মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
রাজনীতি ও রাষ্ট্রীয় ব্যাপারসমূহ মানব সমাজের জন্যে সাধারণভাবেই অত্যন্ত জরুরী এবং অপরিহার্য বিষয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইসলামের প্রাথমিক যুগে পুরুষদের সমান মর্যাদাসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও নারী সমাজ প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক কর্মতৎপরতা ও রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে অংশ গ্রহণ করেছে বলে কোনো প্রমাণ নেই। রাসূলে করীম (ﷺ)-এর ইন্তেকালের পরে পরে সাকীফার বনী সায়েদার অনুষ্ঠিত খলীফা নির্বাগচনী সভায় মহিলারা যোগদান করেছে বলে ইতিহাসে উল্লেখ করা হয়নি। খুলাফায়ে রাশেদুনও নির্বাচনী সভায় মহিলারা যোগদান করেছে বলে ইতিহাসে উল্লেখ করা হয়নি। খুলাফায়ে রাশেদুনের জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় ব্যাপারাদি মীমাংসার্থে অনুষ্ঠিত পরামর্শ সভাসমূহেও নারী সমাজের সক্রিয়ভাবে যোগদানের কোনো উল্লেখ ইতিহাসের পৃষ্ঠায় দেকতে পাওয়া যায় নি। রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় জটিলতার বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারসমূহে নারীরা পুরুষের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়েছে –এমন কথাও কেউ বলতে পারবে না।
অথচ ইতিহাসে –কেবল ইতিহাসে কেন, কুরআন মজীদেও –এ কথার সুস্পষ্ট উল্লেখ পাওয়া যায় যে, নবী করীম (ﷺ) পুরুষদের ন্যায় স্ত্রীলোকদের নিকট থেকেও ঈমান ও ইসলামী আদর্শানুযায়ী জীবন যাপনের ‘বায়’আত’ –ওয়াদা ও প্রতিশ্রুতি –গ্রহণ করেছেন। মক্কা বিজয়ের দিন এরূপ এক ‘বায়’আত’ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ ‘বায়’আতে’ নারী ও পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই অংশ গ্রহণ করেছে। কিন্তু এসব কথাকে যারা ‘মেয়েরাও রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করেছে’ বলে প্রমাণ হিসাবে পেশ করতে চান, তারা মরুভূমির বুকের ওপর নৌকা চালাতে চান, বলা যেতে পারে।
ইতিহাসে এ কথার উল্লেখ অবশ্যই পাওয়া যায় যে, রাসূলের জামানায় পুরুষদের মতোই কিছু সংখ্যক মহিলা সাহাবীও রাসূলে করীম (ﷺ)-এর অনুমতিক্রমেই যুদ্ধের ময়দানে উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে তাঁরা যোদ্ধাদের পানি পান করানোর কাজ করেছেন, নানা খেদমত করেছেন। নিহত ও আহতদের বহন করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছিয়ে দিয়েছেন। তারা তাদের সেবা-শুশ্রুষা করেছেন। রুবাই বিনত মুয়াকেয (রা) বলেনঃ
(আরবী)
আমরা মেয়েরা রাসূলে করীম (ﷺ)-এর সঙ্গে যুদ্ধে গমন করেছি। আমরা সেখানে লোকদের পানি পান করানো, খেদমত ও সেবা-শুশ্রূষা ও নিহত-আহতদের মদীনায় নিয়ে আসার কাজ করতাম।
হযরত উম্মে আতীয়াতা আনসারী বলেনঃ
(আরবী)
আমি রাসূলে করীম (ﷺ)-এর সাথে একে একে সাতটি যুদ্ধে যোগদান করেছি। আমি পুরুষদের পিছনে তাদের জন্তুযানে বসে থাকতাম, তাদের জন্যে খাবার তৈরী করতাম, আহতদের ঔষধ খাওয়াতাম ও রোগাক্রান্তদের সেবা-শুশ্রূষা করতাম।
হুনাইনের যুদ্ধে হযরত উম্মে সুলাইম খঞ্জর নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। হযরত আনাস (রা) বলেনঃ
(আরবী)
উম্মে সুলাইম হুনাইন যুদ্ধের দিন খঞ্জর হস্তে ধারণ করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) কে প্রশ্ন করা হয়েছিলঃ
(আরবী)
রাসূলে করীম (ﷺ) কি মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধে গমন করতেন?
জবাবে তিনি জানিয়েছিলেনঃ
(আরবী)
হ্যাঁ, নিশ্চয়ই তিনি মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধে যেতেন। মেয়েরা সেখানে আহতদের ঔষধ দেয়ার কাজ করত।
অনেক সময় যুদ্ধের ময়দানের একদিকে তাঁবু ফেলা হতো এবং তাতে মেয়েরা অবস্থান করত। কেউ অসুস্থ বা আহত হলে তাকে সেখানে স্থানান্তরিত করার জন্যে রাসূলে করীম (ﷺ) নির্দেশ দিতেন।
ঐতিহাসিক এবং প্রামাণ্য হাদীসের কিতাবে এ সব ঘটনার সুস্পষ্ট উল্লেখ পাওয়া যায়। কিন্তু তা থেকে একথা প্রমাণিত হয় না যে, ইসলামী সমাজে মহিলাদের পক্ষে প্রকাশ্য রাজনীতি ও রাষ্ট্রীয় কাজকর্মে যোগদান করা শরীয়তসম্মত। এ থেকে যা কিছু প্রমাণিত হয় তা হচ্ছে কেবলমাত্র জরুরী পরিস্থিতিতে –যুদ্ধ জিহাদে সাধারণ ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর, গোটা সমাজ ও জাতি যখন জীবন মরণের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পড়ে, তখন পুরুষদের সঙ্গে মেয়েদেরও কর্তব তার মুকাবিলা করার জন্যে বের হয়ে পড়া। আর ঠিক এরূপ পরিস্থিতিতে এহেন কঠিন সংকটপূর্ণ সময়ে –তা যখনই যেখানে এবং ইতিহাসের যে কোনো স্তরেই হোক না কেন –নারীদের কর্মক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়া অপরিহার্য এবং ইসলামী শরীয়তেও তা জায়েয, এ কথা অনস্বীকার্য। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, এ হচ্ছে নিতান্তই জরুরী পরিস্থিতির (Emergency time) ব্যাপার এবং জরুরী পরিস্থিতি হচ্ছে বিশেষ extraordinary situation) আর বিশেষ পরিস্থিতি যেমস সাধারণ পরিস্থিত নয়, তেমনি বিশেষ পরিস্থিতি যা কিছু সঙ্গত, যা করতে মানুষ বাধ্য হয়, না করে উপায় থাকে না, তা সাধারণ পরিস্থিতিতে করা কিংবা তা করার জন্যে আবদার করা কিছুতেই সঙ্গত হতে পারে না, যুক্তিসঙ্গত হতে পারে না।
উপরোক্ত ঐতিহাসিক দলীল থেকে একথা প্রমাণিত হয় যে, যুদ্ধ সংক্রান্ত ব্যাপারে মুসলিম মহিলারা যোগদান করেছেন, যুদ্ধের ময়দানে তারা আলাদাভাবে পুরুষদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করেছেন। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই তারা পুরুষদের সঙ্গে দুধে-কলায় মিশে একাকার হওয়ার মতো অবস্থায় পড়েনি, পড়তে রাজি হন নি। তাঁরা রোগী ও আহতদের সেবা-শুশ্রূষা করেছেণ, ক্ষতস্থানে মলম লাগিয়েছেন, ব্যান্ডেজ বেঁধেছেন আর এসবই তারা করেছেন যুদ্ধের সময়, যুদ্ধের ময়দানে, নিতান্ত জরুরী পরিস্থিতিতে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে সকল কালের মুসলিম মহিলাদের পক্ষে যে বিশেষ ধরনের কাজ করা সঙ্গত, আজও এ নিয়মে কোনোরূপ রদবদল করার প্রয়োজন নেই, কোনো দিনই সে প্রয়োজন দেখা দেবে না, কেউ সে কাজ করতে নিষেধও করবে না। কিন্তু এ সময়ের দোহাই দিয়ে সাধারণভাবে মেয়েদেরকে রাজনীতিতে ও রাষ্ট্রীয় তথা সামাজিক জটিল ব্যাপারাদিতে টেনে আনতে চেষ্টা করলে তা যেমন অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি হয়ে যায়, তেমনি তার পরিণামও কখনো শুভ হতে পারে না।
আমরা এও জানি, ইসলামের প্রথম পর্যায়ে মেয়েরাও পুরুষদের ন্যায় বিরাট কুরবানী দিয়েছেন। দৈহিক, মানসিক ও আর্থিক ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যার কোনো তুলনা হয় না। তাঁরা মেয়ে মহলে ইসলাম প্রচারের কাজও করেছেন, এখনো করবেন –করতে কোনোই বাধা নেই; বরং এজন্যে দেয়া নির্দেশ চিরদিনই বহাল থাকবে। কিন্তু তাইবলে তাদের প্রকাশ্য রাজনীতির ময়দানে টেনে আনা, রাজনৈতিক আন্দোলন ও কর্ম তৎপরতায় শরীক করা কিছুতেই সমীচীন হতে পারে না। কেননা তা করতে গেলে তাদের দ্বারা পারিবারিক জীবনের গুরুদায়িত্ব পালন সম্ভব হবে না। আর মেয়েদের বৃহত্তম দায়িত্ব হচ্ছে পারিবারিক দায়িত্ব পালন। যে কাজে তা যথাযথভাবে পালন করা নিশ্চিতভাবে বিঘ্নিত হবে, তা করতে যাওয়া নারী জাতির নারীত্বেরই চরম অবমাননা, সন্দেহ নেই।
রাসূলের যামানায় মেয়েরাও ঈদের জামা’আতে শরীক হয়েছে, রাসূলে করীমের ওয়ায-নসীহত শোনবার জন্যে উপস্থিত হয়েছে, -এখনো এ কাজ হতে পারে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রেই মেয়েরা যেমন পুরুষদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা রয়েছে, তেমনি পর্দা ব্যাহত হতে পারে –এমনভাবে আজো করা চলবে না।
যুদ্ধের ময়দানে মেয়েরা গিয়েছে, নার্সিং, সেবা-শুশ্রূষার কাজ করেছে, ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ বেঁধেছে, কিন্তু প্রত্যেক মেয়েই করেছে তার নিজস্ব মুহাররম পুরুষের। আর ভিন পুরুষের মধ্যেও তা করে থাকলে তাতে তার পর্দার হুকুম অমান্য হতে দেয়নি। আল্লামা নববী লিখেছেনঃ
(আরবী)
মেয়েদের এ ঔষধ খাওয়ানো বা লাগানোর কাজ হতো তাদের মুহাররম পুরুষদের জন্যে –তাদের স্বামীদের জন্যে। এদের ছাড়া আর কারো জন্যে তা করা হলে তা স্পর্শকে এড়েয় চলা হয়েছে। আর স্পর্শ করতে হলেও নিতান্ত প্রয়োজনীয় স্থানে করা হয়েছে।
একথাও ইতিহাস প্রসিদ্ধ যে, উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা (রা) ‘জামাল’ যুদ্ধে এক পক্ষের নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু এ সম্পর্কে প্রথম কথা এই যে, তিনি তা করেছেন উষ্টের পৃষ্টে ‘হাওদাজের’ মধ্যে বসে পর্দার অন্তরালে থেকে। প্রকাশ্যভাবে পুরুষদের সামনে তিনি বের হন নি, তাদের সঙ্গে তিনি খোলামেলাভাবে মিলিতও হন নি।
দ্বিতীয়ত তিনি যা কিছু করেছিলেন, পরবর্তী জীবনে তিনি নিজেই সে সম্পর্কে গভীরভাবে অনুতাপ করেছেন। কেননা প্রথম নারী আর দ্বিতীয়ত রাসূলের বেগম হিসেবে তাঁর ঘর ছেড়ে যুদ্ধের ময়দানে বের হয়ে পড়া সঙ্গত ছিল না। এজন্যে তিনি আল্লাহর কাছে দোষ স্কীকার করে তওবাও করেছেন।
কাজেই তাঁর এ কাজকে একটি প্রমাণ বা দলীল হিসেবে পেশ করা যেতে পারে না এবং এর ভিত্তিতে বলা যেতে পারে না যে, মেয়েরাও রাজনীতি ও রাষ্ট্রীয় ঝামেলায় ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। কেননা এ হচ্ছে একটি দুর্ঘটনা, একটি ভুল –ভুলবশত করা একটি কাজ। আর তা থেকে কখনো সাধারন নীতি প্রতিষ্ঠিত করা যেতে পারে না।
ইসলাম ও মুসলিম জাতির ইতিহাসে এমন সব অধ্যায়ও অতিবাহিত হয়েছে, যখন মেয়েলোক কোনো রাষ্ট্রের কর্ত্রী হয়ে বসেছেন। এঁদের অনেকে আবার তাদের স্বামীদের ওপর প্রভাব ব্সিতার করে রাজ্য শাসনের কর্তৃত্ব দখল করেছে। শিজরাতুল-দূর ও হারুন-অর রশীদের স্ত্রী জুবায়দার নাম এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যেতে পারে।
কিন্তু এসবও নিতান্তই আকস্মিক ও অসাধারণ ব্যাপার, সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম বিশেষ। তাদের এ কাজ ইসলামী শরীয়তের দলীল হতে পারে না। কেননা প্রথমত স্বামীর ওপর প্রভাবের ফলেই তা হওয়া সম্ভব হয়েছিল, সরাসরি রাজনীতিতে অংশ গ্রহণের ফলে নয়। অথচ আজকের দিনের রাজীনতে তারা প্রত্যক্ষভাবে অংশ গ্রহণ করছে। দ্বিতীয়ত কোনো মুসলিমের শরীয়ত বিরোধী কাজের অনুসরণ করতে মুসলমানরা বাধ্য নন।
এ আলোচনার ফলে এ কথাই প্রমাণিত হলো যে, মুসলিম মহিলাদের রাজনীতিতে কার্যত অংশ গ্রহণ সঙ্গত নয়, সমীচীন নয়। নয় বলেই অতীত ইতিহাসে মেয়েদেরকে রাজনীতির ঝামেলা-জটিলতা পড়তে দেখা যায়নি। কিন্তু কেন? ইসলাম নারীদের মর্যাদা উন্নত করেছে, পুরুষদের দাসত্ববৃত্তি থেকে তাদের চিরদিনের তরে মুক্তি দিয়েছে। তা সত্ত্বেও এরূপ হওয়ার কারণ কি?
ইসলাম মহিলাদের হারানো সব অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে, উপযুক্ত মানবীয় মর্যাদা দিয়ে তাদের সুপ্রতিষ্টিত করেছে সমাজের ওপর, পুরুষের সমান মৌলিক অধিকার দিয়েছে –এ সবই সত্য; কিন্তু এতদসত্ত্বেও ইসলামী রাজনীতির ঝামেলা-সংকুল জটিলতা থেকে মহিলাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে রাখাতেই নিজেদের, জাতির এবং গোটা মানব সমাজের কল্যাণ মনে করেছে। এ কারণেই তাদের ওপর অর্থোপার্জনের দায়িত্ব চাপানো হয়নি, বরং তা পিতা, ভাই, স্বামী, পুত্র ও নিকটাত্মীয় মুরব্বী গার্জিয়ানের উপর অর্পন করা হয়েছে। যদিও ক্রয়-বিক্রয় ও কামাই-রোজগার করার যোগ্যতা সম্পূর্ণভাবে তাদের রয়েছে এবং কাজ হিসেবে এগুলো কোনো অন্যায় বা নাজায়েয কিছু নয়, তবুও মেয়েদেরকে এসব ব্যাপারের দায়িত্ব দিয়ে পারিবারিক জীবনের শান্তি-শৃঙ্খলা, পবিত্র-সমৃদ্ধি বিনষ্ট করতে ইসলাম রাজি নয়। নারী পিতা ও ভাইয়ের আশ্রয়ে লালিতা-পালিতা হবে এবং স্বামীর ঘর করার জন্যে তৈরী হবে দেহ ও মনে। বিয়ের পর সে হবে স্বামীর ঘরের রাণী, কর্ত্রী, সন্তানের স্নেহের পাত্রী, আদরের ধন। আর স্বামীর ঘরের সে দয়ার পাত্রী নয় কারো। সে পালন করবে তার নিজের দায়িত্ব আর স্বামী পালন করবে তার নিজের দায়িত্ব। সে আদায় করবে স্বামীর অধিকার। ফলে তা মনিবী আর দাসত্বের ব্যাপার হয় না, হয় দুই সমান সত্তার পারস্পরিক অধিকার আদায়ের অংশীদারিত্ব। নারীর অর্থনৈতিক মুক্তিও এখানেই নিহিত। ঘর ত্যাগ করে বাইরে বের হয়ে অপর কারো কাছে চাকরি-বাকরি করে নির্দিষ্ট পরিমাণে কিছু টাকা মাসান্তর নিজ হাতে পাওয়াই নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি সাধিত হতে পারে না। নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তি বলতে যাঁরা এটাকে মনে করেন তাঁরা নারী হলে কঠিনভাবে বিভ্রান্ত ও প্রতারিত এবং পুরুষ হলে তারা মস্তবড় প্রতারক।
ইসলাম নারীদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার হরণ করেনি। তা না করেই তার মর্যাদাকে উন্নত করেছে, তার সামাজিক মান-সম্ভ্রমকে রক্সা করেছে। কিন্তু পুরুষরা যেসব কাজ করে ও যেখানে যেখানে করে সেখানে সেখানে ও সে সব কাজে যোগ দিয়ে নারীকে ঘরবাড়ি ছেড়ে দিতে বাধ্য করেনি। রাজনৈতিক অধিকার দেয়া হয়েছে, কিন্তু সে অধিকার আদায় ও ভোগ করতে গিয়ে পারিবারিক দায়িত্বে অবহেলা জানাবার অধিকার দেয়া হয়নি। তাদের রাজনীতির নেত্রী, রাষ্ট্রের কর্ত্রী আর রাজনৈতিক কর্মী হওয়ার পরিবর্তে কন্যা, বোন, স্ত্রী ও মা হওয়াই যে তাদের জীবনের কল্যাণ ও সার্থকতা নিহিত –একথা উপলব্ধি করার জন্যে ইসলাম তাদের প্রতি তাগিত জানিয়েছেন। আর তাই হচ্ছে চিরদিতের তরে বিশ্ব মুসলিম মহিলাদের অনুসরণীয় আদর্শ। তা সত্ত্বেও তারা মাতৃভূমির রাজনীতি –রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে অনবহিত ও উদাসীন হয়ে থাকবে, সে ব্যঅপারে তাদের কোনো সচেতনতাও থাকবে না, এমন কথা কিন্তু ইসলাম বলেনি। রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে মত জানাবার সাধারণ সুযোগকালে তাকেও স্বীয় মত জানাতে হবে। তাতে কোনোই সন্দেহ নেই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/505/110
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।