hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

পরিবার ও পারিবারিক জীবন

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (র.)

৯৯
প্রথম পর্যায়
পর্দা ব্যবস্থার প্রথম পর্যায় হচ্ছে ঘরোয়া জীবনে, ঘরের অভ্যন্তরে পালন ও অনুসরণের নিয়ম-বিধান। কেননা ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর প্রকৃত কর্মকেন্দ্র হচ্ছে তার ঘর। ঘরকেই আশ্রয় হিসেবে গ্রহণ করা বরং স্থায়ীভাবে ঘরের অভ্যন্তরে অবস্থান করাই হচ্ছে মুসলিম নারীর কর্তব্য। কুরআন মজীদে স্পষ্ট নির্দেশ দেয়া হয়েছে দুনিয়ার মুসলিম নারী সমাজকে –বলা হয়েছেঃ

(আরবী)

এবং তোমা তোমাদের ঘরের অভ্যন্তরে স্থায়ীভাবে বসবাস করো এবং পূর্বকালীন জাহিলিয়াতের মতো নিজেদের রূপ-সৌন্দর্য ও যৌনদীপ্ত দেহাঙ্গ দেখিয়ে বেড়িও না।

আয়াতটির দুটো অংশ। প্রথম অংশ পর্দা ব্যবস্থার প্রথম পর্যায় সম্পর্কিত এবং দ্বিতীয় অংশ তার দ্বিতীয় পর্যায়ের সাথে সংশ্লিষ্ট।

আয়াতটির প্রথমাংশে বলা হয়েছে যে, নারীর আসল স্থান হচ্ছে ঘর; অতএব ঘরে অবস্থান করাই তার কর্তব্য। আয়াদের শব্দ প্রয়োগ পদ্ধতি প্রমান করছে যে, প্রত্যেক নারীর জন্যে একখানা ঘর থাকা উচিত। এমন একখানা ঘর থাকা উচিত, যেখানে তার বসবাসের স্থান নির্দিষ্ট ও সর্বজন পরিচিত। দ্বিতীয়ত, তার এ ঘরই হবে তার অবস্থানের জায়গা ও কর্মকেন্দ্র। নারী-জীবনের যা কিছু করণীয়, তা প্রধানত এ ঘরকে কেন্দ্র করেই সম্পন্ন হবে এবং যে সব কাজ সে নিজের ঘরে বসে সম্পন্ন করতে পারে, তাই হচ্ছে তার পক্ষে শোভনীয় কর্মসূচী। অন্য কথায়, প্রধানত তার বসবাসের ঘরকে কেন্দ্র করেই রচিত হবে তার জন্যে কর্মসূচী।

আল্লামা ইবনে কাসীর এ আয়াতাংশের তাফসীরে লিখেছেনঃ

(আরবী)

তোমাদের ঘরকে তোমরা আঁকড়ে থাকো এবং বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে কখনো বের হবে না।

আল্লামা আবূ বাকর আল-জাসসাস এ আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেছেনঃ

(আরবী)

এ আয়াত স্পষ্ট প্রমাণ করছে যে, মেয়েরা ঘরকে আঁকড়ে থাকার জন্যে নির্দিষ্ট এবং বাইরে বের হওয়া থেকে নিষেধকৃত।

আল্লামা ইবনুল আরাবী লিখেছেনঃ

(আরবী)

ঘরেই বসবাস করো, বাইরে দৌড়াদৌড়ি করো না এবং ঘর ছেড়ে দিয়ে বাইরে চলে যেও না।

আল্লামা শওকানী লিখেছেনঃ

(আরবী)

এ আয়াতাংশের অর্থ হচ্ছে, এতে মেয়েদেরকে তাদের নিজেদের ঘরে ধীরস্থীরভাবে বসবাসের আদেশ করা হয়েছে।

আল্লামা আলুসী এ আয়াতাংশের তরজমা লিখেছেন এ ভাষায়ঃ

(আরবী)

তোমরা তোমাদের মন তথা নিজেদের সত্তাকে ঘরের মধ্যেই কেন্দ্রীভূত করে রাখ।

আল্লামা আলুসী আয়াতাংশের বহু প্রকারের পাঠ-পদ্ধতির উল্লেখ করার পর এর সামগ্রিক তাৎপর্য লিখেছেন নিম্নোক্ত ভাষায়ঃ

(আরবী)

সকল প্রকার পাঠ-রীতিতেই এর মানে হচ্ছে এই যে, আয়াতে মেয়েদেরকে ঘরকে আঁকড়ে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর সব মেয়েদের প্রতিই এ হচ্ছে ইসলামের দাবি।

এক হাদীসে রাসূলে করীম (ﷺ)-এর নিম্নোক্ত ঘোষণা উদ্ধৃত হয়েছে। তিনি বলেছেনঃ

তাদের ঘরই তাদের জন্যে সুখ-শান্তি ও সার্বিক কল্যাণের আকর।

হাদীস গ্রন্থে উদ্ধৃত হয়েছে, কিছু সংখ্যক মহিলা রাসূলে করীম (ﷺ)-এর খেদমতে হাজির হয়ে নিবেদন করলেনঃ

(আরবী)

হে রাসূল, পুরুষরা তো আল্লাহর প্রদত্ত বিশিষ্টতা ও আল্লাহর পথে জিহাদ প্রভৃতি দ্বারা আমাদের তুলনায় অনেক বেশি অগ্রসর হয়ে গেছে। আমরা কি এমন কোনো কাজ করতে পারি, যা করে আমরা আল্লাহর পথে জিহাদকারীদের মর্যাদা লাভ করব? এ প্রশ্নের জবাবে নবী করীম (ﷺ) বললেনঃ

(আরবী)

যে মেয়েলোক তার ঘরে অবস্থান করল, সে ঠিক আল্লাহর পথে জিহাদকারীর কাজ সম্পন্ন করতে পারল।

রাসূলের কথা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মেয়েদের তুলনায় পুরুষদের জন্যে আল্লাহর দেয়া বিশিষ্টতা মেয়েরা লাভ করতে পারে না কোনোক্রমেই। কেননা তা জন্মগত ব্যাপার। পুরুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করেছে বলেই তার এ বিশিষ্টতা। আর মেয়েরা তা পেতে পারে না এজন্যে যে, মেয়ে হয়েই তাদের জন্ম। আর পুরুষও আল্লাহরই তো সৃষ্টি। তবে নৈতিক মান মর্যাদা লাভের ক্ষেত্রে কোনো তারতম্য নেই, মেয়েরাও তা লাভ করতে পারে পুরুষদের মতোই –যদিও ঠিক একই কাজ দ্বারা নয়। কাজের স্বরূপ, ধরন, ক্ষেত্র বিভিন্ন হলেও কাজের ফল হিসেবে আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করার ব্যাপারে মেয়ে-পুরুষ সমান।

রাসূলের কথা থেকে এ কথাটি সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, মেয়েদের প্রকৃত কর্মক্ষেত্র হচ্ছে তাদের ঘর আর পুরুষদের কর্মক্ষেত্র বাইরে। জিহাদের সওয়াব পাবার জন্যে পুরুষদের তো যুদ্ধের ময়দাতে যেতে হবে, দ্বীনের শত্রুদের সাথে কার্যত মুকাবিলা করতে হবে, জীবন-প্রাণ কঠিন বিপদের সম্মুখে ঠেলে দিতে হবে, ঘর-বাড়ি থেকে বহুদূরে চলে যেতে হবে। কিন্তু মেয়েদের জিহাদ তার ঘরকে কেন্দ্র কেই সম্পন্ন হবে এবং ঘরের দায়িত্ব পালন করলেই পুরুষদের জিহাদের সমান মর্যাদা ও সওয়াব লাভ করতে পারবে। জিহাদ স্ত্রী-পুরুষ উভয়কেই করতে হবে। কিন্তু পুরুষদের করতে হবে তা বাইরের ক্ষেত্রে, যুদ্ধের ময়দানে। কেননা তা করার যোগ্যতা ক্ষমতা তাদেরই দেয়া হয়েছে। আর মেয়েদের তা করতে হবে ঘরে বসে। কেননা ঘর কেন্দ্রিক জিহাদ করার যোগ্যতাই মেয়েদের দেয়া হয়েছে, বাইরের জিহাদের নয়।

প্রসঙ্গত ‘মেয়েদের নিজেদের ঘর’ কথাটির বিশ্লেষণ হওয়া আবশ্যক। কুরআনে সুস্পষ্ট ভাষায় ঘরকে ‘স্ত্রীদের ঘর’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে (আরবী) –‘তোমাদের নিজেদের ঘরে’। হাদীসেও তাই বলা হয়েছে। তার মানে স্ত্রীদের নিজস্ব ঘর থাকা আবশ্যক –যেমন পূর্বে বলেছি –এবং এ গরই হবে তার কর্মকেন্দ্র, জীবন-কেন্দ্র। এ জন্যেই নবী করীম (ﷺ) তাঁর এক-একজন বেগমের জন্যে এক-একটি হুজরা –ছোট কক্ষ –নির্মাণ করে দিয়েছিলেন এবং যে বেগম যে হুজরায় বসবাস করতেন, তিনিই ছিলেন তার মালিক-ব্যবস্থাপনা-পরিচালনার কর্ত্রী। নবী করীম (ﷺ)-এর উপস্থিতিতেও তিনি তাতে মালিকানা কর্তৃত্ব প্রয়োগ করতেন।–[আহলি সুন্নাহ আল-জামায়াত-এর মতে এ মালিকানা এমন ছিল না, যার ওপর মিরাসের আইন কার্যকর হতে পারত এবং রাসূলের পরও তার মালিক হয়ে থাকতে পারতেন।]

এরই ভিত্তিতে ফিকাহবিদগণ বলেছেনঃ

(আরবী)

যে লোক তার স্ত্রীর বসবাসের জন্যে কোনো ঘর নির্মাণ করবে এবং তার পরিচালন অধিকার তারই হস্তে অর্পন করবে, সে যেন তার স্ত্রীকে একখানি ঘর সম্পূর্ণ হেবা করে দিলো। তারই কাছে তা হস্তান্তর করে দিলো। ফলে সেই ঘরের মালিকানা স্ত্রীর হয়ে যাবে।

উপরোক্ত আয়াতে এ ঘরকেই আশ্রয় হিসেবে আঁকড়ে ধরে থাকবার জন্যে সমস্ত মুসলিম মহিলাকে আদেশ করা হয়েছে। এমন কি জামা’আতে নামায পড়া ওয়াজিব করা হয়েছে কেবলমাত্র পুরুষদের জন্যে, মহিলাদের পক্ষে সে নামাযের জামা’আতের উদ্দেশ্যেও ঘর থেকে বের হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ

(আরবী)

মেয়েদের ঘরের কোণই হচ্ছে তাদের জন্যে উত্তম মসজিদ।

এ হাদীসের ব্যাখ্যায় আল্লামা আহমাদুল বান্না লিখেছেনঃ

(আরবী)

মেয়েরা তাদের ঘরে নামাযের জন্যে এমন একটি স্থান নির্দিষ্ট করে নেবে, যেখানে তাকে কেউ দেখতেও পাবে না, আর তার কোনো শব্দও কেউ শুনতে পাবে না।

উম্মে হুমাইদ নামে পরিচিতা এক মহিলা রাসূলে করীমের খেদমতে উপস্থিত হয়ে আরয করলঃ

(আরবী)

হে রাসূল, আমি আপনার সাথে জামা’আতে মসজিদে নামায পড়তে ভালবাসি।

তখন রাসূলে করীম (ﷺ) বললেনঃ

(আরবী)

হ্যাঁ আমি জানতে পারলান তুমি আমার সাথে জামা’আতে নামায পড়া খুব পছন্দ করো। কিন্তু মনে রেখ, তোমার শয়নকক্ষে বসে নামায পড়া তোমার জন্য বৈঠকখানায় নামায পড়া অপেক্ষা ভালো, বৈঠকখানায় নামায পড়া ঘরের আঙ্গিনায় নামায পড়া অপেক্ষা ভালো, ঘরের আঙ্গিনায় নামায পড়া ঘরের কাছাকাছি মহল্লার মসজিদে নামায পড়া অপেক্ষা ভালো আর তোমার মহল্লার মসজিদে নামায পড়া আমার এই মসজিদে এসে নামায পড়া অপেক্ষা ভালো।

হাদীস বর্ণনাকারী বলেনঃ

(আরবী)

অতঃপর সেই মেয়েলোকটির আদেশে তার ঘরের দূরতম ও অন্ধকারতম কোণে নামাযের জায়গা বানিয়ে দেয়া হয় এবং সে মৃত্যু পর্যন্ত এখানেই নামায পড়েছিল।

আল্লামা আহমাদুল বান্না এ হাদীসের ব্যাখ্যায় লিখেছেনঃ

(আরবী)

এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, সকল ব্যাপার এমন কি নামাযে ও আল্লাহর সব বন্দেগীর কাজে পূর্ণ মাত্রায় পর্দা গ্রহণ মেয়েদের জন্যে আবশ্যক। আর ঘরের সবচেয়ে গোপন কোণে নামায পড়ায় অধিকতর ও পূর্ণতর সওয়াব বলে নবী করীম (ﷺ) মেয়ে লোকটিকে তার ঘরের অধিক গোপন ও লোকদৃষ্টি থেকে দূরবর্তী জায়গায় নামায পড়তে নির্দেশ দিয়েছেন।

হযরত আয়েশা (রা) বলেনঃ রাসূলে করীম (ﷺ) মেয়েলোকদেরকে মসজিদে যেতে চাইলে নিষেধ করতে মানা করেছেন একথা ঠিক; কিন্তু

(আরবী)

তিনি যদি আজকের দিনের মেয়েদের অবস্থা দেখতে পেতেন, তাহলে তিনি নিশ্চয়ই মেয়েদেরকে মসজিদে যেতে নিষেধ করতেন।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) রাসূলে করীম (ﷺ)-এর নিম্নোক্ত বাণী বর্ণনা করেছেনঃ

(আরবী)

মেয়েরা তার ঘরে বসে আল্লাহর যে ইবাদত সম্পন্ন করে, সে রকম ইবাদত আর হয় না।

তিনি আরো বলেছেনঃ

(আরবী)

আল্লাহর কাছে মেয়েলোকের সেই নামায সবচেয়ে বেশি প্রিয় ও পছন্দনীয়, যা সে তার ঘরের অন্ধকারতম কোনে পড়েছে।

ঠিক এ দৃষ্টিতেই রাসূলে করীম (ﷺ) মেয়েদেরকে জানাযার সঙ্গে কবরস্থানে যেতে নিষেধ করেছেন। হযরত উম্মে আতীয়াতা (রা) বলেনঃ

(আরবী)

জানাযা অনুসরণ করতে আমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে, যদিও রাসূলে করীম (ﷺ) এ ব্যাপারে আমাদের প্রতি কঠোরতা প্রয়োগ করেন নি।

অপর এক হাদীসে হযরত উম্মে আতীয়াতার কথাটি নিম্নরূপঃ

(আরবী)

রাসূলে করীম (ﷺ) আমাদেরকে জানাযায় বের হতে নিষেধ করেছেন।

হযরত উম্মে আতীয়াতার প্রথমোক্ত কথা থেকে মনে হয়, রাসূলে করীম (ﷺ) মেয়েদেরকে জানাযায় বের হতে ও কবরস্থান পর্যন্ত গমন করতে নিষেধ করেছেণ বটে; যদিও সে নিষেধ হারাম পর্যায়ে নহে। কেননা এ ব্যাপারে কোনো কড়াকড়ি দেখান নি, খুব তাগিদ করে নিষেধ করেন নি। শুধু অপছন্দ করেছেন। 

ইমাম কুরতুবী বলেছেনঃ

(আরবী)

উম্মে আতীয়াতার হাদীস থেকে বাহ্যত মনে হয় যে, এ নিষেধ নৈতিক শিক্ষাদানমূলক –সব ইসলামবিদই এ মত গ্রহণ করেছেন।

সওরী বলেছেনঃ

(আরবী) –মেয়েদের জানাযায় গমন করা বিদআত।

ইমাম আবূ হানীফা (রহ) বলেছেনঃ

(আরবী)

এ কাজ মেয়েদের শোভা পায় না।

ইমাম শাফেয়ী এ কাজকে মাকরূহ মনে করেছেন হারাম নয়। (ঐ)

মনে রাখা আবশ্যক, জামা’আতের সাথে নামায পড়তে মসজিদে যাওয়া এবং জানাযার সাথে কবরস্থানে গমন করতে নিষেধ করা হয়েছে রাসূলে করীম ও সাহাবীদের ইসলামী সমাজের সোনালী যুগে। কিন্তু চিন্তা করার বিষয় –সেকালেও যদি এ দুটো কাজে মেয়েদের ঘর থেকে বের হওয়া নিষিদ্ধ হয়ে থাকে, অপছন্দ করা হয়ে থাকে, তাহলে এ যুগে কি তা সমর্থনযোগ্য হতে পারে কোনক্রমে? উপরন্তু ঠিক যে যে কারণে এ নিষেধবাণী উচ্চারিত হয়েছিল, সে কারণ কি সে যুগের তুলনায় এ যুগে অধিকতর তীব্র আকার ধারণ করে নি?

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন