hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

পরিবার ও পারিবারিক জীবন

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (র.)

১০২
ঘরের অভ্যন্তরীণ পবিত্রতা সংরক্ষণ
একটি ঘরকেই কেন্দ্র করে সুষ্ঠু দাম্পত্য জীবন শুরু হয়। স্বামী ও স্ত্রীর ভালোবাসা, পরস্পরের সহানুভূতি, সংবেদন ও প্রীতিপূর্ণ পরিবেশে গড়ে ওঠে এক নতুন সংসার। ইসলাম এ ঘর ও সংসারের সম্ভ্রম, মর্যাদা ও পবিত্রতা রক্ষার্থে বিবিধ ব্যবস্থা পেশ করেছে। এ উদ্দেশ্যে কতগুলো জরুরী নিয়ম বিধান –যা যথাযথভাবে পালন করলে পারিবারিক জীবনে মাধুর্যময় ও নিশ্চয়তা ভিত্তির আস্থঅ ও বিশ্বাসপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং স্বাম স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি –সকলেই সেখানে নিরবিচ্ছিন্ন আশার ও শান্তি-সুখ লাভ করতে পারে। প্রত্যেকেই পূর্ণ আযাদী, সম্ভ্রম ও পূর্ণ সংরক্ষণের মধ্যে কালাতিপাত করতে পারে।

ঘরের পরিবেশকে পবিত্রময় করে গড়ে তোলার জন্য সর্বপ্রথম কুরআন মজীদের নিম্নোক্ত আয়াতটির দিকে লক্ষ্য দেয়া উচিত। আল্লাহ তা’আলা নবীর বেগমদের সম্বোধন করে বলেছেনঃ

(আরবী)

এবং তোমরা স্মরণ করো –স্বরণে রাখো তোমাদের ঘরে আল্লাহর যেসব আয়াত ও হিকমতের কথা তিলাওয়াত করা হয়, তা। মনে রাখতে হবে যে, আল্লাহ তা’আলা সূক্ষ্মদর্শী, অনুগ্রহসম্পন্ন ও সর্ববিসয়ে অবহিত।

রাসূলের বেগমদের লক্ষ্য করে বলা এ কথা সাধারণভাবে সব মেয়ের প্রতিই প্রযোজ্য, একথা বলাই বাহুল্য। অতএব এ নির্দেশ পালিত হওয়া উচিত সব পালিত হওয়া উচিত সব মুসলিম ঘরে ও সংসারে।

‘আল্লাহর আয়াত ও হিকমত’ বলতে বোঝানো হয়েছে কুরআন মজীদ এবং রাসূলের সুন্নাত। কেননা এ দুয়ের মধ্যেই রয়েছে জীবন ও সৌভাগ্য, নৈতিক ও সাংস্কৃতিক আদর্শের পূর্ণ শিক্ষা। আর যা তিলাওয়াত করা হয়, মানে –এ দুটো জিনিসের শিক্ষা, প্রচার এবং আলোচনা-পর্যালোচনা হওয়া ইচত প্রত্যেকটি মুসলিমের ঘরে –ঘরের স্ত্রী পুত্র পরিজন সকলের সামনে এবং সে তিলাওয়াত জীবনে একবার কি বছরে বা নামকাওয়াস্তে হলে চলবে না। হর-হামেশা পারিবারিক কার্যসূচীর অপরিহার্য অংশ হিসেবে তা রীতিমতই হওয়া কর্তব্য। বিশেষ করে দাম্পত্য ও পারিবারিক জীবন সম্পর্কিত আদেশ-নিষেধ, উপদেশ-নসীহত ও বিধি-বিধান এবং রীতিনীতি তো অবশ্যই আলোচিত হতে হবে। অন্যথায় পারিবারিক জীবন আল্লাহর অনাযিল ও অফুরন্ত রহমত লাভ করতে ব্যর্থ হবে।

কুরআন ও সুন্নাতে রাসূলের আদেশ-উপদেশসমূহ এভাবে আলোচনা পর্যালোচনা করতে নির্দেশ দেয়ার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেমন তদনুযায়ী পারিবারিক জীবন চালিত হয়, পরিবারের প্রত্যেকটি নর-নারী বাস্তবভাবে পালন করে চলে আল্লাহ ও রাসূলের দেয়া বিধিব্যবস্থা। আর এ কাজ তখনি সুষ্ঠুভাবে হতে পারে, যখন কুরআন ও হাদীসের শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা হয় পরিবারের লোকজনকে। আর কেবল শিক্ষা দিয়েই যেন ক্ষান্ত করা না হয়, বরং নিত্যনৈমিত্তিক কার্যসূচী হিসেবে তা বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়।

বস্তুত ‘স্মরণ করো’ মানেই হচ্ছে আমল করো। আর আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের সুন্নাত অনুযায়ী যে ঘরে ও পরিবারে সঠিকভাবে আমল করা হবে, তা যে বাস্তবিকই পবিত্র, নিষ্কলঙ্ক ও নির্ভেজাল প্রেম-ভালোবাসায় পূর্ণ হবে, তাতে কোনোই সন্দেহ থাকতে পারে না।

প্রত্যেকটি পরিবারেরই এমন এক নির্ভরযোগ্য নিজস্ব পরিমণ্ডল প্রয়োজন, যার মধ্যে কেউ অধিকার প্রবেশ করতে পারবে না। যেখানে পরিবার, পরিবারের প্রত্যেকটি ব্যক্তিই নিজস্বতায় পরিপূর্ণ, পরিতৃপ্ত, সেকানে যেমন প্রত্যেকটি ব্যক্তিই পূর্ণ স্বাধীনতা ও মানসম্ভ্রমসহ দিনাতিপাত করতে পারবে, তেমনি পারবে সকলের পারস্পরিক সম্প্রীতি ও নির্ভরতায় এক অখণ্ড পরিবার সংস্থা গড়ে তুলতে। এজন্যে বাইরের লোকদের যেমন বিনানুমতিতে কারো ঘরে প্রবেশ করার অধিকার দেয়া হয়নি, তেমনি একই ঘরের লোকদেরও বিশেষ কয়েকটি সময়ে একে অপরের নিজস্ব কক্ষে বিনানুমতিতে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। বলা হয়েছেঃ

(আরবী)

হে ঈমানদার লোকেরা, তোমাদের ক্রীতদাস-দাসী এবং অপূর্ণ বয়স্ক ছেলেপেলেরা যেন তিনবার তোমাদের কাছ থেকে অনুমতি গ্রহণ করে তোমাদের ঘরে প্রবেশ করার জন্যে, ফযরের নামাযের পূর্বে দ্বিপ্রহরে যখন তোমরা জামা-কাপড় খুলে ফেল এবং এশার নামাযের পর। এই তিনটি সময় হচ্ছে তোমাদের জন্যে অবশ্য গোপনীয়। এ ছাড়া অন্যান্য সময় তোমাদের কাছে বিনানুমতিতে আসা-যাওয়ায় তোমাদের কোনো দোষ হবে না –তাদেরও হবে না। তোমাদের পরস্পরের কাছে তো বারবার আসা-যাওয়া করতেই হয়।

আল্লামা ইবনে কাসীর লিখেছেনঃ

(আরবী)

এ আয়াত কয়টি হচ্ছে কাছাকাছির ও একই বাড়িতে অবস্তানরত আপন লোকদের পরস্পরের কাছে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করা সম্পর্কে।

এ আয়াত একথাও প্রমাণ করে যে, ঘরের কাজকর্ম করার জন্যে দাস-দাসী যেমন নিয়োগ করা যেতে পারে তেমনি চাকর-চাকরাণীও নিয়োক করা যায়। তবে চাকরদের অবশ্য অল্প বয়স্ক –অত্যন্ত অপ্রাপ্ত বয়স্ক বা বিগত যৌবনা হওয়া বাঞ্ছনীয়।

এ আয়াত তিনটি সময়কে প্রত্যেকের জন্যে একান্ত নিজস্ব করে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে।

প্রথম হচ্ছে ফযরের নামাযের পূর্ব সময়। কেননা এ সময়টিতে মানুষ সাধারণত নিজেদের শয্যায় ঘুমে অচেতন হয়ে পড়ে থাকে। কে কি অবস্থায় ঘুমিয়ে রয়েছে, পূর্ণ শরীর ঢেকে রয়েছে, না উলঙ্গ অর্ধ-উলঙ্গ হয়ে আছে তার কোনো নিশ্চয়তা থাকে না। তাছাড়া একাকী এক বিছানায় শুয়ে আছে, না স্বামী-স্ত্রীতে মিলে একান্ত নিবিড় হয়ে রয়েছে, তারও কোনো ঠিক-ঠিকানা থাকবার কথা নয়। কাজেই আল্লাহ তা’আলার নির্দেশ হচ্ছে –এ সময় অপর কোনো লোক –সে যতই কাছের হোক না কেন; এমনকি দাস-দাসী আর অল্প বয়স্ক চাকর চাকরাণীই হোক না কেন –অনুমতি না নিয়ে ঘরে প্রবেশ করবে না। কেননা বিনানুমতিতে প্রবেশ করলে কোনো অবাঞ্চিত দৃশ্য তাদের চোখে পড়া এবং তা সকলের পক্ষে লজ্জার বা অপমানের কাণ হওয়া বিচিত্র নয়।

দ্বিতীয় হচ্ছে দ্বিপ্রহরে। যখন লোকেরা –মেয়েরা পুরুষরা –কাপড়-চোপড় খুলে ফেলে নগ্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে পারে, স্বামীতে স্ত্রীতে মিলে একান্তে শয্যাশায়ী হতে পারে। আর সে অবস্থায় অপর কারো সামনে যেতে বা কারো চোখে পড়তে কেউই রাজি হতে পারে না। আর তৃতীয় হচ্ছে এশার নামাযের পর। কেননা এ সময় লোকেরা সারা দিনের যাবতীয় কাজকর্ম চুকিয়ে দিয়ে শয্যার ক্রোড়ে একান্তভাবে ঢলে পড়ার জন্যে প্রস্তুত হয়। কে কিভাবে শুতে যায়, একাকী এক শয্যায় শয়ন করে কি স্ত্রীকে কাছে ডেকে নেয়, তা অপর কারো জানা থাকার কথা নয়। কাজেই এ সময়ও প্রত্যেক ব্যক্তির থাকা উচিত পূর্ণ স্বাধীনতা, একান্ত নিশ্চিন্ততা ও সুগভীর নিবিড়তা। বিনানুমতিতে কারো প্রবেশ তাতে অবশ্যই ব্যাঘাত জন্মাবে। এসব কারণে আল্লাহ তা’আলা এ তিনটি সময়কে বলেছেন (আরবী) আর ইমাম রাগিবের ভাষায় তার মানে হচ্ছেঃ

(আরবী)

মানুষের লজ্জা-শরম। এ শব্দটি রূপক। এর আসল অর্থ হচ্ছে শরম লজ্জা। কেননা এ এমন ব্যাপার যা প্রকাশিত হলে লজ্জা ও অপমান দেখা দিতে পারে।

বস্তুত কুরআন নির্দেশিত এ তিনটি সময়ও এমনি, যখন আকস্মিকভাবে অপর কারো নজরে পড়লে লজ্জা বা দুর্নামের কারণ ঘটতে পারে। এ তিনটি সময় ছাড়া অন্যান্য এমন, যখন কারো পক্ষেই অসতর্ক ও অসংবৃত্ত হওয়ার সাধারণত সম্ভাবনা থাকে না, সে কারণে অন্যান্য সময়ে সাধারণত ঘরে লোকদের পরস্পরের কাছে অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে অনেক কাজই সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না। কেননা তারা তো (আরবী) –তোমাদের চারপাশে ঘোরাফেরা করে, কাজ করবে এজন্যেই নিয়োজিত হয়েছে। আর চাকর-বাকরদের ব্যাপারে অনেক কিছুই এমন নয়, যা বাহ্যত আপত্তিকর হলেও সেখানে আপত্তি করা চলে না। ঠিক এ কারণেই রাসূলে করীম (ﷺ) বিড়াল-বিড়ালী সম্পর্কে বলেছেনঃ

(আরবী)

বিড়াল-বিড়ালী নাপাক নয়, কেননা ওরা তো তোমাদের চারপাশে সব সময় ঘোরাফেরা করতেই থাকে।

এ আয়াতটি সম্পর্কে মনে রাখা দরকার যে, তা পূর্ণ মর্যাদা সহকারে বহাল এবং তার কার্যকরতা শেষ হয়ে যায়নি। কিন্তু বড়ই দুঃখের বিষয়, লোকেরা এ আয়াত অনুযায়ী আমল করে খুবই কম। এ আয়াতটি সম্পর্কে হযরত ইবনে আব্বাস (রা)-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেনঃ

(আরবী)

নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা হচ্ছেন সর্বাধিক পরিমাণে গোপনতা বিধানকারী। কাজেই তিনি গোপনতা অবলম্বনকে খুবই ভালোবাসেন, পছন্দ করেন।

ইমাম সুদ্দী বলেছেনঃ

(আরবী)

সাহাবীদের অনেকেই এই এই সময়ে নিজেদের স্ত্রীদের সাথে যৌন মিলনে প্রবৃত্ত হওয়া পছন্দ করতেন, যেন তারপর গোসল করে তাঁরা নামাযের জন্যে চলে যেতে পারেন। এ কারণে আল্লাহ তা’আলা মুসলিমদের এ নির্দেশ দিলেন যে, তারা যেন চাকর-গোলামদের এই সময়ে বিনানুমতিতে তাঁদের ঘরে প্রবেশ করতে না দেন।

নির্দিষ্ট তিনটি সময় ছাড়াও একই ঘরের নিকটাত্মীয়দের পরস্পরের শয়নকক্ষে প্রবেশ করার জন্যে অনুমতি গ্রহণ প্রয়োজন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) বলেনঃ

(আরবী)

তোমাদের মা’দের কক্ষে প্রবেশ করার জন্যে পূর্বাহ্নে অনুমতি গ্রহণ তোমাদের কর্তব্য।

তাঊস তাবেয়ী বলেনঃ

(আরবী)

কোনো মুহাররম মেয়েলোকের লজ্জাস্তান দেখা অপেক্ষা অধিক ঘৃণার ব্যাপার আমার কাছে আর কিছু নেই।

আতা ইবনে আবূ রিবাহ হযরত আব্বাস (রা)-কে জিজ্ঞেস করলেনঃ

(আরবী)

আমার কয়েকটি ইয়াতিম বোন রয়েছে, যারা আমার কোলে লালিতা-পালিতা, আমার সাথে একই ঘরে বসবাস করে, তাদের সামনে যেতেও কি আমি পূর্বাহ্নে অনুমতি গ্রহণ করব?

হযরত ইবনে আব্বাস বললেনঃ হ্যাঁ, অবশ্যই অনুমতি নেবে। পরে বললেনঃ

(আরবী)

তুমি কি তাদরে ন্যাংটা ও উলঙ্গ দেখা পছন্দ করো?

আতা বললেনঃ না, কখনই নয়। তিনি বললেনঃ “তা হলে অবশ্যই অনুমতি গ্রহণ করবে”।

নিজ স্ত্রীর ঘরে প্রবেশের পূর্বে তার কাছ থেকে অনুমতি গ্রহণ করতে হবে কিনা –এ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে আতা বলেনঃ ‘না’। কিন্তু আল্লামা কাসীর লিখেছেনঃ তার মানে স্ত্রীর ঘরে প্রবেশের পূর্বে তার কাছ থেকে অনুমতি গ্রহণ ‘ওয়াজিব’ নয়; অন্যথায়ঃ

(আরবী)

ঘরে প্রবেশের পূর্বে স্ত্রীকে জানিয়ে দেয়া ভালো যে, সে তার ঘরে প্রবেশ করছে। তার সামনে হঠাৎ করে উপস্থিত হওয়া উচিত নয়। কেননা সে হয়ত এমন অবস্থায় রয়েছে, যে অবস্থায় স্বামী তাকে দেখতে পাক –তা সে আদৌ পছন্দ করে না।

আপন মা, বোন ও স্ত্রীর ঘরে প্রবেশের পূর্বে যখন অনুমতি গ্রহণ এবং প্রবেশ সম্পর্কে আগাম জানান দেয়া সম্পর্কে এত তাগিদ, তখন ভিন ও গায়র-মুহাররম মেয়েদের –তারা যত নিকটাত্মীয়া হোক না কেন –নিকট বিনানুমতিতে প্রবেশ করাকে ইসলাম কি বরদাশত করতে পারে?

এ অনুমতি নিয়ে কারো ঘরে প্রবেশ করা সম্পর্কিত নির্দেশের ব্যাখ্যা দান প্রসঙ্গে আল্লামা যামাখশারী লিখেছেনঃ

(আরবী)

এর কারণ এই যে, অনুমতি লওয়া কেবল এ জন্যেই বিধিবদ্ধ করা হয়নি যে, কোনো সহসা অনুপ্রবেশকারী ব্যক্তি কোনো গোপনীয় জিনিস দেখে ফেলতে পারে এবং হালাল নয় এমন জিনিসের ওপর তার নজর পড়ে যেতে পারে। বরং এ জন্যেই তা বিধিবদ্ধ করা হয়েছে, যেন বাইরে থেকে আসা কোনো ব্যক্তি ঘরের এমন সব অবস্থাও জানতে না পারে, যা মানুষ সাধারণত অপরের কাছ থেকে গোপনই রাখতে চায় এবং অপর লোক যাতে তা জানতে না পারে, তার জন্যে চেষ্টা করে। এরূপ অবস্থায় বিনানুমতিতে প্রবেশ করলে অপর লোকের কর্তৃত্বের এলাকার ওপর অনধিকার চর্চা হয়। অতএব কারো ঘরে প্রবেশ তার অনুমতি ছাড়া হওয়া উচিত নয়।

অন্যথায় তার মনে ক্রোধ প্রবল হয়ে ওঠার ও অন্যের প্রাধান্য অস্বীকার করার প্রবণতা প্রবল হয়ে উঠবার আশংকা রয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন