hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ২য় খন্ড

লেখকঃ আবুল ফিদা হাফিজ ইবন কাসীর আদ-দামেশকী (র)

৫১
তওবাকারী দু’রাজার ঘটনা
ইমাম আহমদ (র) আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, তোমাদের পূর্ববর্তী জনৈক রাজার কথা। একদা তিনি তার রাজত্ব নিয়ে গভীরভাবে চিন্তামগ্ন হলেন। তাতে তিনি উপলব্ধি করলেন যে, একদিন না একদিন তাকে এই রাজত্বের মায়া ছাড়তে হবে। অথচ তখন এটাই তাঁকে আপন প্রতিপালকের ইবাদত থেকে গাফিল করে রেখেছে।

একরাতে তিনি চুপিসারে নিজের প্রাসাদ থেকে বেরিয়ে পড়েন। তিনি অন্য এক রাজ্যে এসে পৌঁছেন এবং সাগর তীরে আস্তানা স্থাপন করেন। সেখানে তিনি ইট তৈরির কাজ শুরু করেন। এতে যা আয় হত তা দিয়ে প্রয়োজন মাফিক খাদ্য দ্রব্যের ব্যবস্থা করতেন এবং উদ্বৃত্ত অর্থ সাদকা করে দিন। এভাবে তার দিন কাটছিল। ঐ দেশের রাজার নিকট তাঁর সংবাদ পৌঁছে। রাজা তাঁকে ডেকে পাঠান। তিনি যেতে অস্বীকার করেন। রাজা তখন নিজেই তার কাছে চলে আসেন। রাজাকে দেখেই ঐ রাজা পালাতে শুরু করেন। রাজা ও ঘোড়া নিয়ে তাঁর পিছু নেন। কিন্তু তিনি তার নাগাল পেলেন না।

অবশেষে রাজা চিৎকার করে বলেন, ‘হে আল্লাহর বান্দা! আমার পক্ষ থেকে আপনার কোন ক্ষতির আশংকা নেই।’ তখন ঐ রাজা থামলেন, ফলে উভয়ের সাক্ষাৎ হলো। রাজা বললেন, ‘আল্লাহ তা’আলা আপনাকে দয়া করুন, আপনার পরিচয় কি?’ তিনি বললেন, ‘আমি অমুকের পুত্র অমুক। অমুক রাজ্যের রাজা। আমার রাজত্ব নিয়ে আমি একদি গভীরভাবে চিন্তা করেছিলাম। তাতে আমি উপলব্ধি করেছি যে, শেষ পর্যন্ত আমি এ রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হবই! আর তখন এ রাজ্যই আমাকে আমার প্রতিপালকের ইবাদত থেকে গাফিল করে রেখেছে। তাই আমি ঐ রাজ্য ত্যাগ করে এখানে এসে আমার প্রতিপালকের ইবাদত করছি।’ রাজা বললেন, ‘আপনি যা করছেন এ ব্যাপারে আমি আপনার চাইতে কম মুখাপেক্ষী নই।’ এ বলে রাজা বাহন থেকে নেমে পড়েন এবং সেটিকে ছেড়ে দেন। তিনি পূর্ববর্তী রাজার পথ অনুসরণ করেন। এবার তারা দু’জনে একসাথে আল্লাহর ইবাদত করতে লাগলেন। তারা দু’জনে আল্লাহর নিকট এক সাথে মৃত্যু কামনা করলেন এবং পরে দু’জনেই মারা গেলেন।

হাদীস বর্ণনাকারী আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) বলেন, আমি যদি তখন মিসরের রমনিয়ায় থাকতাম, রাসুলুল্লাহ (সা) আমাদের নিকট তাদের যে পরিচয় বর্ণনা করেছেন। তার আলোকে আমি কবর দুটো চিনিয়ে দিতাম।

৯। ইমাম বুখারী (র) হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) সূত্রে নবী করীম (সা) থেকে বর্ণনা করেন। তোমাদের পূর্ববর্তী যুগে এক লোক ছিল। আল্লাহ তাআলা তাকে প্রচুর ধন-সম্পদ দান করেছিলেন। তাঁর মৃত্যু সময় উপস্থিত হওয়ায় সে তার পুত্রদেরকে কাছে ডাকে। তাদেরকে বলে, ‘বৎসগণ! আমি তোমাদের পিতা রূপে কেমন ছিলাম?’ তারা বলে, ‘আপনি খুবই ভাল পিতা ছিলেন।’ অতঃপর সে ব্যক্তি বলে, ‘আমি কখনো কোনো পুণ্যকর্ম করিনি। সুতরাং আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে পুড়িয়ে ফেলবে। তারপর পিষে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলবে এবং প্রচণ্ড বেগে প্রবাহিত বাতাসে নিক্ষেপ করবে।’ সে মতে পুত্ররা তাই করল। অতঃপর আল্লাহ তাআলা সে সব একত্রিত করে জিজ্ঞেস করলেন। ‘তোমার এরূপ করার হেতু কী?’ সে বলল, ‘প্রভু! আপনার ভয়ে এরূপ করেছি।’ তখন আল্লাহ তা’আলা তাকে তার রহমত দান করলেন। ইমাম মুসলিম (র)-ও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

১০। ইমাম বুখারী (র) আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে নবী করীম (সা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, এক ব্যক্তি লোকজনকে প্রায় ঋণ দিত। নিজের কর্মচারীকে সে নির্দেশ দিত যে, কোন অভাবী ব্যক্তি এলে তার ঋণ মাফ করে দিবে। এর উসিলায় হয়ত আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে মাফ করে দিবেন। ঐ ব্যক্তির মৃত্যুর পর সে আল্লাহর নিকট পৌঁছলে আল্লাহ তা’আলা তাকে মাফ করে দেন। ইমাম মুসলিম (র) ও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

১১। ইমাম বুখারী (র) সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি হযরত উসামা ইবন যায়দ (রা)-কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘প্লেগ রোগ সম্পর্কে আপনি রাসূলুল্লাহ (সা)-এর মুখে কী শুনেছেন?’ হযরত উসামা (রা) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন, ‘প্লেগ রোগ হল শাস্তি বিশেষ। বনী ইসরাঈলের একটি গোত্রের ওপর আল্লাহ তাআলা এটি প্রেরণ করেছিলেন। আর তোমাদের পূর্ববতী লোকদের উপরও এ শাস্তি এসেছিল। কোন এলাকায় প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে শুনলে তোমরা ঐ এলাকার দিকে অগ্রসর হয়ো না। আর তোমরা যেখানে অবস্থান করছ সেখানে এ রোগের প্রকোপ দেখা দিলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে তোমরা সেখান থেকে পালিয়ে যেয়ো না।’

ইমাম মুসলিম (র) হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি প্লেগ রোগ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা)-কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি আমাকে জানালেন যে, এটি একটি শান্তি বিশেষ। বান্দাদের মধ্যে যাদের প্রতি আল্লাহ ইচ্ছা করেন তাদের নিকট এটি প্রেরণ করেন। আল্লাহ তাআলা এটিকে ঈমানদারদের জন্যে রহমত ও কল্যাণরূপে নির্ধারণ করেছেন। কোন এলাকায় প্লেগ রোগের প্রকোপ দেখা দিলে কোন ব্যক্তি যদি পূর্ণ ধৈর্য্য সহকারে, সওয়াবের আশায় এবং এ বিশ্বাস নিয়ে তথায় অবস্থান করে যে, আল্লাহর নির্ধারিত তাকদীরের অন্যথা করে কোন বিপদ তার ওপর আসবে না, অতঃপর সে যদি সেখানে মারা যায় তবে সে শহীদের মর্যাদা পাবে।

১২। ইমাম বুখারী (র) হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। মাখযুম গোত্রীয় যে মহিলাটি চুরি করেছিল। তার ব্যাপারটি কুরায়শদেরকে উদ্বিগ্ন করে তোলে। তারা বলাবলি করছিল যে, তার বিষয়ে কে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর নিকট সুপারিশ করবে? তারা বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা)-এর একান্ত প্রিয় উসামা ইবন যায়দ (রা) ব্যতীত আর কে এ সাহস করবে? সে মতে হযরত উসামা (রা) এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর সাথে আলাপ করলেন। অটল রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, আল্লাহর নির্ধারিত দণ্ড বাতিলের জন্যে তুমি সুপারিশ করছ? এরপর তিনি উঠে দাঁড়ালেন এবং খুতবা দিতে গিয়ে বললেনঃ

انما اهلك الذين من قبلكم أنهم كانوا اذا سرق منهم الشريف تركوه واذا سرق فيهم الضعيف أقاموا عليه الحد- وأيم الله لو أن فاطمة بنت محمد سرقت لقطعت يدها

“তোমাদের পূর্বে যারা ধ্বংস হয়েছে তাদের ধ্বংসের কারণ হলো, তাদের কোন সম্রান্ত লোক চুরি করলে তাকে তারা ছেড়ে দিত। আর কোন দুর্বল শ্রেণীর কেউ চুরি করলে তাকে তারা শাস্তি দিত। আল্লাহর কসম, মুহাম্মদের (সা) কন্যা ফাতিমাও যদি চুরি করত তবে অবশ্যই আমি তার হাত কেটে দিতাম।”

অন্যান্য সহীহ হাদীস গ্রন্থসমূহেও হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।

১৩। ইমাম বুখারী (র) ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদা আমি এক লোককে কুরআন তিলাওয়াত করতে শুনলাম। আমি কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সা)-কে তা অন্যভাবে পাঠ করতে শুনেছি। তাকে ধরে এনে আমি রাসুলুল্লাহ (সা)-এর দরবারে উপস্থিত করি এবং তার ভিন্ন রকম কুরআন পাঠ সম্পর্কে অভিযোগ পেশ করি। এতে আমি রাসূলুল্লাহ (সা)-এর চেহারা কিছুটা অসন্তুষ্টির চিহ্ন লক্ষ্য করি। তিনি বললেন, ‘তোমাদের দু’জনই তো যথার্থ ও শুদ্ধ পাঠকারী। তোমরা মতভেদ করো না। কারণ তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তারা পরস্পর বাদানুবাদে লিপ্ত হয়েছিল ফলে তারা ধ্বংস হয়েছে।’ ইমাম বুখারী (র) হাদীসটি এককভাবে বর্ণনা করেন।

১৪। ইমাম বুখারী (র) হযরত আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ “ইয়াহুদী ও খৃষ্টানগণ চুল দাড়িতে রং ব্যবহার করে না। তোমরা তাদের বিপরীত করবে।” ইমাম বুখারী (র) এককভাবে এ রিওয়াতটি বর্ণনা করেছেন। আবু দাউদ শরীফে বর্ণিত আছে, তোমরা পাদুকাসহ সালাত আদায় করবে এবং এভাবে ইয়াহুদীদের বিরোধিতা করবে।

১৫। ইমাম বুখারী (র) হযরত ইবন আব্বাস (রা) সূত্রে বলেন, আমি হযরত উমর (রা)-কে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহ তা’আলা অমুক ব্যক্তিকে ধ্বংস করুন। সে কি জানে না যে, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, আল্লাহ লানত করুন ইয়াহূদীদের ওপর, তাদের জন্যে চর্বি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল কিন্তু তারা তা গলিয়ে বিক্রি করতো। ইমাম মুসলিম (র)-ও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

১৬। ইমাম বুখারী (র) ........ হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নামাযের সময়ের ঘোষণারূপে লোকজন আগুন জ্বালানো এবং সিঙ্গায় ফুৎকর দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল। তখন এও আলোচনা হয়েছিল যে, এগুলো তো ইয়াহুদী ও নাসারাদের প্রতীক। অতঃপর হযরত বিলাল (রা)-কে জোড় শব্দে আযান এবং বেজোড় শব্দে ইকামত দিতে নির্দেশ দেয়া হল। এর উদ্দেশ্য হল, সকল কর্মে ইয়াহুদী নাসারাদের বিপরীত কাজ করা। কারণ রাসূলুল্লাহ (সা) যখন মদীনায় পদার্পণ করেন, তখন নামাযের প্রতি আহ্বানকারী কোন আহ্বান ব্যতিরেকেই মুসলমানগণ নামাযের সময়ে উপস্থিত হত। এরপর তাদের মধ্যে জনৈক ঘোষককে নামাযের সময় হলে ( الصلوة جامعة ) নামাযের জামাত আসন্ন বলে ঘোষণা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হল। অতঃপর জামাতের সময়ের প্রতীকরূপে তারা এমন কোন বিষয় নির্ধারণের ইচ্ছা করলেন, যা দেখে মানুষ বুঝবে যে, জামাতের সময় আসন্ন। তখন কেউ কেউ প্রস্তাব দিলেন যে, আমরা তখন সিঙ্গায় ফুৎকার দিব। অপর কেউ প্রস্তাব করলেন যে, আমরা বরং যথাসময়ে আগুন প্রজ্বলিত করব।

কিন্তু এগুলোতে ইয়াহুদী-নাসারাদের সাথে সামঞ্জস্য হয়ে যায়। বিধায় দুটো প্রস্তাবই অগ্রাহ্য হয়। অতঃপর আব্দুল্লাহ ইবন যায়দ ইবন আবদ রাব্বিহী (রা)-কে তার ঘুমের মধ্যে আযান দেখানো হলো। তিনি এসে বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (সা)-কে জানালেন। রাসূলুল্লাহ (সা) উক্ত নিয়মে আযান দেয়ার জন্যে হযরত বিলাল (রা)-কে নির্দেশ দিলেন। হযরত বিলাল আযান দিলেন।

১৭। ইমাম বুখারী (র) ...... হযরত আয়েশা ও ইব্‌ন আব্বাস (রা) সূত্রে বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) যখন ইন্তিকালের সময়ে উপনীত হলেন, তখন তিনি একটি চাদর টেনে তার মুখে ঢাকতে শুরু করলেন। আর যখন তিনি অস্বস্তিবোধ করছিলেন, তখন তা মুখ থেকে সরিয়ে ফেলছিলেন। এমতাবস্থায় তিনি বলে উঠলেনঃ

لعنة الله على اليهود والنصارى اتخذوا قبور أنبيائهم مساجد

ইয়াহুদী ও নাসারাদের ওপর আল্লাহর লানত বর্ষিত হউক, কারণ তারা তাদের নবীদের কবরগুলোকে সিজদার স্থানে পরিণত করেছে। তিনি তাদের কার্যকলাপ থেকে সতর্ক করছিলেন।

১৮। ইমাম বুখারী (র) আবু সাঈদ (রা) থেকে বর্ণনা করেন। নবী করীম (সা) বলেনঃ

لتتبعن سنن من كان قبلكم شبرا بشبر وذراعا بذراع حتى لو سلكوا جحر ضت لسلكتموه فقلنا يارسول الله اليهود والنصارى قال النبي صلى الله عليه وسلم فمن .

“তোমরা এক সময় তোমাদের পূর্ববর্তীদের রীতিনীতির অনুসরণ করবে। একেবারে বিঘতে বিঘতে, হাতে হাতে (সমানে-সমান) এমনকি তারা যদি কোন গুইসাপের গর্তে ঢুকে থাকে তোমরাও তাতে ঢুকবে। আমরা বললাম, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! পূর্ববর্তীগণ বলে কি আপনি ইয়াহুদী-নাসারাদেরকে বুঝিয়েছেন?’ তিনি বললেন, ‘তা না হলে আর কারা?”

হাদীসটি ইমাম মুসলিম (র)-ও বর্ণনা করেছেন।

ইহুদী খৃষ্টানদের আচার-আচরণের সাথে সামঞ্জস্যশীল, ইসলামী শরীয়তে নিষিদ্ধ, পরবর্তী যুগে অনুষ্ঠিতব্য এসব কথা ও কর্ম সম্পর্কে অবগত করানোর পেছনে উদ্দেশ্য এই যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ঈমানদারদেরকে ইয়াহুদী-খ্রীষ্টানদের সাথে সামঞ্জস্যশীল কথা ও কর্ম থেকে বারণ করেছেন। এ প্রকার কথা ও কাজের পেছনে কোন মুমিনের উদ্দেশ্য সৎ থাকলেও এটি মূলত ওদেরই অনুকরণ। সুতরাং এরূপ কর্ম স্পষ্টতই তাদের কর্ম।

এভাবে ঈমানদারদেরকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় নামায পড়তে নিষেধ করা হয়েছে, যাতে করে মুশরিকদের সাথে সামঞ্জস্য না হয়। কেননা তারা এ সময়ে সূর্যের উপাসনা করত। যদিও ঈমানদারের মনে সূর্যের উপাসনার কোন কল্পনাও না থাকে।

অনুরূপভাবে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন -

( یَـٰۤأَیُّهَا ٱلَّذِینَ ءَامَنُوا۟ لَا تَقُولُوا۟ رَ اٰ عِنَا وَقُولُوا۟ ٱنظُرۡنَا وَٱسۡمَعُوا۟ۗ وَلِلۡكَـٰفِرِینَ عَذَابٌ أَلِیم ࣱ)

[Surah Al-Baqarah 104]

তোমরা রাসূলকে সম্বোধন করে ( رَ اٰ عِنَا ) বলো না বরং ( ٱنظُرۡنَا ) (আমাদের প্রতি তাকান) বলবে, আর তোমরা শোন, কাফিরদের জন্যে রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি। আলোচ্য আয়াতের প্রেক্ষাপট এই যে, কাফিরগণ রাসূলুল্লাহ (সা)-এর সাথে কথা বলার সময় “আমাদের দিকে তাকান এবং আমাদের কথা শুনুন” বুঝানোর জন্যে বলত ( رَ اٰ عِنَا ) (শব্দটি মূলত দ্ব্যর্থবোধক উপরোক্ত অর্থ ছাড়া ও ‘মূর্খ’ অর্থেও এটি ব্যবহৃত হয়)। ( رَ اٰ عِنَا ) শব্দ ব্যবহার করে। তারা “হে আমাদের মূর্খ ব্যক্তির” অর্থ বুঝাত। ঈমানদারগণের কেউ উক্ত শব্দ ব্যবহার করলে কখনোই তাদের মনে উক্ত অর্থের লেশ মাত্র থাকবে না; তবুও তাদেরকে এরূপ বলতে নিষেধ করা হয়েছে।

ইমাম আহমদ ও তিরমিযী (র) আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রা) সূত্রে নবী করীম (সা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ

بعثت بالسيف بين يدي الساعة حتى يعبد الله وحده لا شريك له وجعل رزقي تحت ظل رمحي وجعل الذله الصغار على من خالف أمري ومن تشبه بقوم فهو منهم .

“কিয়ামতের নিকটবর্তী কালে আমি প্রেরিত হয়েছি তরবারি সহকারে, যতক্ষণ না সামগ্রিকভাবে একক লা-শরীক আল্লাহর ইবাদত করা হবে, আমার বর্শার ছায়ায় আমার রিযিক নিহিত। লাঞ্ছনা ও হীনতা সে ব্যক্তির জন্যে, যে আমার নির্দেশের বিরোধিতা করবে। যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে সামঞ্জস্য রাখে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।

সুতরাং ইয়াহুদী-খ্রীষ্টানদের সাথে সামঞ্জস্য রাখা কোন মুসলমানের জন্যে মোটেই সমীচীন নয়। তাদের আনন্দ উৎসব, মেলা-পার্বন কিংবা পূজা-অর্চনা কোন ক্ষেত্রেই তাদের সাথে সামঞ্জস্য রাখা উচিত নয়। কারণ আল্লাহ তা’আলা এই উম্মতকে সর্বশেষ নবী দ্বারা মহিমান্বিত করেছেন। তিনি তাঁর জন্যে পরিপূর্ণ, সামগ্রিক, সুদৃঢ় ও মহান দীন ও শরীয়ত দান করেছেন। এমন যে, তাওরাতপ্রাপ্ত হযরত মূসা ইবন ইমরান এবং ইনজীলপ্রাপ্ত হযরত ঈসা ইবন মারয়াম (আ) যদি জীবিত থাকতেন তবে এই পবিত্র শরীয়তের বর্তমানে তাদের কোন শরীয়ত থাকতো না। শুধু তারা কেন অন্য সকল নবী-রাসূল (আ)-ও যদি বর্তমান থাকতেন তাহলে এই মহান, সম্মানিত ও পবিত্র শরীয়তের অনুসরণ ছাড়া তাদের গত্যন্তর থাকতো না।

আল্লাহ তা’আলা যখন আমাদেরকে হযরত মুহাম্মদ (সা)-এর অনুসারী বানিয়ে অনুগৃহীত করেছেন, তাই যে সম্প্রদায় ইতিপূর্বে পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং গোমরাহ ও পথভ্রষ্ট করেছে এবং নিজেরা সত্যপথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে, সে সম্প্রদায়ের অনুসরণ করা কী করে আমাদের জন্যে সমীচীন হবে? ঐ সম্প্রদায় তো তাদের দীনকে পরিবর্তিত করেছে, বিকৃত করেছে এবং তার ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছে। শেষে তারা এমন এক পর্যায়ে নেমে এসেছে যেন কখনো তাদের প্রতি কোন শরীয়ত নাযিলই হয়নি। পরবর্তীতে ঐ শরীয়ত তো রহিতই হয়ে গিয়েছে। রহিত এবং বাতিলকৃত দীনের অনুসরণ করা হারাম। কেউ তা অনুসরণ করলে তার ছোট-বড় কোন আমল আল্লাহ তা’আলা কবূল করবেন না। যা আদৌ শরীয়তরূপে নির্ধারিত হয়নি, তার মধ্যে আর এ বাতিলকৃত শরীয়তের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সরল পথপ্রদর্শন করেন।

১৯। ইমাম বুখারী ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতদের মেয়াদের তুলনায় তোমাদের মেয়াদ হল আসরের নামায থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের ন্যায়। তোমাদের এবং ইয়াহুদী-নাসারাদের উদাহরণ হল এমন এক ব্যক্তির ন্যায়, যে কতক কর্মচারী নিয়োগের ইচ্ছা করল। সে বলল, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রত্যেকে এক কীরাত করে পাবে। পারিশ্রমিকের বিনিময়ে আমার কাজ করার কেউ আছে কী? এ প্রেক্ষিতে এক কীরাতের বিনিময়ে ইয়াহুদীগণ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কাজ করল। তারপর ওই লোক বলল, দুপুর থেকে আসরের নামাযের সময় পর্যন্ত এক কীরাত। এক কীরাত পারিশ্রমিকের বিনিময়ে আমার কাজ করার কেউ আছে কী? এ প্রেক্ষিতে নাসারাগণ এক কীরাতের বিনিময়ে দুপুর থেকে আসর পর্যন্ত কাজ করল।

তারপর ঐ ব্যক্তি বলল, আসরের নামাযের সময় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত প্রত্যেকে দু’কীরাত পরিশ্রমিকের বিনিময়ে আমার কাজ করার কেউ আছে কী? জেনে রেখ, হে আমার উম্মত! তোমরা এখন আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত দু’কীরাতের বিনিময়ে কাজ করে যাচ্ছ। জেনে রেখ, তোমাদের পারিশ্রমিক হল ওদের দ্বিগুণ।

তাতে ইয়াহুদী ও নাসারাগণ ক্ষুব্ধ হলো এবং বলল, আমরা কাজ করলাম বেশী আর পারিশ্রমিক পেলাম কম! আল্লাহ তা’আলা বললেন, “আমি কি তোমাদের পাওনা পরিশোধের ব্যপারে জুলুম করেছি। তারা বলল, না। আল্লাহ তাআলা বললেন, ওদেরকে যে দ্বিগুণ দিচ্ছি তা আমার অনুগ্রহ। আমি যাকে চাই, আমার অনুগ্রহ দান করি।”

আলোচ্য হাদীস খানা প্রমাণ করে যে, অতীত উম্মতদের মেয়াদের তুলনায় এ উম্মতের মেয়াদ কম হবে। কারণ রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন -

انما أجلكم في أجل من خلا من الأمم قبلكم كما بين صلاة العصر الى مغرب الشمس

“তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতদের মেয়াদের অনুপাতে তোমাদের মেয়াদ হল আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়ের ন্যায়। অবশ্য পূর্ববর্তী উম্মতদের সাকুল্য মেয়াদ কতটুকু ছিল, তা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো জানা নেই। তদ্রপ এই উম্মতের সাকুল্য মেয়াদ কতটুকু হবে, তা-ও আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত অন্য কেউ জানেন না। তবে এটা ঠিক যে, পূর্ববর্তী উম্মতের মেয়াদের তুলনায় এ উম্মতের মেয়াদ কম। কিন্তু ঐ মেয়াদের কতটুকু এখনও অবশিষ্ট আছে, তা একমাত্র আল্লাহ তাআলাই জানেন।

এ বিষয়ে আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ

لَا یُجَلِّیهَا لِوَقۡتِهَاۤ إِلَّا هُوَۚ

শুধু তিনিই যথাসময়ে তা প্রকাশ করবেন।

আল্লাহ তা’আলা আরো বলেনঃ

( یَسۡـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلسَّاعَةِ أَیَّانَ مُرۡسَىٰهَا ۝ فِیمَ أَنتَ مِن ذِكۡرَىٰهَاۤ ۝ إِلَىٰ رَبِّكَ مُنتَهَىٰهَاۤ )

[Surah An-Nazi'at 42 - 44]

“ওরা আপনাকে জিজ্ঞেস করে, কিয়ামত সম্পর্কে, সেটি কখন ঘটবে? এটির আলোচনার সাথে আপনার কী সম্পর্ক? এটির চরম জ্ঞান আছে আপনার প্রতিপালকের নিকট। রাসূলুল্লাহ (সা)-এর পরে পৃথিবী হাজার বছর আয়ু পাবে না বলে যে জনশ্রুতি মশহুর রয়েছে, তা আদৌ কোন হাদীস নয়।

এ বিষয়ে অবশ্য অন্য একটি হাদীস রয়েছে। সেটি হল, ‘দুনিয়া হল আখিরাতের জুমা সমূহের মধ্যকার একটি জুমা (সপ্তাহ) বরাবর মাত্র।’ তবে এ হাদীসের বিশুদ্ধতায় সন্দেহ রয়েছে। উপরোক্ত হাদীসে বর্ণিত উদাহরণ প্রদানের উদ্দেশ্য হল তাদের ছওয়াব ও পারশ্রমিকের তারতম্য বর্ণনা করা এবং এটাও জানিয়ে দেয়া যে, ছওয়াবের প্রাচুর্য ও কমতি কর্মের পরিমাণের উপর নির্ভরশীল নয়; বরং এটি নির্ভর করে অন্য বিষয়ের উপর, যা আল্লাহর নিকট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন অনেক ক্ষেত্র আছে, যেখানে স্বল্প আমল দ্বারা এমন প্রচুর ছওয়াব অর্জন করা যায়, যা অন্যখানে বেশী আমল দ্বারা অর্জন করা যায় না। যেমন লায়লাতুল কদর। এই রাতে ইবাদত করা লাইলাতুল কদর বিহীন হাজার মাস ইবাদত করা অপেক্ষা উত্তম। তদ্রুপ প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা)-এর সাহাবীগণ। তারা এমন এক সময়ে আল্লাহর পথে দান করেছেন যে, অন্যরা উহুদ পর্বত সমান স্বর্ণ আল্লাহর পথে দান করলেও সাহাবীগণের ঐ পরিমাণ বা তার অর্ধেক দানেরও সমান হবে না। আর রাসূলুল্লাহ (সা)-কে তাঁর ৪০ বছর বয়সে আল্লাহ তা’আলা নবুওত দান করেন এবং ৬৩ বছর বয়সে তাঁকে দুনিয়া থেকে তুলে নেন, এটাই প্রসিদ্ধ মত।

২৩ বছরের এই স্বল্প মেয়াদে তিনি কল্যাণকর জ্ঞান ও সৎকর্মে সকল নবী (আ)-কে অতিক্রম করে গিয়েছেন। এমন কি নূহ (আ) যিনি দীর্ঘ ৯৫০ বছর তাঁর সম্প্রদায়কে লা-শরীক আল্লাহর ইবাদতের প্রতি দাওয়াত দিয়েছিলেন এবং দিনে-রাতে সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর ইবাদতে নিয়োজিত ছিলেন; তার উপরও রাসূলুল্লাহ (সা) শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন। তাঁর সকল নবীর উপর সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক। এই উম্মত, তারা গৌরবান্বিত হয়েছে এবং দ্বিগুণ ছওয়াবের অধিকারী হয়েছে তাদের নবীর শ্রেষ্ঠত্ব, মাহাত্ম ও সম্মানের বরকতে। এ প্রসংগে আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ

( یَـٰۤأَیُّهَا ٱلَّذِینَ ءَامَنُوا۟ ٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَءَامِنُوا۟ بِرَسُولِهِۦ یُؤۡتِكُمۡ كِفۡلَیۡنِ مِن رَّحۡمَتِهِۦ وَیَجۡعَل لَّكُمۡ نُور ا تَمۡشُونَ بِهِۦ وَیَغۡفِرۡ لَكُمۡۚ وَٱللَّهُ غَفُور رَّحِیم ۝ لِّئَلَّا یَعۡلَمَ أَهۡلُ ٱلۡكِتَـٰبِ أَلَّا یَقۡدِرُونَ عَلَىٰ شَیۡء مِّن فَضۡلِ ٱللَّهِ وَأَنَّ ٱلۡفَضۡلَ بِیَدِ ٱللَّهِ یُؤۡتِیهِ مَن یَشَاۤءُۚ وَٱللَّهُ ذُو ٱلۡفَضۡلِ ٱلۡعَظِیمِ )

[Surah Al-Hadid 28 - 29]

“হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং তাঁর রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, তিনি তাঁর অনুগ্রহে তোমাদেরকে দিবেন দ্বিগুণ পুরস্কার এবং তিনি তোমাদেরকে দিবেন আলো, যার সাহায্যে তোমরা চলবে এবং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। এটি এজন্যে যে, কিতাবীগণ যেন জানতে পারে, আল্লাহর সামান্যতম অনুগ্রহের উপরও তাদের কোন অধিকার নেই। অনুগ্রহ আল্লাহরই ইখতিয়ারে, যাকে ইচ্ছা তাকে তিনি তা দান করেন। আল্লাহ মহা অনুগ্রহশীল।"

কুরআন করীমে এবং রাসূলুল্লাহ (সা)-এর হাদীসে বনী ইসরাঈল সম্পর্কে বহু বিবরণ রয়েছে। তার সবগুলো যদি আমরা উল্লেখ করতে যাই তবে গ্রন্থটির কলেবর বেড়ে যাবে। ইমাম বুখারী (রা) যা উল্লেখ করেছেন আমরা সেগুলোই এই কিতাবে উল্লেখ করলাম। এতটুকুই যথেষ্ট, এ অধ্যায়ের জন্যে এগুলো স্মারক ও নমুনা। আল্লাহই সম্যক অবগত। (৫৭ হাদীদঃ ২৮-২৯)

ইসরাঈলীদের থেকে বর্ণিত তাদের বর্ণনা, যেগুলো অনেক তাফসীরকার ও ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেছেন, তার সংখ্যা তো বহু, এগুলোর কিছু কিছু সঠিক এবং প্রকৃত ঘটনার অনুকূল বটে; কিন্তু অধিকাংশ হল মিথ্যা, অসত্য ও বানোয়াট। তাদের পথভ্রষ্ট ও সত্যতাগী লোকেরা এগুলো রটনা করেছে এবং তাদের কাহিনীকাররা প্রচার করেছে।

ইসরাঈলী বর্ণনাগুলো তিন প্রকার।

(১) কতক বর্ণনা সঠিক। আল্লাহর কুরআনে বর্ণিত এবং রাসূলুল্লাহ (সা)-এর হাদীসে বিবৃত ঘটনাসমূহের অনুরূপ

(২) কতক বর্ণনা এরূপ যে, কুরআন ও হাদীসের সরাসরি বিপরীত হওয়ার কারণে এগুলোর অসত্য ও বানোয়াট হওয়া সুস্পষ্ট

(৩) কতক এমন যে, এগুলো সত্যও হতে পারে আবার মিথ্যাও হতে পারে। এ জাতীয় বর্ণনাগুলো সম্পর্কেই আমাদেরকে নীরব থাকতে বলা হয়েছে যে, আমরা এগুলোকে সত্যও বলব না, মিথ্যাও বলব না। বিশুদ্ধ হাদীসে এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন,

اذا حدثكم أهل الكتب فلا تصير قوهم ولا تكذبوهم وقولوا أمنا بالذي أنزل الينا وأنزل اليكم

—ইয়াহুদী-নাসারাগণ যখন তোমাদের নিকট কোন কথা পেশ করে তখন তোমরা তাদেরকে সত্যবাদীও সব্যস্ত করো না; মিথ্যাবাদীও সাব্যস্ত করো না। বরং তোমরা বল? আমরা সে সবের প্রতি ঈমান এনেছি, যেগুলো আমাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে এবং তোমাদের প্রতিও নাযিল করা হয়েছে। ইতিপূর্বে উল্লেখিত হাদীস

وحدثوا عن بنى اسرائيل ولا حرج

‘তোমরা ইসরাঈলীদের থেকে হাদীস বর্ণনা কর, তাতে দোষ নেই’—এর প্রেক্ষিতে এ প্রকারের উদ্ধৃতিগুলো বর্ণনা করা বৈধ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন