hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

পরিবার ও পারিবারিক জীবন

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (র.)

১৩৭
তিন তালাকের পরিণতি
এক, দুই ও তিন তালাক হয়ে যাওয়ার পর স্বামী ও স্ত্রী পরস্পরের জন্যে চিরতরে হারাম হয়ে যায়। অতঃপর এতদুভয়ের পুনরায় স্বামী স্ত্রী হিসেবে মিলিত হওয়ার কোনো অবকাশ নেই। এ সময় অবস্থা দাঁড়ায় এরূপ যে, স্বামী সেই স্ত্রীর নয় এবং স্ত্রী সেই স্বামীর স্ত্রী নয়। যারা ছিল পরস্পরের জন্যে সম্পূর্ণ হালাল, তালাক সংঘটিত হওয়ার পর তারাই পরস্পরের জন্যে হারাম হয়ে গেছে। এ হারাম হওয়ার কথা কুরআন মজীদের সূরা আল-বাকারার ২৩০ আয়াতের প্রথমাংশ থেকেই প্রমাণিত হয়। তা হলঃ

(আরবী)

স্বামী যদি স্ত্রীকে তৃতীয় তালাকও দিয়ে দেয়, তাহলে অতঃপর সেই স্তী তার জন্যে হালাল হবে না।

তৃতীয়বার তালাক দানে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে চূড়ান্তভাবে বিচ্ছেদ ঘটে যায় এবং তারা পরস্পরের জন্যে হারাম হয়ে যায়। এরূপ ঘটানোর মূলে একটি বিশেষ মানসিক কারণ নিহিত হয়েছে। কেননা এ তৃতীয়বারের তালাকেও যদি তালাক সংঘটিত না হতো, যদি একজন অন্য জনের হারাম হয়ে না যেত, তাহলে দুনিয়ার স্বামীরা স্ত্রীদের বৈবাহিক জীবন নিয়ে মারাত্মক ছিনিমিনি খেলবার সুযোগ পেত। স্ত্রীকে স্ত্রী হিসেবে তার পাওনা অধিকার দিত না অথচ সে তার কাছ থেকে মুক্তি লাভ করতে পারলে অন্যত্র বিবাহিত হয়ে সুখী দাম্পত্য জীবন যাপনের সুযোগ লাভ করতে পারত। সে কারণে ইসলামী শরীয়তে এ মুক্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যথায় অবস্থা দাঁড়াত এই যে, একবার একজনের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক হলে জীবনে কোনো দিনই তার বন্ধন থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া সম্ভব হতো না। ফলে পূর্ণ স্ত্রীত্বের অধিকারও যেমন তার কাছে পেত না, তেমনি তার কাছ থেকে চলে গিয়ে অপর একজনকে স্বামীত্বে বরণ করে নিয়ে সুখী দাম্পত্য জীবন যাপন করাও সম্ভব হতো না।

ইসলামের ব্যবস্থা হচ্ছে, তিনবার তালাক হওয়ার পর এ স্বামী স্ত্রী পরস্পরের জন্যে চিরদিতের তরে হারাম হয়ে গেল। কিন্তু এতদুভয়ের যদি আবার স্বামী স্ত্রী হিসেবে একত্রিত হতে হয়, তাহলে স্ত্রী লোকটির অপর একজন স্বামী গ্রহণ করতে হবে এবং স্বাভাবিক নিয়মে তার কাছে থেকে মুক্তি পেতে হবে, অন্যথায় তা কখনো হালাল হবে না।

তৃতীয়বারের তালাক সংঘটিত হওয়ার পর স্বামী স্ত্রীর পুনর্মিলনের জন্যে কুরআন মজীদে যে অপর এক ব্যক্তির সাথে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক স্থাপন ওতার কাছ শেতে তালাক লাভের শর্ত করা হয়েছে, তার মধ্যেও এমন মনস্তাত্ত্বিক কারণ রয়েছে, যা প্রত্যেক স্বামীকে চূড়ান্তভাবে তালাক দানের উদ্যম থেকে বিরত রাখে। কেননা অপর কোনো স্বামী কর্তৃক ব্যবহৃত হয়ে এলে তাকে প্রথম স্বামীর পক্ষে পুনরায় স্ত্রী হিসেবে খুশী মনে গ্রহণ করা বড়ই কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এ কারণে সব স্বামীই নিজ স্ত্রীকে তিন তালাক দিতে খুম কমই রাজি হবে।

তালাক সম্পর্কিত এ আলোচনা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, ইসলামের দৃষ্টিতে পারিবারিক জীবন অত্যন্ত মহান ও সম্মানার্হ। জীবনে যাতে করে কোনো প্রকার বিপর্যয় দেখা দিতে না পারে, তার জন্যে সম্ভাব্য সবরকমের ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়েছে। অতএব বলা যায়, ইসলামের তালাক ব্যবস্থা পারিবারিক জীবনের রক্ষাকবচ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন