মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
হাবশীদের হাত থেকে রাজত্ব সায়ফ ইবন যুইয়াযীনের হাতে রাজত্ব স্থানান্তর
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/489/65
মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, আবরাহার মৃত্যুর পর তার পুত্র ইয়াকসুম রাজত্ব লাভ করে। ইয়াকসুমের দিকে সম্পৃক্ত করে আবরাহাকে আবু ইয়াকসুম বলা হয়। ইয়াকসুমের মৃত্যুর পর তার ভাই মাসরূক হাবশী ইয়ামানের রাজত্ব গ্রহণ করেন। ইয়ামামাবাসীদের উপর যখন নির্যাতন দীর্ঘস্থায়ী হতে থাকে তখন সায়ফ ইবন যু-উয়াযান হিময়ারী আবির্ভূত হন। ইনি হলেন সায়ফ ইবন যুআযীন (ইবন যীইসবাহ ইব্ন মালিক ইবন যায়দ ইবন সাহল ইবন আমর ইবন কায়স ইবন মু’আবিয়া ইবন জাশম ইবন আবন ওয়ায়েল ইবন গাওছ ইবন কুতুন ইবন আরদ শামস ইবন আযমান ইবন হুমায়সা ইব্ন আরীব ইবন যুহায়ব ইবন আযমান ইবন হুমায়সা ইবন আরবাহাজ আরবাহাজ হচ্ছে সাবার পুত্র হিময়ায়ের সাঙ্গ। সায়ফ এর উপনাম ছিল আবু মুররা।
সায়ফ রোমান সম্রাট কায়সারের নিকট গিয়ে নিজেদের দূরবস্থার কথা জানিয়ে তার সাহায্য কামনা করেন। তিনি প্রস্তাব করেন যেন কায়সার তিনি নিজে বা অন্য কাউকে পাঠিয়ে আবিসিনীয়দেরকে তাড়িয়ে দিয়ে ইয়ামানবাসীদেরকে তার শাসনাধীনে নিয়ে নেন। কিন্তু রোম সম্রাট তার প্রস্তাবে সাড়া দিলেন না।
সায়ফ সেখান থেকে বেরিয়ে নুমান ইব্ন মুনযিরের দরবারে পৌঁছেন। নুমান তখন পারস্য সম্রাটের পক্ষ থেকে হীরা ও তৎসংলগ্ন ইরাকী অঞ্চলের প্রশাসক তিনি হাবশীদের অত্যাচার নির্যাতনের কথা নুমানকে অবহিত করেন। নুমান বলেন, বছরে একবার করে আমি একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে পারস্য সম্রাট কিসরার দরবারে হাজির হয়ে থাকি। আপনি সে সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। সায়ফ তা-ই করেন। যথাসময়ে তাঁকে নিয়ে নুমান কিসরার দরবারে হাজির হন। দরবারের যেখানে রাজমুকুট স্থাপিত কিসরা সেখানেই স্নান গ্রহণ করতেন। তাঁর মুকুট ছিল বৃহদাকার পাত্রের ন্যায়। সেটি ছিল মনি-মুক্তা, ইয়াকুত ও স্বর্ণ-রৌপ্য খচিত। সেটি থাকত তার সিংহাসনের উপরে স্বর্ণের শিকল দ্বারা একটি তাকের সাথে ঝুলন্ত। সেটি এত ভারী ছিল যে, রাজার ঘাড় তা বহন করতে পারত না। আসন গ্রহণের সময় তার চারিদিকে কাপড়ের বেষ্টনী তৈরী করা হত। লোকচক্ষুর অন্তরালে তিনি ঐ আসনে বসতেন এবং ঝুলন্ত মুকুটে মাথা ঢুকিয়ে দিতেন। যথাযথভাবে আসন গ্রহণ করার পর কাপড়ের বেষ্টনী তুলে নেয়া হত। অতঃপর ইতিপূর্বে তাকে দেখেনি এমন কেউ তার এ গাম্ভীর্যপূর্ণ অবস্থান দেখলে ভয়ে উপুড় হয়ে পড়ে যেত।
সায়ফ যখন রাজার দরবারে প্রবেশ করেন তখন তিনি ও মাথা অবনত করে ফেলেন। সম্রাট বলেলেন, ‘এই নির্বোধটি এত উঁচু দরজা দিয়ে আমার নিকট প্রবেশ করার সময়ও নিজের মাথা নুইয়ে রাখছে কেন?’ সম্রাটের এ মন্তব্য সায়ফকে জানানো হয়। উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার দুশ্চিন্তার কারণে আমি এরূপ করেছি। কারণ আমার দুশ্চিন্তার সম্মুখে সব কিছুই সংকীর্ণ মনে হয়। এরপর তিনি বললেনঃ মহারাজ! পশ্চিমা বিদেশীরা আমার দেশ দখল করে রেখেছে।’ কিসরা প্রশ্ন করেন, ‘কারা সেই বিদেশী? হাবশীরা, নাকি সিদ্ধীরা?’ তিনি বললেনঃ ‘বরং হাবশীরা। আমি আপনার নিকট এসেছি সাহায্যপ্রার্থী হয়ে। অতঃপর আপনি বিজয়ী হলে আমাদের দেশ আপনার অধীন হবে।’ সম্রাট বললেন, ‘তোমাদের দেশ তো অনেক দূরে। তদুপরি তাতে কোন সম্পদ নেই আমি সেই দূর দূরান্তের আরব দেশে আমার পারসিক সৈন্য প্রেরণ করতে আগ্রহী নই। ঐ দেশটির অধীনে আনার আমার কোন প্রয়োজনও নেই।’ সম্রাট তাকে দশ হাজার দিরহামের আর্থিক অনুদান এবং চমৎকার একজোড়া পোশাক দান করেন। অনুদান গ্রহণ করে সায়ফ সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন এবং ঐ অর্থ লোকজনকে অকাতরে বিলিয়ে দেন। এ সংবাদ সম্রাটের গোচরীভূত হয়।
সম্রাট বলেন, এর মধ্যে নিশ্চয়ই কোন রহস্য আছে। তিনি তাকে ডেকে পাঠান। তারপর বলেন, ‘তুমি সম্রাটের দেয়া অনুদান লোকজনকে বিলিয়ে দিচ্ছ ব্যাপার কী?’ জবাবে তিনি বলেনঃ ‘আপনার অনুদান দিয়ে আমি কী করব? আমার যে দেশ থেকে আমি এসেছি তার পাহাড় পর্বত তো পুরোটাই স্বর্ণ রৌপ্যে ভরপুর। এটার প্রতিই মানুষ আসক্ত হয়।’ একথা শুনে সম্রাট তার অমাত্যেদেরকে ডেকে এ লোকের ব্যাপারে তাদের অভিমত জানতে চাইলেন। একজন বলল, ‘মহারাজ! আপনার বন্দীখানায় কতক বন্দী লোক আছে যাদেরকে হত্যা করার জন্যে আপনি আটকিয়ে রেখেছেন। তাদেরকে যদি আপনি এ লোকের সাথে পাঠিয়ে দেন এবং সেখানে যুদ্ধ করে তারা যদি মারা যায়। তবে তাদেরকে হত্যা করার আপনার যে ইচ্ছা ছিল তা পূর্ণ হবে। আর তারা যদি যুদ্ধে জয়লাভ করে তবে একটি অতিরিক্ত রাজ্য আপনার অধীনে আসবে।’ প্রস্তাবটি রাজার মনঃপুত হয় এবং কারারুদ্ধ ৮০০ ব্যক্তিকে তিনি সায়াফের সাথে প্রেরণ করেন। ওয়াহরিজ নামের একজনকে তিনি সেনাপতি নিযুক্ত করে দেন। ওয়াহরিজ ছিল তাদের মধ্যে বয়োবৃদ্ধ এবং সর্বাধিক অভিজাত বংশীয়। ৮টি নৌকায় তারা যাত্রা করে। দু’টো নৌকা ডুবে যায় এবং অবশিষ্ট ৬টি নৌকা এডেন উপকূলে গিয়ে পৌঁছে। অতঃপর যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে নিজ সম্প্রদায়ের বহু লোককে সায়ফ এনে ওয়াহরিজের নেতৃত্বে দেন। ওয়াহরিজের প্রতি অঙ্গীকার ব্যক্ত করে সায়ফ বলেন, ‘সর্বক্ষণ আমার বাহিনী আপনার সাথে থাকবে যতক্ষণ আমাদের সবার মৃত্যু হয় কিংবা যতক্ষণ না আমরা সবাই বিজয় লাভ করি।’ ওয়াহরিজ বললেন, ‘আপনি ন্যায়ানুগ কথা বলেছেন।’
এ দিকে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে ইয়ামানের রাজা মাসরূক ইবন আবরাহা বেরিয়ে আসে এবং সৈন্য সমাবেশ ঘটায়। ওদের যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে প্রথমত ওয়াহরিজ তার পুত্রকে যুদ্ধার্থে পাঠান। যুদ্ধে তার পুত্রটি নিহত হয়। এতে ওয়াহরিজ ওদের প্রতি আরও ক্রুদ্ধ হন। সৈন্যগণ যখন নিজ নিজ সারিতে সারিবদ্ধ তখন ওয়াহরিজ বলেন যে, ‘ওদের রাজা কোন ব্যক্তি তা আমাকে দেখিয়ে দাও!’ সৈন্যগণ বলল, ‘ঐ যে ব্যক্তিটি হাতির পিঠে অবস্থান করছে তার মাথায় মুকুট এবং দু’চক্ষুর মধ্যখানে রক্তিম ইয়াকুত পাথর রয়েছে তাকে কি আপনি দেখতে পাচ্ছেন।’ তিনি বললেন, “হ্যাঁ, দেখতে পাচ্ছি।’ লোকজন বলল, ‘সে ব্যক্তিই ওদের রাজা।’ ‘ওকে আমার জন্যে ছেড়ে দাও। আমি দেখছি।’ দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে তিনি আবার বললেন, ‘এখন ঐ রাজা কিসে সওয়ার আছে?’ তারা বলল, ‘সে এখন ঘোড়ার পিঠে সওয়ার আছে।’ তিনি বললেন, ‘ঠিক আছে তোমরা ওকে থাকতে দাও। আমি তাকে দেখছি!’ দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ওয়াহরিজ আবার বললেনঃ ‘এখন সে কিসের উপর সওয়ার আছে?’ তারা বললো, ‘এখন সে এক মাদী খচ্চরের পিঠে উপবিষ্ট আছে।’ ওয়াহরিজ বললেনঃ গাধার মাদি বাচ্চার পিঠে? সে নিজেও অপদস্ত হবে, তার রাজ্যেরও পতন ঘটবে। এখন আমি তাকে লক্ষ্য করে তীর নিক্ষেপ করব।
অতঃপর তোমরা যদি দেখতে পাও যে, তার সাথীরা নিজ নিজ স্থানে স্থির রয়েছে, নড়াচড়া করছে না তাহলে আমি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তোমরা আপন আপন স্থানে দাঁড়িয়ে থাকবে এবং বুঝে নিবে যে, আমার তীর লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। আর যদি দেখ যে, আমার তীর নিক্ষেপের পর তার সাথীরা সকলে তার চারদিকে এসে একত্রিত হয়েছে এবং তাকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে তবে বুঝে নিবে যে, নিশ্চয় আমার তীর লক্ষ্য ভেদ করেছে এবং তখন তোমরা সকলে ওদের উপর আক্রমণ চালাবে। এরপর তিনি ধনুকের ছিল টেনে ধরে। কথিত আছে যে, তার ধনুক এতই মজবুত ছিল যে, অন্য কেউ তা বাঁকা করতে পারত না। তার নির্দেশে দু’জন প্রহরী তীর ধনুকে সংযোজিত করে দেয়। তারপর তিনি ইয়ামান রাজা মাসরুককে লক্ষ্য করে তীর নিক্ষেপ করেন। তীরটি গিয়ে তার দু’চক্ষুর মাঝখানে অবস্থিত ইয়াকুত পাথরে আঘাত করে। তীরটি তার মাথায় ঢুকে ঘাড় ভেদ করে বেরিয়ে যায় এবং হাবশী সৈনিকেরা তার চারিদিকে এসে একত্রিত হয়ে মাতম করতে থাকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী এ সময়ে পারসিক সৈনিকেরা তাদের আক্রমণ করে। ফলে তারা সবাই পরাজিত হয়। কতক নিহত হয় এবং অপর কতক যে যেদিকে সম্ভব পালিয়ে যায়। বিজয়ী সেনাপতি ওয়াহরিজ সানা’আ প্রবেশের জন্যে অগ্রসর হন। শাহী ফটকে এসে তিনি লক্ষ্য করেন যে, নিচু করা ছাড়া তার পতাকা ফটক দিয়ে যাবে না। তিনি বললেন, আমার পতাকা অবনত হয়ে কোথাও প্রবেশ করে না। এ ফটক ভেঙ্গে ফেল। ফটক ভাঙ্গা হল এবং তিনি বুক ফুলিয়ে শির উঁচু করে পতাকা উর্ধ্বে তুলে ভেতরে প্রবেশ করলেন। তখন সায়ফ ইবুন যু-ইয়াযিন হিময়ারী বললেনঃ
يظن الناس بالملكين انهما قد التاما
কতক লোক ধারণা করে যে, দু’জন রাজা মিলিত হয়ে গিয়েছেন।
ومن يسمع بلا مهما فان الخطب قد فقما
এ মিলিত হওয়ার কথা কেই বা শুনেছে? মূল কথা হল একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সাধিত হয়েছে।
قتلنا القيل مسروقا – وروينا الكشيب دما
আমরা ইয়ামানী রাজ মাসরূককে হত্যা করেছি এবং বালির স্তুপকে রক্তের দ্বারা তৃপ্ত করেছি।
وان القيل قيل الناس – وهرز مقسم قسما
এখন জনগণের রাজা হচ্ছেন সেনাপতি ওয়াহরিজ, তিনি ধন সম্পদ বিলি বন্টন করে দেন।
يزوق مشعشعا حتى نفي السبي والنعما
তিনি পান করেন পানি মিশ্রিত মদ। যতক্ষণ না বন্দী ও সম্পদ হস্তগত করেন। তারপর হিজাজ ও অন্যান্য অঞ্চল থেকে আরবরা রাজ্য ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার জন্যে সায়ফ ইবন যু-ইয়াযিনকে অভিবাদন জানানোর জন্যে দলে দলে তার নিকট আসতে থাকে। রাজ্য ক্ষমতায় ফিরে আগমনকারী প্রতিনিধি দলসমূহের মধ্যে আবদুল মুত্তালিব ইবন হাশিমও ছিলেন। তখন সায়ফ ইবন যূইয়াযীন আবদুল মুত্তালিবকে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা)-এর আগমনের সুসংবাদ এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি সম্পর্কে অবহিত করেন। এ বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা “রাসূলুল্লাহ (সা)-এর আগমনের সুসংবাদ” শিরোনামে আলোচিত হবে।
ইবন ইসহাকের মতে আবু সালত ইবন আবী রাবী’আ ছাকাফী এবং ইবন হিশামের মতে উমাইয়া ইবন আবী সালত বলেছেনঃ
ليطلب الوتر أمثال ابن ذي يزن - ريم في البحر للأعداء أحوالا
—ইবন যী ইয়াযিনের ন্যায় লোকদেরই উচিত প্রতিশোধ গ্রহণের এগিয়ে যাওয়া শোভা পায়। যিনি প্রতিশোধ নেয়ার জন্যে বছরের পর বছর ধরে সমুদ্রের পাড়ে লুকিয়ে থাকেন।
يمم قيصرا لما كان رحته - فلم يجد عنده بعض الذي مسالا
—তার দেশ ত্যাগের সময় তিনি রোমান সম্রাট কায়সারের নিকট গেলেন। কিন্তু তার প্রার্থিত সাহায্য সেখানে তিনি পেলেন না।
ثم انثنى نحو کسری بعد عاشرة - من السنين يهين التنفس والما
—তারপর পারস্য সম্রাট কিসরার নিকট গেলেন। দশ বছর পর তিনি নিজের ব্যক্তিত্ত্ব ও ধন-সম্পদকে তুচ্ছ জ্ঞান করে।
حتى آتي بيني الأحرار يحملهم -انك عمري لقد أشرعت قلقاء
—অবশেষে তিনি এলেন বনি আহরার গোত্রের নিকট। তিনি তাদেরকে প্রতিশোধ গ্রহণের জন্যে উত্তোজিত করেন। আমার জীবনের শপথ আপনি খুব দ্রুত আন্দোলন সৃষ্টি করেছেন।
لله درهم من عصبة خرجوا - ما ان ارى لهم في الناس أمثالا
—সেই বাহিনীটি এক সময় বিস্ময়করভাবে অভিযানে বেরোল যে, মানব সমাজে আমি তো তাদের তুল্য কাউকে দেখিনি।
غلبا مراز به ليضا أساورة - أسرا تربب في الفيضات أشبالا
—তারা সদা বিজয়ী রাজন্যবর্গ এবং স্বচ্ছ ঝলমলে কংকন পরিধানকারী। তারা সেই সিংহ গভীর জঙ্গলে যারা সিংহ শাবক লালন-পালন করে।
يرمون عن سلوف كانها غبط برمخر يعجل المرمی آعجالا
তারা প্রভাত আলোতে তীর নিক্ষেপ করে ওগুলো দ্রুত লক্ষ্যভেদ করে।
أرسلت أسرا على سود الكلاب فقه - أضحى شديدهم في الأرض فلالا
—আপনি কালো কুকুরদের প্রতি সিংহ লেলিয়ে দিয়েছেন ফলে তাদের পলায়নপর বাহিনী ভূলণ্ঠিত হয়েছে।
فاشرب هنيئا عليك التاج مرتفقا - في رأس غمدان دارا منك محلالا
—আপনি তৃপ্ত চিত্তে পানীয় পান করুন। আপনার মাথায় রয়েছে রাজমুকুট। আপনার বিশ্রামস্থল গুমদান প্রাসাদ, এটি আপনার বৈধ ভবনে পরিণত হয়েছে।
واشرب هنيئا فقد شالت نعامتهم واسبل اليوم في برديك اسبالا
—আপনি তৃপ্তি সহকারে পান করুন। শত্রুরা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এখন আপনি আপনার চাদর জোড়া হেঁচড়িয়ে অহংকারী চালে পথ চলুন।
تلك المكارم قعبان من لبن شبيبا بماء فعادا بعد أبوالا
—এগুলো মহৎ গুণাবলী পানি মিশ্রিত দুধের তেমন দু’টি পাত্র যেগুলো পরিণত হয় প্রস্রাবের পারে।
কথিত আছে যে, গুমদান হলো ইয়ামানের একটি রাজপ্রাসাদ। ইয়ারুব ইবন কাহতান সেটি নির্মাণ করেন। পরবর্তী ওয়াইলা ইবন হিমইয়ার ইবন সাবা কৌশলে সেটি করতলগত করেন। বলা হয়ে থাকে যে, এটি ছিল বিশ তলা বিশিষ্ট প্রাসাদ। আল্লাহই ভাল জানেন।
ইবন ইসহাক বলেন আদি ইবন যায়দ হিমইয়ারী বলেছেন, তিনি ছিলেন বনী তামীম গোত্রের অন্তর্ভুক্ত।
ما بعد صعاء كان يعمرها - ولا ملك جزل مواهبها
—সান’আর পত্তনের এটির কী হলো? যা গড়ে তুলে ছিলেন শাসকবর্গ যাদের দান দক্ষিণা ছিল অবারিত।
رفعها من بنی لذى قزع المزن - وترى مشكا محاربها
—যে ব্যক্তি এটি নির্মাণ করেছে সে এটিকে মেঘমালা পর্যন্ত উন্নীত করেছিলেন। এটির মেহরাবগুলো থেকে কস্তুরির সুবাস ছড়িয়ে পড়ে।
محفوفة بالجبال دون عرى الكائر - ما يرتقي غواربها
—এটি পর্বতরাজি দ্বারা পরিবেষ্টিত। এটি চক্রান্তকারীদের চক্রান্ত থেকে নিরাপদ। এ প্রাসাদের চূড়ায় আরোহণ করা যায় না।
يأنس فيها صوت النهام -اذا خاوبها بالعشى قاصبها
—সান্ধ্যকালীন বজ্রনিনাদ ঐ প্রাসাদে কাঠ মিস্ত্রীর শব্দের ন্যায় খটখট শব্দ করে।
ساقت اليها الأسباب جند بني الأحرار فرسانها مواكبها
—নানা প্রকারের উপাদান বনী আহরার গোত্রের সৈনিকদেরকে তার দিকে টেনে এনেছে। তাদের অশ্বারোহীগণ এসেছিল মিছিল সহকারে।
وفزت بالبغال توسق بالحتف - وتسعى بها توالبها
—মৃতপ্রায় ভারবাহী খচ্চরগুলোকে পৃথক করে দেয়া হয়েছে। তাদের সাথে ছুটে গেল তাদের বাচ্চাগুলো।
حتى يراها الأقوال من طرف النقل - مخضرة كتائبها
—বস্তুত হিমইয়ারী রাজাগণ দুর্গের উপর থেকে ওদের প্রাণ প্রাচুর্যে ভরা অশ্বারোহী বাহিনীকে দেখতে পেলেন।
يوم ينادون ال بربر والكيسوم - لا يفلحن هاربها
—যেদিন তারা বর্বর কায়সুম বংশের লোকদেরকে ডাক দিয়েছিল ওদের পলায়নকারী পালিয়ে বাঁচতে পারবে না।
فكان يوما باقي الحديث وز الت أمة ثابت مراتبها
—সে দিবসের এ আলোচনাই শুধু অবশিষ্ট রয়েছে যে, মর্যাদাবান ও শক্তিশালী একদল মানুষ সে দিন নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল।
وبدل الهيج بالزرافة والآيام خون جم عجائبها
—সে দিন উত্তেজিত বাহিনী নিরীহ জিরাফে পরিণত হয়েছিল। সেই দিনগুলো বহু ঘটনার সাক্ষীতে পরিণত হয়েছে।
بعد بنی تبع نخاورة -قد اطمأنت بها مراز بها
—সম্মানিত তুব্বা সম্প্রদায়ের পর এ দুর্গে পারস্যের সামন্তগণ নিশ্চিন্তে সেটির মালিকানা লাভ করেন।
ইবন হিশাম বলেন, পূর্বোল্লেখিত জ্যোতিষী সাতীহ্ তার বক্তব্য “তারপর ইরাম যী ইয়াযীন তাদের নিকট আসবে আদন থেকে। অতঃপর কাউকেই ইয়ামানে অবশিষ্ট রাখবে না” দ্বারা এটাই বুঝিয়েছিল। আর জ্যোতিষী শিক “এমন একটি বালক যে, গ্রাম্যও নয় শহুরেও নয়। যীইয়াযানের গোত্র থেকে সে বের হবে” দ্বারাও এ দিকেই ইঙ্গিত করেছিল।
ইবন ইসহাক বলেন, ওয়াহরিয এবং পারসিকগণ ইয়ামানে বসবাস করতে থাকে। এখনকার ইয়ামানের অধিবাসিগণ সেই পারসিকদের বংশধর। আরিয়াতের ইয়ামানে প্রবেশ থেকে শুরু করে পারসিকদের হাতে মাসরুক ইব্ন আবরাহা-এর নিহত হওয়া এবং হাবশীদের ইয়ামান থেকে বহিষ্কৃত হওয়া পর্যন্ত তাদের রাজত্বকাল ছিল ৭২ বছর। এই মেয়াদে পরপর চারজন হাবশী রাজা রাজত্ব করে। তারা হলো পর্যায়ক্রমে আরইয়াত, আবরাহা, ইয়াকসূম ইবন আবরাহা এবং মাসরুক ইবন আবরাহা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/489/65
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।