hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সিয়াম ও যাকাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৩০
যাদেরকে যাকাত দেয়া যাবে না
এমন কিছু খাত রয়েছে, যাতে যাকাত প্রদানের ৮টি খাতের মধ্যে একটিতে পড়া সত্ত্বেও তাদেরকে যাকাত দেয়া যাবে না। যেমন-

১। নবীর বংশধর :

রাসূলুল্লাহ ﷺ এর বংশধর, বনী হাশেম, আলী, আকীল, জাফর, আববাস ও হারেসের বংশধরের জন্য যাকাতের মাল বৈধ নয়। কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,

أَنَّا لَا تَحِلُّ لَنَا الصَّدَقَةُ

অর্থাৎ আমাদের জন্য সাদাকা হালাল করা হয়নি। [সহীহ মুসলিম, হা/২৫২৩; আবু দাউদ, হা/১৬৫২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৭২২৬; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২৩৪৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩২৯৩; মুসনাদুল বাযযার, হা/১৩৩৬; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/৯২৭; বায়হাকী, হা/২৬৮৮; সুনানে দারেমী, হা/১৫৯১; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/১০৮০৭; জামেউস সগীর, হা/৪০৪৪।]

২। যার ভরণ-পোষণ করা ফরয :

যার ভরণ-পোষণ করা ফরয তাকে যাকাতের মাল দেয়া বৈধ নয়। যেমন- পিতা-মাতা, ছেলে-মেয়ে, দাদা-দাদী, নানা-নানী, নাতি-নাতনী, স্ত্রী প্রভৃতি। এজন্যই এক হাদীসে এসেছে,

عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَجُلًا أَتَى النَّبِىَّ - - فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ لِىْ مَالًا وَوَلَدًا وَإِنَّ وَالِدِىْ يَجْتَاحُ مَالِىْ . قَالَ : أَنْتَ وَمَالُكَ لِوَالِدِكَ إِنَّ أَوْلَادَكُمْ مِنْ أَطْيَبِ كَسْبِكُمْ فَكُلُوْا مِنْ كَسْبِ أَوْلَادِكُمْ

আমর ইবনে শুয়াইব (রাঃ) তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, একদা এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার সম্পদ ও সমত্মান রয়েছে। আমার পিতা আমার সম্পদের মুখাপেক্ষী। তিনি বললেন, তুমি এবং তোমার সম্পদ তোমার পিতার জন্য। তোমাদের সমত্মানরা তোমাদের উত্তম উপার্জন। সুতরাং তোমরা তোমাদের সমত্মানদের উপার্জন থেকে ভক্ষণ কর। [আবু দাউদ, হা/৩৫৩২; ইবনে মাজাহ, হা/২২৯১; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১৬১৬৭।]

৩। উপার্জন করতে সক্ষম ব্যক্তি :

যে ব্যক্তি উপার্জন করতে সক্ষম এবং সে হাতের কাজ কিংবা দৈনিক অথবা মাসিক বেতনের মাধ্যমে রুজীপ্রাপ্ত হয়, এরূপ ব্যক্তিকে যাকাতের মাল প্রদান করা বৈধ নয়। কেননা হাদীসে এসেছে,

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو عَنِ النَّبِىِّ - - قَالَ : لَا تَحِلُّ الصَّدَقَةُ لِغَنِىٍّ وَلَا لِذِىْ مِرَّةٍ سَوِىٍّ

আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেন, সম্পদশালী ও সুস্থ-সবল ব্যক্তির জন্য যাকাত গ্রহণ করা বৈধ নয়। [আবু দাউদ, হা/১৬৩৬; তিরমিযী, হা/৬৫২; নাসাঈ, হা/২৫৯৭; ইবনে মাজাহ, হা/১৮৩৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/৬৫৩০; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২৩৮৭; মিশকাত, হা/১৮৩০।]

অপর হাদীসে এসেছে,

عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ الْخِيَارِ ، قَالَ : أَخْبَرَنِي رَجُلَانِ : أَنَّهُمَا أَتَيَا النَّبِيَّ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ ، وَهُوَ يُقَسِّمُ الصَّدَقَةَ ، فَسَأَلَاهُ مِنْهَا ، فَرَفَعَ فِينَا الْبَصَرَ وَخَفَضَه ، فَرَاٰنَا جَلْدَيْنِ ، فَقَالَ : إِنَّ شِئْتُمَا أَعْطَيْتُكُمَا ، وَلَا حَظَّ فِيْهَا لِغَنِيٍّ ، وَلَا لِقَوِيٍّ مُكْتَسِبٍ

উবায়দুল্লাহ ইবনে আদী ইবনে খিয়ার (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, দুই ব্যক্তি আমাকে বর্ণনা করেছেন যে, তারা বিদায় হজ্জের সময় রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট আসলেন। তখন তিনি সাদাকা (যাকাত) বণ্টন করছিলেন। তারা উভয়ে তাঁর নিকট (যাকাত) থেকে কিছু চাইলেন। তিনি আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকালেন এবং নিচু করলেন। তিনি দেখলেন যে, আমরা দু’জনই স্বাস্থ্যবান। ফলে তিনি বললেন, যদি তোমরা চাও আমি তোমাদেরকে দেব। তবে তাতে বিত্তশালীর এবং কোন শক্তিশালী ও কর্মক্ষম ব্যক্তির অংশ নেই। [আবু দাউদ, হা/১৬৩৫; নাসাঈ, হা/২৫৯৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩১১৩; মিশকাত, হা/১৮৩২।]

৪। কাফির, মুনাফিক ও মুশরিক (মতামত্মরে বেনামাযী) :

যাকাতের মাল কেবল মুসলিমদেরই প্রাপ্ত অধিকার। সুতরাং কোন অমুসলিম ব্যক্তিকে এ সম্পদ থেকে কোন অংশ দেয়া যাবে না। রাসূলুল্লাহ ﷺ মু‘আয ইবনে জাবাল (রাঃ)-কে ইয়ামানের শাসক হিসেবে নিয়োগ দানকালে উপদেশ দানের হাদীসে এসেছে,

اَنَّ اللهَ قَدْ فَرَضَ عَلَيْهِمْ صَدَقَةً تُؤْخَذُ مِنْ اَغْنِيَائِهِمْ فَتُرَدُّ عَلٰى فُقَرَائِهِمْ

আল্লাহ তা‘আলা তাদের উপর যাকাত ফরয করেছেন, যা তাদের ধনীদের নিকট থেকে সংগৃহীত হবে এবং তাদের দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হবে। [সহীহ বুখারী, হা/১৪৯৬; সহীহ মুসলিম, হা/১৩০; আবু দাউদ, হা/১৫৮৬;তিরমিযী, হা/৬২৫; নাসাঈ, হা/২৫২২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২০৭১; সুনানে দার কুতনী, হা/২০৫৮; মিশকাত, হা/১৭৭২।]

তবে কোন কাফিরকে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে যাকাতের সম্পদ থেকে যদি কোন অংশ দেয়া হয়, তাহলে তা বৈধ হবে। আবার তাদেরকে মানবিকতার খাতিরে নফল দান প্রদান করা যাবে।

৫। বিদআতী, ফাসিক অথবা অন্যায় কাজে অর্থ ব্যয়কারী :

এ ধরনের ব্যক্তি দুই প্রকার হতে পারে। যেমন-

ক) চরম বিদআতী :

যারা এমন বিদআতে লিপ্ত, যা মানুষকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়। এই প্রকার বিদআতীদেরকে সর্বসম্মতিক্রমে যাকাত প্রদান করা বৈধ নয়। কেননা তারা এই বিদআতের মাধ্যমে ইসলাম থেকে বের হয়ে গেছে।

খ) সাধারণ বিদআতী ও পাপাচারে লিপ্ত ব্যক্তি :

যারা আকীদাগত বা আমলগত এমন কোন বিদআতে লিপ্ত নেই, যার দ্বারা ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়। অথবা এমন কোন সাধারণ মুসলিম, যাদের আকীদাগত কোন সমস্যা নেই, তবে আমলগত ত্রুটি আছে। এ প্রকার লোকদের ব্যাপারে যদি ধারণা করা হয় যে, তারা যাকাতের অর্থ নিজেদের বিদআত অথবা পাপকাজে ব্যয় করবে, তাহলে তাদেরকে বিশুদ্ধ মতানুযায়ী যাকাত দেয়া বৈধ নয়।

অতএব মুসলিমদের উচিত তাদের যাকাতকে যাচাইবাছাই করে গরীব, অভাবগ্রসত্ম, ঋণগ্রসত্মদের ও অন্যান্য হকদারদের মধ্য থেকে যারা শরীয়তের বিধান সঠিকভাবে মেনে চলে তাদেরকে প্রদান করা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন