মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
সুবিচার বণ্টনের পর্যায়ে একথা মনে রাখা আবশ্যক যে, সংখ্যা ও পরিমাণ ইত্যাদির দিক দিয়ে ইনসাফ ও সমতা রক্ষা করার কথা এখানে বলা হয়নি। বরং বলা হয়েছে প্রত্যেক স্ত্রীর অধিকার সাম্য ও প্রয়োজনানুপাতে দরকারী জিনিস পরিবেশনের কথা। কেননা একাধিক স্ত্রী থাকলে তাদের সকলের প্রয়োজন, রুচি ও পছন্দ যে একই ধরনের ও একই মানের হবে এমন কোনো কথা নেই। কেউ হয়ত রুটিখোর, তার প্রয়োজন আটা বা রুটির। আর কেউ ভাতখোর, তার প্রয়োজন চাল বা ভাতের। কেউ হয়ত বেশ মোটা-সোটা, তার জামা ব্লাউজ ও পরিধেয় বস্ত্রের জন্যে বেশ কাপড় দরকার, আর কেউ হালকা-পাতলা, শীর্ণ, তার জন্যে প্রয়োজনীয় কাপড়ের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত কম। কেউ বেশি বয়সের মেয়েলোক, স্বামীসঙ্গ লাভের প্রয়োজন তার খুব বেশি নয়, খুব ঘন ঘনও প্রয়োজন দেখা দেয় না; আর কেউ হয়ত যুবতী, স্বাস্থ্যবতী, তার পক্ষে অধিক মাত্রায় স্বামীসঙ্গ লাভের দরকার। আবার কেউ যুবতী হয়েও রুগ্ন, তার যৌন মিলন অপেক্ষা সেবা শুশ্রুষা ও পরিচর্যার প্রয়োজন বেশি। কাজেই ‘আদল’ (আরবী) সুবিচার ও সমতার অর্থ পরিমাণ বা মাত্রা-সাম্য নয়, বরং তার মানে হচ্ছে সকলের প্রতি সমান খেয়াল রাখা, যত্ন নেয়া এবং প্রত্যেকের দাবি যথাযথভাবে পূরণ করা। একাধিক স্ত্রী গ্রহণের শর্ত এতটুকু মাত্র, এর বেশি নয়। এ শর্ত পূরণ করতে পারবে না বলে যদি কেউ ভয় পায় এবং আত্মবিশ্লেষণ করে যদি বুঝতে পারে যে, একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করলে ‘আদল’ ইনসাফের এ শর্তটুকু পূরণ করা তার পক্ষে সম্ভব হবে না, তাহলে তার উচিত আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী একজন মাত্র স্ত্রী গ্রহণ করেই ক্ষান্ত হওয়া। এ কথাই তিনি বলেছেন আয়াতটির নিম্নোক্ত অংশেঃ
(আরবী)
তোমরা ইনসাফ-সমতা রক্ষা করতে পারবে না বলে যদি ভয় করো তবে একজন মাত্র স্ত্রী গ্রহণ করবে …..বস্তুত জুলুম ও অবিচারের কাজ থেকে বেঁচে থাকার জন্যে এ হচ্ছে একাধিক কার্যকর ও অনুকূল ব্যবস্থা।
ইমাম শাফেয়ীর মতে আয়াতের এ অংশ আরো একটি শর্ত পেশ করছে একাধিক স্ত্রী গ্রহণের ব্যাপারে। আর তা হচ্ছে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ স্ত্রী এবং তাদের সন্তানদের প্রয়োজনীয় ব্যয়ভার বহনের সামর্থ্য। তিনি আল্লাহর বাণী (আরবী) এর তরজমা করেছেন এ ভাষায়ঃ
(আরবী)
তোমার সন্তান বেশি না হওয়ার পক্ষে এই একজন স্ত্রী গ্রহণই অধিক নিকটবর্তী ব্যবস্থা।
ইমাম বায়হাকী এ আয়াতের তাফসীর ইমামা শাফেয়ীর উপরোক্ত মত অনুযায়ী নিজ ভাষায় লিখেছেনঃ
(আরবী)
একাধিক স্ত্রী গ্রহণেল অনুমতি থাকা সত্ত্বেও একজন মাত্র গ্রহণ করেই ক্ষান্ত হলে ভরণ-পোষণের দায়িত্ব পালন করতে হয় এমন লোক বেশি হবে না।
এ তাফসীরকে ভিত্তি করে ড. মুস্তফা সাবায়ী লিখেছেনঃ
(আরবী)
এ আয়াতটি প্রকারান্তরে ব্যয়ভার বহনের সামর্থ্যের একাধিক স্ত্রী গ্রহণের ব্যাপারে তুলে ধরে। যদিও এ শর্তটি পালনীয় কিন্তু এর ওপর আইন প্রয়োগ করা যায় না।
এ কারণে মুসলিম মনীষীগণ এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ একমত হয়েছেন যে, রাসূলে করীম (ﷺ)-এর ব্যাখ্যা ও বাস্তব ব্যবস্থার দৃষ্টিতে ‘আদল’ বলতে বোঝায়ঃ
(আরবী)
একাধিক স্ত্রী গ্রহণের ব্যাপারে যে আদল-এর শর্ত আরোপ করা হয়েছে তা হচ্ছে বাসস্থান, পোশাক, খাদ্য, পানীয়, রাত যাপন এবং দাম্পত্য জীবনের এমন সব ব্যাপার, যাতে আদল-ইনসাফ রক্ষা করা যায় –এ সব বিষয়ের বাস্তব ইনসাফ ও সমতা রক্ষা করা।
প্রশ্ন হতে পারে, স্ত্রী কি কেবল এ সব বৈষয়িক জিনিস পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে পারে? এ ছাড়া প্রেম-ভালোবাসাও তো প্রয়োজন রয়েছে এবং তাও তাদের পেতে হবে স্বামীর কাছ থেকেই। কাজেই সে দিদে দিয়েও সমতা রক্ষা করা কি একাধিক স্ত্রীর বেলায় স্বামীর কর্তব্য নয়?
এর জবাব হচ্ছে এই যে, হ্যাঁ, এসব জৈবিক প্রয়োজন ছাড়াও প্রেম-ভালোবাসা প্রভৃতি আধ্যাত্মিক ও মানবিক প্রয়োজনও স্ত্রীদের রয়েছে এবং তাও স্বামীর কাছ থেকেই তাদের পেতে হবে, তাতে সন্দেহ নেই। আর এ ব্যাপারে যতদূর সম্ভব সমতা রক্ষা করা স্বামীর কর্তব্য। অন্তত সে জন্যেই তাকে প্রাণ-পণে চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, প্রেম-ভালোবাসা, মনের ঝোঁক, টান, অধিক পছন্দ ইত্যাদি মনের গভীর সূক্ষ্ম আধ্যাত্মিক ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে মানুষের নিজের ইচ্ছে ও চেষ্টা-যত্নের অবকাশ খুবই সামান্য। মানুষ হাজার চেষ্টা করেও অনেক সময় সফল হতে পারে না। একেবারে সূক্ষ্ম তুলাদণ্ডে ওজন করে সমান মাত্রায় ভালেবাসা সকল স্ত্রীর প্রতি পোষণ করা মানুষের সাধ্যাতীত। ঠিক এ সমস্যাই বাস্তবভাবে দেখা দিয়েছিল যখন একাধিক স্ত্রী গ্রহণের এ অনুমতি প্রথম নাযিল হয়েছিল। সাহাবায়ে কেরাম একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করে তাদের মধ্যে প্রথম প্রকারের প্রয়োজন পূরণের দিক দিয়ে পূর্ণ সমতা রক্ষা করতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন। এ চেষ্টায় তাঁরা সফলতাও লাভ করেছিলেন। কিন্তু প্রেম ভালোবাসা, ভালো লাগা, পছন্দ হওয়া, মন-মেজাজের মিল ইত্যাদি দিক দিয়েও পূর্ণ সমতা রক্ষা করতে তাঁরা অসমর্থ হলেন। হাজারো চেষ্টা করেওতাঁরা সব স্ত্রীকে সমান মাত্রায় ভালোবাসতে সমর্থ হলেন না। তখন তাঁরা মনের দিক দিয়ে খুব বেশি কাতর হয়ে পড়লেন, আল্লাহর কাছে এজন্যে কি জবাব দেবেন, এ চিন্তায় তাঁরা অস্থির হয়ে পড়লেন। তখন আল্লাহর তরফ থেকে এ বাস্তব সমস্যার সমাধান হিসেবে নাযিল হলো এ প্রসঙ্গের দ্বিতীয় আয়াতঃ
(আরবী)
এবং তোমরা একাধিক স্ত্রী মাঝে সুবিচার প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে না –যত কামনা ও ইচ্ছাই তোমরা পোষণ কর না কেন। এমতাবস্থায় (এতটুকুই যথেষ্ট) তোমরা স্ত্রীদের মধ্যে কোনো একজনের প্রতি এমনভাবে পূর্ণমাত্রায় ঝুঁকে পড়বে না যে, অপর স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় রেখে দেবে। তোমরা যদি কল্যাণপূর্ণ নীতি অবলম্বন করো এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাকো, তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল সীমাহীন দয়াবান।
হযরত ইবনে আব্বাস, উবায়দা সালমানী, মুজাহিদ, হাসনুল বসরী, জহাক ও ইবনে মুজাহিম প্রমুখ মনীষী এ আয়াতের তাফসীর করেছেন নিম্নোদ্ধৃত ভাষায়ঃ
(আরবী)
অর্থাৎ হে লোকেরা, তোমরা স্ত্রীদের মধ্যে সবদিক দিয়ে ও সর্বতোভাবে সমতা রক্ষা ও সাম্য প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে না। কেননা এ সমতা রক্ষা ও সাম্য এক এক রাতের বাহ্য বণ্টনের ক্ষেত্রে যদিও কার্যকর হয় তবুও প্রেম-ভালোবাসা, যৌন স্পৃহা ও আকর্ষণ এবং যৌন মিলনের ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে পার্থক্য অবশ্যম্ভাবী।
প্রখ্যাত তাফসীরবিদ ইবনে শিরীন তাবি’ঈ এর ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ
(আরবী)
মানুষের সাধ্যায়াত্ত যা নয় তা হচ্ছে প্রেম-ভালোবাসা, যৌন মিলন স্পৃহা ও আন্তরিক বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে সাম্য রক্ষা।কেননা এ সব জিনিসের ওপর কর্তৃত্ব কারোরই খাটে না। যেহেতু মানুষের দিল আল্লাহর দুই আঙ্গুলের মধ্যে অবস্থিত, তিনি যেদিকে চান, তা ফিরিয়ে দেন। যৌন মলনও এমনি ব্যাপার। কেননা তা কারোর প্রতি আগ্রহনের বিষয়, কারোর প্রতি নয়। আর এ অবস্থা যখন কারোর ইচ্ছাক্রমে হয় না, তখন এ জন্যে কাউকেই দায়ী করা চলে না। আর তা যখন কারোর সাধ্যায়াত্তও নয়, তখন এ ব্যাপারে পূর্ণ সমতা রক্ষার দায়িত্ব কাউকেই দেয়া যায় না।
আল্লামা বদরুদ্দীন আইনীর ভাষায় এ আয়াতের তাফসীর হচ্ছেঃ
(আরবী)
হে পুরুষগণ, তোমরা তোমাদের একাধিক স্ত্রীর মধ্যে তাদের প্রতি আন্তরিক ভালবাসা পোষনের ব্যাপারে সমতা রক্ষা করতে সমর্থ হবে না। ফলে তাদের মধ্যে এ দিক দিয়ে ‘আদল’ করা তোমাদের দ্বারা সম্ভব হবে না। কেননা তোমরা এ জিনিসের মালিকও নও, যদিও তোমরা তাদের মধ্যে এ বিষয়ে সমতা রক্ষা করতে ইচ্ছুক ও আগ্রহান্বিত হবে।
প্রেম-ভালোবাসা ও যৌন সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে একাধিক স্ত্রী থাকলে তাদের মধ্যে যে আদল ও সমতা রক্ষা করা আদৌ সম্ভব নয়, তার বাস্তব কারণ রয়েছে। একজনের কয়েকজন স্ত্রী থাকলে তাদের মধ্যে কেউ অধিক সুন্দরী হবে, কেউ হবে কুশ্রী। কেউ যুবতী, কেউ অধিক বয়স্কা –প্রায় বৃদ্ধা। কেউ স্বাস্থ্যবতী, কেউ রুগ্না, কেউ মিষ্টভাষী খেঅশ মেজাজী, স্বামীগতা প্রাণ; কেউ ঝগড়াটে, খিটখিটে মেজাজের ও কটুভাষী। এভাবে আরো অনেক রকমের পার্থক্য হতে পারে স্ত্রীদের পরস্পরের মধ্যে, যার দরুন এক স্ত্রীর প্রতি স্বামীর স্বাভাবিকভাবেই অধিক আকর্ষণ হয়ে যেতে পরে, আর কারোর প্রতি আগ্রহের মাত্রা কম হতে পারে। কারোর জন্যে হয়ত দরদে-ভালোবাসার প্রাণ ছিঁড়ে যাবে আর কারোর দিকে তেমন টান অনুভূত হবে না। এ অতি স্বাভাবিক ব্যাপার। এজন্যে কোনো স্বামীকে বাস্তবিকই দোষ দেয়া যায় না। কেননা প্রকৃত পক্ষে এর উপর কারোরই কোনো হাত নেই। মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধি-বিবেক ও ইচ্ছে ক্ষমতা কোনো কিছুই এখানে পুরোপুরি কাজ করতে পারে না। এজন্যে সব ব্যাপারে পূর্ণ সমতা রক্ষা করা যে মানুষের সাধ্যাতীত, সাধ্যায়ত্ত নয়, তা-ই বলা হয়েছে আল্লাহ তা’আলার উপরোক্ত ঘোষণায়।
আর আল্লাহর এ ঘোষণা যে কতখানি সত্য, তা রাসূলে করীমের অবস্থা দেখলেই বুঝতে পারা যায়। তিনি আর যা-ই হোন, একজন মানুষ ছিলেন। আর মানুষের মানবিক ও স্বভাবগত দুর্বলতা থেকেও তিনি মুক্ত ছিলেন। এ কারণে তিনি তাঁর কয়জন স্ত্রীর মধ্যে হযরত আয়েশা (রা)-কে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন অথচ তিনি আল্লাহর নির্দেশ মুতাবিক জৈবিক যাবতীয় বিষয়ে পূর্ণ সমতা রক্ষা করে চলতেন। আর মনের টান, অধিক আকর্ষণ ও প্রেম-ভালোবাসা তাঁর কাজ ইখতিয়ারের জিনিস ছিল না বলে সেক্ষেত্রে সমতা রক্ষা করা তাঁর পক্ষেও সম্ভব হয়নি। এ কারণে তিনি আল্লাহর নিকট দো’আ করেছিলেন নিম্নরূপ ভাষায়ঃ
(আরবী)
হে আল্লাহ, আমার সাধ্যানুযায়ী স্ত্রীদের মধ্যে অধিকার বণ্টন করেছিলাম; কিন্তু যা আমার সাধ্যায়ত্ত নয়, বরং যা তোমার কর্তৃত্বাধীন; সে বিষয়ে অমান্য হয়ে গেলে তুমি নিশ্চয়ই সেজন্যে আমাকে পাকড়াও করবে না।
এ হাদীস সম্পর্কে ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল আল-কাহলানী লিখেছেনঃ
(আরবী)
রাসূল সম্পর্কিত এ বর্ণনা প্রমাণ করছে যে, প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা এবং মনের ঝোঁক টান-আকর্ষণ মানুষের সাধ্যায়ত্ত ব্যাপার নয়; বরং তা হচ্ছে একান্তভাবে আল্লাহর কর্তৃত্বের বিষয়, মানুষের হাতে তার কিছু নেই।
একাধিক স্ত্রীর মধ্যে জৈবিক বিষয়ে পূর্ণ সমতা রক্ষা করার নির্দেশ দেয়ার পর প্রেম-ভালোবাসার ক্ষেত্রে সমতা রক্ষা মানুষের সাধ্যাতীত বলে সেক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা বান্দার ওপর আরোপ করা হয়নি। এজন্যে ইসলামী শরীয়ত তা কারোর নিকট দাবিও করে না। ইসলামী শরীয়তের দাবি হচ্ছে এই যে, এরূপ অবস্থা সত্ত্বেও যখন তুমি একজনকে তালাক দিচ্ছ না বরং যে কারণেই হোক তাকে স্ত্রী হিসেবেই রেখে দিচ্ছ, তখন তার সাথে ঠিক স্ত্রীর মতোই ব্যবহার করতে হবে, তাকে বিধবা বা স্বামীহীনা করে রেখে দিও না। আয়াতের শেষাংশে তাই বলা হয়েছেঃ
(আরবী)
অতএব তোমরা সম্পূর্ণরূপে ঝুঁকে পড়ো না, যার দরুন কোনো স্ত্রীকে তোমরা ঝুলন্ত অবস্থায় রেখে দেবে।
এ আয়াতের তাফসীর করা হয়েছে নিম্নোক্ত ভাষায়ঃ
(আরবী)
তোমরা একজনের প্রতি যখন একটু ঝুঁকে পড়বেই, তখন সম্পূর্ণরূপে ঝুঁকে পড়ো না –চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যেও না, তাহলে অপরকে ঝুলন্ত অবস্থায় রেখে দেবে, মানে সে এমন অবস্থায় ঝুলে থাকবে যে, সে না হবে স্বামীওয়ালী আর না পরিত্যক্তা, তালাক প্রাপ্তা।
আর কুরআনের এ সুস্পষ্ট পথ-নির্দেশ সম্পর্কে ইবনুল মুনযির বলেছেনঃ
(আরবী)
এ আয়াত প্রমাণ করছে যে, একাধিক স্ত্রীর মধ্যে প্রেমপ্রীতি ভালোবাসার দিক দিয়ে সমতা রক্ষা করা স্বামীর পক্ষে ওয়াজিব নয়।
কিন্তু অন্যান্য যাবতীয় দিক দিয়ে সমতা রক্ষা করা ফরয। একাধিক স্ত্রী গ্রহণ কেবল তখনি বিধিসঙ্গত হতে পারে, যদি অন্তত এক্ষেত্রে স্ত্রীদের মধ্যে পূর্ণ সমতা ও ইনসাফ রক্ষা করা হয়। আর এ দিকদিয়ে সমতা রক্ষা করার তাগিদ করে নবী করীম (ﷺ) কঠোর ভাষায় বলেছেনঃ
(আরবী)
যে লোকের দুজন স্ত্রী থাকবে একজনকে বাদ দিয়ে অপরজনকে নিয়ে মশগুল হয়ে থাকবে, কিয়ামতের দিন তার এক পাশের গাল কাটা ও ছিন্ন অবস্থায় ঝুলতে থাকবে।
অপর হাদীসে বলা হয়েছেঃ
(আরবী)
যার দুজন স্ত্রী আছে, সে যদি একজনের প্রতি ঝুঁকে পড়ে আর অপরজনকে বাদ দিয়ে চলে, তাহলে কিয়ামতের দিন তার এক পাশ ঝুলন্ত অবস্থায় থাকবে।
এসব হাদীসের ভিত্তিতে আল্লামা শাওকানী লিখেছেনঃ
(আরবী)
এসব হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, দুজন স্ত্রীর মধ্যে একজনের প্রতি ঝুঁকে পড়া আর অপরজনকে বাদ দিয়ে চলা –বিশেষত দিন বণ্টন, খাদ্য-পানীয় ও পোশাক পরিবেশনের ক্ষেত্রে –সম্পূর্ণ হারাম। কেননা এসব বিষয়ে সমতা রক্ষা স্বামীর ক্ষমতায় রয়েছে। যদিও প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসা –যাতে স্বামীর কোনো হাত নেই, তাতে সমতা রক্ষা করা স্বামীর প্রতি ওয়াজিব বা ফরয নয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/505/87
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।