করে এ স্বামীহীনা মেয়েদের যৌন পরিতৃপ্তি দানের জন্যে প্রস্তুত হবে।

এ কারণেই ইউরোপের কোনো কোনো দেশে যেমন –আলমানিয়া –এমন সব নারী সমিতি গঠিত হয়েছে, যাদের দাবি হচ্ছে, হয় একাধিক স্ত্রী গ্রহণের অবাধ অনুমতির ব্যবস্থা, নয় প্রত্যেক পুরুষ তার স্ত্রী ছাড়া আরো একজন মেয়ের যাবতীয় দায়িত্ব বহনের জন্যে রাজি হবে –এমন আইন চালু করতে হবে।

বস্তুত যুদ্ধ-সংগ্রামের অনিবার্য ফল হচ্ছে দেশের পুরুষ সংখ্যা অত্যন্ত হ্রাস পেয়ে যাওয়া। আর এরূপ অবস্থায় একমাত্র সুষ্ঠু ও শালীনতাপূর্ণ উপায় হচ্ছে প্রত্যেক পুরুষকে একাধিক স্ত্রী গ্রহণের অনুমতি দান। তাই দার্শনিক স্পেন্সার একাধিক স্ত্রী গ্রহণ রীতি বিরোধী হয়েও স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন যে, যুদ্ধে পুরুষ খতম হলে পরে সেখানে বহু স্ত্রী গ্রহণের অনুমতি দান একান্তই অপরিহার্য। তিনি তাঁর Principle of Sociology গ্রন্থে লিখেছেনঃ

কোনো জাতির অবস্থা যদি এমন হয় যে, তার পুরুষেরা যুদ্ধে গিয়ে খতম হয়ে যায়, আর অবশিষ্ট যুবকেরা একজন করে স্ত্রী গ্রহণ করেই ক্ষান্ত থাকে। ফলে বিপুল সংখ্যক নারীই থেকে যায় অবিবাহিতা, তাহলে সে জাতির সন্তান জন্মের হার অবশ্যই হ্রাস প্রাপ্ত হবে, তাদের সংখ্যা মৃত্যুসংখ্যার সমান হবে না কখনো। দুটো জাতি যদি পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত হয়, যারা সর্বদিক দিয়ে সমান শক্তিমান, আর তাদের একটি যদি এমন হয় যে, সন্তান জন্মানোর ব্যাপারে সে জাতির সব মেয়েকেই ব্যবহার করা না হয়, আর অপর জাতি তার অপর জাতিতার সব সংখ্যক নারীকে এ কাজে লাগায়, তাহলে প্রথম জাতিটি তার শত্রু পক্ষকে কখনো পরাজিত করতে পারবে না। তার ফল এই হবে যে, এক স্ত্রী গ্রহণে অভ্যস্ত জাতি সেসব জাতির সামনে ধ্বংস হয়ে যাবে, যারা বহু সংখ্যক স্ত্রী গ্রহণে পক্ষপাতী। (আরবী)

এ প্রসঙ্গে আমি বলব, মধ্যমান জাতিগুলো এক স্ত্রী গ্রহণে অভ্যস্ত হয়, তাহলে তার মধ্যে সে জাতি অতি সহজেই ধ্বংস হবে, সে জাতি বিলাস বাহুল্যে নিমজ্জিত হবে। কেননা বিলাসী জাতির মেয়েরা সাধারণত কম সন্তান প্রসব করে থাকে। জন্মহার তার অনেক কমে যাবে। এর জাজ্বল্যমান দৃষ্টান্ত হচ্ছে ফ্রান্স। আর মুকাবিলায় কম বিলাসী জাতি জয়লাভ করবে, কেননা কম বিলাসী জাতির মেয়রা সাধারণভাবে অধিক সন্তান প্রসব করে থাকে –যেমন রাশিয়া। এ কারণে বিলাসী জাতির পক্ষেও কর্তব্য হচ্ছে নিজেদের মধ্যে একাধিক স্ত্রী গ্রহণের রীতির ব্যাপক প্রচলন করা, তাহলে তাদের জনসংখ্যার ক্ষতি পূরণ হতে পারবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন