hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সিয়াম ও যাকাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৫৭
ঈদের দিন করণীয়
ঈদের দিন সকালে গোসল করা :

ঈদের দিন গোসল করার মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা মুসত্মাহাব। কেননা এ দিন সকল মানুষ সালাত আদায়ের জন্য মিলিত হয়। যে কারণে জুমু‘আর দিন গোসল করা মুসত্মাহাব সে কারণেই ঈদের দিন ঈদের সালাতের পূর্বে গোসল করা মুসত্মাহাব। হাদীসে এসেছে,

عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَغْتَسِلُ يَوْمَ الْفِطْرِ قَبْلَ أَنْ يَغْدُوَ إِلَى الْمُصَلّٰى

নাফে‘ (রহ.) হতে বর্ণিত। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে গোসল করতেন। [মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হা/৪২৬; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/৬৩৪৪; মুসনাদে শাফেয়ী, হা/৩২২; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হা/৫৭৫৩।]

শালীনতা বজায় রেখে যথাসম্ভব উত্তম পোশাক পরিধান করা :

আল্লাহর নিয়ামতের প্রকাশ ও আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করণার্থে ঈদের দিন সুগন্ধি ব্যবহার ও উত্তম পোশাক পরিধান করা ভালো। হাদীসে এসেছে,

عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ جَدِّه قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ - - إِنَّ اللهَ يُحِبُّ أَنْ يُرٰى أَثَرُ نِعْمَتِه عَلٰى عَبْدِه

আমর ইবনে শু‘আইব (রহ.) তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দার উপর তাঁর প্রদত্ত নিয়ামতের প্রকাশ দেখতে পছন্দ করেন। [তিরমিযী, হা/২৮১৯; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৭১৮৮; জামেউস সগীর, হা/২৭২৮; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১২৯০; মিশকাত, হা/৪৩৫০।]

ঈদুল আযহার দিন কিছু না খেয়ে ঈদগাহে যাওয়া :

عَنْ بُرَيْدَةَ قَالَ كَانَ النَّبِىُّ - لَا يَخْرُجُ يَوْمَ الْفِطْرِ حَتّٰى يَطْعَمَ وَلَا يَطْعَمُ يَوْمَ الْأَضْحٰى حَتّٰى يُصَلِّىَ

বুরায়দা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ ঈদুল ফিতরের দিন কিছু না খেয়ে ঈদগাহে যেতেন না এবং ঈদুল আযহার দিন সালাত আদায় না করে কিছু খেতেন না। [তিরমিযী, হা/৫৪২; ইবনে মাজাহ, হা/১৮৫৬; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৪২৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৮১২; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১০৮৮; মিশকাত, হা/১৪৪০।]

ঈদুল ফিতরের দিন কিছু খেয়ে ঈদগাহে যাওয়া সুন্নাত :

عَنْ أَنَسٍ ، قَالَ : كَانَ رَسُوْلُ اللهِ  : لَا يَغْدُو يَوْمَ الْفِطْرِ حَتّٰى يَأْكُلَ تَمَرَاتٍ . وفى رواية وَيَأْكُلُهُنَّ وِتْرًا

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ ‘‘ঈদুল ফিতর’’-এর দিন কিছু খেজুর না খেয়ে বের হতেন না। অপর বর্ণনায় রয়েছে, তিনি তা বেজোড় সংখ্যায় খেতেন। [সহীহ বুখারী, হা/৯৫৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/১২২৯০; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৪২৯; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৮১৪; মিশকাত, হা/১৪৩৩।]

পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া :

عَنْ عَلِىِّ بْنِ أَبِىْ طَالِبٍ قَالَ مِنَ السُّنَّةِ أَنْ تَخْرُجَ إِلَى الْعِيْدِ مَاشِيًا وَأَنْ تَأْكُلَ شَيْئًا قَبْلَ أَنْ تَخْرُجَ . قَالَ أَبُوْ عِيْسٰى هٰذَا حَدِيْثٌ حَسَنٌ . وَالْعَمَلُ عَلٰى هٰذَا الْحَدِيْثِ عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ يَسْتَحِبُّوْنَ أَنْ يَخْرُجَ الرَّجُلُ إِلَى الْعِيْدِ مَاشِيًا وَأَنْ يَأْكُلَ شَيْئًا قَبْلَ أَنْ يَخْرُجَ لِصَلَاةِ الْفِطْرِ . قَالَ أَبُوْ عِيْسٰى وَيُسْتَحَبُّ أَنْ لَا يَرْكَبَ إِلَّا مِنْ عُذْرٍ

আলী ইবনে আবু তালেব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সুন্নাত হলো ঈদগাহে পায়ে হেঁটে যাওয়া এবং বের হওয়ার পূর্বে কিছু খাওয়া। ইমাম তিরমিযী (রহ.) হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন, হাদীসটি হাসান। তিনি আরো বলেন, অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম এ অনুযায়ী আমল করেন এবং তাদের মত হলো, পুরুষরা ঈদগাহে পায়ে হেঁটে যাবে এবং ঈদুল ফিতরের নামাযের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পূর্বে কিছু খেয়ে নেবে। ইমাম তিরমিযী (রহ.) বলেন, মুসত্মাহাব হচ্ছে, গ্রহণযোগ্য কোন কারণ ছাড়া যানবাহনে আরোহণ করবে না। [তিরমিযী, হা/৫৩০।]

ঈদগাহে আসা-যাওয়ার সময় পথ পরিবর্তন করা :

عَنْ جَابِرٍ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ إِذَا كَانَ يَوْمُ عِيْدٍ خَالَفَ الطَّرِيْقَ

জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ ঈদের দিন রাসত্মা পরিবর্তন করতেন অর্থাৎ এক পথে যেতেন এবং অন্য পথে আসতেন। [সহীহ বুখারী, হা/৯৮৬; শারহুস সুন্নাহ, হা/১১০৮; জামেউস সগীর, হা/৮৯০৭; মিশকাত, হা/১৪৩৪।]

ঈদের দিন তাকবীর পাঠ করা জরুরি :

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللهَ عَلٰى مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُوْنَ﴾

আল্লাহ তা‘আলা চান তোমরা রোযার দিনগুলো (রমাযানের সংখ্যা) পূর্ণ করো এবং আল্লাহর বড়ত্ব ও মাহাত্ম্য বর্ণনা করো, যেভাবে তিনি তোমাদেরকে শিখিয়েছেন। তাহলে আশা করা যায়, তোমরা তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারবে। (সূরা বাকারা- ১৮৫)

আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) এ আয়াতের প্রেক্ষিতে বলেন, প্রত্যেক রোযাদারের কর্তব্য হচ্ছে, শাওয়াল মাস শুরু হওয়ার সাথে সাথেই তাকবীর বলতে থাকা- যতক্ষণ না ঈদগাহ থেকে ফিরে আসে। [ফাত্হুল বায়ান ১ম খন্ড ২৩৯ পৃষ্ঠা।]

ঈদুল ফিতরের দিনের তাকবীরের প্রথম এবং শেষ সময়ঃ

তাকবীর আরম্ভ হবে ঈদের জন্য বের হওয়ার সাথে সাথে এবং ঈদের সালাত শেষ হওয়ার সাথে সাথে তার সময় শেষ হয়ে যায়। এক হাদীসে এসেছে,

عَنِ الزُّهْرِيِّ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ كَانَ يَخْرُجُ يَوْمَ الْفِطْرِ فَيُكَبِّرُ حَتّٰى يَأْتِيَ الْمُصَلّٰى ، وَحَتّٰى يَقْضِيَ الصَّلَاةَ ، فَإِذَا قَضَى الصَّلَاةَ قَطَعَ التَّكْبِيْرَ

যুহরী (রহ.) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ ঈদুল ফিতরের দিনে বের হতেন এবং ঈদগাহে পৌঁছা পর্যমত্ম তাকবীর দিতে থাকতেন। তারপর সালাত সমাপ্ত করতেন। অতঃপর যখন তিনি সালাত সমাপ্ত করতেন, তখন তাকবীর দেয়া বন্ধ করতেন। [সনদ মুরসাল : মুসান্নাফ ইবনু আবি শায়বাহ হা/৫৬৬৭; সিলসিলা সহীহাহ হা/১৭১।]

নিচের বাক্যগুলোর মাধ্যমে তাকবীর পড়তে হয় :

اَللهُ أَكْبَرُ اَللهُ أَكْبَرُ لَا اِلٰهَ إِلَّا اللهُ اَللهُ أَكْبَرُ اَللهُ أَكْبَرُ وَ لِلّٰهِ الْحَمْدُ

উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লা-হিল হামদ।

অর্থ : আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন উপাস্য নেই, আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড়, সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। [উমদাতুল কারী ১০/৩১০।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন