hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

পরিবার ও পারিবারিক জীবন

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (র.)

৮২
অধিকার সাম্য
স্বামী-স্ত্রীর মিলিত দাম্পত্য জীবনে পুরুষের প্রাধান্য স্বীকার করে নেয়া সত্ত্বেও ইসলাম স্ত্রীকে পুরুষের দাসী-বাঁদী বানিয়ে দেয়নি। যদি কেউ তা মনে করে, তবে সে মারাত্মক ভুল করে। প্রশ্ন হচ্ছে স্বামী ও স্ত্রীর মিলিত পারিবারিক জীবনে পরস্পরের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিতে পারে না কি? কোনো বিষয়ে যদি পারস্পরিক মতপার্থক্য কখনও ঘটে যায়, তখন সে বিষয়ে চূড়ান্ত ফয়সালা করার কার্যকরী পন্থা কি হতে পারে? ইসলাম বলেছে, তখন পুরুষের মতই প্রাধান্য ও অগ্রাধিকার পাবে। তখন স্ত্রীর কর্তব্য হবে স্বামীর মতকেই মেনে নেয়া, স্বামীর কথা মতো কাজ করা। কেননা তাকে মনে করতে হবে যে, স্বামী –তার চাইতে বেশি জ্ঞান, দূরদর্শিতা ও বিচক্ষণতার অধিকারী এবং এজন্যে পারিবারিক জীবন সংক্রান্ত ‘সভাপতিত্বের’ মর্যাদা স্বতঃই স্বামীরই প্রাপ্য।

এ সম্পর্কে ব্যাপক আদর্শ হচ্ছে এই যে, মুসলিম জীবনের সকল সামাজিক-সামগ্রিক ক্ষেত্রেই পারস্পরিক পরামর্শ ও যথাসম্ভব ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। এ পরামর্শ নেয়া-দেয়া কেবল রাষ্ট্রীয় ব্যাপারেই নয়, পারিবারিক জীবনের গণ্ডীতেও অপরিহার্য। আর তাতে পরামর্শ দেয়ার অধিকার রেছ স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই এবং এ পরামর্শের ব্যাপারেও যার মত অধিকতর যুক্তিসঙ্গত বিবেচিত হবে, তারই মত মেনে নেয়া হলো পরামর্শ ভিত্তিক সংস্থার লক্ষ্য।

কুরআন মজীদে এ পর্যায়ে বলা হয়েছেঃ

(আরবী)

স্ত্রীদের ওপর পুরুষদের যে রকম অধিকার রয়েছে, ঠিক অনুরূপ সমান অধিকার রয়েছে পুরুষদের ওপর স্ত্রীলোকদের এবং তা সুস্পষ্ট প্রচলিত নিয়মানুযায়ী হবে।

আয়াতটি সংক্ষিপ্ত হলেও এতে পারিবারিক জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি ও নিয়ম উল্লিখিত হয়েছে। আর তা হচ্ছে এই যে, সকল ব্যাপারে ও বিষয়ে নারী পুরুষের সমান মর্যাদাসম্পন্ন। সকল মানবীয় অধিকারে নারী পুরুষেরই সমান, প্রত্যেকের ওপর প্রত্যেকের নির্দিষ্ট অধিকার রয়েছে। তাই রাসূলে করীমও বলেছেনঃ

(আরবী)

নিশ্চয়ই তোমাদের স্ত্রীদের ওপর তোমাদের হক –অধিকার –রয়েছে এবং তাদেরও অধিকার রয়েছে তোমাদের ওপর।

কেবল একটি মাত্র ব্যাপারে পুরুষ স্ত্রীর তুলনায় অধিক মর্যাদা পেতে পারে। এ ক্ষেত্রে স্ত্রী পুরুষের সমান নয়। আর তা হচ্ছে তাই যা বলা হয়েছেঃ

(আরবী)

পুরুষরা নারীদের ওপর কর্তৃত্ব ও নেতৃত্ব সম্পন্না।

এই আয়াতাংশ এবং এই একটি ক্ষেত্র ছাড়া আর সব ক্ষেত্রেই নৈতিকতা, ইবাদত, আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা লাভ, কর্ম ফল প্রাপ্তি, মানবিক অধিকার ও সাধারণ মান-মর্যাদা এসব ব্যাপারেই স্ত্রীলোক পুরুষের সমান। অপর কোনো ক্ষেত্রেই পুরুষকে স্ত্রীর তুলনায় শ্রেষ্ঠ এবং স্ত্রীকে পুরুষ অপেক্ষা নিকৃষ্ট মনে করা যেতে পারে না। আর সত্যি কথা এই যে, দুনিয়ার ব্যবস্থাসমূহের মাঝে একমাত্র ইসলামই নারীকে এ মর্যাদা দিয়েছে।

পুরুষকে পারিবারিক সংস্থার ‘সভাপতি’ করে দেয়া সত্ত্বেও ইসলামের লক্ষ্য হচ্ছে সব ব্যাপারে পারস্পরিক পরামর্শ করা ও পরামর্শের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। কেননা এরূপ হলেই পারিবারিক জীবনে শান্তি, সন্তুষ্টি, মাধুর্য ও পরস্পরের প্রতি গভীর আস্থা ও নির্ভরতা বজায় থাকতে পারে। দুগ্ধপোষ্য শিশুকে দুধ পান করাবার মেয়াদ হচ্ছে পূর্ণ দু’বছর। এর পূর্বে যদি দুধ ছাড়াতে হয় তবে স্বামী-স্ত্রী পারস্পরিক পরামর্শ করে তা করতে পারে। নিম্নোক্ত আয়াতে একথাই বলা হয়েছেঃ

(আরবী)

স্বামী-স্ত্রী যদি সন্তুষ্ট ও পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে দুধ ছাড়াতে চায়, তবে তাদের কোনো গুনাহ হবে না।

আয়াতটিতে একদিকে যেমন স্বামী-স্ত্রী –পিতামাতা –উভয়েরই সন্তুষ্টি এবং পারস্পরিক পরামর্শের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে, তেমনি অপরদিকে বিশেষভাবে স্ত্রী-সন্তানের মা’র সন্তুষ্টি ও তার সাথে পরামর্শের গুরুত্ব স্বীকার করা হয়েছে। একে তো বাপ-মা দু’জনের একজনের ইচ্ছায় এ কাজ হতে পারে না বলা হয়ছে; দ্বিতীয়ত হতে পারে যে, মা’য়ের মত ছাড়াই বাবা নিজের ইচ্ছার জোরে শিশু সন্তানের দুধ দু’বছরের আগেই ছাড়িয়ে দিলো, আর তাতে মা ও চিন্তান্বিত হয়ে পড়ল এবং দুগ্ধপোষ্য শিশুরও ক্ষতি হয়ে পড়ল। অতএব স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সন্তুষ্টি এবং সন্তানের পূর্বাপর অবস্থা সম্পর্কে পরামর্শ গ্রহণ অপরিহার্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সহজেই বুঝতে পারা যায়, দুগ্ধপোষ্য শিশুর দুধ ছাড়ানোর জন্যে যদি স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সন্তুষ্টি ও পরামর্শের এতদূর গুরুত্ব নিশ্চয়ই অনেক বেশি হবে। আর বাস্তবিকই যদি স্বামী-স্ত্রীর যাবতীয় কাজ পারস্পরিক পরামর্শ ও একে অপরের সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির প্রতি লক্ষ্য রেখে সম্পন্ন করে, তাহলে তাদের দাম্পত্য জীবন নিঃসন্দেহে বড়ই মধুর হবে, নির্ঝঞ্ঝাট হবে, হবে সুখ ও শান্তিতে পরিপূর্ণ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন