hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

পরিবার ও পারিবারিক জীবন

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (র.)

১০৮
মহিলাদের সামাজিক দায়িত্ব
পূর্ববর্তী আলোচনায় অকাট্য দলীল-প্রমাণাদির ভিত্তিতে একথা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, মেয়েদের প্রকৃত স্থান এবং আসল কর্মক্ষেত্র হচ্ছে তাদের ঘর। তাদের স্বাভাবিক দায়িত্বও ঠিক তাই, যা তারা প্রধানত ঘরের চার-প্রাচীরের অভ্যন্তরে বসেই সুচারুরূপে সম্পন্ন করতে পারে এবং যে কাজই মূলত ঘর কেন্দ্রিক; ঘরের নির্দিষ্ট পরিবেশের মধ্যেই যা সীমাবদ্ধ। ঠিক এ কারণেই মহিলাদের ওপর বাইরের সামাজিক ও সামগ্রিক পর্যায়ের কোনো কাজের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়নি।

পুরুষ নারী উভয়ই মানুষ; কিন্তু শুধু মানুষ বললে এদের আসল পরিচয় সম্পূর্ণ হয় না। পুরুষরা শুধু মানুষই নয়, তারা ‘পুরুষ মানুষ’ তেমনি মেয়েরাও শুধু মানুষ নয়, তারা ‘মেয়ে মানুষ’। মানুষের এ শ্রেণীবিভাগ মানুষের দায়িত্ব-কর্তব্য ও কাজকে স্বভাবতই দু’পর্যায় ভাগ করে দেয়। একটি পর্যায়ের কাজ হচ্ছে ঘরে, পারিবারিক চতুঃসীমার মধ্যে, আর এক প্রকারের কাজ হচ্ছে বাইরের। এ উভয় প্রকারের কাজের স্বভাব ও ধরনের কোনো মিল নেই, সামঞ্জস্যও নেই। দুটো সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ধরনের স্বতন্ত্র প্রকৃতির কাজ বিধায় এ দুক্ষেত্রের জন্যে এ দু’ধরনের মানুষের প্রয়োজন ছিল, যা পূরণ করা হয়েছে নরও নারী সৃষ্টি করে। পুরুষকে দেয়া হয়েছে বাইরের কাজ আর তা সম্পন্ন করার জন্যে যে যোগ্যতা, কর্মক্ষমতা ও কাঠিন্য (hardship) অনমনীয়তা, কষ্ট-সহিষ্ণুতা, দুর্ধষর্তার প্রয়োজন, তা কেবল পুরুষদেরই আছে। আর মেয়েদের আছে স্বাভাবিক কোমলতা, মসৃণতা, অসীম ধৈর্যশক্তি, সহনশীলতা, অনুপম তিতিক্ষা। ঘরের অঙ্গনকে সাজিয়ে গুছিয়ে সমৃদ্ধশালী করে তোলা, মানব বংশের কুসম-কোমল কোরকদের গর্ভে ধারণ, প্রসবকরণ, স্তন দান ও লালন পালন করার জন্যে একান্তই অপরিহার্য। তাই এ কাজের দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে মহিলাদের ওপর অর্পন করা হয়েছে। ফলৈ পুরুষেরা বাইরের কর্মক্ষেক্রের কর্তা আর মেয়েরা হচ্ছে ঘরের অভ্যন্তরীণ যাবতীয় ব্যাপারের কর্ত্রী। এ দুটি কর্মক্ষেত্র মিলিয়েই যেমন হয় দুনিয়ার সম্পূর্ণ ও অখণ্ড জীবন, তেমনি পুরুষ আর নারীর সমন্বয়েই মানুষ, মানুষের সম্পূর্ণতা।

ঠিক এজন্যেই ইসলামী শরীয়ত মেয়েদের ওপর ঠিক সে ধরনের কাজেরই দায়িত্ব দিয়েছে, যা তাদের ছাড়া আর কারোর করার সাধ্য নেই। সে কাজ যেন তারা অখণ্ড নির্লিপ্ততা ও নিষ্ঠাপূর্ণ মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন করতে পারে, ইসলাম সে ধরনেরই পরিবার ও সমাজ কাঠামো পেশ করেছে, আইন বিধান দিয়েছে এবং অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে বলেছে।

এ উদ্দেশ্যেই ইসলামের মৌলিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদির অনেক বাধ্যবাধকতা থেকে নারী সমাজকে এক প্রকার মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

পাঁচ ওয়াক্ত নামায মসজিদে গিয়ে জামা’আতে শরীক হয়ে পড়া এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়; কিন্তু নারীদের তা থেকে রেহাই দেয়া হয়েছে। তার মানে এ নয় যে, জামা’আতে নামায পড়ার ফযিলত ও অতিরিক্ত সওয়াব থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। বরং ঘরের নিভৃত কোণে বসে একান্ত গোপনীয়তা রক্ষা করে নামাজ পড়লেই তাদের সে ফযিলত লাভ হতে পারে বলে স্পষ্ট ঘোষণা করা হয়েছে। (আরবী)

অনুরূপ কারণে জুম’আর নামাযও মেয়েদের ওপর ফরয করা হয়নি। রাসূলে করীম (ﷺ) বলেছেনঃ

(আরবী)

জুম’আর নামায জামা’আতের সাথে পড়া সব মুসলমানদের ওপরই ধার্য অধিকার –ফরয। তবে চার শ্রেণীর লোকদের তা থেকে রেহাই দেয়া হয়েছেঃ ক্রীতদাস, মেয়েলোক, বালক ও রোগী।

আল্লামা খাত্তাবী এ হাদীসের ব্যাখ্যায় লিখেছেনঃ

(আরবী)

মেয়েলোকদের ওপর জুম’আর নামায ফরয নয়, এ সম্পর্কে সব মাযহাবের ফিকাহবিদরাই সম্পূর্ণ একমত।

জানাযার নামাযে শরীক হওয়া এবং জানাযার সাথে কবরস্থানে গমন করা থেকেও মহিলাদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে। যদিও জানাযা অনুসরণ করা মেয়েদের জন্যে হারাম নয়, মাকরূহ তানজীহী মাত্র। কাযী ইয়ায বলেছেনঃ বেশির ভাগ আলেমই মেয়েদের জানাযায় যেতে নিষেধ করেছেন। তবে মদীনার আলেমগণ অনুমতি দিয়েছেন এবং ইমাম মালিকও মনে করেন যে, অনুমতি আছে বটে, তবে যুবতী মেয়েদের জন্যে নৈতিক বিপদের আশংকায় তা অনুচিত। (আরবী)

হজ্জ ফরয হলেও একাকিনী হজ্জে গমন করতে মেয়েদের জন্যে সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছে। এ থেকে ইসলামের পারিবারিক ব্যবস্থা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা মেলে। মূলতগতভাবে মেয়েদের ওপর বাইরের কোনো কাজেরই দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়া হয়নি। কিন্তু তাই বলে তারা যদি নিজেদের পর্দা রক্ষা করে পারিবারিক স্বাভাবিক দায়িত্বসমূহ যথাযথভাবে পালন করার পরও সামাজিক কাজ করতে সমর্থ হয় তবে তাও নিষেধ নয়। কিন্তু এ ব্যাপারে পূর্ণ ভারসাম্য Balance রক্ষা করাই হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত কঠিন কাজ। নারীদের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব ঘরে। তাই বলে ঘরের চার প্রাচীরের মধ্যে বন্দী হয়ে থাকবে, অবরুদ্ধ জীবন যাপন করবে, ইসলাম তা চায় না। নারদের ওপর প্রাথমিক ও স্বাভাবিক দায়িত্ব পালনের পর বাইরের সামাকি কাজে অংশ গ্রহণ করতে পারে, তাহলে ইসলাম তাতে বাধ সাধবে না। এভাবে উভয় দিকের সঙ্গে পূর্ণ ভারসাম্য রক্ষা করে চলাই ইসলামের লক্ষ্য।

কিন্তু বর্তমানে সে ভারসাম্য ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। এ যাবত যারা কেবল ঘরের মধ্যে রয়েছে, তারা ঘরের বাইরে বের হওয়া এবং সামাজিক দায়িত্বে শরীক হওয়াকে সম্পূর্ণ হারাম বলে ধরে নিয়েছে। এক্ষণে যেসব মেয়েলোক ঘরের বাইরে আসতে শুরু করেছে, তারা পারিবারিক জীবনকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে চলতে আরম্ভ করেছে। এক কালে মেয়েরা যেমন ছিল নিতান্ত পুরবাসিনী, একান্তই স্বামী অনুগতা, ঘর-গৃহস্থালী করা আর সন্তান গর্ভে ধারণ ও লালন-পালনই ছিল তাদের একমাত্র কাজ। বর্তমানে তেমনি ঘর ছেড়ে দিচ্ছে, স্বামী-আনুগত্য পরিহার করছে। ঘর-গৃহস্থালী করাকে দাসীবৃত্তি –অতএব পরিত্যাজ্য বলে মনে করছে। আর সন্তান গর্ভে ধারণের সমস্ত দায়িত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে আজ গর্ভ নিরোধের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে বদ্ধপরিকর হচ্ছে। পূর্ব অবস্থয় যেমন ইসলামী আদর্শের পূর্ণ স্ফূরণ হচ্ছিল না, তেমনি বর্তমান অবস্থায়ও কিছুমাত্র ইসলামী আদর্শানুরূপ নয়। দুটো অবস্থাই ভারসাম্য রহিত।

আজকের নারী ছাত্র-শিক্ষয়িত্রী, ডাক্তার-নার্স, ব্যবসায়ী-সেলসম্যান, নর্তকী-গায়িকা, রেডিও আটিষ্ট, ঘোষণাকারিণী, সমাজনেত্রী, রাজনীতি পার্টি কর্মী, সমাজ সেবিকা, উড়োজাহাজের হোস্টেস, বিদেশে রাষ্ট্রদূত, অফিসের ক্লার্ক আর কারখানার মজুর-শ্রমিক প্রভৃতি সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে ও সর্বকাজেই অগ্রসর। কিন্তু এদিকে ঝুঁকে পড়ে তারা তাদের আসল কর্মক্ষেত্র থেকে একেবারে নির্মূল হয়ে গেছে। বিশেষ কোনো পুরুষের স্ত্রী হয়ে পারিবারিক দায়িত্ব পালন করা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। ফলে নতুন করে এক ভারসাম্যহীন জীবনধারার সূচনা হয়ে সামগ্রিক ক্ষেত্রে এনে দিচ্ছে এক সর্বাত্মক বিপর্যয়। ইউরোপের মহিরা সমাজ সর্বাগ্রে এদিকে পদক্ষেপ করেছে। এসব কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা একদিকে খুইয়েছে তাদের পারিবারিক জীবন কেন্দ্রের স্থিতি, আর অপর দিকে সর্বক্ষেত্রে ভিন পুরুষদের সাথে অবাধ মেলামেশা করে তারা হারিয়েছে তাদের নৈতিকতার অমূল্য সম্পদ। শুধু তাই নয়, তাদের নারীত্ব –মূলত সকল কোমলতা, মাধুর্য, শ্লীলতা-শালীনতা ও পবিত্রতা –খতম হয়ে গেছে, আর তারই ফলে গোটা মানব বংশকে তারা ঢেলে দিয়েছে এক মহাসংকটের মুখে।

প্রশ্ন হচ্ছে –নারীদেরও এসব ক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়া কি নিতান্তই অপরিহার্য ছিল? এমন অবস্থা কি নিশ্চয়ই দুনিয়ার কোনো দেশে কোনো সমাজেই দেখা দেয়নি যে, কর্মক্ষম পুরুসের অভাব পড়ে গেছে কিংবা কর্মক্ষম সব পুরুষের কর্মে নিয়োগ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে বিধায় নারীদেরও এ পথে টেনে আনতে হয়েছে। কিন্তু আসল ব্যাপার তা নয়। যেখানে যত নারীকেই বিভিন্ন সামাজিক কর্মে নিযুক্ত করা হয়েছে, সেখানেই দেখা গেছে যে, যে কোনো পুরুষকে এ কাজে নিয়োগ করা যেত অতি সহজে এবং শোভনীয়ও তাই ছিল। সামাজিক ক্ষেত্রের এমন কোনো কাজটির নাম করা যেতে পারে, যা যে কোনো পুরুষের দ্বারা সম্পন্ন হতে পারে না? এতদসত্ত্বেও এসব ক্ষেত্রে নিয়োগ করে একদিকে যেমন র্কক্ষম পুরুষ শক্তির অপচয়ের কারণ ঘটানো হয়েছে, তেমনি অপরদিকে নারীদেরকে পুরুষদের কাছাকাছি ও পাশাপাশি থেকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাতে হাত ধরে কাজ করতে বাধ্য করে উভয়ের নৈতিক শ্লীলতা বোধটুকুকেও চিরতরে খতম করার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে।

নারী-পুরুষের এরূপ অবাধ মেলামেশার সুযোগ করে দেয়ার পর নৈতিক চরিত্রের পবিত্রতা রক্ষা করে নিজস্ব পারিবারিক জীবনের স্থিতি রক্ষা করে চলা কারো পক্ষেই সম্ভব হতে পারে না। না ইউরোপ-আমেরিকায় তা সম্ভব হয়েছে, না সম্ভব হচ্ছে বর্তমান এশিয়া ও আফ্রিকায়। এ ধরনের সমাজে কেবল নৈতিক বিপর্যয়ই পুঞ্জীভূত হয়ে ওঠেনি, সুষ্ঠুভাবে গঠিত এবং সম্প্রীতি ও বাৎসল্যপূর্ণ পারিবারিক জীবনও ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। দুজন রেডিও আর্টিষ্ট, একজন চার সন্তানের পিতা আর একজন তিন সন্তানের জননী। রেডিও স্টেশনের পরিবেশে তাদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ স্ত্রী-স্বামী ও নিষ্পাপ শিশু-সন্তানের কথা ভুলে গিয়ে নতুনভাবে মধুযামিনী যাপনে উদ্যোগী হতে দেখা গেছে। একই অফিসের দুই ক্লার্ক –নারী ও পুরুষ, পরস্পরের কাছে মজে গিয়ে নিজ নিজ পারিবারিক পবিত্র জীবনের কতা বিস্মৃত হয়েছে। এসব কাহিনীর সংখ্যা এত বেশি, যা নির্ধারণ করে সংকলিত করা সম্ভব নয়। তাই সুষ্ঠু ও নির্দোষ-নির্ভেজাল ও নির্লিপ্ত পারিবারিক জীবনের পক্ষে নারীদের ঘরের বাইরে সামাজিক কাজে-কর্মে যোগদান ও সেখানে ভিন পুরুষের সাথে অবাধ মেলামেশার সুযোগ যে অত্যন্ত মারাত্মক, তা আজনের সমাজতত্ত্ববিদ কোনো লোকই অস্বীকার করতে পারে না।

নারীরা কি শুধু সন্তান প্রজননের যন্ত্র বিশেষ, তাদের মধ্যে কি মনুষ্যত্ব নেই? …..তা যদি হবে, তাহলে তারা কেন কেবলমাত্র স্ত্রী হয়ে ঘরের কোণে বন্দী হয়ে থাকবে –অত্যাধুনিকা নারীদের সামনে এ প্রশ্ন অত্যন্ত জোরালো হয়ে দেখা দিয়েছে এবং এ প্রশ্ন করে নারী সমাজকে ঘায়েল করা আজ খুবই সহজ। নারীরা নিছক সন্তান প্রজননের যন্ত্র বিশেষ নয়, নয় তারা মানুষ ছাড়া আর কিছু –এতে কোনো সন্দেহ থাকতে পারে না। কিন্তু এ ব্যাপারে ভাবাবেগ চালিত হওয়া বড়ই মারাত্মক। নারীরা কেবলমাত্র সন্তান প্রজননের যন্ত্র নয়, তারা আরো কিছু, সেই সঙ্গে সন্তান প্রজননের যন্ত্র যে কেবল সন্তান গর্ভে ধারণ করতে অস্বীকার করে, তাহলে মানব বংশই যে লোপ পেয়ে যাবে। স্বভাবের তাগিদে সন্তান গর্ভে ধারণ করতে অস্বীকার করে, তাহলে মানব বংশই যে লোপ পেয়ে যাবে। স্বভাবের তাগিদে যৌন মিলনে প্রস্তুত হওয়া যেমন সত্য, তেমনি সত্য যৌন মিলনের পরিণামে নারীদের গর্ভে সন্তানের সঞ্চার হওয়া। প্রথম ব্যাপারটিকে যদি অস্বীকার করা না যায় বা না হয়, তাহলে তার পরিণামকে অস্বীকার করা কি শুধু নারীত্বেরই নয়, মনুষ্যত্বেরও বিরোধিতা হবে না? হবে না কি তাদের অপমান? তাহলে ভাবাবেগ চালিত হয়ে এমন সব কাজে ও এমন সব ক্ষেত্রে নারীদের ঝাঁপিয়ে পড়া বা টেনে নেয়া –যেতে প্রলোভিত করা কি কখনো সমীচীন হতে পারে, যার দরুন যৌন মিলনের নিশ্চয়তা ও পবিত্রতা নষ্ট হতে পারে, দেখা দিতে পারে যৌন উচ্ছৃঙ্খলতা এবং যার দরুন সন্তান গর্ভে ধারণ, সন্তান প্রসব ও পালনের সুষ্ঠুতা হবে ব্যাহত, বিঘ্নিত?

অতএব নারীকে তার আসল স্থানে প্রতিষ্ঠিত রাখার এবং যারা সেখান থেকে নির্মূল হয়েছে তাদের সেখানে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করাই হচ্ছে নারী কল্যাণের সর্বোত্তম ব্যবস্থা। তাই ইসলামের নির্দেশ হচ্ছে “হে নারীরা! তোমরা তোমাদের ঘরকেই আশ্রয়স্থল হিসেবে গ্রহণ করো, তাকে কেন্দ্র করে জীবন গঠন করো, আর যত কাজই করো না কেন, তা তাকে বিঘ্নিত করে নয়, তাকে সঠিকভাবে রক্ষা করেই করবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন