hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সিয়াম ও যাকাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২৩
মুসাফিরের অবস্থা ও তার রোযার বিধান
মুসাফিরের তিনটি অবস্থা হতে পারে :

১. রোযা রাখা তার জন্য কষ্টকর হলে তার জন্য রোযা না রাখাই উত্তম। হাদীসে এসেছে,

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ ، قَالَ : كَانَ رَسُوْلُ اللهِ فِيْ سَفَرٍ فَرَأٰى زِحَامًا وَرَجُلًا قَدْ ظُلِّلَ عَلَيْهِ فَقَالَ مَا هٰذَا فَقَالُوْا صَائِمٌ فَقَالَ لَيْسَ مِنَ الْبِرِّ الصَّوْمُ فِي السَّفَرِ .

জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ কোন এক সফরে থাকা অবস্থায় এক জায়গায় জটলা দেখতে পেলেন। তার মধ্যে একজন লোককে দেখলেন- যাকে ছায়া দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কী হয়েছে? লোকেরা বলল, লোকটি রোযা রেখেছে। এসব শুনে তিনি বললেন, সফরে রোযা রাখা সওয়াবের কাজ নয়। [সহীহ বুখারী, হা/১৯৪৬; সহীহ মুসলিম, হা/১৩৩৭; মুসনাদে দারেমী, হা/১৭৫০; বায়হাকী, হা/৭৯৪৩; মিশকাত, হা/২০২১।]

২. সফরে রোযা রাখা তার জন্য কষ্টকর হবে না এবং রোযা রাখার কারণে তাকে অন্যান্য নেক কাজ হতেও বিরত থাকতে হবে না। এমতাবস্থায় তার জন্য রোযা রাখাই উত্তম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَأَنْ تَصُوْمُوْا خَيْرٌ لَّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ﴾

আর যদি তোমরা রোযা রাখ, তবে সেটা তোমাদের জন্য উত্তম- যদি তোমরা বুঝতে পার। (সূরা বাকারা- ১৮৪)

عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ فِيْ بَعْضِ أَسْفَارِه فِيْ يَوْمٍ حَارٍّ حَتّٰى يَضَعَ الرَّجُلُ يَدَهٗ عَلٰى رَأْسِه مِنْ شِدَّةِ الْحَرِّ وَمَا فِيْنَا صَائِمٌ إِلَّا مَا كَانَ مِنَ النَّبِيِّ وَابْنِ رَوَاحَةَ

আবুদ্-দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, প্রচন্ড গরমের দিনে কোন সফরে আমরা নবী ﷺ এর সাথে বের হলাম। অবস্থা এমন ছিল যে, প্রচন্ড গরমের কারণে প্রত্যেকেই তার হাত মাথার উপর রেখেছিল (সূর্যের তাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য)। আর তখন নবী ﷺ ও ইবনে রাওয়াহা (রাঃ) ছাড়া আমাদের মধ্যে আর কেউ রোযাদার ছিল না। [সহীহ বুখারী, হা/১৯৪৫; সহীহ মুসলিম, হা/২৬৭৬; মুসত্মাখরাজে আবু আওয়ানা, হা/২২৫৫; আবু দাউদ, হা/২৪১১; ইবনে মাজাহ, হা/১৬৬৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১৭৪৩; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৭৭১; বায়হাকী, হা/৭৯৫৬; শারহুস সুন্নাহ, হা/১৭৬৫; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৪।]

عَنْ عَائِشَةَ ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا ، زَوْجِ النَّبِيِّ أَنَّ حَمْزَةَ بْنَ عَمْرٍو الْأَسْلَمِيَّ قَالَ لِلنَّبِيِّ أَأَصُوْمُ فِي السَّفَرِ ، وَكَانَ كَثِيْرَ الصِّيَامِ فَقَالَ إِنْ شِئْتَ فَصُمْ وَإِنْ شِئْتَ فَأَفْطِرْ

নবী ﷺ এর স্ত্রী আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। হামযা ইবনে আমর আসলামী (রাঃ) অধিক পরিমাণে রোযা পালনে অভ্যস্ত ছিলেন। তিনি নবী ﷺ কে বললেন, আমি কি সফরেও রোযা রাখব? নবী ﷺ বললেন, তুমি যদি ইচ্ছা করো রোযা রাখো। আর যদি ইচ্ছা করো তবে ছেড়ে দাও। [মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হা/৬৫৩; সহীহ বুখারী, হা/১৯৪৩; সহীহ মুসলিম, হা/২৬৭১; তিরমিযী, হা/৭১১; নাসাঈ, হা/২৩০৬; ইবনে মাজাহ, হা/১৬৬২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪২৪২; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২০২৮; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৪৬৫৪; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/২৭৯২; বায়হাকী, হা/৭৯৪৫; সুনানে দারেমী, হা/১৭০৭; মিশকাত, হা/২০১৯।]

৩. রোযা রাখা মুসাফিরের জন্য মারাত্মক কষ্টকর হবে, এমনকি এতে তার প্রাণনাশেরও আশঙ্কা থাকবে। এমতাবস্থায় রোযা রাখা তার জন্য হারাম হবে।

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ -  - أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ - - خَرَجَ عَامَ الْفَتْحِ إِلٰى مَكَّةَ فِىْ رَمَضَانَ فَصَامَ حَتّٰى بَلَغَ كُرَاعَ الْغَمِيْمِ فَصَامَ النَّاسُ ثُمَّ دَعَا بِقَدَحٍ مِنْ مَاءٍ فَرَفَعَهٗ حَتّٰى نَظَرَ النَّاسُ إِلَيْهِ ثُمَّ شَرِبَ فَقِيْلَ لَهٗ بَعْدَ ذٰلِكَ إِنَّ بَعْضَ النَّاسِ قَدْ صَامَ فَقَالَ : أُولٰئِكَ الْعُصَاةُ أُولٰئِكَ الْعُصَاةُ

জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। মক্কা বিজয়ের বছর রমাযান মাসে সাওমরত অবস্থায় রাসূলুল্লাহ ﷺ মক্কার উদ্দেশ্যে বের হলেন। এরপর যখন তিনি ‘‘কুরা‘উল গামীম’’ নামক স্থানে পৌঁছলেন, তখন লোকেরাও সাওমরত ছিল। এরপর তিনি একটি পানির পাত্র চাইলেন। এমনকি লোকেরা তাঁর দিকে তাকাতে লাগল। এরপর তিনি পানি পান করলেন। তখন তাঁকে বলা হলো, কতিপয় লোক সাওমরত রয়েছে। তিনি বললেন, তারা অবাধ্য, তারা অবাধ্য। [সহীহ বুখারী, হা/১৯৪৪; সহীহ মুসলিম, হা/২৬৬৬; নাসাঈ, হা/২২৬৩; তিরমিযী, হা/৭১০; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২০১৯; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১০৫৩; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/১৮৮০; মিশকাত, হা/২০২৭।]

যে ব্যক্তি সফরে থাকবে, সে ইচ্ছা করলে রোযা ভঙ্গ করতে পারবে, আবার ইচ্ছা করলে রোযা রাখতেও পারে। এমতাবস্থায় রোযা ভঙ্গ করলে সফর শেষে তা পূর্ণ করে নিতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِيْۤ أُنْزِلَ فِيْهِ الْقُرْاٰنُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِّنَ الْهُدٰى وَالْفُرْقَانِ فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ كَانَ مَرِيْضًا أَوْ عَلٰى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ يُرِيْدُ اللهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيْدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللهَ عَلٰى مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُوْنَ ﴾

রমাযান মাস (এমন একটি মাস) যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে, আর এই কুরআন হচ্ছে মানবজাতির জন্য পথপ্রদর্শক, সৎপথের সুস্পষ্ট নিদর্শন এবং (হক ও বাতিলের) পার্থক্যকারী। অতএব তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাসটি পাবে, সে যেন রোযা রাখে, তবে যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে কিংবা সফরে থাকে তবে সে পরবর্তী দিনগুলোতে গুণে গুণে সেই পরিমাণ কাযা করে নেবে। (এ সুযোগ দিয়ে) আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, কখনোই তোমাদের (জীবন) কঠিন করতে চান না। আল্লাহর উদ্দেশ্য হচ্ছে, তোমরা যেন গুণে গুণে (রোযার) সংখ্যাগুলো পূর্ণ করতে পার, আর আল্লাহ তোমাদেরকে (জীবন যাপনের) যে পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন সেজন্য তাঁর মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে পার এবং তাঁর কৃতজ্ঞতা আদায় করতে পার। (সূরা বাকারা- ১৮৫)

عَنْ أَبِىْ سَعِيْدٍ اَلْخُدْرِىِّ - قَالَ غَزَوْنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ - لِسِتَّ عَشْرَةَ مَضَتْ مِنْ رَمَضَانَ فَمِنَّا مَنْ صَامَ وَمِنَّا مَنْ أَفْطَرَ فَلَمْ يَعِبِ الصَّائِمُ عَلَى الْمُفْطِرِ وَلَا الْمُفْطِرُ عَلَى الصَّائِمِ

আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রমাযানের ষোল দিন গত হওয়ার পর আমরা নবী ﷺ এর সাথে জিহাদ করেছিলাম, তখন আমাদের মধ্যে কেউ কেউ রোযা রেখেছিলেন আবার কেউ কেউ রাখেননি; কিন্তু এ কারণে কেউ কাউকে দোষারোপ করেননি। [সহীহ মুসলিম, হা/২৬৭১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১১৭২৩; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/১০৩৫; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১০৬২; মিশকাত, হা/২০২০।]

عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ : خَرَجْنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ لِثِنْتَيْ عَشْرَةَ لَيْلَةً بَقِيَتْ مِنْ رَمَضَانَ ، مَخْرَجَهٗ إِلَى حُنَيْنٍ فَصَامَ طَوَائِفُ مِنَ النَّاسِ ، وَأَفْطَرَ اٰخَرُوْنَ ، فَلَمْ يَعِبِ الصَّائِمُ عَلَى الْمُفْطِرِ ، وَلَا الْمُفْطِرُ عَلَى الصَّائِمِ

আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে রমাযান মাসের ১২ দিন বাকি থাকতে বের হলাম। আর আমরা হুনাইনের উদ্দেশ্যে বের হলাম। তখন লোকেদের একদল রোযা রেখেছিল এবং অন্য দল রোযা ভঙ্গ করেছিল। কিমত্মু রোযাদারগণ রোযা ভঙ্গকারীদেরকে কোনরূপ দোষারূপ করে নাই এবং রোযাভঙ্গকারীগণও রোযাদারদেরকে কোনরূপ দোষারূপ করে নাই। [মুসনাদে আহমাদ, হা/১১৪৩১; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/৩৮০৩৫।]

অতএব সফরে যদি রোযা রাখার পরিবেশ ভালো থাকে এবং কষ্ট না হয় তাহলে রোযা রাখাই উত্তম, আর কষ্ট হলে না রাখা উত্তম। কিমত্মু অতিরিক্ত কষ্ট সত্ত্বেও রোযা রাখা মাকরূহ।

সফরে কেউ রোযা রাখা শুরু করলে অনেক কষ্ট দেখা দিলে রোযা ভঙ্গ করে ফেলবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন