hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

পরিবার ও পারিবারিক জীবন

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (র.)

৭৭
যৌন মিলনের দাবি পূরণ
যৌন মিলনের দাবি এক স্বাভাবিক দাবি। এ ব্যাপরে স্বামী ও স্ত্রী উভয়ই সমান। কিন্তু এ ব্যাপারে নারী সব সময় Passive –নিশ্চেষ্ট, অনাগ্রহী ও অপ্রতিরোধীও। পুরুষই এক্ষেত্রে অগ্রসর, active অর্থাৎ সক্রিয় ভূমিকা করে থাকে। সেজন্যে যৌন মিলনের ব্যাপারে সাধারণত স্বামীর তরফ থেকেই আসে আমন্ত্রণ। তাই এ ব্যাপারে স্বামীর দাবিকে প্রত্যাখ্যান করা কখনই স্ত্রীর পক্ষে উচিত হতে পারে না। বরং প্রেম-ভালোবাসার দৃষ্টিতে স্বামীর দাবিকে প্রত্যাখ্যান করা কখনই স্ত্রীর পক্ষে উচিত হতে পারে না। বরং প্রেম-ভালোবাসার দৃষ্টিতে স্বামীর দাবিকে প্রত্যাখ্যান করা কখনই স্ত্রীর পক্ষে উচিত হতে পারে না। বরং প্রেম-ভালোবাসার দৃষ্টিতে স্বামীর যে কোনো সময়ের এ দাবিকে সানন্দ চিত্তে, সাগ্রহে ও সন্তুষ্টি সহকারে গ্রহণ করা –মেনে নেয়া স্ত্রীর কর্তব্য। এ পর্যায়ে রাসূলে করীম (ﷺ)-এর বাণী সুস্পষ্ট। তিনি বলেছেনঃ

(আরবী))

স্বামী যখন নিজের যৌন প্রয়োজন পূরণের জন্যে স্ত্রীকে আহবান জানাবে, তখন সে চুলার কাছে রান্না-বান্নার কাজে ব্যস্ত থাকলেও সে কাজে অমনি তার প্রস্তুত হওয়া উচিত।

অপর হাদীসে এর চেয়েও কড়া কথা উল্লেখিত হয়েছে। বলা হয়েছেঃ

(আরবী)

স্বামী যখন তার স্ত্রীকে নিজের শয্যায় আহবান করে (যৌন মিলনের উদ্দেশ্যে), তখন যদি সে সাড়া না দেয় –অস্বীকার করে, তাহলৈ ফেরেশতাগণ সকাল হওয়া পর্যন্ত তার ওপর অভিশাপ বর্ষণ করতে থাকে।

এ হাদীসের ব্যাখ্যায় আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী লিখেছেনঃ

‘হাদীসটি’ থেকে বাহ্যত মনে হয় যে, এ ঘটনা যখন রাত্রী বেলা হয়, তখনই ফেরেশতারা অস্বীকারকারী স্ত্রীর ওপর অভিশাপ বর্ষণ করে; কিন্তু আসলে কেবল রাতের বেলার কথাই নয়, দিনের বেলাও এরূপ হলে ফেরেশতাদের অভিশাপ বর্ষিত হবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও যেহেতু যৌন মিলনের কাজ সাধারণত রাতের বেলাই সম্পন্ন হয়ে থাকে, এ জন্যে রাসূলে করীম (ﷺ) রাতের বেলার কথা বলেছেন। মূলত এ কথা রাত ও দিন –উভয় সময়ের জন্যেই প্রযোজ্য।

অপর এক হাদীসে এ কথাটি অধিকতর তীব্র ভাষায় উদ্ধৃত হয়েছে। তা এইঃ

(আরবী)

যার হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ করে বলছি, যে ব্যক্তিই তার স্ত্রীকে যৌন মিলনের উদ্দেশ্যে তার শয্যায় ডাকবে, তখন যদি স্ত্রী তা অমান্য করে –যৌন মিলনে রাজি হয়ে তার কাছে না যায়, তবে আল্লাহ তার প্রতি অসন্তুষ্ট –ক্রুব্ধ থাকবেন যতক্ষণ না স্বামী তার প্রতি সন্তুষ্ট হবে।

অনুরূপ আর একটি হাদীসে বলা হয়েছেঃ

(আরবী)

স্ত্রী যদি তার স্বামীর শয্যা ত্যাগ করে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে, তবে যতক্ষণে সে তার স্বামীর কাছে ফিরে না আসবে, ফেরেশতাগণ তার ওপর অভিশাপ বর্ষণ করতে থাকবে।

আর একটি হাদীস হচ্ছেঃ

(আরবী)

তিন ব্যক্তির নামায কবুল হয় না, আকাশের দিকে উত্থিত হয় তা তাদের কোনো নেক কাজও। তারা হচ্ছেঃ পলাতক ক্রীতদাস –যতক্ষণ না মনিবের নিকট ফিরে আসবে, নেশাখোর, মাতাল –যতক্ষণ না সে সুস্থ ও প্রকৃতিস্থ হবে এবং সেই স্ত্রী, যার স্বামী তার প্রতি অসন্তুষ্ট –যতক্ষণ না স্বামী তার প্রতি সন্তুষ্ট হবে।

ইবনে জাওজীর ‘কিতাবুন নিসা’য় উদ্ধৃত অপর এক হাদীসে আরো বিস্তৃত কথা বলেছেন –হযরত আবূ হুরায়রা (রা) বলেনঃ

(আরবী)

রাসূলে করীম (ﷺ) ‘মুসবিফা’ ও ‘মুগলিসা’র ওপর অভিশাপ বর্ষণ করেছেন। ‘মুসবিফা বলতে বোঝায় সেই নারী, যাকে তার স্বামী যৌন মিলনে আহবান জানালে সে বলেঃ ‘এই শীগগিরই আসছি’। আর ‘মুগলিসা’ হচ্ছে সেই স্ত্রী, যাকে তার স্বামী যৌন মিলনে আহবান জানালেসে বলে ‘আমার হায়েয হয়েছে’, অথচ প্রকৃতপক্ষে সে ঋতু অবস্থায় নয়।

অবশ্য এ ব্যাপারে স্ত্রীর স্বাস্থ্য, মানসিক অবস্থা ও ভাবধারার প্রতি পুরাপুরি লক্ষ্য রাখতে হবে। স্বামী যদি নিতান্ত পশু হয়ে না থাকে, তার মধ্যে থেকে থাকে মনুষ্যত্বসুলভ কোমল গুণাবলী, তাহলে সে কিছুতেই স্ত্রীর মরজী-মনোভাবের বিরুদ্ধে জোর-জবরদস্তি করে যৌন মিলনের পাশবিক ইচ্ছাকে চরিতার্থ করতে যাবে না। সে অবশ্যই স্ত্রীর স্বাস্থ্যগত মানবিক সুবিধা-অসুবিধার, আনুকূল্য-প্রতিকূলতা সম্পর্কে খেয়াল রাখবে এবং খেয়াল রেখেই অগ্রসর হবে।

উপরে উদ্ধৃত হাদীসসমূহ সম্পর্কে নববী লিখেছেনঃ

(আরবী)

এ সব হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, কোনো প্রকার শরীয়তসম্মত ওযর বা কারণ ছাড়া স্বামীর শয্যায় স্থান গ্রহণ থেকে বিরত থাকা স্ত্রীর পক্ষে হারাম।

স্ত্রীর কোনো শরীয়তসম্মত ওযর থাকলে স্বামীকে অবশ্যই এ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। ফিকাহবিদগণ এজন্যে বলেছেনঃ

(আরবী)

অধিক মাত্রায় যৌন সঙ্গম যদি স্ত্রীর পক্ষে ক্ষতিকর হয় তাহলে তার সামর্থ্যের বেশি যৌন সঙ্গম করা জায়েয নয়।

অবশ্য রাসূলের নির্দেশ অনুযায়ী স্ত্রীর কর্তব্য হচ্ছে স্বামীর এ ধরনের কামনা-বাসনা বা দাবি যথাযথভাবে পূরণের জন্যে সতত প্রস্তুত হয়ে থাকা। এ প্রস্তুত হয়ে থাকার গুরুত্ব নানা কারণে অনস্বীকার্য। এমনকি রাসূলে করীম (ﷺ)-এর ফরমান অনুযায়ী স্বামীর বিনানুমতিতে নফল রোযা রাখাও স্ত্রীর পক্ষে জায়েয নয়। তিনি বলেছেনঃ

(আরবী)

স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ছাড়া স্ত্রী নফল রোযা রাখবে না।

কেননা রোযা রাখলে স্ত্রী স্বামীর যৌন মিলনের দাবি পূরণে অসমর্থ হতে পারে, আর স্বামীর এ দাবিকে কোনো সাধারণ কারণে অপূর্ণ রাখা স্ত্রীর উচিত নয়।

ইসলামে এসব বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে কেবলমাত্র এজন্যে যে, সমাজের লোকদের পবিত্রতা, অকলংক চরিত্র ও দাম্পত্য জীবনের অপরিসীম তৃপ্তি ও সুখ-শান্তি, প্রেম-ভালোবাসা ও মাধুর্য রক্ষার জন্যে এ বিষয়গুলো অপরিহার্য।

আর এ কারণেই নবী করীম (ﷺ) ও সাহাবায়ে কিরাম-এর যুগে স্ত্রীগণ তাঁদের স্বামীদের সন্তুষ্টি বিধানের জন্যে প্রাণপণ চেষ্টা করতেন। স্বামীদের একবিন্দু অসন্তুষ্টি বা মনোকষ্ট তাঁরা সইতে পারতেন না। এমন কি, কোনো স্বামীর প্রত্যাখ্যানও তার স্ত্রীর এ কর্মপদ্ধতি পরিত্যাগ করাতে পারত না। হাদীসে ও সাহাবীদের জীবন চরিতে এ পর্যায়ের ভূরি ভূরি ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন