hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

পরিবার ও পারিবারিক জীবন

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (র.)

১৪৫
উপসংহার : পারিবারিক জীবনের পুনর্গঠন
পরিবার ও পারিবারি জীকন সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ দলীল-প্রমাণ ও যুক্তি সহকারে আমরা বিস্তারিত আলোচনা পেশ করেছি। নিরপেক্ষ ও আনুগত্যপ্রবণ মনোভাব নিয়ে তা বিচার করলে যে কোনো লোক এর তাৎপর্য, বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্য-মাহাত্ম অনুধাবন করতে পারবনে এবং যদি কেউ তা বাস্তব জীবনে অনুশীলত করে চলেন তাহলে পারিবারিক জীবন যে উন্নত মানের অখণ্ড মাধুর্য, পবিত্রতা ও স্থিতি সহকারে যাপন করা সম্ভব হবে, তাতে কোনো সন্দেহ থাকতে পারে না। এ গ্রন্থ রচনার মূলে গ্রন্থকারের একমাত্র আন্তরিক উদ্দেশ্য এই যে, মুসলমানদের বর্তমান পারিবারিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন সুচিত হোক এবং ইসলামের মহান আদর্শে পুনর্গঠিত হয়ে আল্লাহর অফুরন্ত রহমতের অধিকারী হোক।

বস্তুত বর্তমান সময় মুসলমানদের পারিবারিক জীবন ইসলামী আদর্শের অনুসারী নয়। কোথাও তা পুরাপুরিভাবে পরিত্যক্ত হয়েছে এবং গোটা পরিবারই ইসলামের সম্পূর্ণ বিপরীত আদর্শ ও নিয়মনীতি অনুসরণ করে চলেছে। আর কোথাও সম্পূর্ণ না হলেও ইসলামের অনেক নীতিই অনুসৃত ও প্রতিপালিত হচ্ছে না। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, একদিকে ইসলামের পারিবারিক আদর্শ সম্পর্কে চরম অজ্ঞতাজনিত রক্ষণশীলতা এবং অপরদিকে পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রচণ্ড আঘাতে উৎক্ষিপ্ত অত্যাধুনিকতা আজ মুসলিম সমাজের পরিবার ও পারিবারিক জীবনকে এক মহা বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে। আজ মুসলিম পরিবারে ইসলামের সম্পূর্ণ বিরোধী আদর্শের জীবন-যাত্রার প্রবর্তন হচ্ছে। পর্দা প্রায় সম্পূর্ণরূপৈ পরিত্যক্ত হয়েছে, চরেছে যুবক-যুবতীদের অবাধ মেলা-মেশা ও প্রেম-ভালোবাসার অভিনয়। নাচ ও গানের অনুষ্ঠান আজ জাতীয় সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণোদ্যবে চলছে সহশিক্ষা। যুবতী নারী আজ ঘর সংসারের ক্ষুদ্র পরিবেশ ডিঙ্গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের নানা কাজের বিশাল উন্মুক্ত ময়দানে –নাট্যমঞ্চে, ক্লাবে-পার্টিতে, সভা-সমিতির টেবিলে। বেতার যন্ত্রে ও ছায়া-যন্ত্রের কেন্দ্রস্থলে অবাধ সংমিশ্রণের প্লাবন ছুটছে। নারী সমাজের কণ্ঠে আজ ধ্বনিত হচ্ছেঃ ‘রইব না আর বন্ধ ঘরে দেখব এবার জগৎটাকে’। ফলে পারিবারিক জীবনের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট হচ্ছে, শুদ্ধতা ও পবিত্রতা বিঘ্নিত হচ্ছে। দাম্পত্য জীবনে শুরু হয়েছে মহাভাঙ্গনের তরঙ্গাভিঘাত। মহাপ্রলয়ের প্রচণ্ডতায় পারিবারিক জীবনের সব মাধুর্য-কোমলতা চূর্ণ-বিচূর্ণ। শিশু সন্তান মায়ের স্নেহবাৎসল্যপূর্ণ ক্রোড় থেকে বঞ্চিত হয়ে লালিত-পালিত হচ্ছে ধাত্রী আর চাকর-চাকরাণীর অনুশাসনে। বিগত শতকের শুরুতে পাশ্চাত্য সমাজে যে নগ্নতা, অশ্লীলতা ও বিপর্যয়ের প্লাবন এসেছিল এবং চুরমার করে দিয়েছিল সেখানকার পরিবার ও পারিবারিক জীবন, ঠিক সেই প্লাবনই এসে দেখা দিয়েছে আমাদের এই সমাজে। এ কারণে ঠিক যে পরিণতি সেখানে ঘটেছিল, আমাদের সমাজেও ঠিক তাই ঘটতে শুরু হয়ে গেছে প্রচণ্ড আকারে। আমাদের দেশেও বর্তমানে গর্ভনিরোধ ও বন্ধাকরণের পাশ্চাত্য রীতিনীতির অন্ধ অনুকরনের হিড়িক পড়ে গেছে। এতে অজান্তে সমাজদেহে পাপ জিবানু সংক্রমিত হয়ে এ আঘাতকে প্রচণ্ডতম ও সর্বগ্রাসী করে তুলেছে। তাই জ্বেনা ব্যভিচার আজ এ সমাজের দিন-রাতের অতি সাধারণ ঘটনা। অবৈধ সন্তানের চিৎকার আজ ঘাটে-পথে, ঝোঁপে-ঝাড়ে, ড্রেনে-ডাস্টবিনে, বায়ুলোককে ভারাক্রান্ত করে তুলেছে। স্বামী-সংসার-সন্তান ছেড়ে স্ত্রীরা আজ ভিন-পুরুষের কাঁধে ভর দিয়ে মহাযাত্রায় মেতে উঠেছে। এক স্ত্রী রেখে বহু স্ত্রীর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন, স্ত্রীকে এক কথায় তালাক দিয়ে আবার তাকে লাভ করার জন্যে অবৈধ পন্থাবলম্বন কিংবা নতুন স্ত্রী গ্রহণ –এসব আজ অতি সাধারণ ঘটনা। এসব ঘটনা থেকে সুস্পষ্টরূপে প্রমাণিত হচ্ছে যে, বর্তমান মুসলিম সমাজ মোটেই ইসলামী নয়। আর ইসলামী নয় বলেই আজ আমাদের পরিবার মহাভাঙ্গনের মুখে পারিবারিক জীবন শান্তি ও সুখ থেকে বঞ্চিত। এ কারণে এখানকার মানুষ আজ কঠিন বিপর্যয়ের সম্মুখীন।

এরূপ অবস্থায় অনতিবিলিম্বে আমাদের পরিবার ও পারিবারিক জীবন পুনর্গঠনের জণ্যে সর্বাত্মক চেষ্টা না চালালে পারিবারিক জীবনকে চূড়ান্ত বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করার কোনো উপায়ই থাকবে না। আমরা চাচ্ছি, সমাজ ও পরিবারের কল্যাণকামী সব মানুষই এদেশের সমাজের পরিবার ও পারিবারিক জীবনের আদর্শভিত্তিক পুনর্গঠনের অতীব দায়িত্বপূর্ণ কাজে আত্মনিয়োগ করুন।

আমাদের পারিবারিক জীবনের বর্তমান বিপর্যয়ের কারণসমূহের পরিপ্রেক্ষিতে তার পুনর্গঠনের জন্যে অপরিহার্য পদক্ষেপগুলোর এখানে সংক্ষেপে উল্লেখ করা যাচ্ছে। এ ব্যবস্থাসমূহ গ্রহণের জন্যে সমাজের সুধী ও সরকারী দায়িত্বসম্পন্ন ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত ও সামগ্রিকভাবে চেষ্টা-প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

১. এ পর্যায়ে সর্বপ্রথম কাজ হলো, সাধারণভাবে সব নারী পুরুষের এবং বিশেষভাবে যুবক-যুবতীদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ আমূল পরিবর্তন করতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে, পাশ্চাত্যের বস্তুবাদী ও ভোগবাদী সমাজ ও পরিবার মুসলমানদের সমাজ ও পরিবারের জন্যে কোনো দিক দিয়েই আদর্শ ও অনুসরণীয় হতে পারে না। আমাদের আদর্শ হচ্ছে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (ﷺ)-এর গড়া ইসলামী সমাজ ও পরিবার ব্যবস্থা। ইউরোপীয় সমাজ ও পরিবারে রীতিনীতি শুধু পারিবারিক বিপর্যয়েরই সৃষ্টি করে না, মানুষকে পশুর চাইতেও নিকৃষ্ট চরিত্রের বানিয়ে দেয়। অতএব তাদের দেখাদেখি –তাদের অন্ধ অনুকরণ করে আমরা কিছুতেই পশুত্বের স্তরে নেমে যেতে পারিনে।

২. নারী ও পুরুসের দেখা-সাক্ষাত ও মেলামেশার একটা নীতি ও সীমা নির্দিষ্ট রয়েছে ইসলামে। পাশ্চাত্য সমাজে এক্ষেত্রে নেই কোনো বিধি-নিষেধ, কোনো সীমা-সরহদ। অতএব পাশ্চাত্য রীতিনীতির অনুসরণ না করে ইসলামের আদর্শকেই অনুসরণ করতে হবে আমাদের। মুহাররম নারী পুরুষ ছাড়া দেখা-সাক্ষাত ও অবাধ মেলামেশার কোনো সুযোগই যেন আমাদের সমাজে না থাকে, তার সুষ্ঠু ব্যবস্থা করতে হবে।

৩. ইসলামের দৃষ্টিতে আমাদের মেয়ে ও পুরুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য ভিন্ন ভিন্ন, অতএব তাদের কর্মক্ষেত্রও কখনো এক হতে পারে না, এক ও অভিন্ন হতে পারে না তাদের উচ্চশিক্ষার বিষয়বস্তু ও শিক্ষাঙ্গন। একই ক্লাসে-কক্ষে পাশাপাশি ও কাছাকাছি বসে পড়াশুনা, একই অফিস-কক্ষে সামনা-সামনি বা মুখোমুখি ও পাশাপাশি বসে কাজ করা যত শীঘ্র সম্ভব বন্ধ করতে হবে। নিম্ন শ্রেণী থেকে সর্বোচ্চ শ্রেণী পর্যন্ত মেয়েদের জন্যে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে হবে। আলাদা করতে হবে নারী ও পুরুষের শিক্ষাকেন্দ্র ও কর্মক্ষেত্র। নারী সমাজের প্রধান কর্মক্ষেত্র হতে হবে তার ঘর ও পরিবার। কেবলমাত্র প্রয়োজন কালেই মেয়েরা ঘর থেকে বের হবে। অকারণ ঘোরাফেরা করা, পথে-ঘাটে, পার্কে-লেকে, বাগানে-রেস্তোরাঁয়, ‘হাওয়া খেয়ে’ বেড়ানো, দোকানে-বাজারে শপিং করা এবং হোটেল-ক্লাবে, পার্টিতে দাওয়াতে মেয়েদের অবাধ যাতায়াত ও বিচরণ বন্ধ করতে হবে এবং নিতান্ত অপরিহার্য কাজগুলোর বিধিবদ্ধ ও নিয়মানুগ করতে হবে।

৪. সমাজে বেশি বয়স পর্যন্ত ছেলে ও মেয়ের অবিবাহিত থাকার বর্তমান রেওয়াজ পরিবর্তিত না হলে অনেক প্রকারের অন্যায়-অনাচারই বন্ধ করা যাবে না। তাই বিয়েকে শুধু সহজসাধ্যই নয়, উপযুক্ত বয়স হলে অবিলম্বে বিয়ে অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা আরোপ করতে হবে, সেজন্যে সামাজিক তাগিত এবং চাপও সৃষ্টি করতে হবে। এ কথায় কোনো সন্দেহ নেই যে, বিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত কি নৈতিক সামাজিক –কোনো প্রকারেরই দায়িত্ববোধ জাগতে পারে না ছেলে বা মেয়ের মধ্যে। তাই এ ব্যবস্থা কার্যকর হওয়া একান্তই অপরিহার্য। সেই সঙ্গে এক সাথে চারজন পর্যন্ত স্ত্রী গ্রহনের পথ নিয়ন্ত্রণ সহকারে ও শরীয়তের কড়া বাধ্যবাধকতার মধ্যে উন্মুক্ত রাখতে হবে। তাকে বন্ধ করা কিংবা অসম্ভব করে তোলা অথবা তার জন্যে ছলচাতুরীর আশ্রয় গ্রহণ করতে বাধ্য কা, অন্য কথা, ছলচাতুরীর সাহায্যেই একাধিক বিয়ের সুযোগ থাকা কিছুতেই উচিত হবে না।

৫. বিধবা নারীর পুনর্বিবাহের প্রচলন সাধারণ পর্যায়ে না হলেও সমাজের উচ্চ পর্যায়ে পরিত্যক্ত হতে যাচ্ছে। আর এর দরুন নৈতিক ও পারিবারিক দিক দিয়ে দেখা দিচ্ছে অনেক বিপর্যয় অথচ বিধবা বিয়ের বিধান ছিল বিশ্ব-নারী জাতির প্রতি ইসরামের এক বিশেষ অবদান। আজ তাকেই উপেক্ষা করা হচ্ছে। এক বা দুই সন্তানের যুবতী মা বিধবা কিংবা তালাকপ্রাপ্তা হলে পরে পুনরায় বিয়ে করতে রাজি না হওয়ার প্রবণতা বর্তমানে উচ্চ সমাজে প্রবল; বরং এ কাজকে ঘৃণ্য মনে করা হচ্ছে। এ ভাবধারার আমূল পরিবর্তন জরুরী।

৬. ইসলামী মূল্যবোধ ও মূল্যমানের ভিত্তিতে অপরিহার্য প্রয়োজনে বিয়ে ভেঙ্গে দেয়ার অনুমতি থাকা বাঞ্ছনীয়। অবস্থা যদি এমনই হয়ে দাঁড়ায় যে, স্ত্রী স্বামীর সাথে আর থাকতেই পারছে না, তখন হয় স্বামীকে আপনা থেকেই তাকে তালাক দিতে রাজি হতে হবে, না হয় স্ত্রী তার নিকট থেকে ‘খুলা’ তালাক গ্রহণ করবে অথবা আদালত বিয়ে ভেঙ্গে দেবে। একসঙ্গে তিন তালাক দিলে তার স্ত্রী তো ‘হারাম’ হয়ে যাবেই, সেই সঙ্গে পদ্ধতির বিপরীত পন্থায় তালাক দেয়ার কারণে তাকে কঠিন শাস্তিও দিতে হবে।

৭. নাচ ও গানের বর্তমান ধরনের অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হবে। যুবতী সুন্দরী মেয়েরা কামোন্মাত্ত ভিন পুরুষদের সামনে নিজেদের রূপ ও যৌবন সমৃদ্ধ যৌন আকর্ষণমূলকভাবে অঙ্গভঙ্গি দেখিয়ে নাচবে ও গাইবে –এ ব্যাপারটি কোনো পিতামাতারই বরদাশত হওয়া উচিত নয়, উচিত নয় দেশের সরকার ও শাসন কর্তৃপক্ষের তা বরদাশত হওয়া উচিত নয়, উচিত নয় দেশের সরকার ও শাসন কর্তৃপক্ষের তা বরদাশত করা। এ ধরনের কাজ আইনত বন্ধ করে দেয়া উচিত, অন্যতায় পরিবার হবে অশ্লীলতার কালিমায় পঙ্কিল, পারিবারিক জীবন হবে পর্যুদস্ত ও বিপর্যস্ত।

৮. সর্বোপরি জ্বেনা-ব্যভিচারের আড্ডাগুলো সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে। এজন্যে শরীয়তের শাস্তি পুরাপুরি কার্যকর করতে হবে। কোড়া ও প্রস্তর নিক্ষেপণে মৃত্যুদণ্ড দানের যে শরীয়তী বিদান রয়েছে তা যদি যথার্থভাবে কার্যকর হয় তাহলে সমান থেকে ব্যভিচার অবিলম্বে বন্ধ হয়ে যাবে। সমাজ হবে পরিচ্ছন্ন, পবিত্র, নিষ্কলুষ।

এসব হলো পরিবার ও পারিবারিক জীবনের পুনর্গঠনের জন্যে কার্যকর ব্যবস্থা। আর এসবের আগে প্রয়োজন হচ্ছে দ্বীন-ভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা ব্যবস্থাকে দেশের জাতীয় শিক্ষা হিসেবে গ্রহণ ও সমগ্র দেশে চালু করা। জনগণের মাঝে নৈতিকতা বোধ জাগ্রত করতে হবে, নৈতিক শিক্ষার ব্যাপক প্রসার করতে হবে সর্বাগ্রে। তা যদি করা যায়, তাহলেই আমাদের পরিবার ও পারিবারিক জীবন আসন্ন বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে।

সন্দেহ নেই, একাজ অনেক বড়, অনেক ব্যাপক এবং দীর্ঘদিনের চেষ্টা-যত্ন ও পরিকল্পনা-ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন এজন্যে। এ কাজ এক ব্যক্তির নয়, গোটা সমাজের, দেশের, সরকারের। হয় বর্তমান সমাজ ও সরকার এ কাজ করবে শরীয়তী দায়িত্ব ও কর্তব্য হিসেবে। অন্যথায় সমাজ ও সরকারকে এমনভাবে পুনর্গঠিত হতে হবে যাতে করে আমাদের পরিবার ও পারিবারিক জীবন ইসলামের সুমহান আদর্শের ভিত্তিতে পুনর্গঠিত হতে পারবে, অন্তত সে পথে কোনোরূপ বাধা ও প্রতিবন্ধকতাই থাকবে না।

আমাদের সমাজের সুধীমণ্ডলী এ কাজে উদ্ধুদ্ধ হবেন কি?

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন