hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

পরিবার ও পারিবারিক জীবন

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (র.)

৮০
পারিবারিক জীবনের সংস্থা
উপরের বিস্তারিত আলোচনা থেকে ইসলামের পারিবারিক সংস্থার কাঠামো ও ধরন-প্রকৃতি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধাণা সহজেই করা যেতে পারে। নারীর স্বাভাবিক দুর্বলতা, নানাবিধ দৈহিক অসুবিধা এবং পুরুষের তুলনায় তার দৈহিক ও মানসিক অসম্পূর্ণতার কারনে ইসলাম স্ত্রী-পুরুষের পারস্পরিক জীবনে পুরুষের প্রাধান্য ও নেতৃত্ব স্বীকার করে নিয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর সমষ্টিগত জীবনের প্রধান কিংবা পারিবারিক জীবনের চেয়ারম্যান –পরিচালক ও নেতা হচ্ছে পুরুষ-স্ত্রী নয়। কেনান পারিবারিক ও দাম্পত্য জীবনে যে কোনো প্রতিকূলতা, অসুবিধা, বিপদ-মুসিবদ আসতে পারে কিংবা সাধারণত এসেথাকে, তার মুকাবিলা করার এবং এ সমস্যার ও জটিলতার সমাধান করার উপযুক্ত ক্ষশতা ও যোগ্যতা পুরুষেরই রয়েছে। সাধারণত সে ক্ষমতা স্ত্রীলোকের হয় না। অন্তত পুরুষের সঙ্গে তুলনামূলক বিচারে স্ত্রীলোকদের সে ক্ষমতা স্ত্রীলোকের হয় না। অন্তত পুরুষের সঙ্গে তুলনামূলক বিচারে অনস্বীকার্য। ঠিক এ কারণেই পরিবার পুরুষের নেতৃত্বে চলবে। আল্লাহ তা’আলা কুরআন মজীদে একথাই বলেছেন নিম্নোক্ত আয়াতেঃ

(আরবী)

স্বামীগণ হচ্ছে তাদের স্ত্রীদের পরিচালক, সংরক্ষক, শাসনকর্তা এ কারণে যে, আল্লাহ তা’আলা তাদের পরস্পরকে পরস্পরের ওপর অধিক মর্যাদাবান করেছেন এবং এজন্যে যে, পুরুষ তাদের ধনমাল খরচ করে।

কুরআনের শব্দ (আরবী) –এর মানে হচ্ছে (আরবী) শাসক, সংরক্ষক, নেতা, কর্তা, যাবতীয় বিষয় ও ব্যাপারের সম্পাদনকারী ও পর্যবেক্ষক। ইবনুল আরাবী এ আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেছেনঃ

(আরবী)

স্বামী ‘কাওয়াম’-এর অর্থ হচ্ছে স্বামী স্ত্রীর আমানতদার রক্ষণাবেক্ষণকারী, তার যাবতীয় কাজের দায়িত্বশীল, কর্তা এবং তার অবস্থার সংশোধনকারী ও কল্যাণ বিধানকারী।

ইবনুল আরাবী সূরা আল-বাকারার আয়াতাংশঃ (আরবী) উল্লেখ করে লিখেছেনঃ

(আরবী)

পুরুষের অধিক মর্যাদা হচ্ছে নেতৃত্বের অধিকারেরকারণে। স্ত্রীকে মহরানা দান, যাবতীয় ব্যয়ভার বহন, তার সাথে গভীর মিলমিশ সহকারে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করা, তাকে সব অপকার থেকে রক্ষা, আল্লাহর আনুগত্যের জন্যে আদেশ করা এবং নামায-রোযা ইত্যাদি ইসলামের মৌলিক অনুষ্ঠানাদি পালনের জন্যে তাগিদ করার কাজ স্বামীই করে থাকে –করা কর্তব্য। আর তার বিনিময়ে স্ত্রীর কর্তব্য হচ্ছে স্বামীর ধনমালের হেফাযত করা, স্বামীর পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা এবং আত্মসংরক্ষণমূলক যাবতীয় কাজে-কর্মে স্বামীর আদেশ পালন করে চলা –স্বামীর বিনানুতমিতে তার কোনোটাই ভঙ্গ না করা।

উপরোক্ত আয়াত সম্পর্কে ইবনুল আরাবীর মোটামুটি বক্তব্য হচ্ছে এইঃ

(আরবী)

আয়াতের অর্থ হচ্ছেঃ আমি স্ত্রীর ওপর পুরুষের নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব দিয়েছি তার ওপর তার স্বাভাবিক মর্যাদার কারণে। তিনটি বিষয়ে পুরুষ স্ত্রীর চেয়ে অধিক মর্যাদাবান। প্রথম, জ্ঞান-বুদ্ধি ও বিচার-বিবেচনায় পূর্ণত্ব লাভ; দ্বিতীয়, দ্বীন পালন ও জিহাদের আদেশ পালনের পূর্ণতা এবং তৃতীয় সাধারণভাবে ভালো কাজের আদেশ করা ও মন্দ কাজের নিষেধ করা –(এসব পুরুষের দায়িত্ব এবং এ দায়িত্ব পুরামাত্রায় পুরুষের ওপরই বর্তে।)

সহজ কথায় বলা যায়, সাধারণ জ্ঞান-বুদ্ধি, বিচক্ষণা, কর্মশক্তি, দুর্ধর্ষতা, সাহসিকতা, বীরত্ব, তিতিক্ষা ও সহ্যশক্তি স্ত্রীলোকদের অপেক্ষা পুরুষদের বেশি। আর পারিবারিক জীবনে অর্থোপার্জন ও শ্রম পুরুষই করে থাকে। স্ত্রীকে মহরানা পুরুষই দেয়; স্ত্রীর ও সন্তান-সন্ততির খোরাক-পোশাক ও যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিস পুরুষই সংগ্রহ করে থাকে। এজন্যে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক দাম্পত্য জীবনের প্রধান কর্তা, পরিচালক ও চেয়ারম্যান পুরুষকেই বানানো হয়েছে! কিন্তু এর অন্তর্নিহিত কারণ কি?

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন