hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সিয়াম ও যাকাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৩২
যাকাত প্রদানের ক্ষেত্রে যাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত
যাকাত বণ্টনের ক্ষেত্রে যেসব খাত রয়েছে, সে অনুযায়ী আত্মীয়-অনাত্মীয়, নিকটবর্তী-দূরবর্তী অনেক মানুষই এর আওতাভুক্ত হয়। কিমত্মু কারো জন্য সবার মাঝে যাকাত বিতরণ করা জরুরি নয়। সুতরাং এ ক্ষেত্রে যাদেরকে যাকাত প্রদান করলে অধিক উপকার লাভ করা যায়, তাদেরকে প্রাধান্য দেয়া উচিত। যেমন-

১। আত্মীয়-স্বজন :

যেসব আত্মীয়-স্বজনের ভরণ-পোষণ করা যাকাতদাতার জন্য ফরয নয়, সেসব আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে কেউ যদি যাকাতের হকদার হয়, তাহলে তাকে যাকাত দেয়াই সবচেয়ে উত্তম। যেমন- ভাই-বোন, চাচা-চাচী, মামা-মামী, ফুফা-ফুফু, খালা-খালু ইত্যাদি। কেননা এতে দ্বিগুণ সওয়াব পাওয়া যায়। যেমন- হাদীসে এসেছে,

عَنْ سَلْمَانَ بْنِ عَامِرٍ الضَّبِّيِّ ، قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ  : الصَّدَقَةُ عَلَى الْمِسْكِيْنِ صَدَقَةٌ ، وَعَلَى ذِي الْقَرَابَةِ اثْنَتَانِ : صَدَقَةٌ , وَصِلَةٌ

সালমান ইবনে আমের আয-যাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, মিসকীনকে সাদাকা দেয়া হলে শুধুমাত্র সাদাকার সওয়াব পাওয়া যাবে। আর আত্মীয়-স্বজনদের সাদাকা প্রদান করলে দুইটি সওয়াব পাওয়া যাবে- তার মধ্যে একটি হলো সাদাকার সওয়াব; আর অপরটি হলো আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করার সওয়াব। [ইবনে মাজাহ হা/১৮৪৪; তিরমিযী হা/৬৫৮, নাসাঈ, হা/২৫৮২; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬২৭২; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২০৬৭; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৪৭৬; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/৬০৮৭; বায়হাকী, হা/৭৫২৪; সুনানে দারেমী, হা/১৬৮০; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/৮৪৯; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হা/১৯৬২৭; জামেউস সগীর, হা/৭৩০৫; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৮৯২; মিশকাত, হা/১৯৩৯।]

২। আহলুল ইলম :

আহলুল ইলম বলতে ঐসব লোকদেরকে বুঝানো হয়, যারা সর্বদা দ্বীনি জ্ঞান চর্চায় ব্যসত্ম থাকে। যার কারণে তারা উপার্জন করার মতো যথেষ্ট সময় ও সুযোগ পান না। আল্লাহ তা‘আলা তাদের সম্পর্কে বলেন,

﴿لِلْفُقَرَآءِ الَّذِيْنَ اُحْصِرُوْا فِيْ سَبِيْلِ اللهِ لَا يَسْتَطِيْعُوْنَ ضَرْبًا فِى الْاَرْضِؗ يَحْسَبُهُمُ الْجَاهِلُ اَغْنِيَآءَ مِنَ التَّعَفُّفِۚ تَعْرِفُهُمْ بِسِيْمَاهُمْۚ لَا يَسْاَلُوْنَ النَّاسَ اِلْحَافًاؕ وَمَا تُنْفِقُوْا مِنْ خَيْرٍ فَاِنَّ اللهَ بِهٖ عَلِيْمٌ﴾

(দান করতে হবে) ঐ সকল গরীবদের জন্য, যারা আল্লাহর পথে অবরুদ্ধ থাকার কারণে (রোজগারের জন্য) জমিনে বিচরণ করতে সক্ষম হয় না। ভিক্ষা করা থেকে দূরে থাকার কারণে মূর্খ্য লোকেরা তাদেরকে ধনী বলে মনে করে। তুমি লক্ষণ দ্বারা তাদেরকে চিনতে পারবে। তারা কাকুতি-মিনতি করে মানুষের কাছে চায় না। আর তোমরা উত্তম সম্পদ হতে যা কিছু দান কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে সম্পর্কে খবর রাখেন। (সূরা বাকারা- ২৭৩)

অত্র আয়াতে যেসব লোকের কথা বলা হয়েছে, তারা হচ্ছে এমন লোক যারা আল্লাহর দ্বীনের খেদমতে নিজেদেরকে উৎসর্গ করে দেয়। তাদের সমস্ত সময় এ দ্বীনী খেদমতে ব্যয় করার কারণে নিজেদের ক্ষুধা নিবারণের জন্য কোন কাজকর্ম করার সুযোগ পায় না। নবী ﷺ এর যুগে এ ধরনের একটি দল ছিল। ইতিহাসে তারা ‘আসহাবে সুফ্ফা’ নামে পরিচিত। যেহেতু তারা ছিলেন সার্বক্ষণিক কর্মী এবং নিজেদের প্রয়োজন পূর্ণ করার মতো উপকরণও তাদের ছিল না, তাই তাদের সাহায্য করাকে আল্লাহর পথে ব্যয়ের সর্বোত্তম খাত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

অতএব বর্তমান যুগেও যারা দুনিয়ার কোন স্বার্থ ছাড়াই দ্বীনের জন্য কাজ করে যাবে এবং নিজের জীবিকার জন্য কাজ করার কোন সুযোগ না পাবে তাদের পেছনে খরচ করাও আল্লাহর পথে ব্যয়ের খাত হিসেবে বিবেচিত হবে। কেননা এদেরকে দান করলে একদিকে যেমন যাকাত আদায়ের হক আদায় হয়ে যাবে, অপরদিকে দ্বীনের কাজে সহযোগিতা করারও সওয়াব পাওয়া যাবে।

৩। মুত্তাকী ও পরহেজগার লোক :

যেসব লোক সর্বদা আল্লাহকে ভয় করে, তাঁর আনুগত্য করে এবং তাঁরই ইবাদাতে ব্যসত্ম থাকে, সেসব লোক যদি যাকাতের হকদার হয়, তাহলে তারাই এর জন্য বেশি হকদার।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন