hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সিয়াম ও যাকাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২০
মাসিক সংক্রামত্ম কতিপয় মাসআলা
১. যে মহিলার ইস্তেহাযা হয় সে রোযা ভাঙবে না এবং সালাতও কাযা করবে না। ইস্তেহাযা হলো, মাসিকের নির্ধারিত সময়ের পরে অথবা সন্তান প্রসবের ৪০ দিনের পরে যে রক্ত আসে।

২. কোন মহিলা রোযা থাকা অবস্থায় যদি তার ঋতুর রক্ত আসে, তাহলে তার রোযা নষ্ট হয়ে যাবে।

৩. ফজরের পরপরই কোন মহিলা ঋতুস্রাবমুক্ত হলে ঐ দিনের খানাপিনা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হবে না। কেননা সে ঐ দিনের শুরুতে ঋতুবতী থাকার কারণে সেদিনের রোযা তার জন্য শুদ্ধ নয়। আর রোযা যেহেতু শুদ্ধ নয়, সেহেতু খানাপিনা থেকে বিরত থাকারও কোন অর্থ নেই।

ঐ দিনের বাকি অংশে সে খানাপিনা থেকে বিরত থাক বা না থাক তাকে পরবর্তীতে ঐ দিনের রোযার কাযা আদায় করতে হবে।

৪. ঋতুবতী মহিলা যদি ফজরের এক মিনিট আগে হলেও নিশ্চিতভাবে ঋতুস্রাব থেকে মুক্ত হয়, তাহলে রমাযান মাস হলে তাকে ঐ দিনের রোযা আদায় করতে হবে এবং তার ঐ দিনের রোযা শুদ্ধ রোযা হিসেবে পরিগণিত হবে এবং তাকে কাযা করতে হবে না। তার ফজরের পূর্বে গোসল করার সুযোগ না পেলেও সমস্যা নেই। যেমনিভাবে কোন পুরুষ সহবাসজনিত কারণে অথবা স্বপ্নদোষের কারণে যদি অপবিত্র থাকে এবং ঐ অবস্থায় সাহারী করে নেয়, তাহলে ফজরের আগে গোসল না করলেও তার রোযা শুদ্ধ হবে।

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সহবাসজনিত কারণে ফজরের সময় আরম্ভ হওয়ার পর গোসল করতেন এবং রোযা রাখতেন। [সহীহ বুখারী, হা/১৯৩১; সহীহ মুসলিম, হা/৭৫, ১১০৯।]

৫. কোন মহিলার ইফতারের পর অথবা সূর্যাস্তের পরপরই ঋতুস্রাব আসলে তার সেদিনের রোযা শুদ্ধ হবে।

৬. কোন মহিলা যদি রোযা অবস্থায় ঋতুস্রাব আসার চিহ্ন অনুভব করতে পারে এবং সূর্যাস্তের পর রক্ত বের হয়, তাহলেও তার ঐ দিনের রোযা শুদ্ধ হয়ে যাবে।

৭. সদ্য সন্তান প্রসবকারিণী নারী ৪০ দিনের আগে যখনই পবিত্র হবে তখনই তার উপর রোযা রাখা অপরিহার্য হয়ে যাবে- যদি তখন রমাযান মাস চলে। অনুরূপভাবে তার উপর সালাত আদায়ও ফরয হবে এবং তার স্বামীর জন্য তার সাথে সহবাস করাও বৈধ হবে। কেননা সে একজন পবিত্র নারী হিসেবে বিবেচিত হবে। যার মধ্যে সালাত, সিয়াম ও সহবাসের বৈধতায় বাধাদানকারী কোন কিছু অবশিষ্ট নেই।

৮. যদি রমাযান মাসে দিনের বেলায় কোন মহিলার সামান্য রক্তের ফোটা পড়ে এবং সারা রমাযান এই রক্ত চালু থাকা অবস্থায় সে রোযা রাখে, তাহলে তার রোযা শুদ্ধ হবে। আর এই রক্ত তেমন কোন বিষয় না। কারণ, এটা শিরা থেকে আসে।

