hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সিয়াম ও যাকাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৫৯
ঈদের সালাত আদায়ের পদ্ধতি
ঈদের সালাত হলো দু’ রাকআত। হাদীসে এসেছে,

عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ أَبِيْ لَيْلٰى قَالَ قَالَ عُمَرُ : صَلَاةُ الْجُمُعَةِ رَكْعَتَانِ وَصَلَاةُ الْفِطْرِ رَكْعَتَانِ وَصَلَاةُ الْأَضْحٰى رَكْعَتَانِ وَصَلَاةُ السَّفَرِ رَكْعَتَانِ تَمَامٌ غَيْرُ قَصْرٍ عَلٰى لِسَانِ مُحَمَّدٍ

আবদুর রহমান ইবনে আবু লাইলা (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জুমু‘আর সালাত দু’ রাকআত, ঈদুল ফিতরের সালাত দু’ রাকআত, ঈদুল আযহার সালাত দু’ রাকআত ও সফরের সালাতও দু’ রাকআত। [নাসাঈ, হা/১৪২০; ইবনে মাজাহ, হা/১০৬৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫৭; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৪২৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৭৮৩; মুসনাদুল বাযযার, হা/৩৩০; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/২৪১; বায়হাকী, হা/৫৫১০।]

প্রথমে মনে মনে নিয়ত করে তাকবীরে তাহরীমা দিয়ে সালাত শুরু করবে। তাকবীরে তাহরীমার পর অতিরিক্ত সাতটি তাকবীর দেবে। অতঃপর সূরা ফাতিহাসহ অন্য সূরা পাঠ করে যথারীতি প্রথম রাকআত শেষ করবে। অতঃপর দ্বিতীয় রাকআতের জন্য দাঁড়ানোর পর অতিরিক্ত পাঁচটি তাকবীর দেবে। তাকবীরসমূহ আদায় করার পর সূরা ফাতিহা পড়বে, তারপর অন্য যেকোন সূরা বা আয়াত পাঠ করবে। তারপর যথারীতি দ্বিতীয় রাকআত শেষ করবে।

ঈদের সালাতের মুসত্মাহাব কিরাআত :

عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيْرٍ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ - - يَقْرَأُ فِى الْعِيْدَيْنِ وَفِى الْجُمُعَةِ بِ ﴿سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلٰى﴾ وَ ﴿هَلْ أَتَاكَ حَدِيْثُ الْغَاشِيَةِ﴾ قَالَ وَإِذَا اجْتَمَعَ الْعِيْدُ وَالْجُمُعَةُ فِىْ يَوْمٍ وَاحِدٍ يَقْرَأُ بِهِمَا أَيْضًا فِى الصَّلَاتَيْنِ

নু‘মান ইবনে বাশির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ দু’ ঈদের সালাতে ও জুমু‘আর সালাতে ‘‘সাবিবহিস্মা রাবিবকাল আ‘লা-’’ ও ‘‘হাল আতা-কা হাদীছুল গা-শিয়াহ্’’ সূরাদ্বয় পাঠ করতেন। বর্ণনাকারী বলেন, ঈদ ও জুমু‘আ একই দিনে হলেও তিনি উভয় সালাতে ঐ সূরাদ্বয় পাঠ করতেন। [সহীহ মুসলিম, হা/২০৬৫; আবু দাউদ, হা/১১২৪; তিরমিযী, হা/৫৩৩; নাসাঈ, হা/১৫৬৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৪৩৩; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৮২২; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/৫৯৩৫; মিশকাত, হা/৮৪০।]

أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ سَأَلَ أَبَا وَاقِدٍ اللَّيْثِىَّ مَا كَانَ يَقْرَأُ بِه رَسُوْلُ اللهِ فِى الْأَضْحٰى وَالْفِطْرِ فَقَالَ كَانَ يَقْرَأُ فِيْهِمَا بِ ﴿قٓ وَالْقُرْاٰنِ الْمَجِيْدِ﴾ وَ ﴿اِقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانْشَقَّ الْقَمَرُ﴾

উমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) আবু ওয়াক্বিদ আল লাইছী (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলেন, নবী ﷺ ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরে কী কিরাত পড়তেন? তখন তিনি বলেন, নবী ﷺ ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরে সূরা ‘‘ক্বাফ ওয়াল কুরআ-নিল মাজীদ’’ এবং ‘‘ইক্বতারাবাতিস সা-‘আতু ওয়ান শাক্কাল ক্বামারু’’ পাঠ করতেন। [মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হা/৪৩৩; সহীহ মুসলিম, হা/২০৯৬; আবু দাউদ, হা/১১৫৬; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/১১৪৮৬; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/৬৪১২; মিশকাত, হা/৮৪১।]

ঈদের সালাতের পূর্বে বা পরে নফল সালাত নেই :

রাসূলুল্লাহ ﷺ ঈদের সালাতের পূর্বে বা পরে কোন সালাত আদায় করেননি। হাদীসে এসেছে,

ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ ঈদুল ফিতরে দু’ রাকআত সালাত আদায় করতেন। এর পূর্বে বা পরে কোন সালাত আদায় করতেন না। [সহীহ বুখারী, হা/৯৬৪; সহীহ মুসলিম, হা/২০৯৪; তিরমিযী, হা/৫৩৭; নাসাঈ, হা/১৫৮৭; ইবনে মাজাহ, হা/১২৯১; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫৩৩; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৪৩৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৮১৮; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/৬৪১৮; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/৫৯০২; মুসনাদে দারেমী, হা/১৬৪৬।]

তবে যদি কোন অসুবিধার কারণে ঈদের সালাত মসজিদে আদায় করতে হয়, তাহলে মসজিদে প্রবেশ করে দু’ রাকআত তাহিয়্যাতুল মাসজিদ আদায় করা যেতে পারে।

ঈদের সালাতের জন্য আযান ও ইকামত নেই :

ঈদের সালাতের জন্য কোন আযান নেই এবং এতে কোন ইকামতও নেই। হাদীসে রয়েছে,

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَعَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَا لَمْ يَكُنْ يُؤَذَّنُ يَوْمَ الْفِطْرِ ، وَلَا يَوْمَ الْأَضْحٰى

ইবনে আববাস (রাঃ) ও জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) উভয়ে বলেছেন, ঈদুল ফিতর কিংবা ঈদুল আযহার সালাতে আযান বা ইকামত দেয়া হতো না। [সহীহ বুখারী, হা/৯৬০; সহীহ মুসলিম, হা/১১৯০; তিরমিযী, হা/৫৩২; আবু দাউদ, হা/১১৪৮; ইবনে মাজাহ, হা/১২৭৪।]

ঈদের সালাতের পূর্বে কোন ওয়াজ-নসীহত বা খুতবা নেই :

ঈদের সালাত আদায়ের পর ইমাম সাহেব খুতবা দেবেন। সালাত আদায়ের পূর্বে কোন খুতবা নেই। হাদীসে এসেছে,

আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন ঈদগাহের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হতেন। ঈদগাহে প্রথম সালাত শুরু করতেন। সালাত শেষে মানুষের দিকে ফিরে খুতবা দিতেন। এ খুতবাতে তিনি তাদের ওয়াজ করতেন, উপদেশ দিতেন, বিভিন্ন নির্দেশ দিতেন। আর এ অবস্থায় মানুষেরা তাদের কাতারে বসে থাকত। [সহীহ বুখারী, হা/৯৫৬; বায়হাকী, হা/৫৯২৯; মিশকাত, হা/১৪২৬।]

এ হাদীস দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, ঈদের সালাতের পূর্বে কোন ওয়াজ-নসীহত বা খুতবা দেয়া যাবে না। ইমাম সাহেব ঈদগাহে এসে প্রথমে সালাত শুরু করে দেবেন। অতঃপর লোকদের উদ্দেশ্যে ওয়াজ-নসীহত বা খুতবা প্রদান করবেন।

উল্লেখ্য যে, ঈদগাহে মাইকে ডাকাডাকি করা, সালাতের পূর্বে বিভিন্ন জনের বক্তব্য দেয়া সুন্নাতের খিলাফ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন