hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সিয়াম ও যাকাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৮৭
যাকাত আদায়ের উপকারিতা
যাকাত একটি লাভজনক ব্যবসা :

﴿اِنَّ الَّذِيْنَ يَتْلُوْنَ كِتَابَ اللهِ وَاَقَامُوا الصَّلَاةَ وَاَنْفَقُوْا مِمَّا رَزَقْنَاهُمْ سِرًّا وَّعَلَانِيَةً يَّرْجُوْنَ تِجَارَةً لَّنْ تَبُوْرَ﴾

যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, সালাত কায়েম করে এবং তাদেরকে যা কিছু রিযিক হিসেবে দান করেছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে; তারা এমন ব্যবসার আশা করে, যাতে কখনো লোকসান হবে না।

(সূরা ফাতির- ২৯)

যাকাত আদায় করলে সম্পদ বৃদ্ধি পায় :

বাহ্যিক দৃষ্টিতে যাকাত আদায় করলে সম্পদ কমে যায় বলে মনে হলেও, মূলত এর মাধ্যমে সম্পদ আরো বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَمَا أَنْفَقْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَهُوَ يُخْلِفُه وَهُوَ خَيْرُ الرَّازِقِيْنَ﴾

তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে, তিনি তার বিনিময় দান করবেন। আর তিনিই শ্রেষ্ঠ রিযিকদাতা। (সূরা সাবা- ৩৯)

﴿وَمَاۤ اٰتَيْتُمْ مِّنْ رِّبًا لِّيَرْبُوَاۡ فِيْۤ اَمْوَالِ النَّاسِ فَلَا يَرْبُوْا عِنْدَ اللهِ وَمَاۤ اٰتَيْتُمْ مِّنْ زَكَاةٍ تُرِيْدُوْنَ وَجْهَ اللهِ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْمُضْعِفُوْنَ﴾

মানুষের ধনসম্পদে তোমাদের সম্পদ বৃদ্ধি পাবে- এ আশায় তোমরা যা কিছু সুদে (ঋণ) দিয়ে থাক, আল্লাহর কাছে তা বৃদ্ধি পায় না। পক্ষান্তরে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য যা কিছু যাকাত হিসেবে দিয়ে থাক; এরূপ লোকের (প্রদত্ত বস্তু) আল্লাহর নিকট বৃদ্ধি পেতে থাকবে। (সূরা রূম- ৩৯)

﴿يَمْحَقُ اللهُ الرِّبَا وَيُرْبِي الصَّدَقَاتِ وَاللهُ لَا يُحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ أَثِيْمٍ﴾

আল্লাহ সুদকে ধ্বংস করেন এবং দানকে বর্ধিত করেন। আর আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক অকৃতজ্ঞ পাপীকে ভালোবাসেন না। (সূরা বাকারা- ২৭৬)

তাছাড়া হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ - - قَالَ : مَا نَقَصَتْ صَدَقَةٌ مِنْ مَالٍ وَمَا زَادَ اللهُ عَبْدًا بِعَفْوٍ إِلَّا عِزًّا وَمَا تَوَاضَعَ أَحَدٌ لِلّٰهِ إِلَّا رَفَعَهُ اللهُ

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে বর্ণনা করে বলেন, দান সম্পদ কমায় না এবং ক্ষমার দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা কোন বান্দার সম্মান হ্রাস করেন না; বরং বৃদ্ধি করেন। আর যদি কেউ আল্লাহর জন্য বিনয় প্রকাশ করে, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তাকে আরো উন্নত করেন। [সহীহ মুসলিম, হা/৬৭৫৭; তিরমিযী, হা/২০২৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৯৯৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩২৪৮; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২৪৩৮; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১২৮৭; সুনানে দারেমী, হা/১৬৭৬; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২৮৯১; মিশকাত, হা/১৮৮৯।]

অপর হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ : أَنَّ النَّبِيَّ قَالَ : ‏مَا مِنْ يَوْمٍ يُصْبِحُ الْعِبَادُ فِيْهِ إِلَّا مَلَكَانِ يَنْزِلَانِ فَيَقُوْلُ أَحَدُهُمَا : اَللّٰهُمَّ أَعْطِ مُنْفِقًا خَلَفًا، وَيَقُوْلُ الْاٰخَرُ : اَللّٰهُمَّ اَعْطِ مُمْسِكًا تَلَفًا‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেছেন, প্রতিদিন সকালে যখন আল্লাহর বান্দারা ঘুম থেকে উঠে, তখন দু’জন ফেরেশতা আকাশ থেকে অবতরণ করেন। তাদের একজন বলতে থাকেন, হে আল্লাহ! দানশীল ব্যক্তিকে প্রতিদান দাও। অপরজন বলতে থাকেন, হে আল্লাহ! কৃপণকে নিঃশেষ করো। [সহীহ বুখারী, হা/১৪৪২; সহীহ মুসলিম, হা/২৩৮৩; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৯১৩৪; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/৮০৬৮; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৮৬৭৯; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৯১৪; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৯২০; মিশকাত, হা/১৮৬০।]

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ  : مَنْ تَصَدَّقَ بِعَدْلِ تَمْرَةٍ مِنْ كَسْبٍ طَيِّبٍ ، وَلَا يَقْبَلُ اللهُ إِلَّا الطَّيِّبَ - وَإِنَّ اللهَ يَتَقَبَّلُهَا بِيَمِيْنِه ثُمَّ يُرَبِّيْهَا لِصَاحِبِه كَمَا يُرَبِّيْ أَحَدُكُمْ فَلْوَه حَتّٰى تَكُوْنَ مِثْلَ الْجَبَلِ

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজের পবিত্র (হালাল) উপার্জন থেকে একটি খেজুর পরিমাণ দান করল আর আল্লাহর কাছে পবিত্র জিনিসই গৃহীত হয়, আল্লাহ তা‘আলা ঐ দানকে নিজ ডান হাতে কবুল করেন। অতঃপর তা দানকারীর জন্য লালন-পালন করতে থাকেন যেমনিভাবে তোমাদের মধ্য হতে কেউ তার বকরির বাচ্চাকে লালন-পালন করে থাকে, অতঃপর তা পাহাড় সমতুল্য হয়ে যায়। [সহীহ বুখারী, হা/ ১৪১০; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৩৬৩; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩৩১৯; মুসনাদুল বাযযার, হা/৮৯৮০; মিশকাত, হা/১৮৮৮।]

যাকাত দিলে আত্মা পবিত্র হয় :

﴿خُذْ مِنْ اَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيْهِمْ بِهَا وَصَلِّ عَلَيْهِمْؕ اِنَّ صَلَاتَكَ سَكَنٌ لَّهُمْؕ وَاللهُ سَمِيْعٌ عَلِيْمٌ﴾

তাদের সম্পদ হতে ‘সাদাকা’ গ্রহণ করবে। এটার দ্বারা তুমি তাদেরকে পবিত্র করবে এবং পরিশুদ্ধ করবে। তুমি তাদের জন্য দু‘আ করবে। তোমার দু‘আ তো তাদের জন্য প্রশান্তি যোগায়। আল্লাহ সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ। (সূরা তওবা- ১০৩)

যাকাত আদায় করলে আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয় :

﴿وَمِنَ الْاَعْرَابِ مَنْ يُّؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِ وَيَتَّخِذُ مَا يُنْفِقُ قُرُبَاتٍ عِنْدَ اللهِ وَصَلَوَاتِ الرَّسُوْلِؕ اَلَاۤ اِنَّهَا قُرْبَةٌ لَّهُمْؕ سَيُدْخِلُهُمُ اللهُ فِيْ رَحْمَتِهٖؕ اِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ﴾

মরুবাসীদের মধ্যে এমন লোকও রয়েছে, যাদের কেউ কেউ আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে এবং যা ব্যয় করে সেটাকে আল্লাহর সান্নিধ্য ও রাসূলের দু‘আ লাভের উপায় মনে করে। বাস্তবিকই তা তাদের জন্য আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায়, (কেননা এর মাধ্যমেই) আল্লাহ তাদেরকে নিজ রহমতে প্রবেশ করাবেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। (সূরা তওবা- ৯৯)

যাকাত আদায়কারীরা আল্লাহর সাহায্য লাভ করে :

﴿وَقَالَ اللهُ اِنِّيْ مَعَكُمْؕ لَئِنْ اَقَمْتُمُ الصَّلَاةَ وَاٰتَيْتُمُ الزَّكَاةَ﴾

আল্লাহ তা‘আলা বলেছিলেন, তোমরা যদি সালাত কায়েম কর এবং যাকাত দাও, তবে নিশ্চয় আমি তোমাদের সাথেই আছি। (সূরা মায়েদা- ১২)

যাকাত আদায় করলে আল্লাহর রহমত লাভ হয় :

﴿وَرَحْمَتِيْ وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍؕ فَسَاَكْتُبُهَا لِلَّذِيْنَ يَتَّقُوْنَ وَيُؤْتُوْنَ الزَّكَاةَ وَالَّذِيْنَ هُمْ بِاٰيَاتِنَا يُؤْمِنُوْنَ﴾

আমার দয়া প্রত্যেক বস্তুর উপর প্রশস্ত। সুতরাং আমি তা তাদের জন্য নির্ধারণ করব, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে, যাকাত দেয় এবং আমার নিদর্শনসমূহের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে। (সূরা আ‘রাফ- ১৫৬)

যাকাতের প্রতিদান আল্লাহর কাছে পাওয়া যাবে :

﴿وَاَقِيْمُوا الصَّلَاةَ وَاٰتُوا الزَّكَاةَؕ وَمَا تُقَدِّمُوْا لِاَنْفُسِكُمْ مِّنْ خَيْرٍ تَجِدُوْهُ عِنْدَ اللهِؕ اِنَّ اللهَ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِيْرٌ﴾

তোমরা সালাত প্রতিষ্ঠা করো, যাকাত প্রদান করো। আর তোমরা নিজেদের জন্য যেসব সৎকর্ম আগে প্রেরণ করেছ তা আল্লাহর নিকট পাবে। তোমরা যা করছ নিশ্চয় আল্লাহ তা দেখছেন। (সূরা বাকারা- ১১০)

যাকাত আদায়কারীরাও সফলতা লাভ করে :

﴿قَدْ اَفْلَحَ الْمُؤْمِنُوْنَ اَ لَّذِيْنَ هُمْ فِيْ صَلَاتِهِمْ خَاشِعُوْنَ وَالَّذِيْنَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُوْنَ وَالَّذِيْنَ هُمْ لِلزَّكَاةِ فَاعِلُوْنَ﴾

অবশ্যই সফলকাম হয়েছে ঐসব মুমিনগণ, যাঁরা নিজেদের সালাতে বিনয় ও নম্র, যাঁরা অনর্থক ক্রিয়াকলাপ হতে বিরত থাকে, যাঁরা যাকাত দানে সক্রিয়।

(সূরা মু’মিনূন : ১-৪)

যাকাত আদায় করা জাহান্নাম থেকে বাঁচার উপায় :

﴿وَسَيُجَنَّبُهَا الْاَتْقٰى اَ لَّذِيْ يُؤْتِيْ مَالَهٗ يَتَزَكّٰى﴾

অচিরেই সে ব্যক্তিকে তা (জাহান্নাম) থেকে দূরে রাখা হবে, যে আল্লাহকে ভয় করে এবং যে পবিত্রতা অর্জনের উদ্দেশ্যে নিজের ধনসম্পদ হতে ব্যয় করে। (সূরা লাইল- ১৭, ১৮)

যাকাত আদায় করলে জান্নাত লাভ করা যায় :

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ أَعْرَابِيًّا جَاءَ إِلٰى رَسُوْلِ اللهِ - - فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ دُلَّنِىْ عَلٰى عَمَلٍ إِذَا عَمِلْتُه دَخَلْتُ الْجَنَّةَ . قَالَ : تَعْبُدُ اللهَ لَا تُشْرِكُ بِه شَيْئًا وَتُقِيْمُ الصَّلَاةَ الْمَكْتُوْبَةَ وَتُؤَدِّى الزَّكَاةَ الْمَفْرُوْضَةَ وَتَصُوْمُ رَمَضَانَ . قَالَ وَالَّذِىْ نَفْسِىْ بِيَدِه لَا أَزِيْدُ عَلٰى هٰذَا شَيْئًا أَبَدًا وَلَا أَنْقُصُ مِنْهُ . فَلَمَّا وَلَّى قَالَ النَّبِىُّ - مَنْ سَرَّه أَنْ يَّنْظُرَ إِلٰى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَلْيَنْظُرْ إِلٰى هٰذَا

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা এক বেদুইন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাকে এমন কিছু আমলের কথা বলে দিন, যার মাধ্যমে আমি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব। তখন তিনি বললেন, তুমি আল্লাহর ইবাদাত করবে এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না, ফরয সালাত আদায় করবে, ফরয যাকাত আদায় করবে এবং রমাযান মাসে রোযা রাখবে। তখন লোকটি বলল, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, তাঁর শপথ! আমি এর থেকে সামান্যতম বেশিও করব না এবং সামান্যতম কমও করব না। অতঃপর যখন লোকটি চলে গেল তখন নবী ﷺ বললেন, যে ব্যক্তি কোন জান্নাতী লোককে দেখে আনন্দিত হতে চায়, সে যেন এই লোকটিকে দেখে। [সহীহ বুখারী, হা/১৩৯৭; সহীহ মুসলিম, হা/১১৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৪৯৬; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৭৪৮; মিশকাত, হা/১৪।]

যাকাত আদায়কারীরা ইসলামী রাষ্ট্রে নিরাপত্তা লাভ করে থাকে :

﴿فَاِذَا انْسَلَخَ الْاَشْهُرُ الْحُرُمُ فَاقْتُلُوا الْمُشْرِكِيْنَ حَيْثُ وَجَدْتُّمُوْهُمْ وَخُذُوْهُمْ وَاحْصُرُوْهُمْ وَاقْعُدُوْا لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍۚ فَاِنْ تَابُوْا وَاَقَامُوا الصَّلَاةَ وَاٰتَوُا الزَّكَاةَ فَخَلُّوْا سَبِيْلَهُمْؕ اِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ﴾

অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদেরকে যেখানে পাবে হত্যা করবে। তাদেরকে বন্দী করবে, অবরোধ করবে এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের জন্য ওঁৎ পেতে (বসে) থাকবে। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয়, তবে তাদের পথ ছেড়ে দেবে। নিশ্চয় আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। (সূরা তওবা- ৫)

যাকাত আদায় করলে সম্পদ থেকে অকল্যাণ দূর হয় :

عَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ : يَا رَسُوْلَ اللهِ أَرَأَيْتَ إِذَا أَدّٰى رَجُلٌ زَكَاةَ مَالِه فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ مَنْ أَدّٰى زَكَاةَ مَالِه فَقَدْ ذَهَبَ عَنْهُ شَرُّه

জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! যদি কেউ তার সম্পদের যাকাত আদায় করে তাহলে কি হবে? তখন তিনি বলেন, যদি কেউ তার সম্পদের যাকাত আদায় করে, তাহলে তার সম্পদের অকল্যাণ দূর হয়ে যাবে। [মু‘জামুল আওসাত লিত তাবারানী, হা/১৫৭৯; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৭৪৩।]

যাকাত আদায় করলে আল্লাহর সাহায্য লাভ করা যায় :

﴿وَلَيَنْصُرَنَّ اللهُ مَنْ يَنْصُرُه اِنَّ اللهَ لَقَوِيٌّ عَزِيْزٌ اَلَّذِيْنَ اِنْ مَكَّنَّاهُمْ فِي الْأَرْضِ أَقَامُوْا الصَّلَاةَ وَاٰتَوُا الزَّكَاةَ﴾

আল্লাহ নিশ্চয় তাকে সাহায্য করেন, যে তাঁকে সাহায্য করে। নিশ্চয় আল্লাহ শক্তিমান ও পরাক্রমশালী। আমি এদেরকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা দান করলে এরা সালাত কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। (সূরা হাজ্জ- ৪০, ৪১)

যাকাত আদায় করলে মুসলিম ভ্রাতৃত্ব বৃদ্ধি পায় :

যাকাত হচ্ছে পরস্পর সাহায্য-সহযোগিতামূলক একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। যাকাতের মাধ্যমে পরস্পর সাহায্য-সহযোগিতার ব্যাপক আদান-প্রদান হয়। যার কারণে যাকাত প্রদানকারী এবং যাকাত গ্রহণকারী উভয় পক্ষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব আরো বৃদ্ধি পায়। এজন্যই আল্লাহ তা‘আলা উভয় পক্ষকে পরস্পর দ্বীনি ভাই হিসেবে সাব্যসত্ম করেছেন। তিনি বলেন,

﴿فَاِنْ تَابُوْا وَاَقَامُوا الصَّلَاةَ وَاٰتَوُا الزَّكَاةَ فَاِخْوَانُكُمْ فِى الدِّيْنِؕ وَنُفَصِّلُ الْاٰيَاتِ لِقَوْمٍ يَّعْلَمُوْنَ﴾

অতএব যদি তারা সালাত আদায় করে ও যাকাত দেয়, তবে তারা তো তোমাদেরই দ্বীনি ভাই। আর আমি আমার নিদর্শনসমূহ জ্ঞানবুদ্ধিসম্পন্ন লোকদের জন্য স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে থাকি। (সূরা তওবা- ১১)

যাকাতের মাধ্যমে দারিদ্রতা দূর হয় :

ইসলামী শরীয়তে যাকাত ফরয হওয়ার প্রধান উদ্দেশ্যই হচ্ছে দারিদ্রতা দূর করা। তার উপর এটা সর্বজ্ঞ আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক প্রদত্ত একটি বাধ্যতামূলক বিধান। সমাজে যাতে সকলেই স্বাচ্ছন্দের সাথে জীবন পরিচালনা করতে পারে এবং ধনী-গরীবের মধ্যে ব্যবধান না থাকে- এ মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই আল্লাহ তা‘আলা বান্দাদের জন্য যাকাতের বিধান প্রণয়ন করেছেন। সুতরাং দারিদ্রতা বিমোচনে যাকাতের ভূমিকা অদ্বিতীয়। যে সমাজে যাকাত ব্যবস্থার যথাযথ প্রচলন রয়েছে, সে সমাজে দারিদ্রতার ছোঁয়া লাগতে পারে না। বরং সেটিই হয়ে উঠে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী ও সমৃদ্ধশীল সমাজ।

সমাজে অপরাধমূলক কর্মকান্ড কমে যায় :

যে কোন সমাজের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের মূল হচ্ছে দারিদ্রতা। দারিদ্রতার কারণে মানুষ নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। আর যেহেতু যাকাত দারিদ্রতাকে নির্মূল করে দেয়, সুতরাং সমাজে সুষ্ঠভাবে যাকাত ব্যবস্থা চালু থাকলে সমাজে অপরাধমূলক কর্মকান্ডও কমে যাবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন