hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ২য় খন্ড

লেখকঃ আবুল ফিদা হাফিজ ইবন কাসীর আদ-দামেশকী (র)

৭৩
আদনান পর্যন্ত হিজাযের আরবদের উর্ধ্বতন বংশধারা
আদনান-এর দুইজন পুত্র ছিলেন (১) সাদ (২) আক। সুহায়লী বলেনঃ আর আদনানের আরো দুইজন সন্তান ছিলেন একজনের নাম হারিছ এবং অপরজনকে বলা হতো মযহব। তিনি বলেন, তাঁর সন্তানদের মধ্যে যাহ্হাক নামের আরেক জনের উল্লেখ করা হয়েছে। আবার কারো কারো মতে যাহহাক ছিলেন সাদ-এর পুত্র, আদনান-এর নন। তিনি বলেনঃ কেউ কেউ বলেছেন যে, আদন-যার নামে আদন বা এডেন নগরীর নামকরণ করা হয়েছে এবং আবইয়ান ও আদনান-এর অপর দুইপুত্র ছিলেন। এটি তাবারীর বর্ণনা।

আর আক আশাআরির বংশে বিবাহ করেন এবং ইয়ামানে তাদের জনপদে বসবাস করেন ফলে তারা একই ভাষাভাষী হয়ে যান এবং এর ফলে কোন কোন ইয়ামানবাসী ধারণা করেন তাঁরাও ঐ বংশের লোক। ফলে তারা বলে- আক ইবন আদনান ইবন আব্দুল্লাহ ইবনুল আযদ ইবন ইয়াগুছ। আবার কেউ কেউ বলেন, আক্ ইবন আদনান ইব্‌ন যাইব (মতান্তরে রাইস) ইবন আব্দুল্লাহ ইবন আসাদ। আর বিশুদ্ধ কথা হলো আমরা যা উল্লেখ করেছি যে, তারা আসলে আদনান এর বংশধর। এ প্রসঙ্গে কবি আব্বাস ইবন মিরদাস বলেনঃ

وعك بن عدنان الذين تلعبوا - بغسان حتى طردوا كل مطرد

—আক ইবন আদনান, যারা গাসসান গোত্রের সঙ্গে ক্রীড়া-কৌতুক করতো, যতদিন পর্যন্ত না তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে বিতাড়িত করে দেয়া হয়।

আর সাদ-এর ছিলেন চার পুত্র নিযার, কুযা’আ, কুনছ ও ইয়াদ। আর কুযা’আ ছিলেন সাদের জ্যৈষ্ঠ সন্তান এজন্য তাকে আবু কুযা’আ নামে অভিহিত করা হতো। কুযা’আ সম্পর্কে ইতিপূর্বে আমরা ভিন্ন মতের উল্লেখ করেছি। কিন্তু ইবন ইসহাক প্রমুখের নিকট এটাই বিশুদ্ধ। আল্লাহই ভালো জানেন।

আর কুনছ সম্পর্কে বলা হয় যে, তার বংশধারা ধ্বংস হয়ে গেছে, তাদের কেউই আর বেঁচে নেই। তবে অতীত ইতিহাস বেত্তাদের এক দলিলের মতে নুমান ইব্‌ন মুনযির, যিনি ছিলেন হীরায় কিসরার প্রতিনিধি, তিনি ছিলেন কুনছ-এর বংশধর। ইতিপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভিন্ন মতে তিনি ছিলেন হিময়ার বংশের লোক। আল্লাহই ভালো জানেন।

আর নেযার-এর তিনপুত্র ছিলেন রবী’আ, মুযার এবং আনসার। ইবন হিশাম বলেনঃ ইয়াদ নামক নেযার অপর এক পুত্র ছিলেন। যেমন কবি বলেনঃ

وفتو حسن او جههم - من إياد بن نذاء بن معد .

—আর এমন অনেক যুবক আছে, যাদের চেহারা সুন্দর, তারা হচ্ছে ইয়াদ ইবন নিযার ইবন মা’দ-এর সন্তান।

ইবন হিশাম বলেনঃ ইয়াদ ও মুযার ছিলেন সহোদর ভাই, তাদের মা সাওদা ছিলেন আক ইবন আদনানের কন্যা। আর রবীআ ও আনসার-এর মা ছিলেন আক ইবন আদনান-এর অপর কন্যা শাকীকা, মতান্তরে জুম’আ বিনত আক। ইবন ইসহাক বলেনঃ আনসার হচ্ছেন খাছ‘আম ও বাজীলার পিতা। জরীর ইবন আব্দুল্লাহ আল-বাজালী এই বাজীলারই অধস্তন বংশধর। তিনি বলেনঃ আনসার ইয়ামানে আগমন করে ইয়ামানীদের সঙ্গে মিলেমিশে সেখানেই বসবাস করেন। ইবন হিশাম বলেনঃ ইয়ামানবাসীরা বলে যে, আনসাব ইবন আরাশ ইবন লাহইয়ান ইবন আমর ইবনুল গাওছ ইবন নাবত্ ইবন মালেক ইবন যায়ছ ইবন কাহলান ইব্‌ন সাবা। আমি বলিঃ ইতিপূর্বে সাবা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে। তা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয়। আল্লাহ ভালো জানেন। ঐতিহাসিকরা বলেনঃ মুযার হচ্ছেন প্রথম ব্যক্তি যিনি হুদী গান গেয়ে গেয়ে উট হাঁকানোর প্রবর্তক। কারণ, তাঁর কণ্ঠস্বর ছিল সুমধুর। একদিন উটের পিঠ থেকে পড়ে যান। মাটিতে পড়ে তার হাত ভেঙ্গে গেলে তিনি বলে উঠেনঃ হায় আমার হাত। হায় আমার হাত! এ থেকেই উটের দ্রুতগতির প্রচলন হয়। ইবন ইসহাক বলেনঃ মুযার ইবন নিযাবের দুই পুত্র ছিলেন, ইলিয়াছ ও আইলান আর ইলিয়াসের ছিলেন তিন পুত্র মুদরিকা, তাবিখা এবং কুম‘আ। আর এঁদের মাতা ছিলেন খানদাফ বিনত ইমরান ইবন ইলহাফ ইবন কুযা‘আ। ইবন ইসহাক বলেনঃ মুদরিকার নাম ছিল আমের আর তাবিখার নাম ছিল উমর। তবে তাঁরা দু’জনে মিলে একটা শিকার করেন। তাঁরা উভয়ে যখন তা রান্না করছিলেন, তখন ভয়ে উটটি পালিয়ে যায়। আমের উটের খোঁজে বের হন এবং শেষ পর্যন্ত তা খুঁজে পান। অপরজন রান্নায় ব্যস্ত ছিলেন। উভয়ে পিতার নিকট এসে তাঁকে এ কাহিনী শুনালে তিনি আমেরকে বললেনঃ তুমি হলে মুদরিকা (পাকড়াওকারী) আর আমরকে বললেনঃ তুমি হলে তাবিখা (রন্ধনকারী)। তিনি আরো বলেনঃ মুদাবের বংশধারা সম্পর্কে অবহিত ব্যক্তিদের ধারণা যে, খুযাআ হচ্ছেন আমর ইবন লুহাই ইবন কুম’আ ইব্‌ন ইলিয়াস এর বংশধর। আমি বলিঃ এটা স্পষ্ট যে, তিনি তাদের বংশের লোক, কিন্তু তাদের পিতৃপুরুষ নন। আর তারা যে হিময়ার গোত্রের লোক, সে কথা আগেই বলা হয়েছে। আল্লাহই ভালো জানেন।

ইবন ইসহাক বলেনঃ মুরিকার দুই ছেলে খুযায়মা ও হুযাইল আর এঁদের উভয়ের মা হচ্ছেন কুযাআ গোত্রের এক মহিলা। আর খুযায়মার সন্তান ছিলেন কিনানা, আসাদ, উসদা ও হাওন। আবু জাফর তাবারী কিনানার সন্তানদের ব্যাপারে এ চারজনের অতিরিক্ত ‘আমের হারিছ, নাযীর, খানাম, সা’দ ‘আওযা, জারওয়াল, হিদাল এবং গাওয়ান এর নাম উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেনঃ আর কিনানার সন্তান ছিলেন নযর, মালিক, আযদ মানাত এবং মালকান।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন