hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

পরিবার ও পারিবারিক জীবন

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (র.)

১০৬
মেয়েদের হজ্জ যাত্রা ও বিদেশ সফর
মেয়েদের পর্দার ব্যাপারে ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে উপরে যে আলোচনা পেশ করা হয়েছে, তা থেকে স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে, কোনো গায়র-মুহাররম পুরুষের সাথে নিবিড় একাকীত্বে মিলিত হওয়া কোনো মেয়েলোকের পক্ষেই জায়েয নয়। এ পর্যায়ে প্রশ্ন ওঠে –কোন মেয়েলোকের ওপর যদি হজ্জ ফরয হয়, আর তার স্বামী বা এমন কোনো মুহাররম পুরুষও না থাকে যে তাকে সঙ্গে করে হজ্জ সফরে নিয়ে যেতে পারে, তাহলে তখন সে কি করবে?

আল্লামা আহমাদুল বান্নার বিশ্লেষণ এই যে, এ সম্পর্কে যত হাদীসই পাওয়া যায়, তা সবই একসঙ্গে প্রমাণ করে যে, মুহাররম সাথী ছাড়া মেয়েলোকের বিদেশ সফর আদৌ জায়েয নয়। তা হজ্জের সফরেই হোক আর অন্য কিছুর।

ইবনে দকীকুল রীদ বলেছেনঃ বিষয়টিকে দুটো পরস্পর বিরোধী সাধারণ নীতির পরিপ্রেক্ষিতে বিচার করতে হবে। একদিকে আল্লাহ বলেছেনঃ

(আরবী)))))))

আল্লাহরই জন্যে আল্লাহর ঘরের হজ্জ করা এমন প্রত্যেক ব্যক্তির ওপরই কর্তব্য, যার সে পর্যন্ত পৌঁছবার সামর্থ্য রয়েছে।

এ সাধারণ নির্দেশ পুরুষদের সঙ্গে সঙ্গে সামর্থ্যবতী মেয়েলোকদের ওপরও প্রযোজ্য। যে মেয়েলোকের মক্কা গমনের সামর্থ্য রয়েছে, তাকেই হজ্জ করতে হবে –ফরয।

অপরদিকে নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ

(আরবী)

মেয়েলোক আদৌ বিদেশ সফর করবে না –তবে কোনো মুহাররম পুরুষকে সঙ্গে নিয়ে করতে পারে।

এ কথাটি সব রকমের সফর প্রসঙ্গেই প্রযোজ্য, অতএব কোনো মেয়েলোকই মুহাররম পুরুষ সাথী ছাড়া আদৌ কোনো সফর করবে না, তা হজ্জের সফরই হোক না কেন।

এক্ষণে এ দুটি সাধারণ নীতির একটিকে অপরটির ওপর অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং সেই অগ্রাধিকার দানের কারণ বাইরে থেকে নিতে হবে।

ইমাম শাওকানী লিখেছেনঃ এ পর্যায়ের হাদীসসমূহ কুরআনের উক্ত আয়াতের সাথে মোটেই সাংঘর্ষিক নয়। কেননা আয়াতে হজ্জ ফরয হওয়ার জন্যে যে সামর্থ্যের শর্ত আরোপ করা হয়েছে মেয়েদের ক্ষেত্রে একজন মুহাররম সাথী লাভ সেই শর্তেরই অন্তর্ভুক্ত। অতএব যার মুহাররম সাথী জুটছে না, হজ্জ ফরয হওয়ার শর্তও সেখানে পুরামাত্রায় পূরণ হচ্ছে না। কাজেই আয়াত ও হাদীসের মাঝে কোনো বৈপরীত্য নেই।

এ কারণেই ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল বলেছেনঃ

(আরবী)

মুহাররম পুরুষ সাথী না পেলে মেয়েলোকের ওপর হজ্জই ওয়াজিব হয় না।

ইমাম মালিক অবশ্য ফরয সফর আদায় করার ব্যাপারে মুহাররম সাথী পাওয়াকে শর্ত হিসাবে গণ্য করতে রাজি নন। ইমাম শাফেয়ী ফরয হজ্জের সফরকে সাধারণ প্রয়োজনের সফর থেকে আলাদা করে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছেন। এর জবাবে বলা হয়েছে যে, সাধারণ প্রয়োজনের সফর সম্পর্কেই এ সর্ববাদীসম্মত মত যে, তা মুহাররম সাথী ছাড়া করা জায়েয নয়। অতএব ইখতিয়ারী ও ইচ্ছাকৃত সফরককে এর সমতুল্য মনে করা যেতে পারে না।

দারেকুতনী বর্ণিত এ পর্যায়ের একটি হাদীসের বিশেষ অংশ হচ্ছেঃ

(আরবী)

স্বামীর সঙ্গে ছাড়া কোনো মেয়েলোকই কখখনোই হজ্জ পালন করতে পারে না।

আবূ আমামা রাসূলে করীম (ﷺ)-এর নিম্নোক্ত বাণী বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেনঃ

(আরবী)

এবং মেয়েলোক স্বামীকে সঙ্গী না বানিয়ে একাকী তিন দিনের দূরত্বের পথে সফর করবে না এবং হজ্জ করতেও যাবে না।

এসব হাদীস সামনে রাখলে হজ্জের সফরকে অন্যান্য সাধারণ সফর থেকে আলাদা করে বিবেচনা করা চলে না।

ইমাম আবূ হানীফা, নখয়ী ও ইসহাক ইবনে রাওয়া প্রশ্ন তুলেছেনঃ

(আরবী)

মেয়েদের হজ্জ সফর প্রসঙ্গে মুহাররম সাথী হওয়া কি হজ্জ ফরয হওয়ার জন্যে শর্ত, না হজ্জ আদায় করার জন্যে? (আর এ দুটির মধ্যে বিশেষ পার্থক্য বিদ্যমান।)

কেউ কেউ বলেছেনঃ মুহাররম সাথী হওয়ার শর্ত কেবল যুবতী মেয়েদের জন্যে, বৃদ্ধাদের জন্যে তা শর্ত নয়। কেননা বৃদ্ধাদের প্রতি কারোরই কোনো আগ্রহ হওয়ার কথা নয়।

রাসূলে করীম (ﷺ) এক ব্যক্তিকে বললেনঃ

(আরবী)

তুমি ফিরে যাও এবং তোমার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে হজ্জ করতে চলে যাও।

হাফেয ইবনে হাজার আসকালানী এ হাদীসের ব্যাখ্যায় লিখেছেনঃ

এ হাদীসের বাহ্যিক অর্থের ভিত্তিতে কেউ কেউ মনে করেন যে, স্ত্রীর ওপর হজ্জ ফরয হলে এবং তার সঙ্গে যাওয়ার জন্যে অপর কোনো মুহাররম পুরুষ যদি না পাওয়া যায়, তাহলে স্বামীকেই তার সঙ্গে যেতে হবে –যাওয়া স্বামীর পক্ষে ওয়াজিব। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল এবং ইমাম শাফেয়ীরও এই মত। আর স্বামী ছাড়া অপর কোনো মুহাররম পুরুষের সাথে স্ত্রী যদি হজ্জে গমন করতে চায়, তাহলে তাকে যেতে না দেয়া স্বামীর অধিকার নেই। (আরবী)

উপরের আলোচনার ভিত্তিতে অতি সহজেই চিন্তা করা যায় যে, হজ্জের মতো একটি ফরয আদায়ের সফর সম্পর্কে যখন এতদূর কড়াকড়ি ইসলামে রয়েছে, তখন প্রমাদ সফর, শিক্ষা সফর, সাংস্কৃতিক দৌত্যের সফর ইত্যাদি সম্পর্কে ইসলামের বিধান কি হতে পারে। ছাত্রী, শিল্পী, শিক্ষয়িত্রী কিংবা রাষ্ট্রদূত –যিনিই হোন না কেন, কারো পক্ষেই স্বামী কিংবা কোনো মুহাররম পুরুষ সঙ্গী ছাড়া বিদেশ সফর আদৌ জায়েয নয় –হতে পারে না, সে সফর উচ্চশিক্ষার জন্যে হোক, উচ্চতর ট্রেনিং-এর জন্যে হোক, সাংস্কৃতিক চুক্তির ভিত্তিতে হোক আর রাষ্ট্রীয় দৌত্যের জন্যে হোক, তার মধ্যে কোনো পার্থক্য করা যায় না এবং কোনো সফরই জায়েয নয়, একথা বলাই বাহুল্য।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন