মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
পারিবারিক জীবন যাপনের মুখ্যতম লক্ষ্য স্ত্রী-পুরুষের যৌন জীবনে পরম শান্তি, নির্লিপ্ততা, নিরবচ্ছিন্নতা, পারস্পরিক অকৃত্রিম নির্ভরতা, উভয়ের মনের স্থায়ী শান্তি ও পরিতৃপ্তি লাভ। কিন্তু একথাই চূড়ান্ত নয়। বরং বংশ সৃষ্টির সদ্যজাত শিশু-সন্তানদের আশ্রয়দান, তাদের সুষ্ঠু লালন-পালন ও পরিধানও এর চরম ও বৃহত্তম লক্ষ্যের অন্যতম। মানব সন্তানের জন্ম হয়ত বা পারিবারিক জীবন ছাড়াও সম্ভব, কিন্তু তার পবিত্রতা বিধান, সুষ্ঠু লালন-পালন, সংরক্ষণ এবং ভবিষ্যৎ সমাজের উপযুক্ত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা পারিবারিক জীবন ব্যতীত আদৌ সম্ভব নয়।
কুরআন মজীদের বিভিন্ন স্থানে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্ক সম্বন্ধে যা কিছু বলা হয়েছে, তা থেকে সুস্পষ্ট মনে হয় যে, স্বামী-স্ত্রী সম্মিলিত জীবন যাপনের মুখ্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে সন্তান জন্মদান। মানুষের বংশ বৃদ্ধি সম্ভবই হয়েছে আদি পিতা ও আদি মাতার স্বামী-স্ত্রী হিসেবে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের ফলে।
কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াতটি এ পর্যায়ে বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্যঃ
(আরবী)
হে মানুষ, তোমরা ভয় করো তোমাদের সেই পরোয়ারদিগারকে, যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন একটি মাত্র প্রাণী থেকে এবং সৃষ্টি করেছেন তার থেকে জুড়িকে এবং এ দু’জন থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু সংখ্যক পুরুষ ও স্ত্রীলোক।
এখানে মানব সৃষ্টির ইতিহাস ও তত্ত্বকথা খুব সংক্ষেপে বলে দেয়া হয়েছে। দুনিয়ায় মানব জাতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আল্লাহ তা’আলা প্রথম আদমকে সৃষ্টি করলেন। এর পরই তাঁরই থেকে সৃষ্টি করলেন ‘হাওয়া’কে তাঁরই জুড়ি হিসেবে। পরে তাঁরা দু’জন স্বামী-স্ত্রী হিসেবে জীবন যাপন করতে থাকেন। এ স্বামী-স্ত্রীর যৌন মিলনের ফলেই দুনিয়ায় এ বিপুল সংখ্যক মানুষের অস্তিত্ব ও বিস্তার লাভ সম্ভব হয়েছে।
কুরআনের উপস্থাপিত মানুষের এ ইতিহাস প্রথম নরনারী স্বামী-স্ত্রী হিসেবে পারিবারিক জীবন যাপনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। দ্বিতীয়ত প্রমাণ করে যে, এ পারিবারিক জীবন যাপনও উদ্দেশ্যহীন নয়, পাশবিক লালসাসর্বস্ব নিরুদ্দেশ যৌন চর্চা নয় –বরং তার মূলে বৃহত্তর লক্ষ্য হচ্ছে সন্তান জন্মদান, সন্তানের লালন-পালন, তাদের এমনবাবে যোগ্য করে তোলা, যেন তারা ভবিষ্যৎ সমাজের নাগরিক হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে।
বস্তুত প্রথম নর সৃষ্টির পরই তার জুড়ি হিসেবে প্রথম নারী সৃষ্টির তাৎপর্য এই হতে পারে। এই প্রথম মানব পরিবারে বিশজন পুত্র সন্তান এবং বিশজন কন্যা সন্তান (মোট চল্লিশজন) রীতিমত হিসাব করে দেয়া হয়েছিল-[ইসহাক ও ইবনে আসাকির হযরত ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণনা করেছেনঃ (আরবী) –আদমের মোট চল্লিশটি সন্তান হয়, তাদের মধ্যে বিশজন ছেলে ও বিশজন মেয়ে।] এ উদ্দেশ্যেই যে, এই প্রথম পরিবারটি পরেও যেন নরনারীর পারিবারিক জীবন যাপন অব্যাহত গতিতে চলতে পারে এবং সে সব পরিবারেও যেন ছেলে ও মেয়ের জন্মের ফলে পারিবারিক জীবন ধারার অগ্রগতি সম্ভব হতে পারে। অপর আয়াতে এদিকে ইঙ্গিত করেই বলা হয়েছেঃ
(আরবী)
তোমাদের স্ত্রীলোক ক্ষেতস্বরূপ, অতএব তোমরা তোমাদের ক্ষেতে গমন করো যেমন করে তোমরা চাও এবং তোমাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ রচনার জন্যে এখনি ব্যবস্থা গ্রহণ করো। আল্লাহকে ভয় করো, ভালোভাবে জেনে রাখো, তোমরা সকলে নিশ্চয়ই একদিন তাঁর সাথে মিলিত হবে। আর ঈমানদার লোকদের সুসংবাদ দাও।
এ আয়াতে প্রথমত স্বামী-স্ত্রীর যৌন জীবনকে লক্ষ্য করা হয়েছে। বলা হয়েছেঃ তোমাদের স্ত্রীরা হচ্ছে তোমাদের ক্ষেতস্বরূপ। কথাটি দৃষ্টান্তমূলক এবং অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কুরআনের শব্দ (আরবী) এর অর্থ হচ্ছেঃ
(আরবী)
জমিনে বীজ বপন করা এবং জমিনকে ফসলের উপযোগী করে তোলা।
আর কুরআনে স্ত্রীদের (আরবী) বলা তাৎপর্য এই যেঃ
(আরবী)
মেয়েলোকদের সঙ্গে সম্পর্ক হচ্ছে এমন জিনিস চাষের, যার ওপর মানব বংশের স্থিতি ও রক্ষা নির্ভর করে, যেমন করে জমিনের সাথে সম্পর্ক হচ্ছে এমন জিনিস চাষের, যার ওপর সে ফসলের প্রজাতিকে অস্তিত্ব রক্ষা নির্ভর করে।
মওলানা মওদুদী এ আয়াতের ব্যাখ্যায় যা লিখেছেন, তা এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি লিখেছেনঃ
আল্লাহর কায়েম করা ফিতরাত মেয়েদেরকে পুরুষদের জন্যে বিহার কেন্দ্ররূপে বানায় নি। বরং মেয়ে ও পুরুষদের মাঝে ক্ষেত ও কৃষকের সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। ক্ষেতে কৃষক কেবল স্ফুর্তি করার উদ্দেশ্যে গমন করে না বরং গমন করে এ উদ্দেশ্যে যে, তা থেকে ফসল লাভ করবে। মানব বংশের কৃষককেও মানবতার এ ক্ষেতে যাওয়া দরকার এ উদ্দেশ্য নিয়ে যে, সেখান থেকে মানব বংশের ফসল লাভ করা হবে। আল্লাহর শরীয়ত এ নিয়ে কোনো আলোচনা করে না যে, তোমরা এ ক্ষেতে চাষ কিভাবে করবে, অবশ্য শরীয়তের দাবি এই যে, তোমরা এ ক্ষেতে যাবে এবং এ উদ্দেশ্য নিয়েই যাবে যে, সেখান থেকে তোমাদের ফসল লাভ করতে হবে। (আরবী)
স্ত্রী সহবাসের উদ্দেশ্যে যে সন্তান লাভ, তা আয়াতের শেষাংশ “তোমাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ রচনার জন্যে এখনি ব্যবস্থা গ্রহণ করো” থেকে প্রমাণিত হয়। কেননা আয়াতের এ অংশের অর্থ আল্লামা পানিপত্তীর ভাষায় নিম্নরূপঃ
(আরবী)
অর্থাৎ তোমরা বিয়ে দ্বারা উপস্থিত স্বাদ গ্রহণকে উদ্দেশ্য হিসেবে গ্রহণ করো না, বরং তা থেকে এমন কিছু লাভ করতে চেষ্টা করো, যার ফলে দ্বীনের কোনো ফায়দা হবে। যেমন যৌন অঙ্গের পবিত্রতা বিধান এবং নেক ও সৎ স্বভাবের সন্তান লাভ, যার জন্যে আল্লাহর কাছে দো’আ করবে ও মাগফিরাত কামনা করবে।
কুরআন মজীদে স্বামী-স্ত্রী সহবাস সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ
(আরবী)
এখন তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের সাথে যৌন মিলন সম্পন্ন করো এবং কামনা করো যা আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্যে নির্দিষ্ট করে রেখেছেন।
এখানে ‘মুবাশিরাত’ মানে যৌন মিলন, সঙ্গম-ক্রিয়া। আর ‘আল্লাহ নির্দিষ্ট করে রেখেছেন’ বলতে বোঝঅনো হয়েছে সন্তানাদি –যা লওহে মাহফুযে সকলের জন্যে ঠিক করে রাখা হয়েছে।
এ আয়াতের লক্ষ্য হচ্ছে স্ত্রী-সহবাস করে সন্তানাদি লাভের জন্যে আল্লাহর কাছে দো’আ করা। হযরত ইবনে আব্বাস, জহাক, মুজাহিদ প্রমুখ তাবেয়ী এ আয়াত থেকে এ অর্থই বুঝেছেন। আল্লামা আ-লুসী এ আয়াত সম্পর্কে লিখেছেনঃ
(আরবী)
এ আয়াতে বোঝানো হয়েছে যে, স্ত্রী সঙ্গমকারীর কর্তব্য হচ্ছে, সে বিয়ে ও যৌন ক্রিয়ার মূলে বংশ রক্ষাকে উদ্দেশ্য হিসেবে গ্রহণ করবে –নিছক যৌন-লালসা পূরণ নয়। কেননা আল্লাহ তা’আলা আমাদের প্রজাতীয় অস্তিত্বকে একটা বিশেষ স্তর পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে –যেমন আমাদের মধ্যে খাদ্য গ্রহণ স্পৃহা সৃষ্টি করেছেন আমাদের ব্যক্তিদের জৈব জীবন একটা সময় পর্যন্ত বাচিয়ে রাখার জন্যে। নিছক যৌন স্পৃহা পূরণ তো নিম্নস্তরের পশু ছাড়া আর কারোর কাজ হতে পারে না।
আল্লামা শাওকানী এ আয়াতের অর্থ লিখেছেনঃ
(আরবী)
অর্থাৎ তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের সাথে যৌন ক্রিয়ার দ্বারা বিয়ের বৃহত্তর উদ্দেশ্য লাভের বাসনা পোষন করো এবং তা হচ্ছে সন্তান ও ভবিষ্যৎ বংশধর লাভ।
ইমাম রাগিব ইসফাহানী লিখেছেনঃ
(আরবী)
আয়াতে বিয়ের ইচ্ছা করা সম্পর্কে এক সূক্ষ্ম কথার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। আর তা এই যে, আল্লাহ তা’আলা আমাদের মধ্যে যৌন স্পৃহা সৃষ্টি করেছেন একটা সময় পর্যন্ত মানব বংশের সংরক্ষণ ও স্থিতির জন্যে, যেমন আমাদের জন্যে খাদ্য স্পৃহা সৃষ্টি করেছেন আমাদের ব্যক্তিদের জৈব সত্তা একটা সময় পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখার জন্যে। অতএব মানুষের কর্তব্য হচ্ছে বিয়ে কের সে উদ্দেশ্য লাভ করা, যা জ্ঞান-বুদ্ধি-বিবেক ও ন্যায়পরতার দৃষ্টিতে আল্লাহ তা’আলা ঠিক করে দিয়েছেন। আর যখনি কেউ বিয়ের সাহায্যে শরীয়ত মুতাবিক আত্মসংযম ও সংরক্ষণের কাজ করবে, সে আল্লহার লিখন অনুযায়ী উদ্দেশ্য লাভে নিয়োজিত হলো।
কুরআন মজীদের অপর এক আয়াতে বলা হয়েছেঃ
(আরবী)
আল্লাহ তোমাদের জন্যে তোমাদের মানুষের মধ্য থেকেই জুড়ি বানিয়েছেন। জন্তু জানোয়ারের জন্যেও তাদেরজুড়ি বানিয়েছেন, তিনিই তোমাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করেন।
অর্থাৎ
(আরবী)
তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মানুষ জাতির মধ্য থেকেই মেয়েলোক এবং মেয়েলোকের জন্যে পুরুষ লোক সৃষ্টি করেছেন।
আর “সংখ্যা বৃদ্ধি করেন” মানেঃ
(আরবী)
তোমাদের জোড়ায়-জোড়ায় বানিয়ে তোমাদের সংখ্যা বিপুল করেছেন। কেননা বংশ বৃদ্ধির এই হলো মূল কারণ।
মুজাহিদ বলেছেনঃ
(আরবী)
অর্থাৎ তোমাদেরকে বংশের পর বংশে ও যুগের পর যুগে ক্রমবর্ধিত করে সৃষ্টি করেছেন।
বস্তুত সন্তান লাভের উদ্দেশ্যে স্বামী-স্ত্রীর যৌন মিলনই হচ্ছে ইসলামের পারিবারিক জীবনের লক্ষ্য এবং যে মিলন এ উদ্দেশ্যে সম্পন্ন হয়, তাই ইসলামসম্মত মিলন। এ মিলনের ফলে সন্তান যখন স্ত্রীর গর্ভে স্থানলাভ করে তখন একাধারে স্বামী ও স্ত্রীর ওপর এক নবতর দায়িত্বর অর্পিত হয়। তখন স্ত্রীর দায়িত্ব এমনভাবে জীবন যাপন ও দিন-রাত অতিবাহিত করা, যাতে করে গর্ভস্থ সন্তান সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে, বেড়ে ওঠার ব্যাপারে কোনোরূপ বিঘ্নের সৃষ্টি না হয় এবং কর্তব্য হচ্ছে এমন সব কাজ ও চাল-চলন থেকে বিরত থাকা, যার ফলে সন্তানের নৈতিকতার ওপর দুষ্ট প্রভাব পড়তে না পারে। এ পর্যায়ে পিতার কর্তব্যও কিছুমাত্র কম নয়। তাকেও স্ত্রীর স্বাস্থ্য, চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া ও বিম্রামের দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে এবং মা ও সন্তান –উভয়ের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় যত্ন ও ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে হবে।
গর্ভে সন্তান সঞ্চার হওয়ার পর মায়ের কর্তব্য স্বীয় স্বাস্থ্য এবং মন উভয়কেই যথাসাধ্য সুস্থ রাখতে চেষ্টা করা। কেননা গর্ভস্থ ভ্রূণের সাথে মায়ের দেহ-মনের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। এ সময় মা যদি অধিক মাত্রায় শারীরিক পরিশ্রম করে, তবে গর্ভস্থ সন্তানের শরীর গঠন ও বাড়তির উপর তার মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। দৌড়াদৌড়ি, লাফালাফি ও নর্তন-কুর্দনও ভ্রূণের পক্ষে বড়ই ক্ষতিকর। শুধু তাই নয়, গর্ভবতী নারীর চাল-চলন, চিন্তা-বিশ্বাস, গতিবিধি ও চরিত্রের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে গর্ভস্থ সন্তানের মন ও চরিত্রের ওপর। এ সময় মা যদি নির্লজ্জভাবে চলাফেরা করে, করে কোনো লজ্জাকর কাজ, তবে তার গর্ভস্থ সন্তানও অনুরপ নির্লজ্জ ও চরিত্রহীন হয়ে গড়ে উঠবে এবং তার বাস্তব প্রকাশ দেখা যাবে তার যৌবনকালে। পক্ষান্তরে এ সময় মা যদি অত্যন্ত চরিত্রবতী নারী হিসাবে শালীনতার সব নিয়ম-কানুন মেনে চলে, তার মন-মগজ যদি এ সময় পূর্ণভাবে ভরে থাকে আল্লাহর বিশ্বাস, পরকাল ভয় এবং চরিত্রের দায়িত্বপূর্ণ অনুভূতিতে, তবে সন্তানও তার জীবনে অনুরূপ দায়িত্ব জ্ঞানসম্পন্ন, চরিত্রবান ও আল্লাহানুগত হয়ে গড়ে উঠবে। ভ্রূণের সঙ্গে মায়ের কেবল দেহেরই নয়, মনেরও যে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে, সে দৃষ্টিতে বিচার করলে উপরের কথাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। এ জন্যে গর্ভবতী স্ত্রীলোকদের কর্তব্য এ সময় শালীনতা ও লজ্জাশীলতার বাস্তব প্রতিমূর্তি হয়ে সব সময় আল্লহার মনোযোগ রক্ষা করা, কুরআন তিলাওয়াত ও নিয়মিত নামায পড়া। ‘ভালো মা হলে ভালো সন্তান হবে, আমাকে ভালো মা দাও আমি ভালো জাতি গড়ে দেব’ –নেপোলিয়ান বোনাপার্টির সে কথাটির কার্যকারিতা ঠিক এ সময়ই হয়ে থাকে।
সূরা ‘আল-বাকারার’ পূর্বোক্ত আয়াতে (আরবী) এবং তোমাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ রচনার জন্যে এমনি ব্যবস্থা গ্রহণ করো’ অংশের দুটো অর্থ হতে পারে। একটি হচ্ছেঃ দুনিয়ার বৈষয়িক কাজে-কর্মে এত দূর লিপ্ত হয়ে যেও না, যার ফলে তোমরা দ্বীনের কাজে গাফির হয়ে যেতে পারো। আর দ্বিতীয় অর্থ হচ্ছে, স্ত্রী-সহবাস করবে তোমরা এ নিয়ত সহকারে যে, তোমরা আল্লাহর মেহেরবানীতে যেন সন্তান লাভ করতে পার এবং দুনিয়ার জীবনে সে সন্তান তোমাদের কাজে লাগতে পারে। তোমরা যখন বৃদ্ধ, অকর্মণ্য ও উপার্জনক্ষমতায় রহিত হয়ে যাবে, তখন যেন তারা তোমাদের প্রয়োজন পূরণ করতে পারে। আর তারা তোমাদের জন্যে –তোমাদের রূহের শান্তি ও মাগফিরাতের জন্যে আল্লারহার কাছে দো’আ করতে পারবে। এভাবেই পিতামাতার মঙ্গলময় ভবিষ্যৎ রচতি হতে পারে। এ ভবিষ্যৎ ইহকালীন যেমন, পরকালীনও ঠিক তেমনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/505/114
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।