৯. কোন মহিলা যদি রক্ত দেখতে পায় কিমত্মু সে নিশ্চিত নয় যে, সেটা ঋতুস্রাবের রক্ত। তাহলে ঐ দিনের রোযা শুদ্ধ হবে। তবে ঋতুর বিষয়টা স্পষ্ট হলে রোযা শুদ্ধ হবে না।

১০. ঋতুবতী এবং ইসেত্মহাযাগ্রসত্ম মহিলা রমাযানে দিনের বেলায় খানাপিনা করবে। তবে উত্তম হলো, খানাপিনা গোপনে করা।

১১. কোন মহিলা অসুস্থ হয়ে থাকলে এবং রোযা কাযা আদায় করতে সক্ষম না হলে যখনই সক্ষম হবে তখনই কাযা আদায় করবে। এ ক্ষেত্রে পরবর্তী রমাযান এসে গেলেও সমস্যা নেই। কিমত্মু যদি তার ওজর না থাকে এবং অজুহাত দেখায় এবং বিষয়টা তুচ্ছজ্ঞান করে তাহলে তার জন্য এক রমাযানের কাযা রোযা অন্য রমাযান পর্যন্ত বিলম্ব করা বৈধ নয়। আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার উপর রোযা কাযা থাকত এবং আমি তা শা‘বান মাসে ছাড়া কাযা আদায় করতে পারতাম না। [সহীহ বুখারী, হা/১৯৫০; সহীহ মুসলিম, হা/১৫১, ১১৪৬।]

এই হাদীস প্রমাণ করে যে, এক রমাযানের রোযা পরবর্তী রমাযানের পর পর্যন্ত বিলম্ব করা উচিত নয়। সুতরাং যে মহিলা পরবর্তী রমাযানে পদার্পণ করেছে অথচ বিগত রমাযানের কয়েক দিনের রোযা রাখেনি তাকে তার কৃতকর্মের দরুণ তওবা করতে হবে এবং দ্বিতীয় রমাযানের পর ছেড়ে দেয়া রোযাগুলোর কাযা আদায় করতে হবে।

১২. কোন মহিলা ইসেত্মহাযাগ্রসত্ম অবস্থা থেকে পবিত্র হওয়ার দু’মাস পর রক্তের ছোট ছোট কিছু বিন্দু দেখতে পেলে এ ক্ষেত্রে সাধারণ নিয়ম হচ্ছে, মহিলা যখন ঋতুস্রাব ও ইসেত্মহাযা অবস্থা থেকে নিশ্চিতভাবে পবিত্র হয়ে যাবে এরপর ঘোলা বা হলুদ রঙের, যা বের হবে অথবা ২/১ ফোটা যে রক্ত আসবে অথবা সামান্য যে সিক্ততা অনুভূত হবে, সেগুলো আসলে ঋতুস্রাব নয়। সে কারণে এগুলো তাকে সালাত আদায় করা ও সিয়াম পালন করা থেকে বিরত রাখবে না এবং স্বামীকে সহবাস থেকেও বাধা দেবে না। উম্মে আত্বিয়া (রাঃ) বলেন, ঘোলা বা হলুদ রঙের যা বের হয় তাকে আমরা কিছুই গণ্য করতাম না। [সহীহ বুখারী, মুওয়াল্লাক হিসেবে বর্ণিত হয়েছে।]

কিমত্মু পবিত্রতা অর্জনের পূর্বে বিষয়গুলো নিয়ে তাড়াহুড়া না করা আবশ্যক। কেননা কতিপয় মহিলা রক্ত শুকিয়ে গেলে নিশ্চিত পবিত্রতা অর্জনের আগেই তাড়াহুড়া করে গোসল করে নেয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন