মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ইসলামের দৃষ্টিতে পারিবারিক জীবনের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে নরনারীর নৈতিক পবিত্রতা ও সতীত্ব সংরক্ষণ। আর এজন্যে যেমন বিয়ে করার আদেশ করা হয়েছে, তেমনি পুরুষদের জন্যে এ অনুমতিও দেয়া হয়েছে যে, বিশেষ কোনো কারণে যদি এক সাথে একের অধিক স্ত্রী গ্রহণ করা তার পক্ষে অপরিহার্য হয়ে পড়ে তাহলে সে তা করতে পারে। তবে তার শেষ সীমা হচ্ছে চারজন পর্যন্ত। এক সঙ্গে চারজন পর্যন্ত স্ত্রী গ্রহণ করা একজন পুরুষের পক্ষে জায়েয –বিধিসঙ্গত। এক সময়ে চারজনের অধিক স্ত্রী গ্রহণ করা সম্পূর্ণ হারাম। কুরআন মজীদে এ সম্পর্কে যে আয়াতটি রয়েছে তা হচ্ছে এইঃ
(আরবী)
তবে তোমরা বিয়ে করো যা-ই তোমাদের জন্যে ভালো হয় –দুইজন, তিনজন, চারজন।
(আরবী) অক্ষরের কারণে আয়াতের দুটো অর্থ হতে পারে। প্রথমত মেয়েলোকদের মধ্য থেকে দুই, তিন, চার য বা যত সংখ্যাই তোমরা জন্যে ভালো হয়, তত সংখ্যক মেয়েই তুমি বিয়ে করো। আর দ্বিথীয় অর্থ হচ্ছেঃ মেয়েলোকদের মধ্য থেকে যে যে মেয়ে তোমার জন্যে ভালো বোধ হয় তাকে তাকে বিয়ে করো, তারা দু’জন হোক, তিন জন হোক, আর চার জনই হোক না কেন। এজন্যে তাফসীরকারগণ এ আয়াতের অর্থ লিখেছেন এ ভাষায়ঃ
(আরবী)
অর্থাৎ রূপ-সৌন্দর্য কিংবা জ্ঞান-বুদ্ধি অথবা কল্যাণকারিতার দৃষ্টিতে যে যে মেয়ে তোমাদের নিজেদের পক্ষে ভালো বোধ হবে তাদের বিয়ে করো।
ইমাম শাওকানী লিখেছেনঃ
(আরবী)
এ আয়াত থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, চারজনের অধিক স্ত্রী এক সময়ে ও এক সঙ্গে গ্রহণ করা হারাম। তাঁরা বরেছেন যে, এ আয়াতে সমগ্র মুসলিম উম্মাকে সম্বোধন করে কথা বলা হয়েছে। অতএব প্রত্যেক বিবাহকারী এ সংখ্যাগুলোর মধ্যে যে কোনো সংখ্যক স্ত্রী ইচ্ছা করবে গ্রহণ করতে পারবে।
এক সঙ্গে চারজন পর্যণ্ত স্ত্রী গ্রহণের এ অনুমতি আয়াতটির পূর্বাপর অনুসারে যদিও ইয়াতীম মেয়েদের বিয়ে করে তাদের ‘আদল’ করতে না পারার ভয়ে শর্তাধীন, তবুও সমগ্র মুসলিম মনীষীদের মতে এক সময়ে চারজন পর্যন্ত বিয়ে করার এ অনুমতি তার জন্যেও যে তা ভয় করে না; -ইয়াতীম বিয়ে করে তাদের প্রতি আদল করতে না পারার ভয় যাদের নেই, তারাও একঙ্গে চারজন স্ত্রী গ্রহণ করতে পারবে।
আয়াতের (আরবী) ‘বিয়ে করো’ শব্দের কারণে যদিও বাহ্যত আদেশ বোঝায়, কিন্তু আসলে এর উদ্দেশ্য চারজন পর্যন্ত বিয়ে করার অনুমতি দান; সে জন্যে আদেশ দেয়া নয় এবং তা করা ওয়াজিব কিংবা ফরযও নয়; বরং তা অনুমতি মাত্র। অতএব তা জায়েয বা মুবাহ বৈ আর কিছু নয়। বিভিন্ন যুগের তাফসীরকার ও মুজতাহিদগণ এ মতই প্রকাশ করেছেন এবং এ ব্যাপারে আজ পর্যন্ত মনীষীদের মধ্যে কোনো দ্বিমত দেখা দেয়নি।
কিন্তু রাফেজী ও খাওয়ারিজদের মত স্বতন্ত্র। রাফেজীরা কুরআনের এ আয়াতের ভিত্তিতেই প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে, একসঙ্গে নয়জন পর্যন্ত স্ত্রী রাখা যেতে পারে –জায়েয নয়। নখয়ী ইবনে আবূ লায়লা –এই দুই তাবেয়ী ফকীহরও এইমত বলে বর্ণনা করা হয়েছে। তাঁদের দলীল হচ্ছে, আয়াদের (আরবী) (এবং) অক্ষরটি। তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেয় যে, এই তিনটি সংখ্যার কোনো একক সংখ্যা জায়েয নয়, বরং এর যোগফল অর্থাৎ দুই, তিন ও চার –মোট নয় জন একত্রে বিয়ে করা জায়েয। তাদের মতে আয়াতটির মানে হবে এরূপঃ
(আরবী))
অতএব, বিয়ে করো দুই এবং তিন এবং চার। আর এর যোগফল হচ্ছে নয়।
খারেজীরা আবার এ আয়াত থেকেই প্রমাণ করতে চেয়েছে যে, মাত্র নয় জন নয়, নয় –এর দ্বিগুণ অর্থাৎ আঠার জন স্ত্রী একসঙ্গে রাখা জায়েয। তাদের মতে আয়াতে উদ্ধৃত প্রত্যেকটি সংখ্যা দু’ দু’বার করে যোগ করতে হবে, তবেই হবে বক্তব্যের মূল উদ্দেশ্যের সংখ্যা –অর্থাৎ আঠার।
কিন্তু এ দুটো মতই সম্পূর্ণ ভুল ও বাতিল এবং বিভ্রন্তিকর। কেননা তাদের একথা কুরআনের বর্ণনাভঙ্গী ও উদ্দেশ্যের সাথে সম্পূর্ণরূপে সামঞ্জস্যহীন, কোনো মিল নেই। আল্লাহ যদি এক সঙ্গে নয় জন স্ত্রী গ্রহণ জায়েয করে দিতে চাইতেন, তাহলে নিশ্চয়ই এরূপ ভাষায় বলতেন না –বলতেনঃ
(আরবী)
তোমরা বিয়ে করো দুইজন এবং তিনজন এবং চারজন মেয়ে লোক।
কিন্তু আল্লাহ তা’আলা এ ভাষায় কথাটি বলেন নি। এখানে কথাটি বলায় যে ভঙ্গী অবলম্বিত হয়েছে তদৃষ্টে এর তরজমা করতে হলে তার ভাষা হবে এমনিঃ
(আরবী)
তোমাদের জন্যে চারজন পর্যন্ত বিয়ে করা সঙ্গত। আর তাদের মধ্যে আদল করতে না পারলে তবে তিনজন, যদি তাদের মধ্যেও আদল করতে না পার তবে দুজন। আর তাদের মধ্যেও যদি আদল রক্ষা করতে না পার তবে মাত্র একজন।
আয়াতের কথার ধরন হচ্ছে এই। অক্ষমের জন্যে তার সামর্থের সর্বোচ্চ সংখ্যা হচ্ছে একজন অথচ হালালের সর্বোচ্চ সংখ্যা হচ্ছে চারজন। কুরআনে এই হচ্ছে সর্বশেষ সংখ্যা। আল্লাহ যদি নয় জন কিম্বা আঠারজন পর্যন্তই হালাল করতে চাইতেন, তাহলে বলতেনঃ
(আরবী)
তোমরা নয়জন বিয়ে করো অথবা আঠারজন বিয়ে করো আর যদি আদল করতে না পারো, তাহলে একজন মাত্র।
আমাদের নিজস্ব কথার ধরন থেকেও এর প্রকৃত তাৎপর্য বুঝতে পারি; আমি যদি বহু সংখ্যক লোকের সামনে কিছু পয়সা রেখে দিয়ে বলিঃ “তোমরা দুই-দুই, তিন-তিন, চার-চার পয়সা করে নাও” তবে তার অর্থ কখনো এ হবে না যে, এক-একজন নয় পয়সা করে নেবে।
এজন্যে আল্লামা ইবনে কাসীর এ আয়াতের নাম লিখেছেনঃ
(আরবী)
অর্থাৎ তোমরা বিয়ে করো মেয়েদের মধ্যে যাকে চাও। তোমাদের কেউ চাইলে দুজন, কেউ চাইলে তিনজন এবং কেউ চাইলে চারজন পর্যন্ত।
এতদ্ব্যতীত এ কথাও মনে রাখতে হবে যে, কুরআন –কুরআনের এ আয়াতও –রাসূলে করীমের প্রতি নাযিল হয়েছিল এবং তিনি নিজে এ আয়াতের ব্যাখ্যা দান করেছেন। এ আয়াত কায়স ইবনুল হারেস প্রসঙ্গে নাযিল হওয়ার পর রাসূলে করীম (ﷺ) তাকে ডেকে বললেনঃ
(আরবী)
চারজনকে তালাক দাও, আর বাকী চারজনকে রাখো।
সে গিয়ে তার নিঃসন্তান স্ত্রীকে এক এক করে বললোঃ
(আরবী)
হে অমুক! তুমি চলে যাও।
অপর হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, গায়লান ইবন সাকাফী যখন ইসলাম কবুল করে তখন তার দশজন স্ত্রী বর্তমান ছিল এবং তারা সকলেই তার সঙ্গে ইসলাম কবুল করে। তখন নবী করীম (ﷺ) তাঁকে বললেনঃ
(আরবী)
এদের মদ্যে মাত্র চারজন বাছাই করে রাখো।
নওফল ইবনে মুয়াবিয়া ফায়লামী বলেনঃ
(আরবী)
আমি যখন ইসলাম কবুল করি, তখন আমার পাঁচজন স্ত্রী ছিল। রাসূলে করীম (ﷺ) তখন আমাকে আদেশ করলেনঃ মাত্র চারজন রাখো, বাকিদের ত্যাগ করো। ওরওয়া ইবনে মাসউদ বলেনঃ আমি যখন ইসলাম কবুল করি তখন আমার দশজন স্ত্রী ছিল। রাসূলে করীম (ﷺ) আমাকে বললেনঃ
(আরবী)
এদের মধ্য থেকে মাত্র চারজনকে বাছাই করে রাখো আর বাকি সবাইকে ছেড়ে দাও।
কায়স ইবনুল হারেস সম্পর্কিত হাদীসের সনদ সম্বন্ধে মুহাদ্দিসগণ আপত্তি তুলেছেন। ইমাম শাওকানী লিখেছেন যে, এ হাদীসের সনদে মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান ইবনে আবি লায়লা নামের একজন বর্ণনাকারী রয়েছেন, আর হাদীস শাস্ত্রের সব ইমামই তাঁকে ‘যয়ীফ বর্ণনাকারী’ বলে উল্লেখ করেছেন। ইমাম বাগভী বলেছেণ, কায়স ইবনুল হারিস কিংবা হারিস ইবনে কায়স থেকে এতদ্ব্যতীত অপর কোনো হাদীস বর্ণিত হয়েছে বলে আমি জানি না।
আর আবূ আমর আন-নমীরী বলেছেনঃ
(আরবী)
তাঁর বর্ণিত এই একটি মাত্র হাদীস ছাড়া অন্য কোনো হাদীসই নেই। কিন্তু এ হাদীসটিও তিনি খুব বিশুদ্ধাবে বর্ণনা করতে পারেন নি।
আর গায়লান সাকাফী সম্পর্কত হাদীসটি সম্বন্ধেও অনুরূপ আপত্তি তোলা হয়েছে।
হাদীসদ্বয়ের সনদ সম্পর্কে মুহাদ্দিসদের এ আপত্তি যদ্ৱও অকাট্য এবং তা এক-এটি সনদ সম্পর্কে স্বতন্ত্রভাবে সত্য, কিন্তু কেবল সেই একটি সূত্র থেকেই মূল হাদীস কয়টি বর্ণিত হয়নি, তা আরো কয়েকটি সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। অতএব হাদীসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় সুস্পষ্ট ও অনস্বীকার্য এবং তা হচ্ছে এই যে, কুরআনের এ আয়াতটি নাযিল হওয়ার পর রাসূলে করীম (ﷺ) তা থেকে চারজন পর্যন্ত স্ত্রী এক সঙ্গে ও এক ময়ে রাখা জায়েয –তার অধিক নয় –এ কথাই বুঝতে পেরেছেন এবং তিনি ঠিক সেই অনুযায়ী চারজনের অধিক স্ত্রী না রাখার নির্দেশও কার্যকরভাবে জারি করেছেণ। আল্লামা শাওকানী লিখেছেন, ‘কুরআনের উপরোক্ত আয়াত দ্বারা চারজনের অধিক স্ত্রী একসঙ্গে গ্রহণ জায়েয নয় বলে অকাট্যভাবে প্রমাণ করা যায় না, তবে হাদীসের ভিত্তিতে তা অবশ্যই প্রমাণিত হয়। বিশেষত সমগ্র মুসরিম সমাজই যখন এ সম্পর্কে একমত’।
শুধু তাই নয়, রাসূলে করীম (ﷺ)-এর সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত দুনিয়ার সব মুসলিমের সর্বসম্মত মত হচ্ছে একসঙ্গে সর্বাধিক ও অনুর্ধ্ব মাত্র চারজন পর্যন্ত স্ত্রী রাখা জায়েয, তার অধিক নয়।
এ পর্যায়ে আল্লামা ইবনে কাসীর লিখেছেনঃ
(আরবী)
এক সঙ্গে চারজনের অধিক স্ত্রী রাখা যদি জায়েয হতো তাহলে রাসূলে করীম (স০ তাকে (গায়লানকে) তার দশজন স্ত্রী রাখবারই অনুমতি দিতেন –বিশেষত তারা যখন ইসলাম কবুল করেছিল। কিন্তু কার্যত যখন দেখছি, তিনি মাত্র চারজন রাখার অনুমতি দিচ্ছেন এবং অবশিষ্টদের বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দিচ্ছেন, তখন তা থেকে অকাট্যভাবে প্রমাণিত হলো যে, কোনোক্রমেই এক সঙ্গে চারজনের অধিক স্ত্রী রাখা জায়েয নয়। আর স্থায়ীকালের জন্যে যখন এ অবস্থা, তখন নতুন করে গ্রহণের ব্যাপারে তো এরূপ নির্দেশ হবে অবশ্যম্ভাবীরূপে।
ইমাম ইবনে রুশদ লিখেছেনঃ
(আরবী)
সমগ্র মুসলিম একসঙ্গে চারজন স্ত্রী গ্রহণ জায়েয হওয়া সম্পর্কে সম্পূর্ণ একমত।
……এবং চারজনের অধিক স্ত্রী গ্রহণ অধিকাংশ মুসলিমের মতে –চারজনের বর্তমানে পঞ্চমা গ্রহণ জায়েয নয়।
মওলানা সানাউল্লাহ পানীপতি লিখেছেনঃ
(আরবী)
সমস্ত ইমাম ও সমগ্র মুসলিমের মতে চারজনের অধিক বিয়ে করা জায়েয নয়।
তবে রাসূলে করীম (ﷺ) যে এক সঙ্গে নয়জন কিংবা ততোধিক স্ত্রী রেখেছিলেন তার কারণ, আল্লাহর বিশেষ অনুমতিক্রমে কেবল মাত্র তাঁরই জন্যে তা সম্পূর্ণ জায়েয নয়। তিনি ছাড়া মুসলিমদের মধ্যে অপর কারো জন্যেই তা জায়েয নয়। ইবনুল হাজার আসকালানী লিখেছেনঃ
(আরবী)
চারজনের অধিক স্ত্রী একসঙ্গে ও এক সময়ে রাখা বিশেষভাবে কেবলমাত্র রাসূলে করীম (ﷺ)-এর জন্যেই জায়েয ছিল –এ সম্পর্কে সব মনীষীই সম্পূর্ণ একমত।
ইমাম শাফেয়ী (রহ) লিখেছেনঃ
(আরবী)
রাসূলে করীম (ﷺ)-এর সুন্নাত –যা আল্লাহর কাছ থেকে প্রতিষ্ঠিত –প্রমাণ করেছে যে, রাসূলে করীম (ﷺ) ব্যতীত অপর কারো জন্যেই একসঙ্গে ও এক সময়ে চারজনের অধিক স্ত্রী রাখা জায়েয নয়।
আল্লামা ইবনে কাসীর লিখেছেনঃ
(আরবী)
রাসূলের এই নয়, এগারো, পনের জন স্ত্রী এক সঙ্গে রাখা তার জন্যে বিশেষ অনুমোদিত ব্যাপার, মুসলিম উম্মতের মধ্যে এ জিনিস অপর কারো জায়েয নয়।
মোটকথা, একাধিক স্ত্রী গ্রহণ বর্তমান সভ্যতায় যতই দূষণীয় ও কলংকের কাজ হোক না কেন, আল্লাহ ও রাসূলের দৃষ্টিতে এ কাজ যে একেবারে ঘৃণার্হ ও নিষিদ্ধ ছিল না, তাতে কোনোই সন্দেহ নেই। বিশেষত যে সব পুরুষ একজন মাত্র স্ত্রী দ্বারা নিজের চরিত্রকে পবিত্র ও নিষ্কলুষ রাখতে পারে না, যৌন শক্তির প্রাবল্য পরস্ত্রীর প্রতি আসক্ত হতে ও অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করতে যাদের বাধ্য করে, তার পক্ষে একাধিক স্ত্রী –দুজন থেকে প্রয়োজনানুপাতে চারজন পর্যন্ত –গ্রহণ করা যে কর্তব্য তাতে কোনোই সন্দেহ থাকতে পারে না। এ ধরনের ব্যক্তিদের পক্ষে এ কেবল অনুমতিই নয়, এ হচ্ছে তাদের প্রতি সুস্পষ্ট আদেশ। কেননা ইসলামের দৃষ্টিতে চরিত্রের পবিত্রতা হচ্ছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চরিত্রই যদি রক্ষা না পেল, তাহলে দুনিয়ায় মানুষের স্থান একান্তভাবে পশুদের স্তরে। আর চরিত্রকে রক্ষা করার জন্যেই এ কাজ যদি অপরিহার্যই হয়, তাহলে তা অবশ্যই করতে হবে।
ইসলামের একাধিক স্ত্রী গ্রহনের ব্যাপারটি সম্পূর্ণ মানবিক ও নৈতিক ব্যবস্থা মাত্র। ইসলাম ঠিক যে কারণে বিয়ে করার অনুমতি বা নির্দেশ দিয়েছে, ঠিক সেই একই কারণে একাধিক (চারজন পর্যন্ত) স্ত্রী গ্রহণেরও অনুমতি দিয়েছে। এ অনুমতি যদি ইসলামে না থাকত, তাহলে বিয়ে করার অনুমতি বা আদেশ দেয়া একেবারেই অর্থহীন –উদ্দেশ্যহীন হয়ে যেত। অবশ্য কুরআনের যে আয়াতে একাধিক বিয়ের এ অনুমতির উল্লেখ হয়েছে তাতেই এ পর্যায়ে একটি গুরুতর শর্তেরও উল্লেখ করা হয়েছে আর তা হচ্ছে (আরবী) সুবিচার, সমান মানে ও সমান প্রয়োজনে সকলের অধিকার আদায় করা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/505/85
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।