hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ২য় খন্ড

লেখকঃ আবুল ফিদা হাফিজ ইবন কাসীর আদ-দামেশকী (র)

৯৭
খাদীজাকে বিবাহ করার পূর্বে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর পেশা
হযরত আবূ হুরায়রা (রা) বর্ণনা করেন, যে, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ

ما بعث الله نبيا الأراعي غنم

“আল্লাহ এমন কোন নবী প্রেরণ করেন নি, যিনি ছাগল চরান নি।”

এ কথা শুনে সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনিও?’ নবী করীম (সা) বললেনঃ “হ্যাঁ আমিও কয়েকটি মুদ্রা (কীরাত)-এর বিনিময়ে মক্কাবাসীদের ছাগল চরিয়েছি।” আর কারো কারো মতে এর অর্থ ‘কারারীত’ নামক স্থানে বকরী চরিয়েছি। ইমাম বুখারী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

ইমাম বায়হাকী রবী ইবনে বদর, আবুয যুবায়র ও জাবির (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, “একটি জোয়ান উটনীর বিনিময়ে দুইটি সফরে আমি খাদীজার জন্য শ্রম দিয়েছি।”

ইমাম বায়হাকী (র) অপর এক সূত্রে ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, খাদীজার পিতা খাদীজাকে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর নিকট বিবাহ দেওয়াকালে যতদূর মনে হয় নেশাগ্রস্ত ছিলেন।

ইমাম বায়হাকী অপর এক সূত্রে বর্ণনা করেন যে, হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির যখনই লোকদেরকে রাসূল (সা)-এর খাদীজাকে বিবাহ করা সংক্রান্ত আলোচনা করতে শুনতেন, তখন বলতেন, রাসূল (সা)-এর খাদীজাকে বিবাহ করার বিষয়টি আমি সবচেয়ে ভালো জানি। আমি রাসূল (সা)-এর সমবয়সী ও অন্তরঙ্গ সঙ্গী ছিলাম। একদিন আমি তার সঙ্গে বের হই। হাযওয়ারা নামক স্থানে পৌঁছে আমরা দেখতে পেলাম যে, খাদীজার এক বোন বসে চামড়া বিক্রি করছেন। দেখে তিনি আমাকে নিকটে ডাকেন। আমি তার নিকটে ফিরে যাই আর রাসূলুল্লাহ (সা) সেখানে আমার অপেক্ষায় থাকেন। খাদীজার বোনটি আমাকে বললেন, ‘আচ্ছা তোমার এই সঙ্গী কি খাদীজাকে বিবাহ করতে আগ্রহী নয়?’ আম্মার (রা) বলেন, ‘একথার কোন জবাব না দিয়ে আমি রাসূলুল্লাহ (সা)-এর নিকট গিয়ে তাঁকে বিষয়টি অবহিত করি। তখন রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, অবশ্যই আগ্রহী।’ খাদীজার বোনকে রাসূল (সা)-এর এ কথাটি জানালে তিনি বললেন, ‘আগামীকাল সকালে আপনারা আমাদের বাড়িতে আসুন।’ আমরা পরদিন সকালে খাদীজার বাড়িতে গেলাম। গিয়ে দেখতে পেলাম যে, তারা একটি গরু জবাই করেছেন এবং খাদীজার পিতাকে উত্তম জামা-কাপড় পরিয়ে রেখেছেন। তখন তার দাড়িতে খেজাব মেখে রেখেছিলেন। আমি খাদীজার ভাইয়ের সঙ্গে কথা বললাম। তিনি তাঁর পিতার সঙ্গে আলাপ করলেন। খাদীজার পিতা তখন মদপান করে নেশাগ্রস্ত ছিলেন। খাদীজার ভাই তাঁকে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর মর্যাদা সম্পর্কে অবহিত করেন এবং খাদীজাকে তাঁর নিকট বিবাহ দেওয়ার কথা প্রস্তাব করেন। তিনি তাতে সম্মতি দেন এবং তাকে বিবাহ দিয়ে দেন। তাঁরা গরুর গোশত রান্না করে তাঁদের আপ্যায়নের আয়োজন করেন। আমরা খাওয়া-দাওয়া করি।

এর মধ্যে খাদীজার পিতা ঘুমিয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে এই বলে চিৎকার করে ওঠেন যে, ‘আমার গায়ে এ সব কিসের পোশাক? দাড়িতে এসব কিসের খেজাব? এ খানাপিনা কিসের?’ জবাবে তাঁর যে কন্যা আম্মারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, তিনি বললেন, ‘আপনার জামাতা মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ আপনাকে এই পোশাক পরিয়েছেন। আর এই গাভীটি আপনার জন্য হাদিয়া এসেছিল; খাদীজার বিয়ে উপলক্ষে একে আমরা যবাই করেছি।’ কিন্তু তিনি খাদীজাকে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহর নিকট বিয়ে দেওয়ার কথা অস্বীকার করে বসেন এবং উচ্চকণ্ঠে চিৎকার করতে করতে বেরিয়ে হিজরে ইসমাঈল তথা হাতীমে চলে আসেন। হাশিম গোত্রীয় লোকেরা রাসূলুল্লাহ (সা)-কে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে আসেন এবং খাদীজার পিতার সঙ্গে কথা বলেন। খাদীজার পিতা বললেন, ‘তোমাদের যে লোকটির নিকট আমি খাদীজাকে বিবাহ দিয়েছি বলে তোমাদের ধারণা, সে কোথায়?’ জবাবে রাসূল (সা) তাঁর সামনে এসে উপস্থিত হন। খাদীজার আব্বা নবীজী (সা)-কে এক নজর দেখে বললেন, ‘আমি যদি এর নিকট খাদীজাকে বিবাহ দিয়ে থাকি তো ভালো, অন্যথায় এখন আমি খাদীজাকে এর নিকট বিবাহ দিয়ে দিলাম।’

সুহায়লী উল্লেখ করেছেন যে, ইমাম যুহরী তাঁর সীরাত গ্রন্থে পূর্বোক্ত বর্ণনার মত খাদীজার পিতা যখন তাঁকে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর নিকট বিবাহ দেন, তখন তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন বলে বর্ণনা করেছেন। মুআম্মিলী বলেন, সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হলো, খাদীজার চাচা আমর ইবনে আসাদ খাদীজাকে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর নিকট বিবাহ দিয়েছিলেন। সুহায়লী এই অভিমতকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। ইবনে আব্বাস ও আয়েশা (রা) অনুরূপ অভিমত বর্ণনা করেছেন যে, আয়েশা (রা) বলেন, খুওয়াইলিদ ফিজার যুদ্ধের আগেই ইন্তিকাল করেছিলেন। তুব্বা বাদশাহ যখন হাজরে আসওয়াদকে ইয়ামানে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন, তখন এই খুওয়াইলিদই তার বিরোধিতা করেছিলেন। খুওয়াইলিদ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠলে কুরায়শ-এর একদল লোকও তার সঙ্গে যোগ দেয়। তারপর একদিন তুব্বা একটি ভয়ংকর স্বপ্ন দেখে এই পরিকল্পনা ত্যাগ করেন এবং হাজরে আসওয়াদকে যথাস্থানে বহাল রাখেন।

ইবনে ইসহাক সীরাত গ্রন্থের পরিশিষ্টে লিখেছেন, খাদীজার ভাই ‘আমর ইবনে খুওয়াইলিদ-ই খাদীজাকে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর নিকট বিবাহ দিয়েছিলেন। আল্লাহ্ই ভালো জানেন।

অধ্যায়

ইবনে ইসহাক বলেন, গোলাম মায়সারা খাদীজার নিকট পাদ্রীর যে উক্তির কথা উল্লেখ করেছিল এবং সফরে দুই ফেরেশতা কর্তৃক নবীজী (সা)-কে ছায়া প্রদান করতে দেখেছিল, খাদীজা (রা) তাঁর চাচাতো ভাই ওয়ারাকা ইব্‌নে নওফল ইব্‌নে আসাদ ইব্‌নে আব্দুল ওযযা ইব্‌নে কুসাইকে সে সম্পর্কে অবহিত করেন। শুনে ওয়ারাকা বললেন, ‘খাদীজা! ঘটনাটি যদি সত্যি হয়ে থাকে, তা হলে এ কথা নিশ্চিত যে, মুহাম্মদ এই উম্মতের নবী। আর আমি নিজেও জানি যে, এই উম্মতের জন্য একজন নবীর আবির্ভাব হতে যাচ্ছে। এটাই সেই যুগ।’ এরপর থেকে ওয়ারাকা বিষয়টি সপ্রমাণিত দেখার জন্য উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করতে শুরু করেন এবং নিম্নোক্ত পংক্তিগুলো আবৃত্তি করেন।

لججت وكنت في الذكرى لجوجا - لهم طالما ما بعث النشيجا

ووصف من خديجة بعد وصف - فقد طال انتظاری با خديجا

ببطن المكتين على رجاي - حديثك أن أرى منه خروجا

بما خبرننا من قول فس - من الرهبان أكره أن تعوجا

بأن محمدا سيسود قوما - ويخصم من يكون له حجيجا

ويظهر في البلاد ضباء نور - يقوم به البرية أن تموجا

فيلقى من يحاربه خسارا - ويلقى من يسالمه فلوجا

فيا ليتني إذا ما كان ذاكم - شهدت وكنت أولهم ولوجا

ولوجا في الذي كرهت قريش - ولو عجت بمتها عجيجا

أرجى في الذي گرهو اجميعا - ألى ذي العرش آن سفلوا عروجا

وهل أمر السفالة غير كفر - من يختار من سمك البروجا

فان بيقوا و أبق يكن أمور - يضج الكافرون لها ضحيجا

وأن أهلك فكل حتى سيلقى - من الأقدار متلفة خروجا

অর্থঃ আমি অতি আগ্রহের সাথে এমন একটি জিনিসকে বারবার বলে আসছি, যা দীর্ঘদিন যাবত অনেককে কাঁদিয়ে আসছে। খাদীজার নিকট থেকেও নতুন করে সে বিষয়ে নানাবিধ গুণের বিবরণ পাওয়া গেল। শোন খাদীজা! আমার প্রতীক্ষা অনেক দীর্ঘ হয়েছে। আমার প্রত্যাশা, মক্কার উচ্চভূমি ও নিম্নভূমির মধ্যখান থেকে যেন তোমার সে কথা বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে দেখতে পাই, যে কথা তুমি খৃস্টান ধর্মযাজকের সূত্রে জানালে। বস্তুত ধর্মযাজকের কথায় কোন হেরফের হোক, আমি তা চাই না।

সে প্রতীক্ষিত বিষয়টি এই যে, মুহাম্মদ অচিরেই সমাজের নেতা হবেন এবং নিজের বিরুদ্ধবাদীদের তিনি পরাস্ত করবেন। পৃথিবীর সর্বত্র তিনি এমন নূর ছড়াবেন, যা দ্বারা তিনি সমগ্র বিশ্বজগতকে উদ্ভাসিত করবেন। যারা তার সঙ্গে যুদ্ধ করবেন, তারা পর্যদস্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর যারা তাঁর সঙ্গে শান্তি ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয় তারা হবে স্থিতিশীল ও বিজয়ী।

হায়! যখন এ সব ঘটনা ঘটবে, তখন যদি আমি জীবিত থাকতে পারতাম, তা হলে তোমাদের সকলের আগে আমিই তার দলভুক্ত হতাম। আমি সেই দলের অন্তর্ভুক্ত হতাম, যাকে কুরায়শ অত্যন্ত অপছন্দ করবে। যদিও তারা তার বিরুদ্ধে চিৎকার করে মক্কাকে প্রকম্পিত করে তুলবে। যাঁকে তারা সকলে অপছন্দ করবে, আমার প্রত্যাশা তিনি আরশের অধিপতির নিকট পৌঁছে যাবেন, যদিও তারা অধঃপতিত হবে। ঊর্ধ্বলোকে আরোহণকারীকে যারা গ্রহণ করে, তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করা ছাড়া এই অধঃপতনের আর কোন কারণ নেই।

কুরায়শরা যদি বেঁচে থাকে আর আমিও যদি বেঁচে থাকি তবে সেদিন অস্বীকারকারীরা চিৎকার করে তোলপাড় করবে। আর আমি যদি মারা যাই তাহলে যুবকরা দুর্ভাগ্যের কবল থেকে মুক্তির পথ প্রত্যক্ষ করবে।

ইবনে ইসহাক সূত্রে বর্ণিত ইউনুস ইবনে বুকায়র-এর বর্ণনা মতে ওয়ারাকা ইবনে নওফল আরো বলেছেনঃ

أتبكر أم أنت العشية رائع وفي الصدر من أضمارك الحزن قادح

لفرقة قوم لا أحب فراقهم - كانك عنهم بعد يومين نازح

و اخبار صدق خبرت عن محمد - يخبرها عنه إذا غاب اصح

أتاك الذي وجهت يا خير حره بغور وبالنجدبن حيث الصحاصح

إلى سوق بصري في الركاب التي غدت وهن من الأحمال قعص رواح

فيخرنا عن كل خير بعلمه وللحق ابواب لهن مفاتح

بأن ابن عبد الله أحمد مرسل - إلى كل من ضمت عليه الأباطم

وظنی به أن سوف يبعث صادقا كما أرسل العبدان لهن مفاتح

وموسى وأبراهيم حتى يرى له - يهاء ومنشور من الذكر واضم

ويتبعه حيا لوي وغالب شيائهم والأسيبون الجحاجح

فأن أبق حتى يذوك الناس دهره فانی به مستبشر الود فارح

وإلافانی با خديجة ناعلمی عن أرضك في الأرض العريضة سائح

অর্থাৎ, কী সকাল কী সন্ধ্যা, তোমার মনের ব্যথায় আমিও ব্যথিত। আমি আরো ব্যথিত সেই লোকদের বিরহে, যাদের বিরহ আমার কাম্য নয়। তুমিও বোধ হয় দু’দিন পর তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। আমি আরো ব্যথিত সেই সত্য সংবাদের জন্য, যা মুহাম্মদ সম্পর্কে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর অনুপস্থিতিতেই যে শুভকামনাকারী তাঁর সম্পর্কে সংবাদ দিয়েছে।

ওহে নাজ্দ ও গাওর-এর শ্রেষ্ঠ রমণী! ভারী মাল বোঝাই উটের আরোহী বণিক কাফেলার সঙ্গে বুসরা বাজারে তুমি যে যুবককে প্রেরণ করেছিলে, এখন তিনি তোমার কাছে ফিরে এসেছেন। এখন তিনি আমাদেরকে সজ্ঞানে সংবাদ দিচ্ছে সার্বিক কল্যাণের। সত্য প্রকাশের অনেক দ্বার আছে, দ্বার খোলার জন্য আছে চাবি। তিনি সংবাদ দিচ্ছেন যে, এই প্রত্যন্ত মরু অঞ্চলের সকলের প্রতি আব্দুল্লাহর পুত্র আহমদ প্রেরিত হচ্ছেন।

আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তিনি হুদ, সালিহ, মূসা ও ইবরাহীম (আ)-এর ন্যায় সত্যবাদীরূপে আবির্ভূত হবেন অচিরেই তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়বে সর্বত্র। দিকে দিকে দৃষ্টিগোচর হতে শুরু করবে তার ঔজ্জ্বল্য। আর তাঁর অনুসরণ করবে, লুওয়াই ও গালির গোত্র— আবাল-বৃদ্ধ সকলে। তাঁর আবির্ভাব পর্যন্ত যদি আমি বেঁচে থাকি, তবে তাকে পেয়ে আমি বড়ই আনন্দিত হব। অন্যথায় জেনে রাখ হে খাদীজা! তোমার দেশ ত্যাগ করে আমি চলে যাব অন্য কোন প্রশস্ত ভূখণ্ডে।

উমাবী এর সঙ্গে যোগ করে আরো উল্লেখ করেছেনঃ

فمتبع دين الذي أسس البنا - وكان له فضل على الناس راجح

وأسس بيانا بمكة ثابتا تلالا فيه بالظلام المصابح

مثابا لافناء القبائل كلها تخب إليه اليعملات الطلائح

حراجيح أمثال القداح من السري يعلق في أرساغهن السرايح

অর্থাৎ, ফলে মানুষ অনুসরণ করবে সেই ব্যক্তির দীনের, যিনি সব কল্যাণের কেন্দ্রবিন্দু, যিনি সৃষ্টির সেরা মানুষ। যিনি মক্কায় নির্মাণ করেছেন সুদৃঢ় এক ইমারত। সর্বত্র কুফরির ঘনঘটা সত্ত্বেও যে ঘরে জ্বলজ্বল জ্বলছে হেদায়াতের প্রদীপ। যে গৃহ সকল গোত্রের কেন্দ্রবিন্দু, যে ঘরের প্রতি চতুর্দিক থেকে ধেয়ে আসে দুর্বল ও সবল উট।

আবুল কাসিম সুহায়লী কর্তৃক তাঁর ‘আর রাউজুল উনুফ’ গ্রন্থে বর্ণিত ওয়ারাকা ইবনে নওফলের আরো কয়েকটি পংক্তি নিম্নরূপঃ

لقد نصحت لأقوام و قلت لهم أنا النذير قلا يغرركم أحد

لا تعبد إلها غير خالقكم فإن دعوكم فقولوا بعيننا حدد

سبحان ذي العرش سبحانا يدوح له وقبلناسبح الجودي والجمد

مستخر كل ما تحت السماء له لا ينبغي أن يناوى ملكه أحد

لا شيئ مما نرى تبقى بشاشته يبقى إلا له ويودي المال الولد

لم تغن عن هرمز يوما خزائنه والخلد قدحاولت عاد فما خلدوا

ولا سليمان إذ تجرى الرباح به والجن والإنس تجري بينها البرد

أين الملوك التي كانت لعزتها من كل أوب اليها وافد يقد

حوض هنالك مورود بلا كذب لا بد من ورده يوما لما وردوا

অর্থাৎ, আমি অনেককে উপদেশ দিয়েছি যে, আমি সতর্ককারী। অতএব কেউ যেন তোমাদেরকে প্রতারিত করতে না পারে। তোমরা তোমাদের সৃষ্টিকর্তা ব্যতীত অন্য কারো দাসত্ব করবে না। যদি তারা তোমাদের আহ্বান করে, তবে বলে দিবে- তোমাদের ও আমাদের মাঝে প্রাচীর রয়েছে।

আমরা পবিত্রতা জ্ঞাপন করি আরশের অধিপতির, পবিত্রতা যাঁর অবিচ্ছেদ্য গুণ। আমাদের আগে জুদী পর্বত আর জড় পদার্থরাজিও তার পবিত্রতা জ্ঞাপন করেছে। সৃষ্টির সবকিছু তার অনুগত। তাঁর রাজত্বের প্রতি হাত বাড়ানো কারো জন্য উচিত নয়।

আমরা যা কিছু দেখছি, তার কোনটিরই ঔজ্জ্বল্য অবশিষ্ট থাকবে না। থাকবেন শুধু ইলাহ— সম্পদ-সন্তান সবই ধ্বংস হয়ে যাবে। মহা শক্তিধর হরমুজ সম্রাটের ধন-ভাণ্ডার তাঁর কাজে আসেনি। আদ জাতিও চিরদিন বেঁচে থাকতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি। বায়ু বহন করে বেড়াত যে সুলায়মান (আ)-কে তিনিও থাকতে পারেননি। মৃত্যুর পরোয়ানা পায়ে পায়ে ঘুরছে জিন-মানব সকলের। সেই প্রতাপশালী রাজা-বাদশাহরা এখন কোথায়, যাদের কাছে চতুর্দিক থেকে দলে দলে মানুষ আগমন করতো?

মৃত্যু একটি কূপ। এই কূপে সব মানুষকে একদিন না একদিন অবতরণ করতেই হবে। যেমন অবতরণ করেছে অতীতের লোকেরা।

সুহায়লী বলেন, আবুল ফারাজ এ পংক্তিগুলো ওয়ারাকার বলে উল্লেখ করেছেন এবং আরো বলেছেন, এর মধ্যে কোন কোন পংক্তি উমায়্যা ইব্‌নে আবি সালতের বলে উল্লেখ করা হয়। উমর (রা) মাঝেমধ্যে এ সব কবিতার পংক্তি প্রমাণস্বরূপ আবৃত্তি করতেন বলে আমরা পূর্বেই বলে এসেছি।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন