hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ২য় খন্ড

লেখকঃ আবুল ফিদা হাফিজ ইবন কাসীর আদ-দামেশকী (র)

৫০
অন্যান্য হাদীস
১। ইমাম বুখারী (র) বলেন, আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে একাধিক সনদে বর্ণনা করেন, একদিনের কথা, রাসূলুল্লাহ (সা) ফজরের নামায শেষে মুসল্লীদের দিকে মুখ করে বসলেন। তিনি বললেন, একজন লোক একটি গরু নিয়ে যাচ্ছিল। এক সময় সে গরুটির পিঠে চড়ে বসে এবং সেটিকে প্রহার করে। গরুটি বলে উঠে, আমাকে তো এ কাজের জন্যে সৃষ্টি করা হয়নি। আমাকে সৃষ্টি করা হয়েছে জমি চাষ করার জন্যে। তখন লোকজন অবাক হয়ে বলে, ‘সুবহানাল্লাহ, গরু আবার কথা বলে!’ রাসুল্লাহ (সা) বললেন, ‘আমি নিজে এ ঘটনাটি বিশ্বাস করি। আবু বকর (রা) এবং উমর (রা)-ও এ ঘটনা বিশ্বাস করেন।’ এ আলোচনার সময় আবু বকর ও উমর (রা) কিন্তু সেখানে ছিলেন না।

অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, এক ব্যক্তি বকরী চরাচ্ছিল। এমন সময় একটি নেকড়ে বাঘ হামলা চালিয়ে একটি বকরী নিয়ে যায়। বকরী ওয়ালা তার পিছু পিছু ছুটতে থাকে। শেষ পর্যন্ত সে বকরী নেকড়ের হাত থেকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয়। নেকড়েটি বললো, ‘আজ তুমি এটিকে আমার হাত থেকে উদ্ধার করে নিলে তবে হিংস্র জীবদের রাজত্বের দিনে, কে তাকে রক্ষা করবে? সেদিন তো আমি ব্যতীত কোন রাখাল থাকবে না।’ এটি শুনে লোকজন বলে ওঠে, ‘সুবহানাল্লাহ! নেকড়েও আবার কথা বলে?’ রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, ‘আমি আবু বকর (রা) ও উমর (রা) আমরা সবাই এটি বিশ্বাস করি।’ সেখানে আবু বকর (রা) ও উমর (রা) উপস্থিত ছিলেন না।

ইমাম তিরমিযী (র) হাদীসটি হাসান, সহীহ বলে অভিহিত করেছেন। ইমাম মুসলিম (র) সহীহ্ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

২। ইমাম বুখারী (র) বলেন, আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের মধ্যে অনেক ইলহামপ্রাপ্ত লোকও ছিলেন। এই উম্মতের মধ্যে যদি এরূপ কেউ থেকে থাকেন তবে তিনি হবেন উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)। ইমাম মুসলিম (র) ভিন্নসূত্রে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন।

৩। ইমাম বুখারী (র) মুয়াবিয়া (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন, যে বছর তিনি হজ্জ করেন সে বছর জনৈক পাহারাদারের হাত থেকে এক গোছা পরচুলা নিয়ে বললেন, হে মদীনাবাসীগণ! তোমাদের আলিমগণ কোথায়? আমি রাসূলুল্লাহ (সা)-কে বলতে শুনেছি, তিনি এ ধরনের চুল ব্যবহার করতে বারণ করে বলেছেন, “বনী ইসরাঈলের মহিলাগণ যখন এরূপ কৃত্রিম চুলের ব্যবহার করতে শুরু করে তখন তারা ধ্বংস হয়।”

ইমাম মুসলিম (র) এবং আবু দাউদ (র) এ হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন। ইমাম তিরমিযী (র) হাদীসটিকে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেন, মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান শেষ বার যখন মদীনা শরীফ এলেন তখন তিনি খুৎবা দানকালে তার আস্তীন থেকে এক গোছা পরচুলা বের করেন এবং বলেন, ইয়াহুদী ব্যতীত অন্য কেউ এ কাজ করে বলে তা আমি মনে করতাম না। রাসূলুল্লাহ (সা) এ কর্মকে মিথ্যাচার রূপে আখ্যায়িত করেছেন। অর্থাৎ কৃত্রিম চুল লাগানো।

৪। ইমাম বুখারী (র) আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেছেন, একটি কুকুর একটি কূয়ার পাড়ে হাঁপাচ্ছিল। তৃষ্ণায় তার প্রাণ যায় যায়। বনী ইসরাঈল বংশের একজন ব্যভিচারিণী মহিলা এ বিষয়টি লক্ষ্য করে। অতঃপর সে তার মোজা খুলে নেয় এবং তার সাহায্যে কুকুরটিকে পানি পান করায়। এর উসিলায় আল্লাহ তা’আলা উক্ত ব্যভিচারিণীকে ক্ষমা করে দেন। ইমাম মুসলিম (র)-ও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

৫। ইমাম বুখারী (র) আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন, একজন মহিলাকে একটি বিড়ালের ব্যাপারে আযাব দেয়া হয়েছে। সে বিড়ালটি বেঁধে রেখেছিল। শেষ পর্যন্ত বিড়ালটি মারা যায়। এ কারণেই তাকে শাস্তি দেয়া হয়। বেঁধে রাখা অবস্থায় সে ওটিকে কিছু খেতে দেয়নি এবং সেটিকে ছেড়েও দেয়নি যে, সে পোকা-মাকড় ধরে খাবে। ইমাম মুসলিম (র)-ও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

৬। ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবু সাঈদ (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, বনী ইসরাঈলের একজন বেঁটে মহিলা ছিল। সে কাঠের সুদীর্ঘ দুটো পা তৈরি করে এবং সেটিতে পা রেখে দু’জন খাটো মহিলার মধ্যে থেকে সে চলতে থাকে। একদিন সে একটি সোনার আংটি প্রস্তুত করে রাখে। তার আংটির নগীনার নিচে সে তীব্র সুগন্ধি ও মিশক লুকিয়ে রেখেছিল। অতঃপর কোন মজলিসে গেলে সে আংটিটি একটু নাড়াচাড়া করে দিত আর তার হাত থেকে খুশবু ছড়িয়ে পড়ত। ইমাম মুসলিম (র) মুসতামির খালীদ ইব্‌ন জাফর থেকে মারফু সূত্রে এটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন এটি সহীহ হাদীস।

৭। ইমাম বুখারী (র) বলেন, ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, অতীত যুগের যে সব নবুওতী বাণী লোকজনের কাছে পৌঁছেছে তার, একটি এই যে,

اذا لم تستح فاصنع ما شئت

“লজ্জা না থাকলে তুমি যা ইচ্ছা করতে পার।”

ইমাম বুখারী (র) এককভাবে এটি উল্লেখ করেছেন।

৮। ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, অতীত কালের এক ব্যক্তি ও তার স্ত্রী নিঃস্ব অবস্থায় ছিল। তাদের কিছুই করার সামর্থ্য ছিল না। একদিন লোকটি বাড়ি ফিরে এসে অত্যন্ত ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত অবস্থায় তার স্ত্রীকে বলে, ‘তোমার কাছে কোন খাবার আছে কি?’ সে বলে, ‘হ্যাঁ, আছে। সুসংবাদ নিন, আপনার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে রিযিক এসেছে।’ স্বামী স্ত্রীকে তাগিদ দিয়ে বলল, ‘আমি চাচ্ছি এখনই তোমার নিকট কিছু থাকলে নিয়ে এসো।’ স্ত্রী বললো, ‘হ্যাঁ, একটু অপেক্ষা করুন, আমরা আল্লাহর রহমতের আশায় আছি।’ বেশ কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর সে স্ত্রীকে বললো, ‘আল্লাহ রহম করুন। খুঁজে দেখ তো তোমার কাছে কোন খাবার আছে কিনা? থাকলে নিয়ে এসো। আমার ভীষণ ক্ষুধা পেয়েছে। আমি খুব কষ্ট পাচ্ছি।’ সে বলল, ‘হ্যাঁ, খাবার আছে, চুলায় রান্না হচ্ছে। একটু অপেক্ষা করুন।’ কিছুক্ষণ উভয়ে নীরব থাকার পর স্ত্রী মনে মনে বলল, আমি যদি উঠে গিয়ে চুলাটা একটু দেখে আসতাম! এরপর মহিলাটি নিজেই গেল এবং চুলায় গিয়ে দেখল সে বকরীর সিনায় ডেগচী ভর্তি এবং একটি যাতায় আটা পেষা হচ্ছে। মহিলাটি নিকটে গেল এবং যাতার আটা ঢেলে নিলে তা এবং চুলার উপরের বকরীর সিনা নিয়ে আসল।

রাসুলুল্লাহ (সা)-এর বক্তব্য উদ্ধৃত করে আবু হুরায়রা (রা) বলেন, আবুল কাসেম (সা)-এর প্রাণ যার হাতে সেই পবিত্র সত্তার শপথ করে বলছি! মহিলাটি যদি যাতা থেকে আটাগুলো নিয়ে চাক্কি উপুঁড় না করত, তবে ঐ চাক্কিতে আটা পেষা কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকত।

ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক লোকের ঘটনা। সে তার পরিবারের নিকট উপস্থিত হয়। তাদের অভাব-অনটন দেখে সে মাঠের দিকে রওয়ানা হয়। এ অবস্থা দেখে তার স্ত্রী আটা পেষার চাক্কির নিকট যায়, এবং তা চালু করে দেয়। তারপর চুলার নিকট গিয়ে চুলা জ্বালিয়ে দেয়। তারপর আল্লাহর নিকট দোয়া করে বলে, ‘হে আল্লাহ! আমাদের খাদ্যের ব্যবস্থা করে দিন’ হঠাৎ সে দেখে তাদের গামলা ভর্তি হয়ে গিয়েছে। চুলার নিকট গিয়ে দেখে চুলা ভর্তি হয়ে রয়েছে।

বর্ণনাকারী বলেন, এরপর স্বামী ফিরে আসে এবং বলে, ‘তোমরা কিছু পেয়েছ কি?’ তার স্ত্রী বলে, ‘হ্যাঁ, আমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে পেয়েছি।’ অতঃপর তারা চাক্কির নিকট যায়। এ ঘটনা রাসূলুল্লাহ (সা)-এর নিকট বর্ণনা করা হয়। তিনি বলেন, ‘যদি ঐ চাক্কি উঠানো না হত, তাহলে কিয়ামত পর্যন্ত তা ঘুরতে থাকত।’

বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা)-এর নিকট এ সময় তিনি বলছিলেন, আল্লাহর কসম, কারো কাছে এসে ভিক্ষা চাওয়া অপেক্ষা কাঠের বোঝা বাহন করে এনে তা বিক্রি করে নিজের মর্যাদা রক্ষা করা তোমাদের জন্যে অধিকতর কল্যাণকর।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন