hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

পরিবার ও পারিবারিক জীবন

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (র.)

৮৬
সমতা বিধানের শর্ত
কেউ যদি একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করে –কারো যদি স্ত্রী থাকে দুই, তিন কিংবা চারজন, তবে স্ত্রীদের যা কিছু অধিকার এবং যা কিছু তাদের জন্যে করা স্বামীর কর্তব্য, স্বামী তার সব কিছুই পূর্ণ সুবিচার, ন্যায়পরতা, নিরপেক্ষতা ও পূর্ণ সমতা সহকারে যথারীতি আদায় করবে। পোশাক-পরিচ্ছদ, বাসস্থান-বাসসামগ্রী, খাদ্য, সঙ্গদান, মিল-মিশ, হাসি-খুশীর ব্যবহার, কথা-বার্তা বলা ইত্যাদি সব বিষয়ে ওসকল ক্ষেত্রেই সমতা রক্ষা করে –সকল স্ত্রীর অধকার আদায় করা স্বামীর কর্তব্য। এ সম্পর্কে প্রথমত একাধিক স্ত্রী গ্রহণের অনুমতি যে আয়াতে দেয়া হয়েছে, তাকেই সামনে রাখতে হবে। আয়াতটি পূর্ণ আকারে নিম্নরূপঃ

(আরবী)

তোমুরা যদি ইয়াতীম মেয়েদের সম্পর্কে ভয় করো যে, তাদের বিয়ে করে ইনসাফ রক্ষা করতে পারবে না, তাহলে তোমরা মেয়ে লোকদের মধ্যে দুই, তিন, চার –তোমাদের যা ভালো লাগে তাই বিয়ে করো। আর তাদের মধ্যে সুবিচার করতে পারবে না বলে যদি ভয় করো তোমরা, তাহলে একজন মাত্র স্ত্রী গ্রহণ করবে অথবা তোমাদের দাসীদের ব্যবহার করবে।

যেন কোনো একজনের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ে অন্যদের প্রতি জুলুম না করো, এ ব্যবস্থা তার অধিক অনুকূল নিকটবর্তী।

স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, আয়াতে পর পর দুটি বিষয়ে “তোমরা যদি ভয় করো” বলা হয়েছে। প্রথম ইয়াতীম মেয়েদের বিয়ে। তাদের প্রতি ইনসাফ করতে না পারা সম্পর্কে; আর দ্বিতীয় হচ্ছে এক সঙ্গে দুই, তিন বা চার জন স্ত্রী গ্রহণ করে তাদের প্রতি সুবিচার করতে না পারা সম্পর্কে।

জাহিলিয়াতের জামানায় নিজেদের কাছে পালিতা ইয়াতীম মেয়েদের ধনমাল কিংবা রূপ-লাবণ্য-সৌন্দর্যের কারণে বিয়ে করে লোকেরা তাদের প্রতি মোটেই ইনসাফ করত না, ভালো ব্যবহার করত না, স্ত্রীদের অধিকার দিত না। এজন্যে আল্লাহ তা’আলা বলে দিলেনঃ ইয়াতীম মেয়েদের বিয়ে করে তাদের প্রতি তোমরা না-ইনসাফী করবে, এর চেয়ে বরং অন্যান্য মেয়েদের বিয়ে করো। তাহলে তাদেরকে স্ত্রীর অধিকার ও মর্যাদা-দান তোমাদের পক্ষে অসুবিধাজনক হবে না। এগুলো ইসলামের এক মূল্যবান সমাজ সংশোধনী নির্দেশ।

দ্বিতীয়ত একাধিক স্ত্রী একসঙ্গে যদি কেউ গ্রহণ করে, তাহলে সকলের প্রতি সুবিচার ও ইনসাফ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যদি কেউ সুবিচার ও ইনসাফ রক্ষা করতে পারবে না বলে ভয় করে, তবে তাকে একজন মাত্র স্ত্রী গ্রহণ করবার অনুমতিবা নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আয়াতে উল্লিখিত (আরবী) শব্দের তাৎপর্য অনুধাবনীয়। আল্লামা রাগেম ইসফাহানী লিখেছেনঃ

(আরবী)

‘আদল’ –সুবিচার-ইনসাফ –মানে সমতা, সাম্য রক্ষা এবং ‘আদল’ মানে সমানভাবে ও হারে বা পরিমাণে অংশ ভাগ করে দেয়া। “আর তোমরা যদি ভয় পাও যে, স্ত্রীদের মধ্যে ‘আদল’ করতে পারবে না” এর মানে-

(আরবী)

সেই আদল ও ইনসাফ যা স্ত্রীদের মধ্যে রাত বণ্টন ও যাবতীয় ব্যয়ভার বহনের ব্যাপারে স্বামীকে করতে হয়।

আল্লামা ইবনুল আরাবী লিখেছেনঃ

(আরবী)

এর অর্থ হচ্ছে স্ত্রীদের মাঝে রাত ভাগ করে দেয়া এবং বিয়েজনিত অধিকারসমূহ আদায় করার ব্যাপারে পূর্ণ সমতা রক্ষা করা, সমভাবে প্রত্যেকের প্রাপ্য তাকেই আদায় করা। আর এ হচ্ছে ফরয।

বস্তুত একাধিক স্ত্রীর স্বামীর পক্ষে বণ্টন ও যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র স্ত্রীদের মধ্যে পূর্ণ ইনসাফ ও সমতা সহকারে পরিবেশন একান্তই কর্তব্য। আর যদি সে তা রক্ষা করতে পারবে না বলে আশংকা বোধ করেত তাহলে একজন স্ত্রীই গ্রহণ করা তার কর্তব্য। আল্লামা ইবনে কাসীর এ আয়াতের তরজমা করেছেন এ ভাষায়ঃ

(আরবী)

তোমরা কয়েকজন স্ত্রীর মধ্যে ‘আদল’ রক্ষা করতে পারবে না বলে যদি ভয় করো, তাহলে একজন স্ত্রী গ্রহণ করেই ক্ষান্ত হওয়া উচিত।

এই হচ্ছে কুরআন মজীদের ঘোষণা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন