hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

পরিবার ও পারিবারিক জীবন

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (র.)

৮১
পরিবারে পুরুষের প্রাধান্য
কোন বুদ্ধিমান ব্যক্তিই একথা অস্বীকার করতে পারে না যে, আল্লাহ প্রদত্ত বহু গুণ-বিশিষ্ট এবং স্বভাবজাত যোগ্যতা ও কর্মক্ষমতার কারণে স্ত্রীলোকদের তুলনায় পুরুষ অনেকখানি অগ্রসর! স্ত্রীলোক স্বাভাবিকভাবেই জীবনের কিছু সময় সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে যেতে বাধ্য হয়। তখন সে অপরের সাহায্য ও সক্রিয় সহযোগিতার মুখাপেক্ষী হয়ে থাকে। সন্তান গর্ভে থাকাকালে, সন্তান প্রসব, স্তনদান, শিশু পালন এবং নিয়মিত হায়েয-নেফাসের সময় স্ত্রীলোকদের অবস্থা কোনো বিশেষ দায়িত্ব পালনের অনুকূল নয়।

শাহ অলী উল্লাহ দেহলভী পুরুষের এ প্রাধান্য সম্পর্কে লিখেছেনঃ

(আরবী)

স্বামীকে তার স্ত্রীর ওপর পরিচালক ও ব্যবস্থাপক হিসেবে নিযুক্ত করা একান্ত আবশ্যক। আর স্ত্রীর ওপর এ প্রাধান্য স্বভাবসম্মতও বটে। কেননা পুরুষ জ্ঞাত-বুদ্ধিতে অধিক পূর্ণ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় অধিক সুদক্ষ, সাহায্য-প্রতিরোধের কাজে প্রবল ও সুদৃঢ়। লজ্জা ও অপমানকর ব্যাপার থেকে রক্ষা করার অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন। পুরুষ স্ত্রীর খোরাক-পোশাক ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করে বলেও স্ত্রীর ওপর পুরুষের এ নেতৃত্ব ও প্রাধান্য হওয়া বাঞ্ছনীয়।

আল্লামা বায়জাবী উপরোক্ত আয়াতের তাফসীরে লিখেছেনঃ

পুরুষরা স্ত্রীদের দেখাশোনা ও পরিচর্যা এমনভাবে করে, ঠিক যেমনভাবে শাসকগণ করে থাকে (বা করা উচিত) দেশের জনসাধারণের। আল্লাহ তা’আলা স্ত্রীদের তুলনায় পুরুষদের দুটি কারণ শ্রেষ্ঠত্ব ও বৈশিষ্ট্য দান করেছেন। একটি কারণ আল্লাহর বিশেষ দান সম্পর্কীয়, আর অপরটি পুরুষদের নিজস্ব অর্জনের ব্যাপারে। আল্লাহর দান এই যে, আল্লাহ নানা দিক দিয়ে পুরুষদের বিশিষ্ট করেছেন। স্বাভাবিক জ্ঞান-বুদ্ধি, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও গুরুতর কার্য সম্পাদন, বিপুল কর্মশক্তি প্রভৃতির দিক দিয়ে পুরুষগণ সাধারণতই প্রধান ও বিশিষ্ট। এজন্যেই নবুয়ত, সামাজিক নেতৃত্ব, শাসন ক্ষমতা, ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখার জন্যে জিহাদ, বিচার প্রতিষ্ঠা ইত্যাদির দায়িত্ব কেবল পুরুষের ওপরই অর্পিত হয়েছে এবং সেই দায়িত্ব অধিক হওয়ার কারণে মীরাসে স্ত্রীলোকদের তুলনায় পুরুষদের অংশ বেশি দেয়া হয়েছে। আর পুরুষদের উপার্জিত কারণ হলোঃ আসলে বিয়ে থেকে শুরু করে মহরানা দান, ভরণ-পোষণ ও পারিবারিক প্রয়োজন পূরণের যাবতীয় দায়িত্ব পুরুষরাই পালন করে থাকে। (আরবী)

আধুনিক বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে যাচাই করলেও একতা প্রমাণিত হয় যে, পুরুষের মগজ স্ত্রীলোকের তুলনায় অনেক বড়। বুদ্ধি, জ্ঞান-প্রতিভা অপেক্ষাকৃত বেশি। বুদ্ধি-জ্ঞানে অধিক পরিপক্ক। সেই সঙ্গে পুরুষের দেহ এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও হয় নারীর তুলনায় অনেক মজবুত। মিসরীয় চিন্তাবিদ আল্লামা ফরীদ আজদী লিখেছেনঃ

পুরুষের মগজ সাধারণত গড়ে সাড়ে ৪৯ আউন্স, আর স্ত্রীলোকের মগজের ওজর মাত্র ৪৪ আউন্স। দু’শ’ আটাত্তরজন পুরুষের মগজ ওজন করে দেখা গেছে, সবচেয়ে বড় মগজের ওজন হচ্ছে ৬৫ আউন্স, আর সবচেয়ে ছোট মগজের ওজন ৩৪ আউন্স। পক্ষান্তরে ২৯১ জন স্ত্রীলোকের মগজ ওজন করার পর প্রমাণিত হলো যে, সবচেয়ে ভারী মগজের ওজন হচ্ছে ৫৪ আউন্স, আর সবচে হালকা মগজের ওজন হচ্ছে ৩১ আউন্স। ….. এ থেকে কি একথা প্রমাণিত হয় না যে, স্ত্রীলোকের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও স্নায়ু পুরুষের তুলনায় অনেক গুণ দুর্বল? (আরবী ফরীদ অজদী) বৈজ্ঞানিক তদন্তে এও জানা গেছে যে, নারী-পুরুষের মগজের ওজনের এ পার্থক্য কেবল এক সমাজেই নয়, সব সমাজের –সকল স্তনের নারী-পুরষেরই এই একই অবস্থা। সভ্য-অসভ্য জাতির মধ্যেও এ ব্যাপারে কোনো পার্থক্য নেই। প্যারিসের মতো সুসভ্য নগরীতে যেমন নারী ও পুরুষের এ পার্থক্য লক্ষ্য করা যাবে, তেমনি দেখা যাবে আমেরিকার বর্বরতম জাতির মধ্যেও।

এ যুগের আরবী মনীষী আব্বাস মাহমুদ আল-আক্কাস লিখেছেনঃ

‘স্ত্রীর ওপর স্বামীর কর্তৃত্ব ও নেতৃত্ব স্বাভাবিক মর্যাদা আধিক্যের কারণে এবং এ কারণে যে, স্ত্রীর যাবতীয় আর্থিক প্রয়োজন পূরণ করার দায়িত্ব স্বামীর। আর এ কর্তব্য হচ্ছে কম মর্যাদাশালীর প্রতি অধিক মর্যাদাবান ব্যক্তির কর্তব্য। কেবল আর্থিক প্রয়োজন পূরণই এর একমাত্র ভিত্তি নয়। অন্যথা যে স্ত্রীর ধনশালী কিংবা যে স্বামী স্ত্রীর প্রয়োজন পূরণ করে না বরং স্ত্রীর মেহমান হয়ে তার সম্পদ ভোগ করে, সেখানে স্ত্রীরই উত্তম ও কর্তী –হওয়া উচিত স্বামীর কিন্তু ইসলামে তা কোনো দিন হতে পারে না। (আরবী)

মোটকথা, আধুনিক জ্ঞান-গবেষণা অনুযায়ীও স্ত্রীলোক অপেক্ষা পুরুষের মধ্যে কর্মক্ষমতা ও যোগ্যতা অধিক!

কুরআন মজীদে এ পর্যায়ে বলা হয়েছেঃ

(আরবী)

এবং স্ত্রীদের ওপর পুরুষের এক ধরনের প্রাধান্য রয়েছে।

এ আয়াতেও পারিবারিক জীবনের নেতৃত্ব, কর্তৃত্ব ও প্রাধান্য পুরুষকেই দেয়া হয়েছে, নারীকে নয়। আর সাধারণ জ্ঞান-বুদ্ধি ও বস্তু বিজ্ঞানের দৃষ্টিতেও এ কথার যথার্থতা স্বীকৃত।

পুরুষ সন্তানের পিতা, তারই সন্তান বলে পরিচিত হয়ে থাকে লোকসমাজ। ছোটরাও যেমন বড়রাও তেমনি। তাই পরিবারে পুরুষেরই কর্তৃত্ব হওয়া উচিত।

পরিবারের লোকজনের সকল প্রকার খরচপত্র পরিবেশনের জন্যে পুরুষ –পিতাই –দায়ী, তারই নিকট সব কিছু দাবি করা হয় এবং সেই বাধ্য হয় সব যোগাড় করে দিতে। খাবার, পোশাক, চিকিৎসা, বিয়ে ও শিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয়ভার তাকেই বহন করতে হয়। এদের মধ্যে সন্তানরাও যেমন থাকে, স্ত্রীও। অতএব এ সকলের ওপর পুরুষের নেতৃত্বই স্বাভাবিক। আর তার নেতৃত্বে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা, কোনো আপত্তি বা সংশয় থাকতে পারে না।

মেয়েলোকের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর তার আজীবনের আশ্রয় পিতার ঘর হয়ে যায় পরের বাড়ি, আর জীবনে কোনোদিন যাকে দেখেনি –যার নাম কখনো শুনেনি, তেমন এক পুরুষ হয়ে যায় তার চির আপন এবং সে পিতার ঘর ত্যাগ করে তারই সাথে চলে যায় তারই বাড়িতে। এ-ই সাধারণ নিয়ম। অতএব বসতবাটির মালিক হচ্ছে পুরুষ, সে ঘরের রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও অন্যান্য যাবতীয় প্রয়োজন পূরণের দায়িত্ব যার, ঘরের ওপর নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বও তারই হওয়া উচিত। কিন্তু এ কর্তৃত্ব জোর-জবরদস্তির নয়, না-ইনসাফী, অসাম্য ও স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠার জন্যে নয়; বরং এ হচ্ছে –“যাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব তাদেরই পরিচালনার কর্তৃত্ব” ধরনের। কেননা একজন লোক যাদের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করে, তাদের ওপর সে লোকের যদি কর্তৃত্ব না থাকে তাদের রক্ষণাবেক্ষণের, পথনির্দেশের, প্রতিরোধের, তাহলে সে তার দায়িত্ব পালন করতে কিছুতেই সমর্থ হতে পারে না। এ ধরনের কর্তৃত্ব যেমন পরিবারের অন্যান্য লোকের অধিকার হরণকারী হয় না, তেমনি তা হরণ করে না স্ত্রীর অধিকারও। অতএব এ ধরনের কর্তৃত্ব বা নেতৃত্ব একটি বৈশিষ্ট্যের পরিচয় মাত্র, যা দায়িত্বাধীন লোকদের তুলনায় দায়িত্বশীরের জন্যে বিশেষভাবে চিহ্নিত হয়েছে। এতে করে না স্ত্রীর ইচ্ছা-অনিচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করার ক্ষমতা স্বামীকে দেয়া হয়েছে, না তার ব্যক্তিত্ব বা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যকে কিছুমাত্র ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।

বস্তুত পারিবারিক ব্যবস্থাপনা-পরিচালনার কর্তৃত্ব স্বামী ও স্ত্রীর পরস্পরের মধ্যে সুবিচার, সাম্য ও পরামর্শমূলক সূক্ষ্মতম ভিত্তিতে কায়েম হয়ে থাকে, তা স্বভাবতই স্বৈরনীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার পরিপন্থী হয়ে থাকে। বরং তাতে প্রত্যেকেরই নিজস্ব মতের আযাদী, ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বিকাশ লাভের সুযোগ সংরক্ষিত হয়, স্ত্রীর ধন-মালের ওপর কর্তৃত্ব তারই হবে, স্বামীর নয়। স্ত্রী যথা-ইচ্ছা ও যেমন ইচ্ছা তা ব্যয় ব্যবহার করতে পারে, সে বিষয়ে স্বামীর কিছুই বলবার ও করবার থাকতে পারে না। সে যদি তার ধনমাল সংক্রান্ত কোনো বিবাদে অপর কারো বিরুদ্ধে বিচার প্রার্থী হতে চায়, তবে সে অনায়াসেই তা করতে পারে। স্বামীর সে ব্যাপারে আপত্তি বা হস্তক্ষেপ করারও কোনো অধিকার নেই। ইসলাম এদিক দিয়ে মুসলিম নারীকে এমন এক মর্যাদা দিয়েছে, যা অত্যাধুনিকা ফরাসী নারীরাও আজ পর্যণ্ত লাভ করতে পারে নি। (আরবী)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন