hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ২য় খন্ড

লেখকঃ আবুল ফিদা হাফিজ ইবন কাসীর আদ-দামেশকী (র)

৩৪
যুল-কারনায়ন
এ প্রসংগে আল্লাহর বাণীঃ

( وَیَسۡـَٔلُونَكَ عَن ذِی ٱلۡقَرۡنَیۡنِۖ قُلۡ سَأَتۡلُوا۟ عَلَیۡكُم مِّنۡهُ ذِكۡرًا ۝ إِنَّا مَكَّنَّا لَهُۥ فِی ٱلۡأَرۡضِ وَءَاتَیۡنَـٰهُ مِن كُلِّ شَیۡء سَبَب ا ۝ فَأَتۡبَعَ سَبَبًا ۝ حَتَّىٰۤ إِذَا بَلَغَ مَغۡرِبَ ٱلشَّمۡسِ وَجَدَهَا تَغۡرُبُ فِی عَیۡنٍ حَمِئَة وَوَجَدَ عِندَهَا قَوۡم اۖ قُلۡنَا یَـٰذَا ٱلۡقَرۡنَیۡنِ إِمَّاۤ أَن تُعَذِّبَ وَإِمَّاۤ أَن تَتَّخِذَ فِیهِمۡ حُسۡن ا ۝ قَالَ أَمَّا مَن ظَلَمَ فَسَوۡفَ نُعَذِّبُهُۥ ثُمَّ یُرَدُّ إِلَىٰ رَبِّهِۦ فَیُعَذِّبُهُۥ عَذَاب ا نُّكۡر ا ۝ وَأَمَّا مَنۡ ءَامَنَ وَعَمِلَ صَـٰلِح ا فَلَهُۥ جَزَاۤءً ٱلۡحُسۡنَىٰۖ وَسَنَقُولُ لَهُۥ مِنۡ أَمۡرِنَا یُسۡر ا ۝ ثُمَّ أَتۡبَعَ سَبَبًا ۝ حَتَّىٰۤ إِذَا بَلَغَ مَطۡلِعَ ٱلشَّمۡسِ وَجَدَهَا تَطۡلُعُ عَلَىٰ قَوۡم لَّمۡ نَجۡعَل لَّهُم مِّن دُونِهَا سِتۡر ا ۝ كَذَ  ٰ⁠ لِكَۖ وَقَدۡ أَحَطۡنَا بِمَا لَدَیۡهِ خُبۡر ا ۝ ثُمَّ أَتۡبَعَ سَبَبًا ۝ حَتَّىٰۤ إِذَا بَلَغَ بَیۡنَ ٱلسَّدَّیۡنِ وَجَدَ مِن دُونِهِمَا قَوۡم ا لَّا یَكَادُونَ یَفۡقَهُونَ قَوۡل ا ۝ قَالُوا۟ یَـٰذَا ٱلۡقَرۡنَیۡنِ إِنَّ یَأۡجُوجَ وَمَأۡجُوجَ مُفۡسِدُونَ فِی ٱلۡأَرۡضِ فَهَلۡ نَجۡعَلُ لَكَ خَرۡجًا عَلَىٰۤ أَن تَجۡعَلَ بَیۡنَنَا وَبَیۡنَهُمۡ سَدّ ا ۝ قَالَ مَا مَكَّنِّی فِیهِ رَبِّی خَیۡر فَأَعِینُونِی بِقُوَّةٍ أَجۡعَلۡ بَیۡنَكُمۡ وَبَیۡنَهُمۡ رَدۡمًا ۝ ءَاتُونِی زُبَرَ ٱلۡحَدِیدِۖ حَتَّىٰۤ إِذَا سَاوَىٰ بَیۡنَ ٱلصَّدَفَیۡنِ قَالَ ٱنفُخُوا۟ۖ حَتَّىٰۤ إِذَا جَعَلَهُۥ نَار ا قَالَ ءَاتُونِیۤ أُفۡرِغۡ عَلَیۡهِ قِطۡر ا ۝ فَمَا ٱسۡطَـٰعُوۤا۟ أَن یَظۡهَرُوهُ وَمَا ٱسۡتَطَـٰعُوا۟ لَهُۥ نَقۡب ا ۝ قَالَ هَـٰذَا رَحۡمَة مِّن رَّبِّیۖ فَإِذَا جَاۤءَ وَعۡدُ رَبِّی جَعَلَهُۥ دَكَّاۤءَۖ وَكَانَ وَعۡدُ رَبِّی حَقّ ࣰا)

[Surah Al-Kahf 83 - 98]

“ওরা তোমাকে যুল-কারনায়ন সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করে। বল, আমি তোমাদের নিকট তার বিষয় বর্ণনা করব। আমি তাকে পৃথিবীতে কর্তৃত্ব দিয়েছিলাম এবং প্রত্যেক বিষয়ের উপায়-উপকরণ দান করেছিলাম। অতঃপর সে এক পথ অবলম্বন করল। চলতে চলতে সে যখন সূর্যের অস্তগমন স্থানে পৌঁছল তখন সে সূর্যকে এক পংকিল জলাশয়ে অস্তগমন করতে দেখল এবং সে সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেল। আমি বললাম, “হে যুল-কারনায়ন! তুমি এদেরকে শাস্তি দিতে পার অথবা এদের ব্যাপার সদয়ভাবে গ্রহণ করতে পার।’ সে বলল, ‘যে কেউ সীমালংঘন করবে, আমি তাকে শাস্তি দিব, অতঃপর সে তার প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে এবং তিনি তাকে কঠিন শাস্তি দিবেন। তবে যে ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে তার জন্যে প্রতিদান স্বরূপ আছে কল্যাণ এবং তার প্রতি ব্যবহারে আমি নম্র কথা বলব।

আবার সে এক পথ ধরল। চলতে চলতে যখন সে সূর্যোদয় স্থলে পৌঁছল, তখন সে দেখল তা এমন এক সম্প্রদায়ের উপর উদয় হচ্ছে যাদের জন্যে সূর্যতাপ হতে কোন অন্তরাল আমি সৃষ্টি করিনি। প্রকৃত ঘটনা এটাই, তার বৃত্তান্ত আমি সম্যক অবগত আছি। আবার সে এক পথ ধরল। চলতে চলতে সে যখন দুই পর্বত প্রাচীরের মধ্যবর্তী স্থলে পৌঁছল, তখন সেখানে সে এক সম্প্রদায়কে পেল যারা তার কথা একেবারেই বুঝতে পারছিল না। তারা বলল, “হে যুল-কারনায়ন! ইয়াজুজ ও মাজুজ পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করছে; আমরা কি তোমাকে কর দিব এই শর্তে যে, তুমি আমাদের ও তাদের মধ্যে এক প্রাচীর গড়ে দিবে?’ সে বলল, ‘আমার প্রতিপালক আমাকে যে ক্ষমতা দিয়েছেন তা-ই উৎকৃষ্ট; সুতরাং তোমরা আমাকে শ্রম দিয়ে সাহায্য কর। আমি তোমাদের ও তাদের মধস্থলে এক মজবুত প্রাচীর গড়ে দিব। তোমরা আমার নিকট লৌহ পিণ্ডসমূহ আনয়নকর, অতঃপর মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থান পূর্ণ হয়ে যখন লৌহস্তুপ দুই পর্বতের সমান হল তখন সে বলল, তোমরা হাঁপরে দম দিতে থাক। যখন তা আগুনের মত উত্তপ্ত হল, তখন সে বলল, তোমরা গলিত তামা আনয়ন কর, আমি তা ঢেলে দিই এর উপর। এরপর তারা তা অতিক্রম করতে পারল না বা ভেদ করতেও পারল না। সে বলল, এটা আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ। যখন আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হবে তখন এটাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেবেন এবং আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি সত্য।” (১৮ কাহফঃ ৮৩-৯৮)।

আল্লাহ এখানে যুল-কারনায়নের বর্ণনা দিয়েছেন। তাকে তিনি ন্যায়পরায়ণ বলে প্রশংসা করেছেন। প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত তিনি অভিযান পরিচালনা করেছিলেন।

ভূ-খণ্ডের উপর তিনি বিজয় লাভ করেছিলেন। সকল দেশের অধিবাসীরা তার আনুগত্য স্বীকার করেছিল। তাদের মধ্যে তিনি পূর্ণ ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বস্তুত তিনি আল্লাহর সাহায্যপ্রাপ্ত এক সফল ও বিজয়ী বীর এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠাকারী বাদশাহ্। তাঁর সম্পর্কে বিশুদ্ধ কথা হল, তিনি একজন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ। অবশ্য কারো কারো মতে, তিনি নবী, কারো কারো মতে, রাসূল। তাঁর সম্পর্কে একটি বিরল মত হচ্ছে, তিনি ছিলেন ফেরেশতা। এই শেষোক্ত মতটি আমীরুল মু’মিনীন হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) থেকে শ্রুত হয়ে বর্ণিত হয়েছে। কেননা, হযরত উমর (রা) একদিন শুনতে পেলেন যে, এক ব্যক্তি অপর একজনকে বলছে, হে যুল-কারনায়ন! তখন তিনি বললেন, থাম, যে কোন একজন নবীর নামে নাম রাখাই যথেষ্ট, ফেরেশতার নামে নাম রাখার কী প্রয়োজন? সুহায়লী এ ঘটনা বর্ণনা করেছেন।

ওকী’ ...... মুজাহিদের সূত্রে আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, যুল-কারনায়ন নবী ছিলেন। হাফিজ ইবন আসাকির ........ আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ আমি জানি না, তুব্বা বাদশাহ অভিশপ্ত ছিল কি না; আমি এটাও জানি না যে, শরয়ী শাস্তি দ্বারা দণ্ডপ্রাপ্তের গুনাহ্ মাফ হবে কি না; আমি জানি না, যুল-কারনায়ন নবী ছিলেন কি না! এ হাদীস উপরোক্ত সনদে গরীব।

ইসহাক ইবন বিশর ........ ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, যুল-কারনায়ন ছিলেন একজন ধার্মিক বাদশাহ। আল্লাহ তাঁর কাজ-কর্মে সন্তুষ্ট ছিলেন নিজ কিতাবে তিনি তার প্রশংসা করেছেন। তিনি ছিলেন আল্লাহর সাহায্যপ্রাপ্ত। হযরত খিযির (আ) ছিলেন তার উযীর।

তিনি আরও বলেছেন যে, খিযির (আ) থাকতেন তার সেনাবাহিনীর অগ্রভাগে। বর্তমান কালে বাদশাহর নিকট উযীরের যেই স্থান, যুল-কারনায়নের নিকট হযরত খিযিরের ছিল ঠিক সেইরূপ উপদেষ্টার মর্যাদা। আযরকী প্রমুখ ঐতিহাসিকগণ লিখেছেন যে, যুল-কারনায়ন হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ্ (আ)-এর নিকট ইসলাম গ্রহণ করেন এবং হযরত ইবরাহীমের সাথে তিনি ও ইসমাঈল (আ) একত্রে কাবা তাওয়াফ করেন। উবায়দ ইবন উসায়র তার পুত্র আবদুল্লাহ ও অন্যান্য বর্ণনাকারী বলেছেন যে, যুল-কারনায়ন পদব্রজে হজ্জ পালন করেন। ইবরাহীম (আ) তাঁর আগমনের সংবাদ পেয়ে তার সাথে সাক্ষাত করেন, তাঁকে দোয়া করেন ও তার উপর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। আল্লাহ মেঘপুঞ্জকে যুল-কারনায়নের অনুগত করে দিয়েছিলেন। যেখানে তিনি যেতে চাইতেন মেঘমালা তাকে সেখানে বহন করে নিয়ে যেত।

যুল-কারনায়ন নামকরণের ব্যাপারে ঐতিহাসিকগণ বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করেছেন। কারও মতে, তাঁর মাথায় দুইটি শিং-এর মত ছিল এ কারণে তাকে যুল-কারনায়ন (দুই শিংওয়ালা) বলা হয়েছে। ওহব ইবন মুনাব্বিহ বলেন, তাঁর মাথায় তামার দুইটি শিং ছিল। এটা দুর্বল মত। কোন কোন আহলি-কিতাব বলেছেন, যেহেতু তিনি রোম ও পারস্য এই উভয় সাম্রাজ্যের সম্রাট ছিলেন তাই তাঁকে এরূপ উপাধি দেয়া হয়েছে। কেউ বলেন, যেহেতু তিনি সূর্যের দুই প্রান্ত পূর্ব ও পশ্চিম এবং এর মধ্যবর্তী সমস্ত জায়গার একচ্ছত্র বাদশাহ ছিলেন, তাই তাঁকে এই নামে ভূষিত করা হয়েছে। এই ব্যাখ্যা ইমাম যুহরীর এবং অন্যান্য মতের তুলনায় এ মতটিই অধিক গ্রহণযোগ্য। হাসান বসরী বলেন, তাঁর মাথার চুলের দুটি উঁচু ঝুঁটি ছিল যার কারণে তাকে এই নাম দেয়া হয়। ইসহাক ইবন বিশর ...... শুআয়বের পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি এক পরাক্রমশালী বাদশাহকে আল্লাহর দিকে আহ্বান করেন। এতে সে তার একটি শিং-এর উপর আঘাত করে ভেংগে চুরমার করে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে তাকে যুল-কারনায়ন বলে আখ্যায়িত করা হয়। ইমাম ছাওরী ........ আলী ইবন আবি তালিব (রা) থেকে বর্ণনা করেন, জনৈক ব্যক্তি হযরত আলী (রা)-কে যুল-কারনায়ন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, যুল-কারনায়ন আল্লাহর এক সৎ বান্দা। আল্লাহ তাঁকে উপদেশ দেন। তিনি উপদেশ কবুল করেন। তিনি তার সম্প্রদায়কে আল্লাহর দিকে আহ্বান করেন। তারা তাঁর একটি শিং-এর উপর সজোরে আঘাত করে। ফলে তিনি মারা যান। আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন। আবারও তিনি তার সম্প্রদায়কে আল্লাহর দিকে আহ্বান করেন। তখন তারা তার অপর শিং এর উপর আঘাত করে। এ আঘাতেও তিনি মারা যান। এখান থেকে তাকে যুল-কারনায়ন বলা হয়ে থাকে। শু’বা আল-কাসিমও........ হযরত আলী (রা) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আবুত তুফায়ল হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণনা করে বলেন, যুল-কারনায়ন নবী, রাসূল বা ফেরেশতা কোনটিই ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন পুণ্যবান ব্যক্তি।

যুল-কারনায়নের আসল নাম কি ছিল সে ব্যাপারে বিভিন্ন রকম বর্ণনা পাওয়া যায়। যুবায়র ইবন বাকার ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তাঁর নাম আবদুল্লাহ ইবন যাহ্হাক ইবন মা’আদ। কারও বর্ণনা মতে, মুসআব ইবন আবদুলাহ ইবন কিনান ইবন মানসূর ইবন আবদুল্লাহ ইবন আযদ ইবন আওন ইবন নাবাত ইবন মালিক ইবন যায়দ ইবন কাহলান ইবন সাবা ইবন কাহতান।

একটি হাদীসের বর্ণনায় আছে যে, যুল-কারনায়ন হিময়ার গোত্রভুক্ত ছিলেন। তাঁর মা ছিলেন রোম দেশীয়। প্রখর জ্ঞানের অধিকারী হওয়ায় যুল-কারনায়নকে ইবনুল ফায়লাসুফ বা মহাবিজ্ঞানী হলা হতো। হিময়ার গোত্রের জনৈক কবি তাদের পূর্ব-পুরুষ যুল-কারনায়নের প্রশংসায় নিম্নরূপ গৌরবগাথা লিখেন।

قد كان ذوالقرنين جدي مسلما - ملگا تدين له الملوك وتحشد

بلغ المشارق والمغارب يبغ -أسباب أمر من حكيم مرشد

فر ائ مغيب الشمس عند غروبها - في عين ذي خلب وثاط حرمد

من بعده بلقيس كانت عمتي- ملكتهم حتى أتاها الهدهد অর্থঃ যুল-কারনায়ন ছিলেন আমার পিতামহ, মুসলমান ও এমন এক বাদশাহ। অন্যান্য রাজন্যবর্গ তাঁর বশ্যতা স্বীকার করে ও তাঁর নিকট আত্মসমপণ করেন। তিনি অভিযানের পর অভিযান পরিচালনা করে পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছেন এবং মহাজ্ঞানী পথপ্রদর্শক আল্লাহর প্রদত্ত উপায়-উপকরণ অনুসন্ধান করেন। পশ্চিমে সূর্যের অস্তাচলে গিয়ে সেখানে সূর্যকে এক কর্দমাক্ত কাল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখেন। তার পরে আসেন সম্রাজ্ঞী বিলকীস। তিনি ছিলেন আমার ফুফু। বিশাল রাজ্যের অধিকারী হন তিনি। সুলায়মানের হুদহুদ পাখীর আগমন পর্যন্ত তিনি অত্যন্ত প্রতাপের সাথে রাজ্য পরিচালনা করেন।

সুহায়লী লিখেছেন, কেউ কেউ তার নাম বলেছেন মারযুবান ইবন মারযুবা। ইবন হিশাম এ কথা উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি অন্যত্র যুল-কারনায়নের নাম লিখেছেনঃ আস্-সা’ব ইবন যী-মারাইদ। তুববা বংশের ইনিই প্রথম বাদশাহ। বীরুস্-সাবা’র ঘটনায় তিনি ইবরাহীমের পক্ষে ফয়সালা দিয়েছিলেন। কেউ বলেছেন, যুল-কারনায়নের নাম আফরীদূন ইবন আসফিয়ান-যিনি যাহ্হাককে হত্যা করেছিলেন। আরবের বাগ্মী পুরুষ কুস তাঁর এক ভাষণে বলেছিলেনঃ হে আয়াদ ইবন সা’ব যুল-কারনায়নের বংশধর। তোমাদের পূর্বপুরুষ যুল-কারনায়ন যিনি পূর্ব ও পশ্চিমের বাদশাহ, জিন ও ইনসানের উপর ক্ষমতা প্রয়োগকারী এবং দু’হাজার বছর যার বয়স। এ সত্ত্বেও তা যেন ছিল এক লহমার মত। এ কথা উল্লেখ করার পর ইবন হিশাম কবি আ‘শার নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করেন-

والصعب والقرنين أصبح ثاويا - بالجنو في جدث اشم مقيما

“অতঃপর সা‘ব যুল-কারনায়ন মাটির নীচে কবরের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ীভাবে অবস্থান গ্রহণ করেন এবং সেখানে অবস্থানরত অবস্থায় তার সুবাস নিতে থাকেন।

ইমাম দারাকুতনী ও ইবন মাকূলা বলেছেন, যুল-কারনায়নের নাম হুরমুস। তাঁকে বলা হত হারবীস ইবন কায়তুন ইবন রামী ইবন লানতী ইবন কাশলূখীন ইবন ইউনান ইবন ইয়াফিছ ইবন নূহ (আ)। ইসহাক ইবন বিশর ........কাতাদা (র) থেকে বর্ণনা করেন যে, বাদশাহ ইস্কান্দর (আলেকজাণ্ডার)-ই হলেন যুল-কারনায়ন। তাঁর পিতা ছিলেন প্রথম কায়সার (রোম সম্রাট)। ইনি সাম ইবন নূহ (আ)-এর বংশধর। আর দ্বিতীয় যুল-কারনায়ন হচ্ছেন ইস্কানদার ইবন ফিলিপস ইবন মুসরীম ইবন হুরমুস ইবন মায়তুন ইবন রূমী ইবন লানতী ইবন ইউনান ইবন ইয়াফিছ ইবন য়ুনাহ ইবন শারখুন ইবন রূমাহ্ ইবন শারফত ইবন তাওফীল ইবন রূমী ইবন আসফার ইবন ইয়াকিয ইবন ঈস ইবন ইসহাক ইবন ইবরাহীম আল-খালীল (আ)। হাফিজ ইবন আসাকির তাঁর ইতিহাস গ্রন্থে এই নসবনামা উল্লেখ করেছেন। যুল-কারনায়ন আল-মাকদূনী আল-ইউনানী আল মিসরী আলেকজান্দ্রিয়া নগরীর প্রতিষ্ঠাতা, যিনি স্বীয় শাসনামলে রোমের ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। প্রথম যুল-কারনায়ন থেকে এই দ্বিতীয় যুল-কারনায়ন দীর্ঘকাল পরে হযরত ঈসা (আ)-এর তিনশ’ বছর পূর্বে জন্মগ্রহণ করেন। দার্শনিক এরিস্টটল ছিলেন তাঁর উযীর। তিনি দারার পুত্র দারাকে হত্যা করেন এবং পারস্য সাম্রাজ্যকে পদানত করেন। আমরা এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করলাম এজন্যে যে, অনেকেই উভয় ইস্কান্দারকে অভিন্ন ব্যক্তি মনে করেন। ফলে তারা এ বিশ্বাস করেন যে, কুরআনে যে যুল-কারনায়নের কথা বলা হয়েছে তাঁরই উযীর ছিলেন এরিস্টটল। এ বিশ্বাসের ফলে বিরাট ভুল ও জটিলতার সৃষ্টি হয়। কেননা প্রথম যুল-কারনায়ন ছিলেন মুমিন, সৎ, আল্লাহভক্ত ও ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ। হযরত খিযির (আ) তাঁর উযীর। অনেকের মতে, তিনি ছিলেন নবী।

পক্ষান্তরে দ্বিতীয় যুল-কারনায়ন ছিল মুশরিক। তার উযীর একজন দার্শনিক। তাছাড়া এ দু’জনের মধ্যে দু’হাজার বছরের চাইতেও অধিক সময়ের ব্যবধান। সুতরাং কোথায় এর অবস্থান, আর কোথায় তার অবস্থান। উভয়ের মধ্যে বিরাট ব্যবধান, কোনই সামঞ্জস্য নেই। অজ্ঞ ও নির্বোধ লোকেরাই দু’জনকে এক বলে ভাবতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে আল্লাহর বাণীঃ “ওরা তোমাকে যুল-কারনায়ন সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করছে। এর কারণ হচ্ছেঃ কতিপয় কুরায়েশের কাফিরগণ ইহুদীদের কাছে গিয়ে বলে, তোমরা আমাদেরকে এমন কিছু কথা বলে দাও, যে বিষয়ে আমরা মুহাম্মদ (সা)-এর জ্ঞান পরীক্ষা করতে পারি। ইহুদীরা এদেরকে শিখিয়ে দিল যে, তোমরা তাকে এমন এক ব্যক্তির কথা জিজ্ঞেস কর, যে সমগ্র ভূ-খণ্ড বিচরণ করেছে। আর কতিপয় যুবকের পরিচয় জিজ্ঞেস কর, যারা তাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিল, যাদের পরিণতি সম্পর্কে কেউ কিছু জানে না। কুরায়শরা ফিরে এসে রাসূলুল্লাহ (সা)-কে এ প্রশ্ন করলে আল্লাহ তা’আলা আসহাবে কাহফ ও যুল-কারনায়নের ঘটনা সম্বলিত আয়াতসমূহ নাযিল করেন।

আল্লাহ বলেন, “বল, আমি শীঘ্রই তোমাদেরকে এ বিষয়ে জানাব।” অর্থাৎ এদের বর্ণনা ও অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাব। আয়াতে উল্লেখিত ( ذكرا ) অর্থঃ তার পরিচয়ের জন্যে যেটুকু প্রয়োজন ও কল্যাণকর ততটুকু বলা হবে। অতঃপর আল্লাহ বলেনঃ “আমি তাকে পৃথিবীতে কর্তৃত্ব দিয়েছিলাম ও প্রত্যেক বিষয়ের উপায়-উপকরণ দান করেছিলাম।” অর্থাৎ তাকে বিরাট রাজত্ব দিয়েছিলাম এবং রাষ্ট্রের এমন সব উপায়-উপকরণ তার করায়ত্ত করে দিয়েছিলাম যার সাহায্যে সে বিরাট বিরাট কাজ সমাধা করতে ও বড় বড় উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারতো। কুতায়বা ....... হাবীব ইবন হাম্মাদ থেকে বর্ণনা করেন। হাবীব বলেন, আমি হযরত আলী ইবন আবি তালিবের কাছে বসা ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি তাকে জিজ্ঞেস করল, ‘যুল-কারনায়ন কী উপায়ে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্ত থেকে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছতে পারলেন?’ হযরত আলী (রা) বললেন, ‘মেঘমালাকে তাঁর অনুগত করে দেয়া হয়েছিল, সকল উপকরণ তাঁর হস্তগত করা হয়েছিল এবং তার জন্যে আলো বিচ্ছুরিত করা হয়েছিল।’ এ পর্যন্ত বলে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আরও বলা লাগবে না কি?’ শুনে লোকটি চুপে হয়ে গেল, আর হযরত আলী (রা)-ও থেমে গেলেন। আবু ইসহাক সাবীয়ী ...... মুআবিয়া (রা) থেকে বর্ণনা করেন, সমগ্র পৃথিবীর বাদশাহী করেছেন চারজনঃ (১) সুলায়মান ইবন দাঊদ (আ), (২) যুল-কারনায়ন (3) হুলওয়ানের জনৈক অধিবাসী (৪) অন্য একজন। জিজ্ঞেস করা হল, ‘তিনি কি খিযির?’ বললেন, ‘না।’

যুবায়র ইবন বাক্কার...... সুফিয়ান ছাওরী (রা) থেকে বর্ণনা করেন, সমগ্র পৃথিবীতে রাজত্ব করেছেন এমন বাদশাহ ছিলেন চারজন, দুইজন মুমিন (১) নবী সুলায়মান (২) যুল-কারনায়ন এবং দুইজন কাফির। (৩) নমরুদ ও (৪) বুখত নসর। সাঈদ ইবন বশীরও এইরূপ বর্ণনা করেছেন। ইসহাক ইবন বিশর..... হাসান বসরী (র) থেকে বর্ণনা করেন যে, নমরূদের পরে যুল-কারনায়ন বাদশাহ হন। তিনি একজন খাঁটি-নেককার মুসলমান ছিলেন। তিনি প্রাচ্য ও প্রতীচ্যে অভিযান চালান। আল্লাহ তাঁর আয়ু বাড়িয়ে দেন ও তাকে সাহায্য করেন। ফলে সমস্ত জনপদ তিনি নিজের অধীনে আনেন, ধন-রত্ন করায়ত্ব করেন, দেশের পর দেশ জয় করেন এবং বহু কাফির নিধন করেন। তিনি বিভিন্ন জনপদ, শহর ও কিল্লা অতিক্রম করে চলতে চলতে পৃথিবীর পূর্ব সীমান্তে ও পশ্চিম সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে যান। এ সম্পর্কে আল্লাহ্ বলেনঃ “তারা তোমাকে যুল-কারনায়ন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বল, আমি তোমাদের কাছে তার কিছু অবস্থা বর্ণনা করব। আমি তাকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম এবং প্রত্যেক বিষয়ের কার্যোপকরণ দান করেছিলাম।” অর্থাৎ উপায়-উপকরণ অন্বেষণের জ্ঞান দান করেছিলাম।

ঐতিহাসিক ইসহাক লিখেছেন, মুকাতিল বলেন যে, যুল-কারনায়ন দেশের পর দেশ জয় করেন, ধনরত্ন সংগ্রহ করেন এবং যারা তার দীন গ্রহণ করত ও তা অনুসরণ করত তাদেরকে ছেড়ে দিতেন, অন্যথায় হত্যা করতেন। (( وَءَاتَیۡنَـٰهُ مِن كُلِّ شَیۡء سَبَب ࣰا), “আর আমি তাকে প্রত্যেক বিষয়ের উপায়-উপকরণ দিয়েছিলাম”। এ আয়াতে ( سببا ) এর অর্থ ইবন আব্বাস, মুজাহিদ, সাঈদ ইবন জুবায়র, ইকরিমা, উবায়দ ইবন ইয়া’লা, সুদ্দী, কাতাদা ও যাহহাক-এর মতে ইলম বা জ্ঞান। কাতাদা ও মাতা আল-ওয়াররাকের মতে, ভূ-পৃষ্ঠের বিভিন্ন নিদর্শন, অবস্থান, অবস্থা ও প্রকৃতি। আবদুর রহমান ইবন যায়দ ইবন আসলামের মতে, বিভিন্ন ভাষার জ্ঞান। কেননা, যুল-কারনায়ন যে জাতির বিরুদ্ধেই লড়াই করতেন সেই জাতির ভাষায় তাদের সাথে কথা বলতেন। কিন্তু এর সঠিক অর্থ এই যে, এমন প্রতিটি উপকরণই এর অন্তর্ভুক্ত যার সাহায্যে তিনি রাষ্ট্রের মধ্যে ও বাইরে নিজ উদ্দেশ্য পূরণের জন্যে ব্যবহার করতেন। কারণ, তিনি প্রতিটি বিজিত দেশ থেকে প্রয়োজন পরিমাণ সম্পদ, খাদ্য-সামগ্রী ও পাথেয় গ্রহণ করতেন-যা তাঁর কাজে লাগত এবং অন্য দেশ জয়ের জন্যে সহায়ক হত।

কোন কোন আহলি কিতাব উল্লেখ করেছেন, যুল-কারনায়ন এক হাজার ছয় শ’ বছর আয়ু পেয়েছিলেন। তিনি গোটা বিশ্ব ভ্রমণ করেন এবং মানুষকে এক আল্লাহর দিকে আহ্বান জানাতে থাকেন। কিন্তু তাঁর বয়সকাল সম্পর্কে যে সব মতামত ব্যক্ত করা হয়েছে, তাতে সন্দেহের অবকাশ আছে। আমি তাকে প্রত্যেক বিষয়ের উপায়-উপকরণ দিয়েছিলাম" এ আয়াত সম্পর্কে বায়হাকী ও ইবন আসাকির এক দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেছেন, কিন্তু সে হাদীসটি অত্যন্ত মুনকার পর্যায়ের। ঐ হাদীসের জনৈক রাবী মুহাম্মদ ইবন ইউনুসের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারিতার অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে আমরা এখানে সে হাদীস উল্লেখ করলাম না। আল্লাহর বাণীঃ “অতঃপর সে এক পথ অবলম্বন করল। চলতে চলতে সে যখন সূর্যের অস্তগমন স্থলে পৌঁছল।” অর্থাৎ চলতে চলতে পৃথিবীর পশ্চিম দিকে এমন এক স্থানে গিয়ে পৌঁছলেন, যে স্থান অতিক্রম করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়। এখানে এসে তিনি থেমে যান। এই স্থানটি হল পশ্চিম আটলান্টিক মহাসাগরের উপকুল। এর মধ্যে ছিল কতগুলো দ্বীপ। দ্বীপগুলোকে আরবীতে খালিদাত দ্বীপপুঞ্জ বলা হয়।

মানচিত্রবিদদের কারও কারও মতে, এই দ্বীপ থেকেই ভূ-ভাগ শুরু হয়েছে, কিন্তু অন্যদের মতে উক্ত সাগরের উপকূল থেকে ভূ-পৃষ্ঠের সূচনা যা পূর্বেই উল্লেখিত হয়েছে। যুল-কারনায়ন এখানে দাঁড়িয়ে সূর্যের অস্তগমন প্রত্যক্ষ করেন। “সে সূর্যকে এক পংকিল জলাশয়ে অস্তগমন করতে দেখল।” পংকিল জলাশয় বলতে সাগরকে বুঝানো হয়েছে। কেননা যে ব্যক্তি সাগর থেকে বা তার উপকূল থেকে প্রত্যক্ষ করে সে দেখতে পায় সূর্য যেন সমুদ্রের মধ্য থেকে উদিত হচ্ছে এবং সমুদ্রের মধ্যে অস্ত যাচ্ছে। এ কারণে আয়াতের মধ্যে ( وجدها ) শব্দ বলা হয়েছে, যার অর্থ সে দেখতে পেল। একথা বলা হয়নি যে, সূর্য পংকিল জলাশয়ে অস্ত গেল। কা’ব আল আহবার বলেছেন ( حمئة ) অর্থ কাল বর্ণের কাদা। ( حمئة ) কে কেউ কেউ ( حامئة ) পড়েছেন। কারও মতে, উভয় শব্দের অর্থ একই অথাৎ পংকিল জলাশয়। আবার কেউ কেউ বলেন ( حامئة ) অর্থ উষ্ণ। কেননা সূর্যের কিরণ এখানে সোজাসুজি ও তীর্যকভাবে পতিত হয়, ফলে এখানকার পানি উষ্ণ থাকে। ইমাম আহমদ...… আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা) একবার সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় সেদিকে তাকালেন এবং বললেনঃ এটা আল্লাহর সৃষ্ট এক উষ্ণ অগ্নিপিণ্ড ( فى نارالله الحامية )। আল্লাহর হুকুম দ্বারা যদি বাধা প্রদান না করা হত, তবে ভূ-পৃষ্ঠের সবকিছু জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিত। এ হাদীস গরীব পর্যায়ের সনদে জনৈক অজ্ঞাত পরিচয় রাবী বলেছেন। হাদীসটি মারফু পর্যায়ের হওয়ার ব্যাপারেও সন্দেহ আছে। এটা আবদুল্লাহ-ইবন আমরের উক্তিও হতে পারে। কেননা, ইয়ারমুকের যুদ্ধে দুইটি প্রাচীন কিতাব তাঁর হস্তগত হয়। এই কিতাব থেকে তিনি অনেক কথা বর্ণনা করতেন।

কোন কোন কাহিনীকার বলেছেন যে, যুল-কারনায়ন সূর্যের অস্তগমন স্থান অতিক্রম করে সেনাদল সহ দীর্ঘদিন পর্যন্ত অন্ধকারের মধ্যে সম্মুখপানে অগ্রসর হয়েছিলেন। তাদের এ কথা ভুল এবং যুক্তি ও রেওয়ায় এর পরিপন্থী।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন