মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
রোযা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে রোযা ভঙ্গ হবে না, কারণ এটা বান্দার ইচ্ছাধীন নয়।
অনিচ্ছাকৃতভাবে বীর্যপাত ঘটলে :
যদি কোন রোগজনিত কারণে এমনিতেই বীর্যপাত হয়ে যায় অথবা সাদা পানি বের হয় অথবা স্ত্রীর দিকে তাকানোর ফলে অথবা যৌন বিষয়ক কোন চিন্তা-ভাবনা করার ফলে বীর্যপাত হয়ে যায় তাতেও রোযা ভঙ্গ হবে না। হাদীসে এসেছে,
আবু হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী ﷺ হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ আমার উম্মতের সেসব ধারণা ও চিন্তা ক্ষমা করে দেন, যা তাদের মনে উদয় হয়, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কার্যে পরিণত করে বা অন্যের সাথে আলোচনা করে। কাতাদা (রাঃ) বলেন, যখন কেউ মনে মনে ত্বালাক্ব দেয়, তখন এর কোন মূল্য বা কার্যকারিতা নেই। [সহীহ বুখারী, হা/৫২৬৯; সহীহ মুসলিম, হা/৩৪৬; তিরমিযী, হা/১১৭৩; নাসাঈ, হা/৩৪৩৩; শারহুস সুন্নাহ, হা/৫৭; মিশকাত, হা/৬৩।]
গোসল ফরয থাকাবস্থায় রোযা শুরু করলে :
রাতে গোসল ফরয হয়েছে; কিন্তু ঘুম থেকে উঠে দেখা গেল যে, গোসল করতে গেলে সাহারী খাওয়ার সময় থাকবে না, এ অবস্থায় আগে খেয়ে নেবে এবং পরে গোসল করে ফজরের সালাত পড়বে। এমতাবস্থায় আযানের পরে গোসল করলেও রোযার কোন ক্ষতি হবে না। হাদীসে এসেছে,
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি অনিচ্ছায় বমি করে তাকে রোযা কাযা আদায় করতে হবে না। কিমত্মু যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে বমি করে, তাকে রোযা কাযা আদায় করতে হবে। [তিরমিযী, হা/৭২৪; ইবনে মাজাহ, হা/১৬৭৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১০৪৬৮; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩৫১৮; শারহুস সুন্নাহ, হা/১৭৫৫; মিশকাত, হা/২০০৭।]
ভুলে কোন কিছু খেয়ে ফেললে :
যদি কেউ ভুলে কোন কিছু আহার করে ফেলে অথবা পানাহার করে, তাহলে তার সিয়াম ভঙ্গ হবে না এবং তার উপর কাযা কাফফারা কোনটাই ওয়াজিব হবে না। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে,
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি সিয়াম অবস্থায় ভুলে কিছু খেয়ে ফেলে বা পান করে ফেলে, সে যেন তার সিয়াম পূর্ণ করে। কেননা আল্লাহই তাকে খাইয়েছেন ও পান করিয়েছেন। [সহীহ মুসলিম, হা/২৭৭২; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৪৮৫; সুনানে দারেমী, হা/১৭২৬; মিশকাত, হা/২০০৩।]
শিঙ্গা লাগালে :
শিঙ্গা লাগানোর দ্বারা সাওম ভঙ্গ হবে না। হাদীসে এসেছে,
সাবিত আল-বুনানী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) কে প্রশ্ন করা হলো (রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সময়) আপনারা কি রোযাদার ব্যক্তির শিঙ্গা লাগানো খারাপ মনে করতেন? তিনি বললেন, না; কিন্তু শিঙ্গা লাগানোর জন্য দুর্বলতা দেখা দেয়ার কারণে তা অপছন্দ করতাম। [সহীহ বুখারী, হা/১৯৪০; মুসনাদে ইবনে জাদ, হা/১৪৬৬; মিশকাত, হা/২০১৬।]
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সাওম অবস্থায় আমাকে চুমু দিতেন। তোমাদের মধ্যে কে এমন আছে যে, নিজের কামোদ্দীপনাকে আয়ত্বে রাখতে পারে, যেমন আয়ত্বে রাখতে সক্ষম ছিলেন রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর কামোদ্দীপনাকে। [মুসলিম, হা/২৬৩০; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪২২০; ইবনে মাজাহ, হা/১৬৮৪।]
আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে চুমু খেতেন। আর তখন তিনিও রোযা অবস্থায় ছিলেন এবং আমিও রোযা অবস্থায় ছিলাম। [আবু দাউদ, হা/২৩৮৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫৪৯৫।]
তবে যে অল্পতেই উত্তেজিত হয়ে যায় তার জন্য এসব থেকে বিরত থাকা উচিত; নতুবা জায়েযের পথ ধরে রোযা ভঙ্গ হওয়ার মত কিছু ঘটে যেতে পারে।
উমর ইবনে আবু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। একদা তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞেস করলেন, সাওম পালনকারী ব্যক্তি চুম্বন করতে পারে কি? তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বললেন, কথাটি উম্মে সালামাকে জিজ্ঞেস করো। (তাঁকে জিজ্ঞেস করার পর) তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এরূপ করেন। এরপর তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ তো আপনার পূর্বাপর সমুদয় গোনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বললেন, শোনো, আল্লাহর শপথ! আমি আল্লাহ তা‘আলাকে তোমাদের সকলের চেয়ে অধিক ভয় করি। [সহীহ মুসলিম, হা/২৬৪৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩৫৩৮; মুসত্মাখরাজে আবু আওয়ানা, হা/২৩১২; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/৮২১৫; বায়হাকী, হা/৭৮৯৪।]
রোযা অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সহবাস ছাড়া অন্যান্য কাজ বৈধ। যদি চুম্বনের ফলে মযী তথা সাদা পানি বের হয় তবে তাতে কোন ক্ষতি নেই। [আল মাজমু‘ ২য় খন্ড পৃ: ২২৩।]
তবে রোযাদার ব্যক্তি যদি এ ধারণা করে যে, স্ত্রীর সাথে মাখামাখি করতে গেলে তার বীর্যপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তবে তার জন্য এসব করা জায়েয হবে না। যদি সে এসব করে এবং বীর্যপাত ঘটে, তবে তার রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে এবং তার জন্য কাযা ও কাফফারা দুটিই ওয়াজিব হবে।
নিম্নবর্ণিত কারণে রোযার কোন ক্ষতি হয় না :
রোযা অবস্থায় মেসওয়াক করাতে কোন দোষ নেই। চাই মেসওয়াক তাজা হোক অথবা শুকনো হোক। আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আমার উম্মতের অথবা লোকদের জন্য যদি কষ্ট মনে না করতাম, তাহলে প্রত্যেক সালাতের সাথে তাদেরকে আমি মেসওয়াক করার জন্য আদেশ করতাম। [সহীহ বুখারী, হা/৮৮৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৫৩৩; মুসনাদুল বাযযার, হা/৮০৭০; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৬৬১৭; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২০৫।]
মেসওয়াকের সময় দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত বের হলে রোযার কোন ক্ষতি হবে না। তবে রক্ত গলাধঃকরণ করা যাবে না।
দাঁতের মাজন বা পেস্ট রোযা ভঙ্গকারী নয়, বরং তা মেসওয়াকের মতোই, তবে পেটে যেন না যায় সেজন্য সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। যদি অনিচ্ছায় পেটে যায়, তবে সমস্যা নেই। তবে মাজন দ্বারা রাতে দাঁত মাজাই উত্তম।
মুখের থুথু গিলে ফেললে অথবা দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাদ্যের কণা থুথুর সাথে পেটে চলে গেলে অথবা দাঁতের মাড়ি থেকে সামান্য রক্ত বের হলে রোযা ভঙ্গ হবে না। [সহীহ ফিক্বহুস সুন্নাহ ২য় খন্ড, পৃ: ১০৬।]
সাওম পালনকারী গোসল ও শীতলতা অর্জন করলে সাওম ভাঙ্গবে না।
অক্সিজেন গ্রহণ পানাহার নয়, পানাহারের বিকল্পও নয়। অতএব তা সিয়াম ভঙ্গকারী নয়।
গোসল করা, শরীরে তেল মালিশ করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, নাকে, কানে ও চোখে ঔষধ দেয়া, চোখে সুরমা ব্যবহার করা সিয়াম ভঙ্গকারী নয়।
বাবুর্চি বা রান্নার কাজে নিয়োজিত মহিলা প্রয়োজনে তরকারীর স্বাদ পরীক্ষা করতে পারে। তবে প্রয়োজন না হলে স্বাদ না নেয়াই উত্তম। কোন খাদ্যদ্রব্য চিবিয়ে শিশুর মুখে দেয়াতে রোযা ভঙ্গ হবে না। কারণ এসব কাজ সাধারণত খাদ্য গ্রহণের জন্য কেউ করে না, বরং প্রয়োজনের তাগিদে তাকে করতে হয়। কেননা আল্লাহ তা‘আলা দ্বীনের মধ্যে কোন সংকীর্ণতা রাখেননি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
তিনি দ্বীনের মধ্যে কোন সংকীর্ণতা রাখেননি। (সূরা হাজ্জ- ৭৮)
এমন কিছু কাজ আছে যা করলে রোযা একেবারে ভঙ্গ হয়ে যায় না; তবে রোযা ত্রুটিযুক্ত হয় এবং রোযার সওয়াব কমে যায়। যেমন- গীবত ও চোগলখোরী করা, পরস্পরে গালা-গালি করা, মারা-মারি করা, মিথ্যা কথা বলা, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া, মুসলমানের মান-ইজ্জত নষ্ট করা, রাগান্বিত হওয়া, মূল্যবান সময়কে অনর্থক কাজে নষ্ট করা, অশ্লীল গান অথবা মিউজিক সম্বলিত যে কোন গান শ্রবণ করা, টেলিভিশনের পর্দায় অশ্লীল ছবি দেখা, নারীদের বেপর্দা হয়ে চলাফেরা করা, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা ও আড্ডা দেয়া ইত্যাদি। এ সকল কাজ সব সময়ের জন্য হারাম ও নিষিদ্ধ; তাই রমাযানে তো বটেই; রমাযান ছাড়া অন্যান্য সময়েও এ সকল কাজ থেকে দূরে থাকা মুসলিম নর-নারীর উপর একান্ত কর্তব্য।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/110/28
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।