hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সিয়াম ও যাকাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৪০
রমাযান মাসে বেশি বেশি করে দান করা
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، قَالَ : كَانَ رَسُوْلُ اللهِ أَجْوَدَ النَّاسِ ، وَكَانَ أَجْوَدُ مَا يَكُوْنُ فِيْ رَمَضَانَ حِيْنَ يَلْقَاهُ جِبْرِيْلُ ، وَكَانَ يَلْقَاهُ فِيْ كُلِّ لَيْلَةٍ مِنْ رَمَضَانَ فَيُدَارِسُهُ الْقُرْاٰنَ فَلَرَسُوْلُ اللهِ أَجْوَدُ بِالْخَيْرِ مِنَ الرِّيْحِ الْمُرْسَلَةِ

ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ ছিলেন সমস্ত লোকের চেয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ দাতা। বিশেষত তাঁর দানশীলতা অন্যান্য সময় হতে রমাযান মাসে বেশি বেশি দেখা যেত, যখন জিবরাঈল (আঃ) তাঁর সাক্ষাতে আসতেন। রমাযানের প্রতি রাতেই তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাক্ষাতে উপস্থিত হতেন এবং তাঁকে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করে শুনাতেন। এ কারণেই রাসূলুল্লাহ ﷺ রমাযান মাসে দানশীলতায় প্রবাহিত বায়ুর চেয়েও বেশি গতিশীল হয়ে যেতেন (অর্থাৎ বেশি বেশি দান করতেন)। [সহীহ বুখারী, হা/৬; সহীহ মুসলিম, হা/৬১৪৯; নাসাঈ, হা/২০৯৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৬১৬; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৮৮৯; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩৪৪০; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/২৫৫২; আদাবুল মুফরাদ, হা/২৯২; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩৬৮৭; মিশকাত, হা/২০৯৮।]

দান করার অনেক দিক রয়েছে। যেমন :

 টাকা-পয়সা দান করা।

 কাপড় বা অন্য কোন প্রয়োজনীয় জিনিস দান করা।

 অপরকে খাদ্য খাওয়ানো।

 রোযাদারকে ইফতার করানো ইত্যাদি।

জান্নাতবাসী বান্দাদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَيُطْعِمُوْنَ الطَّعَامَ عَلٰى حُبِّه مِسْكِيْنًا وَّيَتِيْمًا وَّأَسِيْرًا - إِنَّمَا نُطْعِمُكُمْ لِوَجْهِ اللهِ لَا نُرِيْدُ مِنْكُمْ جَزَآءً وَّلَا شُكُوْرًا ﴾

তারা আল্লাহর মহববতে মিসকীন, ইয়াতীম ও বন্দীদেরকে খাবার দেয় এবং বলে, আমরা তোমাদেরকে খাওয়াচ্ছি কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য; তোমাদের থেকে কোন প্রতিদান এবং কৃতজ্ঞতা আমরা চাই না। (সূরা দাহর- ৮, ৯)

আল্লাহর নেক বান্দাদের মধ্যে এমন অনেক লোক ছিলেন, যারা অপরকে খাদ্য দানের ক্ষেত্রে খুবই উৎসাহী ছিলেন। এক্ষেত্রে তারা শুধু গরীবদেরকে বাছাই করতেন না। অনেকে এমনও ছিলেন, যারা মেহমান ছাড়া খাবার খেতেন না। অপরকে খাদ্য খাওয়ানোতে যথেষ্ট কল্যাণ রয়েছে, এর মধ্যে একটি হচ্ছে- যে খাওয়ায় এবং যাদেরকে খাওয়ানো হয় তাদের মধ্যে আন্তরিকতা ও ভালোবাসা সৃষ্টি হয়, যা জান্নাত লাভের অন্যতম মাধ্যম। নবী ﷺ বলেন,

لَا تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ حَتّٰى تُؤْمِنُوْا وَلَا تُؤْمِنُوْا حَتّٰى تَحَابُّوْا

তোমরা মুমিন না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না; আর তোমরা পরস্পরে ভালোবাসা ব্যতীত মুমিন হতে পারবে না। [সহীহ মুসলিম, হা/২০৩; আবু দাউদ, হা/৫১৯৫; তিরমিযী, হা/২৬৮৮; ইবনে মাজাহ, হা/৬৮, ৩৬৯২; মুসনাদে আহমাদ, হা/১০১৮০; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৩৬; মুসনাদুল বাযযার, হা/২২৩২।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন