hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ২য় খন্ড

লেখকঃ আবুল ফিদা হাফিজ ইবন কাসীর আদ-দামেশকী (র)

১৭
বিধ্বস্ত বায়তুল মুকাদ্দাস পুনঃনির্মাণ এবং বিক্ষিপ্ত বনী ইসরাঈলের পুনরায় একত্রিত হওয়ার বর্ণনা
এ প্রসঙ্গে আল্লাহর বাণীঃ

( أَوۡ كَٱلَّذِی مَرَّ عَلَىٰ قَرۡیَة وَهِیَ خَاوِیَةٌ عَلَىٰ عُرُوشِهَا قَالَ أَنَّىٰ یُحۡیِۦ هَـٰذِهِ ٱللَّهُ بَعۡدَ مَوۡتِهَاۖ فَأَمَاتَهُ ٱللَّهُ مِا۟ئَةَ عَام ثُمَّ بَعَثَهُۥۖ قَالَ كَمۡ لَبِثۡتَۖ قَالَ لَبِثۡتُ یَوۡمًا أَوۡ بَعۡضَ یَوۡم ۖ قَالَ بَل لَّبِثۡتَ مِا۟ئَةَ عَام فَٱنظُرۡ إِلَىٰ طَعَامِكَ وَشَرَابِكَ لَمۡ یَتَسَنَّهۡۖ وَٱنظُرۡ إِلَىٰ حِمَارِكَ وَلِنَجۡعَلَكَ ءَایَة لِّلنَّاسِۖ وَٱنظُرۡ إِلَى ٱلۡعِظَامِ كَیۡفَ نُنشِزُهَا ثُمَّ نَكۡسُوهَا لَحۡم اۚ فَلَمَّا تَبَیَّنَ لَهُۥ قَالَ أَعۡلَمُ أَنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَیۡء قَدِیر ࣱ)

[Surah Al-Baqarah 259]

—অথবা তুমি কী সে ব্যক্তিকে দেখনি, যে এমন এক নগরে উপনীত হযেছিল, যা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল। সে বলল, “মৃত্যুর পর কিরূপে আল্লাহ একে জীবিত করবেন?” তারপর আল্লাহ তাকে একশ’ বছর মত রাখলেন। পরে তাকে পুনর্জীবিত করলেন। আল্লাহ বললেন, “তুমি কতকাল অবস্থান করলে?” সে বলল, ‘একদিন অথবা একদিনেরও কিছু কম অবস্থান করেছি।’ তিনি বললেন, ‘না, বরং তুমি একশ বছর অবস্থান করেছ। তোমার খাদ্য সামগ্রী ও পানীয় বস্তুর প্রতি লক্ষ্য কর, তা অবিকৃত রয়েছে এবং তোমার গাধাটির প্রতি লক্ষ্য কর, কারণ তোমাকে মানব জাতির জন্য নিদর্শন স্বরূপ করব। আর অস্থিগুলোর প্রতি লক্ষ্য কর, কিভাবে সেগুলোকে সংযোজিত করি এবং গোশত দ্বারা ঢেকে দেই।’ যখন এ তার নিকট সুস্পষ্ট হল তখন সে বলে উঠল, ‘আমি জানি যে, আল্লাহ নিশ্চয়ই সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (২ বাকারাঃ ২৫৯)।

হিশাম ইবন কালবী বলেন, অতঃপর আল্লাহ আরমিয়া নবীর নিকট ওহী প্রেরণ করে জানালেন যে, আমি বায়তুল মুকাদ্দাসকে পুনরায় আবাদ করব। সুতরাং তুমি সেখানে যাও ও অবস্থান কর। নির্দেশ মতে আরমিয়া (আ) সেখানে গেলেন এবং দেখলেন যে, গোটা নগরী সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। অবাক বিস্ময়ে তিনি ভাবলেন, সুবহানাল্লাহ! আল্লাহ্ আমাকে এ নগরীতে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন যে, তিনি একে পুনরায় আবাদ করবেন; কিন্তু তা কবে? এমন বিধ্বস্ত নগরীকে তিনি কতদিনে কিভাবে আবাদ করবেন? এসব চিন্তা করতে করতে তিনি ঘুমিয়ে গেলেন। তাঁর সাথে ছিল একটি গাধা ও কিছু খাদ্য দ্রব্য। এ ঘুমের মধ্যে তার সত্তর বছর কেটে যায়। ইতিমধ্যে বুখত নসর ও তার মনিব সম্রাট লাহরাসার মৃত্যু হয়। লাহরাসার একশ বিশ বছর যাবত রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র বাশতাসাব তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। তাঁরই রাজত্বকালে বুখত নসরের মৃত্যু হয়। বাশতাসাব সিরিয়া (শাম) সম্পর্কে অবগত হলেন যে, দেশটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়ে আছে, সমগ্র ফিলিস্তীন হিংস্র শ্বাপদে ভরে গিয়েছে এবং মানুষের কোন অস্তিত্ব সেখানে নেই। তাই তিনি সদয় হয়ে বাবিলে অবস্থানরত বনী ইসরাঈলদেরকে আহ্বান করে জানালেন। তোমরা যারা নিজেদের দেশে সিরিয়ায় ফিরে যেতে চাও, যেতে পার। তিনি দাউদ বংশের একজনকে তাদের রাজা বানিয়ে বায়তুল মুকাদ্দাসসহ অন্যান্য মসজিদ পুনর্নির্মাণ করার নির্দেশ দেন। বনী ইসরাঈলরা তাদের রাজার সাথে আপন দেশ সিরিয়ায় চলে গেল এবং বায়তুল মুকাদ্দাস পুনঃপ্রতিষ্ঠা করল।

আল্লাহ তখন আরমিয়ার চোখ খুলে দিলেন। তিনি নগরীর আবাদ হওয়া দৃশ্যটি প্রত্যক্ষ করতে থাকলেন। এভাবে তাঁর আরও ত্রিশ বছর কেটে যায়। ফলে পূর্ণ নিদ্রাকাল একশ বছর পূর্ণ হয় এবং তারপরে তিনি জাগ্রত হন। কিন্তু তিনি ধারণা করতে থাকেন যে, তার নিদ্রাকাল কয়েক ঘণ্টার বেশি হয়নি। অথচ নগরীকে তিনি দেখেছিলেন ধ্বংস ও বিধ্বস্ত। আর নিদ্রা থেকে জেগে এখন দেখতে পাচ্ছেন আবাদ নগরী হিসেবে। তাই সহসা বলে উঠলেন, ‘আল্লাহ সবকিছুই করতে পারেন।’ অতঃপর বনী ইসরাঈলরা তথায় বসবাস করতে থাকে। আল্লাহ তাদের রাজত্ব ফিরিয়ে দিলেন। এভাবে দীর্ঘকাল অতিবাহিত হয়। তারপর তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে দ্বন্দ্ব কলহে লিপ্ত হয়। এ সুযোগে রোমান সম্রাট তাদের উপর আক্রমণ চালিয়ে তাদের দেশ দখল করে নেয়। রোমীয় খৃষ্টানদের শাসনাধীনে থেকে বনী ইসরাঈলের শক্তি ও ঐক্য-সংহতি কিছুই অবশিষ্ট থাকল না।

ইবন জারির (র) তাঁর ইতিহাস গ্রন্থে উক্ত ঘটনা এভাবেই বর্ণনা করেছেন। তিনি আরও লিখেছেন যে, লাহরাসার ছিলেন একজন ন্যায়পরায়ণ শাসক। প্রজাবর্গ, সামন্ত রাজগণ, অধিনায়কগণ ও শহর-নগর সবই ছিল তাঁর অনুগত আজ্ঞাবহ। নগর তৈরি, নদী খনন ও সরাইখানা নির্মাণে তিনি ছিলেন অতিশয় বিজ্ঞ ও পারদর্শী। একশ বছরের ঊর্ধ্বে রাজ্য শাসনের পর দুর্বল ও ক্লান্ত হয়ে পড়লে আপন পুত্র বাশতাসবের নিকট ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। বাশতাসবের আমলে সেদেশে মাজুসী ধর্মের (অগ্নিপূজার) উদ্ভব হয়। এ ধর্মের সূচনা করেন যারদাশত নামক এক ব্যক্তি। তিনি নবী আরমিয়ার সঙ্গে থাকতেন। নবীর উপর কোন এক কারণে তিনি রাগান্বিত হন। নবী তাকে অভিশাপ দেন। ফলে যারদাশত কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হয়। অতঃপর তিনি আজারবাইজানে গিয়ে বাশতাসবের সাথে মিলিত হন এবং তাকে নিজের উদ্ভাবিত মাজুসী ধর্মে দীক্ষিত করেন। এই ধর্ম গ্রহণ করার জন্যে বাশতাসব জনগণের উপর ভীষণভাবে চাপ সৃষ্টি করে। যারা স্বীকার করতে রাজি হয়নি তাদেরকে সে পাইকারীভাবে হত্যা করে। বাশতাসবের পরে তার পুত্র বাহমান পারস্যের সম্রাট হয় এবং রাজ্য শাসনে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করে।

বুখত নসর উপরোক্ত তিনজন সম্রাটের অধীনে আঞ্চলিক শাসনকর্তা ছিল এবং দীর্ঘ জীবন লাভ করেছিল। উপরোক্ত বর্ণনার সারমর্ম হল— ইবন জারিরের মতে, উক্ত জনপদের মধ্য দিয়ে অতিক্রমকারী ব্যক্তি হলেন হযরত আরমিয়া (আ)। কিন্তু ওহাব ইবন মুনাবিহ, আবদুল্লাহ্ ইবন উবায়দ প্রমুখ ঐতিহাসিকগণ হযরত আলী, আবদুল্লাহ ইবন সালাম, ইবন আব্বাস, হাসান, কাতাদা, সুদ্দী, সুলায়মান ইবন বুরায়দা প্রমুখ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, উক্ত অতিক্রমকারী ব্যক্তি হযরত উযায়র (আ)। শেষোক্ত বর্ণনার সূত্র উপরের মতের বর্ণনার সূত্রের অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী এবং প্রথম যুগের ও পরবর্তী যুগের আলিমগণের অধিকাংশের নিকট বেশি প্রসিদ্ধ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন