hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

পরিবার ও পারিবারিক জীবন

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (র.)

১৪৩
এক সঙ্গে তিন তালাক
এখানে আরও একটি জটিল প্রশ্ন থেকে যায়। তালাক দেয়ার কোনো কোনো রীতি ও পদ্ধীততে স্ত্রীকে যথেষ্ট কষ্ট ও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। তাতে না স্ত্রীর প্রতি সুবিচার হয়, না এ ক্ষতি ও কষ্ট থেকে স্ত্রীকে রক্ষা করার কোনো উপায় আছে। আর তা হচ্ছে এক সঙ্গে এক বৈঠকে স্ত্রীকে তালাক দেয়ার রীতি এবং ক্রোধের বশবর্তী হয়ে তালাক দেয়া। এর ফলে স্ত্রীকে তো বটেই –স্বামীকেও –আর সত্যি কথা এই যে, কোটা সংসারটিকেই চরম দুর্দশার মধ্যে পড়ে যেতে হয়। স্বামীর নিকট থেকে নিষ্কৃতি লাভের কোনো উপায় স্ত্রীর হাতে না থাকার কারণে স্ত্রীকে অনেক ক্ষেত্রে দুর্বিষহ জীবন যাপন করতে হয়।

এর জবাবে বলা যায়, তালাক দানের যে ক্রমিক নিয়ম রয়েছে, তা-ই হচ্ছে তালাক দেয়ার সঠিক ও শরীয়তসম্মত পদ্ধতি। পূর্বের আলোচনা থেকে এ কথা স্পষ্ট হয়েছে যে, তালাক প্রয়োগের একটা সুস্পষ্ট স্তর রয়েছে। প্রথমে এক তালাক দেবে। তারপর হয় তাকে ফিরিয়ে নেবে, না হয় দ্বিতীয় তুহর-এ আর এক তালাক দেবে। দ্বিতীয়বারের পর হয় তাকে ফিরিয়ে নেবে, না হয় তৃতীয় তালাক প্রয়োগ করবে। এ তৃতীয়বার তালাক প্রয়োগের পর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়ার উপস্থিত কোনো সুযোগ নেই। কুরআন মজীদে সুস্পষ্ট ভাষায় বর্ণিত তালাক দানের এই হচ্ছে পদ্ধতি। একসঙ্গে একই বৈঠকে –একই সময়, একই শব্দে তিন তালাক দেয়ার রীতি কুরআন প্রদত্ত পদ্ধতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। সূরা আল-বাকারার নিম্নোদ্ধৃত আয়াতে এ পদ্ধতিরই উল্লেখ হয়েছেঃ

(আরবী)

তালাক দেয়ার পর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়ার সুযোগপূর্ণ তালাক হচ্ছে মাত্র দুবার। তারপর হয় তাকে সঠিকভাবে রেখে দেবে, না হয় সম্পূর্ণরূপে তাকে ছেড়ে দেবে।

তাফসীরের গ্রন্থে এ আয়াতের তাফসীর লেখা হয়েছে এরূপঃ

(আরবী)

যতবার তালাক দিলে স্বামী তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারে, তা হলো একবার ও দুইবার মাত্র।

সূরা (আরবী) এও এ কথাই বলা হয়েছে। এতে করে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, তালাক দেয়ার কাজটি হঠাৎ করে ফেলার মতো কোনো কাজ নয়। বরং তা খুবই ধীরে সুস্থে, চিন্তা-ভাবনা ও বিচার-বিবেচনা করে –এক এক পা করে অগ্রসর হয়ে করার কাজ। ‘রিজয়ী’ তালাকের পর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়ার এ সুযোগ রাখাটাও অত্যন্ত মানবিক ব্যবস্থা। একবার কি দুবার তালাক দেয়ার পর স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের মনেই নিজেদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে প্রত্যকষভাবে বিবেচনা করার ফলে নতুন চিন্তা জেগে উঠতে পারে এবং চূড়ান্ত বিচ্ছেদের পরিবর্তে স্থায়ী মিলন কামনায় উভয়ের মন উদ্ধুদ্ধ হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু এত সব সুযোগ থাকার পরও যদি কেউ তা গ্রহণ করতে রাজি না হয়; বরং চূড়ান্ত বিচ্ছেদ সাধনেরই স্থির সংকল্প হয়, তাহলে তাকে রক্ষা করার কেউ থাকতে পারে না। কেউ যদি একসঙ্গেই তিনটি তালাক দানের ক্ষমতা প্রয়োগ করে, তাহলে কুরআনের ঘোষণানুযায়ী সে নিজের ওপর নিজে জুলুম করে। একসঙ্গে তিন তালাক দেয়া যতেই অবাঞ্ছনীয় হোক না কেন, তা যে কার্যকর হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

তবে সে কুরআনের পদ্ধতি অনুসরণ করেনি বলে কঠিন গুনাহের অপরাধে অপরাধী হবে, তাও নিশ্চিত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন