hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সিয়াম ও যাকাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৪১
যাকাতদাতার করণীয়
ইখলাস বজায় রাখা :

যে কোন আমল কবুল হওয়ার জন্য পূর্বশর্ত হচ্ছে, তার মধ্যে যথাযথ পরিমাণ ইখলাস বজায় থাকা। সুতরাং যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে পরিপূর্ণভাবে ইখলাস থাকা বাধ্যতামূলক। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَسَيُجَنَّبُهَا الْاَتْقٰى اَ لَّذِيْ يُؤْتِيْ مَالَهٗ يَتَزَكّٰى وَمَا لِاَحَدٍ عِنْدَهٗ مِنْ نِّعْمَةٍ تُجْزٰى اِلَّا ابْتِغَآءَ وَجْهِ رَبِّهِ الْاَعْلٰى﴾

এ থেকে (জাহান্নাম থেকে) দূরে রাখা হবে আল্লাহভীরু ব্যক্তিদেরকে, যে আত্মশুদ্ধির জন্য তার ধনসম্পদ হতে দান করে। অতঃপর তার উপর মহান পালনকর্তার সন্তুষ্টি ব্যতীত অন্য কোন প্রতিদানযোগ্য অনুগ্রহ থাকে না।

(সূরা লায়ল : ১৭-২০)

আর হাদীসে এসেছে, উমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, নিশ্চয় সকল আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। [সহীহ বুখারী, হা/১; আবু দাউদ, হা/২২০৩; ইবনে মাজাহ, হা/৪২২৭; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩৮৮; বায়হাকী, হা/১৮১; জামেউস সগীর, হা/৪০৭৪; মিশকাত, হা/১।]

অতএব, যাকাত আদায়কারীকেও অবশ্যই ইখলাসের দিকে মনোযোগী হতে হবে, যাতে কোনভাবে এতে ঘাটতি না থাকে। নতুবা এটি লোক দেখানো আমল হিসেবে পরিগণিত হয়ে বড় ধরনের পাপের ভাগিদার হতে হবে।

প্রকাশ্যে যাকাত দিতে গিয়ে অহংকারী না হওয়া :

শরীয়তের একটি মূলনীতি হচ্ছে ফরয ইবাদাতসমূহ প্রকাশ্যে এবং নফল ইবাদাতসমূহ গোপনে করাই উত্তম। যেহেতু যাকাত ফরয ইবাদাতের অমত্মর্ভুক্ত, সুতরাং যাকাত প্রকাশ্যে আদায় করাই উত্তম। তবে যদি রিয়ার (লোক দেখানোর) ভয় থাকে, তাহলে গোপনে আদায় করাই উত্তম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿اِنْ تُبْدُوا الصَّدَقَاتِ فَنِعِمَّا هِيَۚ وَاِنْ تُخْفُوْهَا وَتُؤْتُوْهَا الْفُقَرَآءَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْؕ وَيُكَفِّرُ عَنْكُمْ مِّنْ سَيِّئَاتِكُمْؕ وَاللهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ خَبِيْرٌ﴾

তোমরা যদি প্রকাশ্যে দান কর, তবে তা উত্তম। আর যদি গোপনে গরীবদেরকে দান কর, তবে তা তোমাদের জন্য আরো ভালো। আল্লাহ তোমাদের গোনাহ ক্ষমা করেন এবং তোমাদের কর্ম সম্পর্কে খবর রাখেন। (সূরা বাকারা- ২৭১)

অতএব যদি কোন ধরনের গোনাহের ভয় অথবা বিপদের আশংকা না থাকে, তাহলে প্রকাশ্যে যাকাত আদায় করবে এবং অন্যান্য নফল সাদাকা প্রদানের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা অবলম্বন করবে। কিমত্মু এরপরও যদি তা প্রকাশ পেয়ে যায় এবং এজন্য সে দুনিয়ায় কোন পৃথক সম্মান লাভ করে থাকে, তাহলে এ ক্ষেত্রে উক্ত সম্মানটি আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত বলে মনে করবে এবং এ জন্য আরো অধিক হারে শুকরিয়া আদায় করবে।

যাকাত দিয়ে খোঁটা দেয়া যাবে না :

কাউকে কোন কিছু দান করার পর খোঁটা দেয়াটা একটি মারাত্মক অন্যায়। যে ব্যক্তি এরূপ করে তার উক্ত দান সম্পূর্ণভাবে বরবাদ হয়ে যায়। এ কারণে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تُبْطِلُوْا صَدَقَاتِكُمْ بِالْمَنِّ وَالْاَذٰى﴾

হে ঈমানদারগণ! খোঁটা এবং কষ্ট দিয়ে তোমরা তোমাদের দানকে বরবাদ করে দিও না। (সূরা বাকারা- ২৬৪)

উপরমত্মু যারা এসব কাজ করবে, আল্লাহ তা‘আলা তাদের উপর খুবই রাগান্বিত হন। হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِى ذَرٍّ عَنِ النَّبِىِّ - - قَالَ : ثَلَاثَةٌ لَا يُكَلِّمُهُمُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَا يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ وَلَا يُزَكِّيْهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ ، قَالَ فَقَرَأَهَا رَسُوْلُ اللهِ - - ثَلَاثَ مِرَارٍ . قَالَ أَبُوْ ذَرٍّ خَابُوْا وَخَسِرُوْا مَنْ هُمْ يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالَ : اَلْمُسْبِلُ وَالْمَنَّانُ وَالْمُنَفِّقُ سِلْعَتَه بِالْحَلِفِ الْكَاذِبِ

আবু যর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেন, আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন তিন শ্রেণির লোকের সাথে কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না এবং তাদেরকে পবিত্রও করবেন না; বরং তাদের জন্য রয়েছে ভয়ানক শাস্তি। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ কথাটি তিনবার পাঠ করলেন। আবু যর (রাঃ) বলে উঠলেন, তারা তো ধ্বংস হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হে আল্লাহর রাসূল! এরা কারা? তিনি বললেন, (১) যে ব্যক্তি পায়ের গোছার নিচে কাপড় ঝুলিয়ে চলে, (২) যে ব্যক্তি কোন কিছু দান করে খোঁটা দেয় এবং (৩) যে ব্যক্তি মিথ্যা শপথের মাধ্যমে পণ্যদ্রব্য বিক্রি করে। [সহীহ মুসলিম, হা/৩০৬; আবু দাউদ, হা/৪০৮৯; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৪৯০৭; সুনানে দারেমী, হা/২৬০৫।]

অতএব, যাকাতদাতাকে অবশ্যই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে যে, তার মুখ দিয়ে যেন এমন কোন কথা বের না হয়, যা যাকাত গ্রহণকারীর জন্য কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

নিজের প্রদানকৃত যাকাতের মাল পুনরায় ক্রয় করা যাবে না :

যাকাত আদায় করার পর উক্ত মাল পুনরায় ক্রয় করে নেয়া বৈধ নয়। হাদীসে এসেছে,

عَنْ عُمَرَ يَقُوْلُ حَمَلْتُ عَلٰى فَرَسٍ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ، فَأَضَاعَهُ الَّذِيْ كَانَ عِنْدَه ، فَأَرَدْتُ أَنْ أَشْتَرِيَه ، وَظَنَنْتُ أَنَّه يَبِيْعُه بِرُخْصٍ، فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ فَقَالَ ‏لَا تَشْتَرِ وَلَا تَعُدْ فِيْ صَدَقَتِكَ، وَإِنْ أَعْطَاكَه بِدِرْهَمٍ، فَإِنَّ الْعَائِدَ فِيْ صَدَقَتِه كَالْعَائِدِ فِيْ قَيْئِهِ‏

উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি আল্লাহর রাসত্মায় একটি ঘোড়া দান করেছিলাম, কিন্তু যার নিকট ঘোড়াটি ছিল, সে সেটিকে অকর্মণ্য করে দিয়েছিল। আমি তা ক্রয় করতে সংকল্প করলাম। আমি ধারণা করলাম, সে তা কম মূল্যে বিক্রি করবে। তাই আমি নবী ﷺ-কে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, তুমি ওটা ক্রয় করো না। তুমি যা সাদাকা করেছ তা পুনরায় গ্রহণ করো না- যদিও সে এক দিরহামের বিনিময়ে তোমাকে তা দেয়। কেননা সাদাকার মাল পুনরায় গ্রহণকারী বমি ভক্ষণকারীর মতো। [সহীহ বুখারী, হা/১৪৯০; সহীহ মুসলিম, হা/৪২৫০; নাসাঈ, হা/২৬১৫; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২৬১১; মিশকাত, হা/১৯৫৪।]

পবিত্র এবং উত্তম জিনিসের মাধ্যমে যাকাত আদায় করা :

যাকাত প্রদানের ক্ষেত্রে উত্তম জিনিস দ্বারাই যাকাত প্রদান করা উচিত। কেননা উত্তম জিনিস দান করা আল্লাহর প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتّٰى تُنْفِقُوْا مِمَّا تُحِبُّوْنَؕ وَمَا تُنْفِقُوْا مِنْ شَيْءٍ فَاِنَّ اللهَ بِهٖ عَلِيْمٌ﴾

তোমরা কখনো যথার্থ নেকী অর্জন করতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমাদের প্রিয় জিনিস আল্লাহর পথে খরচ কর। আর তোমরা যা কিছুই দান কর আল্লাহ তা জানেন। (সূরা আলে ইমরান- ৯২)

এ আয়াত নাযিল হওয়ার পর আবু তালহা (রাঃ) তার সবচেয়ে প্রিয় বাগানটি আল্লাহর রাসত্মায় দান করে দেন। হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، ، يَقُوْلُ كَانَ أَبُو طَلْحَةَ أَكْثَرَ الْأَنْصَارِ بِالْمَدِيْنَةِ مَالًا ، وَكَانَ أَحَبَّ أَمْوَالِه إِلَيْهِ بِيْرُ حَاءَ وَكَانَتْ مُسْتَقْبِلَةَ الْمَسْجِدَ ، وَكَانَ رَسُوْلُ اللهِ يَدْخُلُهَا وَيَشْرَبُ مِنْ مَاءٍ فِيْهَا طَيِّبٍ فَلَمَّا نَزَلَتْ ﴿لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتّٰى تُنْفِقُوْا مِمَّا تُحِبُّونَ﴾ قَامَ أَبُو طَلْحَةَ إِلٰى رَسُوْلِ اللهِ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ اللهَ تَعَالٰى يَقُوْلُ فِيْ كِتَابِه ﴿لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتّٰى تُنْفِقُوْا مِمَّا تُحِبُّونَ﴾ وَإِنَّ أَحَبَّ أَمْوَالِيْ إِلَيَّ بِيْرُ حَاءَ وَإِنَّهَا صَدَقَةٌ لِلّٰهِ أَرْجُو بِرَّهَا وَذُخْرَهَا عِنْدَ اللهِ فَضَعْهَا يَا رَسُوْلَ اللهِ حَيْثُ شِئْتَ فَقَالَ بخٍ ذٰلِكَ مَالٌ رَائِحٌ ذٰلِكَ مَالٌ رَائِحٌ قَدْ سَمِعْتُ مَا قُلْتَ فِيْهَا وَأَرٰى أَنْ تَجْعَلَهَا فِي الْأَقْرَبِيْنَ قَالَ أَفْعَلُ يَا رَسُوْلَ اللهِ فَقَسَمَهَا أَبُو طَلْحَةَ فِيْ أَقَارِبِه وَبَنِيْ عَمِّه

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু তালহা (রাঃ) ছিলেন মদিনায় আনসারদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তার নিকট সবচেয়ে প্রিয় জিনিস ছিল ‘বীরুহা’ নামক একটি বাগান। বাগানটি মসজিদের সামনেই ছিল। রাসূলুল্লাহ ﷺ মাঝে মাঝে সেখানে যেতেন এবং তার পানি পান করতেন। যখন এই আয়াত নাযিল হলো, তোমরা কখনো কল্যাণ অর্জন করতে পারবে না যতক্ষণ না ব্যয় করবে তা থেকে যা তোমরা ভালোবাস। তখন আবু তালহা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট গেলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কিতাবে বলেছেন, তোমরা কখনো সওয়াব অর্জন করতে পারবে না যতক্ষণ না ব্যয় করবে তা থেকে, যা তোমরা ভালোবাস। আমার নিকটে সবচেয়ে প্রিয় সম্পদ হলো এই ‘বীরুহা’ নামক বাগানটি। আমি এখন এটা আল্লাহর রাসত্মায় সাদাকা করে দিলাম। আমি আল্লাহর কাছে এর উত্তম বিনিময় চাই। আপনি এটা যেখানে ইচ্ছা খরচ করুন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, ওহ! এটাতো খুবই উত্তম সম্পদ! এটা তো খুবই উত্তম সম্পদ। এর ব্যাপারে তুমি যা বলেছ আমি শুনেছি। আমি চাই এটা তুমি তোমার আত্মীয়স্বজনের মাঝে বণ্টন করে দাও। আবু তালহা বললেন, আল্লাহর রাসূল! আমি এমনটাই করব। এরপর আবু তালহা (রাঃ) বাগানটি তার আত্মীয়স্বজন এবং তার চাচাতো ভাইয়ের মাঝে বণ্টন করে দিলেন। [সহীহ বুখারী, হা/২৩১৮, সহীহ মুসলিম, হা/২৩৬২; মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হা/১৮০৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/১২৪৬১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩৩৪০; বায়হাকী, হা/১১৭০০; সুনানে দারেমী, হা/১৬৫৫; শারহুস সুন্নাহ, হা/১৬৮৩; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৮৭৫।]

যাকাতের নির্দিষ্ট অংশের চেয়ে বেশি দান করা যাবে :

যাকাত আদায়ের জন্য নির্দিষ্ট অংশ পাওয়া না গেলে, তা হতে বেশি পরিমাণ পাওয়া গেলে তাই আদায় করবে। এতে অতিরিক্ত দান করার কারণে অতিরিক্ত নেকী অর্জিত হবে। হাদীসে এসেছে,

উবাই ইবনে কা‘ব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ আমাকে যাকাত আদায় করার জন্য প্রেরণ করলেন। আমি এক ব্যক্তির নিকট পৌঁছলাম, সে আমার সামনে তার সম্পদ উপস্থিত করল। তার যে সম্পদ ছিল তাতে তার উপর একটি এক বছর বয়সের উট যাকাত ফরয ছিল। আমি বললাম, এক বছর বয়সের একটি উষ্ট্রী দিয়ে দাও। সে বলল, সে তো দুধও দেবে না এবং তার পিঠে আরোহণও করা যাবে না। কাজেই আমার এই যৌবনে পদার্পণকারী মোটা তাজা উষ্ট্রীটিই গ্রহণ করুন। তখন আমি বললাম, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর অনুমতি ছাড়া এটি গ্রহণ করতে পারব না। তবে রাসূলুল্লাহ ﷺ তোমার থেকে নিকটবর্তী স্থানে অবস্থান করছেন। তুমি যদি চাও তাহলে তুমি তোমার যে উষ্ট্রীটি আমার নিকট পেশ করেছিলে তা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট পেশ করতে পার। যদি তিনি তা গ্রহণ করেন, তাহলে আমিও তা গ্রহণ করব। আর যদি তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে আমিও তা প্রত্যাখ্যান করব। সে বলল, আমি তা (রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট) পেশ করব। অতঃপর যে উষ্ট্রী্রটি সে আমার নিকট পেশ করেছিল সেটি নিয়ে আমার সাথে রওনা দিল। এমনকি আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট পৌঁছে গেলাম। তখন সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার নিয়োজিত যাকাত আদায়কারী আমার কাছে যাকাত আদায়ের উদ্দেশ্যে এসেছিল। আর আল্লাহর শপথ! ইতিপূর্বে আপনার পক্ষ থেকে কেউ আমার নিকট যাকাত আদায়ের জন্য আসেনি। আমি তার সামনে আমার সম্পদ পেশ করলাম। তখন সে বলল, আমার উপর একটি এক বছরের উষ্ট্রী্র যাকাত ফরয। অথচ সেটি দুধও দেবে না এবং তার পিঠে আরোহণও করা যাবে না। ফলে আমি তার নিকট যৌবনে পদার্পণকারী মোটা তাজা উষ্ট্রী গ্রহণ করার জন্য পেশ করলাম। কিমত্মু তিনি তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানালেন। আর এই হচ্ছে সেই উষ্ট্রী, যা আমি আপনার নিকট নিয়ে এসেছি, আপনি তা গ্রহণ করুন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তোমার উপর ফরয ছিল তাই যা সে বলেছে। কিমত্মু যদি তুমি নিজের খুশিতে ভালো কাজ করতে চাও, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তোমাকে উত্তম প্রতিদান দেবেন। আর আমরাও তা গ্রহণ করব। সে বলল, এই হচ্ছে সেই উষ্ট্রী যা আপনার নিকট নিয়ে এসেছি। অতএব আপনি তা গ্রহণ করুন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ তা গ্রহণ করার নির্দেশ দিলেন এবং তার সম্পদের বরকতের জন্য দু‘আ করলেন। [আবু দাউদ, হা/১৫৮৫; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২২৭৭।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন