hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সিয়াম ও যাকাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৭২
রোযার উদ্দেশ্য
প্রত্যেকটি কাজের পরিকল্পনা গ্রহণের মূলে একটি লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য থাকে। সেই উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়িত করার জন্য কাজটি সম্পাদন করা হয়। মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের উপর একমাস রোযা রাখা ফরয করেছেন তাদেরকে উপবাস রেখে অযথা কষ্ট দেয়ার জন্য নয়। রোযা ফরয করার পেছনে এক বিরাট উদ্দেশ্য রয়েছে। যে আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা রোযা ফরয করেছেন সে আয়াতেরই শেষাংশে সেই উদ্দেশ্যের কথা তিনি বলে দিয়েছেন। তাই আমাদের কর্তব্য হলো সে বিষয়টি জানা এবং তা অর্জন করার জন্য চেষ্টা করা। কারণ কোন কাজ যে উদ্দেশ্যে করা হয় সে উদ্দেশ্য যদি সফল না হয় তবে কাজটি বিফলে যায়। আল্লাহ তা‘আলা রোযার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন,

﴿يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُوْنَ﴾

হে ঈমানদারগণ! পূর্ববর্তী উম্মতের মতো তোমাদের উপরও রোযা ফরয করে দেয়া হয়েছে, সম্ভবত এর মাধ্যমে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারবে। (সূরা বাকারা- ১৮৩)

এখান থেকে স্পষ্ট জানা গেল যে, তাকওয়া অর্জন করাই রোযার মূল উদ্দেশ্য। তাকওয়া এত মূল্যবান জিনিস যে, এর ফলে যে কল্যাণ ও উপকার পাওয়া যায় অন্য কিছুর দ্বারা তা পাওয়া যায় না। যেমন কুরআন থেকে হেদায়াত লাভে ধন্য হয় মুত্তাকীরা। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿هُدًىْ لِّلْمُتَّقِيْنَ﴾

যাদের তাকওয়া আছে তারাই এর থেকে হেদায়াত বা পথের দিশা পায়।

(সূরা বাকারা- ২)

সবচেয়ে বড় ও চিরস্থায়ী সুখ ও শান্তির ঠিকানা জান্নাতে মুত্তাকীরাই যাবে। যত ভালো কাজ ও নেক আমল রয়েছে এর বাহ্যিক কাঠামো আল্লাহর কাছে পৌঁছে না; বরং তাকওয়াই তাঁর কাছে পৌঁছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿لَنْ يَّنَالَ اللهَ لُحُوْمُهَا وَلَا دِمَآؤُهَا وَلٰكِنْ يَّنَالُهُ التَّقْوٰى مِنْكُمْ﴾

তোমাদের কুরবানীর পশুর রক্ত এবং গোশত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না; বরং তাকওয়াই আল্লাহর কাছে পৌঁছে। (সূরা হাজ্জ- ৩৭)

এখন প্রশ্ন হলো, তাকওয়া এমন কোন্ জিনিসের নাম, যার এত মান-মর্যাদা, এত উপকারিতা, যা অর্জন করার জন্য দীর্ঘ একটি মাস সাধনা করতে হয়?

তাকওয়ার শাব্দিক অর্থ রক্ষা করা, বেঁচে চলা, ভয় করা। পূর্ণাঙ্গ অর্থে তাকওয়া হচ্ছে মানুষের ভেতরে লুকায়িত এমন কিছু গুণের নাম, যা আল্লাহর খাওফ ও মুহাববত (ভয় ও ভালোবাসা) থেকে জন্ম নেয়, যা ভালো কাজের প্রেরণা দেয় এবং খারাপ কাজ থেকে দূরে রাখে। এজন্য যার মধ্যে তাকওয়ার গুণ অর্জিত হয়ে যায় সে জাহান্নাম ও আল্লাহর শাস্তির ভয়ে গোনাহের কাজ করতে পারে না। আর জান্নাত ও আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনের আশায় নেক আমল ছাড়তে পারে না। রোযার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে এ গুণটি অর্জিত হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন