মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ইসমাঈল (আ)-এর বংশধরগণে এবং জাহেলী যুগ থেকে নবুওয়াত (প্রাপ্তিকাল পর্যন্ত ঘটনাবলী)
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/489/69
নবীগণের আলোচনা প্রসংগে হযরত ইসমাঈল (আ)-এর কথা আলোচিত হয়েছে। তার মা হাজেরাসহ তাঁকে সাথে নিয়ে পিতা ইবরাহীম (আ) মক্কায় যে আগমন আলোচনা করেছিলেন এবং ফারান পর্বতের পাদদেশে তাদের বসবাসের ব্যবস্থা করে ছিলেন তাও আলোচিত হয়েছে।
সেখানে তার না ছিল কোন বন্ধু-বান্ধব আর না ছিল কোন সহানুভূতিশীল লোক। তখন হযরত ইসমাঈল (আ) দুগ্ধপোষ্য শিশু ছিলেন। আল্লাহর নির্দেশে হযরত ইবরাহীম (আ)। তাদেরকে সেখানে রেখে চলে যান। এক থলে খেজুর ও এক মাত্র পানি ছাড়া হাজেরা (আ)-এর নিকট তখন অন্য কিছু ছিল না। তা শেষ হয়ে যাওয়ার পর আল্লাহ্ তা’আলা হযরত হাজেরা (আ)-এর জন্যে যমযম কুয়ো উৎসারিত করে দেন। এটির পানি ছিল একই সাথে সুমিষ্ট খাদ্য স্বরূপ ও রোগের প্রতিষেধক। ইমাম বুখারী (র) বর্ণিত হযরত ইবন আব্বাস (রা)-এর দীর্ঘ হাদীসটিতে তা আলোচিত হয়েছে। এরপর মক্কায় হাজেরা (আ)-এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় আগমন করে জুরহুম গোত্র। এ কুয়ো থেকে তাদের শুধুমাত্র পানি পান করার ও প্রয়োজনীয় কার্যাদি সমাধার অনুমতি ছিল।
সঙ্গীরূপে তাদেরকে পেয়ে হযরত হাজেরা স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। হযরত ইবরাহীম (আ) নিয়মিত তাদের খোঁজখবর নিতে আসতেন। কথিত আছে যে, বায়তুল মুকাদ্দস ও মক্কা যাতায়াতে তিনি বুরাকে আরোহন করতেন। হযরত ইসমাঈল যখন দৌড়াদৌড়ি করার মত বয়সে পৌঁছলেন এবং পিতার সাথে কাজ করার মত তরুণে পরিণত হলেন তখন তার কুরবানী বিষয়ক ঘটনাটি সংঘটিত হল। ইতিপূর্বে আলোচনা করা হয়েছে যে, বিশুদ্ধ মতানুযায়ী হযরত ইসমাঈল (আ)-কেই কুরবানীর নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। হযরত ইসমাইল (আ) বয়ঃপ্রাপ্ত হলে জুরহুম গোত্রের এক মহিলার সাথে তার বিবাহ হয়। পরে ঐ স্ত্রীর সাথে তার বিবাহ বিচ্ছেদ। এবং তিনি অন্য মহিলাকে বিবাহ করেন। এবার তিনি বিবাহ করেন মুদাদ ইবন আমর জুরহুমীর কন্যা সাইয়েদাকে। তার গর্ভে ১২ জন পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। ইতিপূর্বে তাদের কথাও আলোচিত হয়েছে। এ পুত্রগণ হলেন নাবিত, কায়যার, মানশা, মিসমা, মাশী, দিম্বা, আযর, ইয়াতুর, নায়শী, তাইমা এবং কায়যুমা। মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ও অন্যরা কিতাবীদের গ্রন্থ সূত্রে এরূপই উল্লেখ করেছেন। হযরত ইসমাঈল (আ)- এর একজন মাত্র কন্যা সন্তান ছিলেন। তার নাম ছিল নাসিমা। তাঁর ভ্রাতুস্পুত্র ঈসূ ইবন ইসহাক ইবন ইবরাহীমের নিকট তাঁকে বিবাহ দেন। ঐ কন্যার গর্ভে রূম ও কারিমের জন্ম হয়। এক বর্ণনা মুতাবিক আশবানও তার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন।
হেজাজী আরবগণ বিভিন্ন গোত্র ও উপগোত্রে বিভক্ত হলেও বংশগত উৎসের দিক থেকে তারা হযরত ইসমাঈল (আ)-এর দু’পুত্র নাবিত ও কায়যার-এর বংশধর। হযরত ইসমাঈল (আ) এরপর তাঁর পুত্র নাবিত কাবা শরীফ ও যমযমের তত্ত্বাবধায়ক, মক্কা মুকাররমার প্রশাসক হন এবং ঐ অঞ্চলের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। তিনি জুরহুমীদের ভাগ্নেও বটে। এরপর ভাগ্নেদের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে জুরহুমীগণ কা’বা শরীফের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে। অতঃপর ইসমাঈল বংশীয়দের স্থলে তারাই দীর্ঘদিন মক্কা মুকাররমা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা শাসন করে। নাবিত এরপর জুরহুমীদের মধ্যে সর্বপ্রথম শাসনভার গ্রহণ করে মুদাদ ইব্ন আমার ইবন সাদ ইবন রাকীব ইবন আবীর ইবন নাবত ইব্ন জুরহুম। জুরহুম ছিলেন কাহতানের পুত্র।
কেউ কেউ বলেন, জুরহুমের বংশ তালিকা হল জুরহুম ইবন ইয়াকতান ইবন আবীর ইবন শালিখ ইব্ন আরফাখশায ইবন সাম ইবন নূহ। তিনি বসতি স্থাপন করেছিলেন মক্কার উচু অঞ্চল কাইকা’আল নামক স্থানে। কাতুরা সম্প্রদায়ের নেতা সামীদা তাঁর সম্প্রদায়কে নিয়ে বসতি স্থাপন করেন মক্কার নিম্নাঞ্চলে। তাদের উভয়ে নিজ নিজ এলাকা দিয়ে মক্কায় যাতায়াতকারী কাফেলা থেকে কর উশুল করত। পরবর্তীতে জুরহুম ও কাতুরা সম্প্রদায়ের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয় এবং তারা যুদ্ধে লিপ্ত হয়। যুদ্ধে সামীদা নিহত হয়। মুদাদের ক্ষমতা অধিকতর দৃঢ় হয়। তিনি মক্কা মুকাররমা ও বায়তুল্লাহর একচ্ছত্র শাসকরূপে আবির্ভূত হন। ইসমাঈল বংশীয় লোকজন তখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ মর্যাদাবান এবং মক্কায় ও অন্যান্য স্থানে প্রভাব বিস্তারকারী ছিল। কিন্তু মুদাদ তাদের মাতুল হওয়ার কারণে এবং বায়তুল্লাহ শরীফের সম্মানের খাতিরে ইসমাঈল বংশীয় কেউ তার বিরুদ্ধাচারণ করেন নি। মুদাদের পর তার পুত্র হারিছ কর্তৃত্ব লাভ করে। তারপর ক্ষমতা লাভ করেন হারিছের পুত্র আমর। এরপর জুরহুম গোত্র মক্কায় সত্যদ্রোহিতা ও অনাচারে লিপ্ত হয়। তারা চরম অশান্তি সৃষ্টি করে। মসজিদুল হারামে পাপ কার্য সংঘটিত করে।
কথিত আছে যে, আসাক ইবন বুগা নামক জনৈক পুরুষ এবং নাইলা বিনত ওয়ায়িল নাম্মী এক মহিলা কাবা শরীফে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়। আল্লাহ তা’আলা তাদের দুজনকে পাথরে পরিণত করে দেন। তাদের দুজনকে দেখে মানুষ যেন শিক্ষা গ্রহণ করে এ উদ্দেশ্যে তাদের প্রস্তরমূর্তি বায়তুল্লাহ শরীকের অদূরে এক জায়গায় স্থাপন করা হয়। দীর্ঘদিন পর খুযাআ গোত্রের শাসনামলে মানুষ আল্লাহকে ছেড়ে এ দু’টি মূর্তির উপাসনা শুরু করে। শেষ পর্যন্ত তারা আসাক ও নাইলা নামের দেব-দেবীতে পরিণত হয়।
জুরহুম গোত্র যখন হারাম শরীফ ও সম্মানিত নগরীতে ব্যাপক হারে পাপাচার ও সীমালংঘন শুরু করে তখন খুযাআ গোত্র তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। খুযাআ গোত্র ইতিপূর্বে হারাম শরীফ এলাকায় বসবাস করছিল। তারা ছিল আমর ইবন আমির-এর বংশধর। ইয়ামানের বাঁধ ভাঙ্গা প্লাবনের ঘটনায় সে ইয়ামান ত্যাগ করে এ অঞ্চলে এসে বসতি স্থাপন করেছিল। কেউ কেউ বলেন যে, খুযাআ ছিল হযরত ইসমাঈল (আ)-এর বংশধর। আল্লাহ্ ভাল জানেন।
বস্তুত জুরহুমীদের অনাচারের প্রেক্ষিতে খুযাআ গোত্র ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্যে সংঘবদ্ধ হয় এবং ওদেরকে যুদ্ধের আহবান জানায়। উভয় পক্ষে যুদ্ধ হয়। এ সময়ে ইসমাঈল বংশীয়গণ নিরপেক্ষতা অবলম্বন করে। যুদ্ধে খুযাআ গোত্রের জয় হয়। তারা বনু বকর ইবন আবদ মানাত গোত্র ও গাবশান গোত্র, তারা জুরহুমীদেরকে বায়তুল্লাহ শরীফ ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে বহিষ্কার করে। তখন তাদের নেতা আমর ইবন হারিছ ইবন মুদাদ জুরহুমী বায়তুল্লাহ শরীফের দুই প্রধান ও প্রিয় বস্তু রুকন ও হাজরে আসওয়াদ খুলে নেয়। সাথে অলংকৃত তরবারীগুলো এবং অন্য কতক বস্তু কা’বা শরীফ থেকে খুলে নিয়ে সবগুলো যমযম কূপের মধ্যে পুঁতে ফেলে এবং যমযম কূপে একটি চিহ্ন স্থাপন করে। অবশেষে নিজের সম্প্রদায়ের লোকজনসহ সে ইয়ামানে ফিরে যায়।
এ উপলক্ষে দলনেতা আমর ইবন হারিছ ইবন মুদাদ বলেনঃ
وقائلة والدمع سكب مبادر - وقد شرقت بالدمع منها المحاجر
—এ সব প্রত্যাবর্তনকারী কাফেলা তাদের অশ্রুরাশি দ্রুত গড়িয়ে পড়ছে। এদিকে চোখের অশ্রু ঝড়িয়ে মক্কার হাতীম ও সম্মানিত স্থানগুলোও পূর্বদিকে যাত্রা করেছে।
كان لم يكن بين الحجون الى الصفا - ولم سيمر بمكة سامر
—যেন সুদূর সাফা পর্বত পর্যন্ত পাহাড়ে পর্বতে তার কোন বন্ধু ছিল না এবং ছিল না মক্কা ভূমে রাত্রে একান্ত কথা বলার কোন সুজন।
فقلت لها القلب منی گانما -يلجله بين الجناحين طائر
—প্রিয়ভূমি মক্কার উদ্দেশ্যে আমি বললাম, তখন আমার হৃদয় এমন অস্থির ছিল, যেমন থাকে দু’পাখার মাঝখানে মাথা আছড়ানো পাখি।
بلی نحن كنا أهلها فاز النا - صروف الليالفي والجدور العواثر
—হ্যাঁ আমরাই তার উপযুক্ত অধিবাসী ছিলাম, অতঃপর যুগচক্র ও বদনসীবী আমাদেরকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিল।
وكنا ولاة البيت من بعد نابت - نطوف بذالك البيت والخيرظاهر
—নাবিতের পর আমরাই আল্লাহর গৃহের তত্ত্বাবধায়ক ছিলাম, সেই সূত্রে আমরা ঐ গৃহের তাওয়াফ করতাম। এতে কল্যাণ ও লাভ তো সুস্পষ্ট।
وزحن و لينا البيت من بعد نابت - بعز فما يظى لدينا المكاثر
—নাবিতের পর আমরা অত্যন্ত সম্মান ও গৌরবের সাথে ঐ গৃহের তত্ত্বাবধান করেছি। ফলে পরম ঐশ্বর্যশালী ব্যক্তিও আমাদের ন্যায় সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেনি।
ملكنا فعززنا فاعظم بملكنا - فليس لحي غيرنا ثم فاخر
—আমরা রাজত্ব লাভ করেছি, আমরা সম্মানের অধিকারী হয়েছি আমাদের রাজত্ব ছিল পরম গৌরবের। সেখানে আমরা ব্যতীত অন্য কোন গোত্র ও সম্প্রদায়ের জন্যে অহংকার প্রদর্শনের অবকাশ ছিল না।
ألم تنكحوا من خير شخص علمته - فابنا وه منا ونحن الأصاهر
—তোমরা কি শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করনি? নিশ্চয়ই আমি তো তা জানি। সুতরাং সে ব্যক্তির ছেলেমেয়ে আমাদেরই রক্ত সম্পর্কিত এবং আমরা শ্বশুর গোষ্ঠী।
فان تنثني الدنيا علينا بحالها- فان لها حالا وفيها الشاجر
—পৃথিবী যদি তার পূর্বাবস্থা সহকারে পুনরায় আমাদের নিকট ফিরে আসে তবে তখন তার একটা স্মরণযোগ্য অবস্থা সৃষ্টি হবে এবং তাতে পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও মুকাবিলা হবে।
فاخرجنا منها المليك بقدرة - كذلك ياللناس تجرى المقادر
—মহান মালিক ও প্রভু আপন কুদরতে আমাদেরকে ওখান থেকে বের করে দিলেন। হায়! এভাবেই মানুষের জন্যে অদৃষ্টের লিখন কার্যকর থাকে।
اقول اذا نام الخلي ولم أنم - اذا العرش لا يبعد سهيل وعامر
—উদ্বেগ উৎকণ্ঠাহীন ব্যক্তিবর্গ যখন নিশ্চিন্তে ঘুমায় তখনও আমি ঘুমাই না, আমি জেগে জেগে বলি, হায় আরশ যেন সুহায়ল ও আমিরকে বিতাড়িত না করে।
وبدلت منها أوجها لا أحبها - قبائل منها حمير ويحابر
—শেষ পর্যন্ত আমার পরিবর্তে এমন কতক লোককে স্থান দেয়া হয় আমি যাদেরকে ভালবাসি। তারা হল হিময়ার ও ইউহাবির গোত্র।
وصرنا أحاديث وكنا بغبلة - بذلك عضتنا السنون الغوابر
—অনন্তর আমরা হয়ে গেলাম কাহিনীর বিষয়বস্তু ও ইতিহাসের উপাদান। অথচ আমরা ছিলাম অন্যের ঈর্ষার কারণ। অনাগত কাল পরিক্রমা আমাদেরকে দংশন করেছে।
فسحت دموم العين تبكي لبلدة - بها حرم أمن وفيها المشاعر
—চোখে অশ্রু নির্গত হল অবিরাম, সেই শহরের জন্যে ক্রন্দনের কারণে যে শহরে রয়েছে হারাম শরীফ এবং যেখানে রয়েছে কুদরতের নিদর্শনাবলী।
وتبكي لبيت ليس بؤذي حمامه - يظل به أمنا و فيه العصافر
—চক্ষু ক্রন্দন করছিল সেই মহান গৃহের জন্যে যেখানে কবুতর কষ্ট পায় না। বরং যেখানে এসে নিরাপদে ছায়া ভোগ করে, যেখানে রয়েছে নিরুদ্বিগ্ন চড়ুই পাখির দল।
وفيه وحوش لاترام أنيسة - اذا خرجت منه فليس تغادر
—সেখানে রয়েছে বন্য পশু পাখি, সেগুলো কে পোষ মানানোর প্রয়াস চাওয়া হয় না। সেগুলো সেখান থেকে একবার বেরিয়ে গেলেও স্থায়ীভাবে সে স্থান ছেড়ে যায় না।
ইবন ইসহাক (র) বলেন, জুরহুমীদের পরে মক্কার কৃর্তৃত্ব গ্রহণকারী বনু বকর ও গাবশান গোত্রের কথা উল্লেখ করে আমর ইবন হারিছ ইবন মুদাদ আরও বলেছেনঃ
يا أيها الناس سيروا ان قصار گم - أن نصبحوا ذات يوم لأسيرونا
—হে লোক সকল! (বনু বকর ও গাবশান) তোমরা ভ্রমণ কর এগিয়ে যাও। কারণ তোমাদের শেষ সীমানা এতটুকু যে, এমন একদিন আসবে যখন তোমরা আর চলাচল করতে পারবে না।
حثوا ألمطى وارخوا أذمتها - قبل الممات وقفوا ماتقضون
—উটকে উত্তেজিত কর, উদ্বেলিত কর এবং তার লাগাম শিথিল করে দাও মৃত্যু আমার পূর্বেই এবং যা করতে চাও মৃত্যুর পূর্বেই তা করে নাও।
گنا أناسا كما كنتم فغيرنا - دهر فانتم كما صرنا تصيرونا
—তোমরা এখন যেমন আমরাও একসময় তেমন ছিলাম। কালচক্র আমাদেরকে পরিবর্তিত ও স্থানান্তরিত করে দিয়েছে। আমরা যেরূপ হয়েছি আমাদের যে পরিণতি হয়েছে তোমরাও সেরূপ হবে।
ইবন হিশাম (র) বলেন, আমর ইবন হারিছের কবিতাগুলোর মধ্যে এগুলোই আমরা বিশুদ্ধ সূত্রে পেয়েছি কতক কবিতা বিশেষজ্ঞ আমাকে জানিয়েছেন যে, এগুলোই আদি আরবী কবিতা। ইয়ামান দেশে পাথরে লিখিত অবস্থায় এগুলো পাওয়া গেছে। এগুলো রচনা করেছে কোন ব্যক্তি তার অবশ্য উল্লেখ পাওয়া যায়নি। সুহায়লী (র) এগুলোর সমপর্যায়ের অনুরূপ আরো কতক কবিতা উল্লেখ করেছেন এবং সেখানে এক অদ্ভুত ঘটনাও বর্ণনা করেছেন এগুলো অন্য ভাষা থেকে আরবীতে রূপান্তরিত বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, আবুল ওলীদ আরাকী তাঁর ফাযায়েলে মক্কা গ্রন্থে আমর ইবন হারিছের উপরোল্লেখিত কবিতার সাথে নিমোক্ত কবিতাগুলো সংযোজন করেছেন।
قدمال دهر علينا ثم اهلكنا بالبغي فينا وبز الناس ناسونا .
—কালচক্র আমাদেরকে আঘাত করেছে অতঃপর আমাদের মধ্যে সত্যদ্রোহীতা সৃষ্টি করে আমাদেরকে ধ্বংস করেছে। অথচ মানুষের মধ্যে সাহসী ও দক্ষ যোদ্ধা ছিল আমাদের লোকগুলো।
و استخبروا في ضنيع الناس قبلكم - كما اتبان طريق عنده الهونا .
—তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজ খবর নাও, তবে জানতে পারবে যে, আমাদের জন্যে সত্য পথ যেমন উন্মুক্ত হয়েছিল শেষ পর্যন্ত অপমান ও লাঞ্ছনাও তেমনি এসেছে।
کنا زمانا ملوك الناس قبلكم - بمسكن في حرم الله مسگونا .
—তোমাদের পূর্বে দীর্ঘকাল আমরা মানুষের উপর রাজত্ব করেছি আল্লাহ তা’আলার সম্মানিত স্থান হারাম শরীফে বসবাস করেছি আমরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/489/69
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।