hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সিয়াম ও যাকাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩৯
রমাযান মাসে বেশি বেশি কুরআন পাঠ করা
কুরআন তিলাওয়াত একটি উত্তম ইবাদাত। কুরআন ও হাদীসে কুরআন তিলাওয়াতের প্রতি খুবই উৎসাহ দেয়া হয়েছে এবং এর যথেষ্ট ফযীলতও বর্ণনা করা হয়েছে। কুরআনে কারীমে বলা হয়েছে,

﴿إِنَّ الَّذِيْنَ يَتْلُوْنَ كِتَابَ اللهِ وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَأَنْفَقُوْا مِمَّا رَزَقْنَاهُمْ سِرًّا وَّعَلَانِيَةً يَّرْجُوْنَ تِجَارَةً لَّنْ تَبُوْرَ﴾

নিশ্চয় যারা কুরআন তিলাওয়াত করে, সালাত কায়েম করে এবং আমার দেয়া রিযিক হতে কিছু অংশ গোপনে ও প্রকাশ্যে দান করে তারা এমন ব্যবসার আশা করে যাতে কখনো লোকসান হবে না। (সূরা ফাতির- ২৯)

এ আয়াতে কুরআন পড়াকে একটি লাভজনক ব্যবসা বলা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللهِ فَلَهٗ بِه حَسَنَةٌ وَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا لَا أَقُوْلُ الم حَرْفٌ وَلٰكِنْ أَلِفٌ حَرْفٌ وَلَامٌ حَرْفٌ وَمِيْمٌ حَرْفٌ

যে ব্যক্তি কুরআনের একটি অক্ষর পড়বে সে একটি নেকী পাবে আর একটি নেকী হবে দশটি নেকীর সমান। আমি বলছি না আলিফ, লাম, মীম সব মিলিয়ে একটি হরফ; বরং আলিফ একটি অক্ষর, লাম একটি অক্ষর, মীম একটি অক্ষর। [তিরমিযী, হা/২৯১০; জামেউস সগীর, হা/১১৪১৫; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৩৩২৭; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৪১৬; মিশকাত, হা/২১৩৭।]

কুরআন তিলাওয়াতের এসকল ফযীলত সবসময়ের জন্য; কিমুত রমাযান মাসে কুরআন তিলাওয়াতের বিশেষ গুরুত্ব ও ফযীলত রয়েছে। কারণ রমাযানের সাথে কুরআনের সম্পর্ক ওঁতপ্রোতভাবে জড়িত। কুরআন নাযিল শুরু হয়েছে রমাযান মাসে। এ মাসের প্রতিটি রাত্রে জিবরাঈল (আঃ) আসতেন এবং কুরআনের যতটুকু নাযিল হয়েছে তা নবী ﷺ কে পড়ে শোনাতেন এবং পুনরাবৃত্তি করতেন। নবী ﷺ এর ইন্তেকালের বছর তিনি ও জিবরাঈল (আঃ) একে অপরকে সম্পূর্ণ কুরআন দু’বার পড়ে শুনিয়েছেন। [সহীহ বুখারী, হা/৪৯৯৮; ইবনে মাজাহ, হা/১৭৬৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯১৭৯; মুসনাদুল বাযযার, হা/৭০১০; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/৩০৯২৪; শারহুস সুন্নাহ, হা/১৮৩৫; মিশকাত, হা/২০৯৯।]

অপর একটি হাদীসে রয়েছে,

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ قَالَ : الصِّيَامُ وَالْقُرْاٰنُ يَشْفَعَانِ لِلْعَبْدِ ، يَقُوْلُ الصِّيَامُ : رَبِّ إِنِّيْ مَنَعْتُهُ الطَّعَامَ وَالشَّهَوَاتِ بِالنَّهَارِ فَشَفِّعْنِيْ فِيْهِ ، وَيَقُوْلُ الْقُرْاٰنُ : مَنَعْتُهُ النَّوْمَ بِاللَّيْلِ فَيُشَفَّعَانِ

আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কিয়ামতের দিন কুরআন ও রোযা বান্দার জন্য শাফা‘আত করবে। রোযা বলবে, হে প্রভু! আমি এ বান্দাকে দিনের বেলায় খানাপিনা ও যৌন চাহিদা মিটানো থেকে বিরত রেখেছি, তাই আমার শাফা‘আত কবুল করুন। আর কুরআন বলবে, হে প্রভু! আমি এ বান্দাকে রাতের বেলায় ঘুম থেকে বিরত রেখেছি, তাই আমার শাফা‘আত কবুল করুন। অতঃপর উভয়ের সুপারিশ কবুল করা হবে। [মুসত্মাদরাকে হাকেম, ২০৩৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/৬৬২৬, মিশকাত, হা/১৯৬৩।]

এজন্য সালাফুস সালেহীন (পূর্ব যুগের নেককার বান্দারা) বিশেষ করে রমাযান মাসে কুরআন পাঠে খুবই মনোযোগ দিতেন। এ মাসে কুরআন পড়ার জন্য তারা সময়ের একটা বড় অংশ নির্ধারণ করে রাখতেন।

এখানে একটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, এসকল মহান মণীষীগণ না বুঝে কুরআন পড়তেন না। তারা আল্লাহর কালাম বুঝে বুঝে পড়তেন এবং এর উপর আমল করতেন। কিন্তু অতি পরিতাপের বিষয় যে, বর্তমানে অধিকাংশ মুসলমান এমন আছেন যারা কুরআনের শুধু শব্দগুলো পড়ে প্রতি হরফে দশটি করে নেকী অর্জনের চিন্তা করেন এবং কে কত খতম দিতে পারে- এ নিয়ে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হন। কুরআন না বুঝে পড়লে এর দ্বারা কুরআন নাযিলের আসল উদ্দেশ্য সফল হয় না। মানুষ যাতে কুরআন পড়ে, বুঝে এবং কুরআন অনুযায়ী তাদের জীবন পরিচালনা করে- এটাই হলো কুরআন নাযিলের মূল উদ্দেশ্য। কুরআন তিলাওয়াতের ফযীলত সংক্রান্ত হাদীসগুলোর উদ্দেশ্য হচ্ছে কুরআন পড়ার প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করা। না বুঝে পড়লে পড়ার হক আদায় হয় না। না বুঝে ১০০ খতম দেয়ার চেয়ে কেউ যদি দু’চারটি আয়াত অর্থ ও ব্যাখ্যাসহ বুঝে পড়ে এবং এর উপর আমল করতে পারে তবে এটা তার জন্য হাজার গুণ বেশি উত্তম হবে; যেহেতু সে কুরআন নাযিলের উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়ন করেছে।

একজন মুসলমানের সর্বপ্রথম এবং সবচেয়ে বড় কাজ ও ইবাদাত হলো ইসলামের সঠিক জ্ঞান লাভ করা। এজন্য যে শব্দটি দিয়ে কুরআন নাযিল শুরু হয়েছে তা হলো إِقْرَأْ ‘পড়ো’ তার মানে সবকিছুর আগে তোমাকে পড়তে হবে, জানতে হবে। মুসলিম হতে হলে কি কি কাজ করতে হবে, কোন্ কোন্ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে এবং কোন্ ধরনের আকীদা-বিশ্বাস পোষণ করতে হবে তা না জানা পর্যন্ত কেউ যদি হাজার বারও বলে ‘আমি মুসলিম’ তবে সে আল্লাহর কাছে মুসলিম হতে পারবে না। তাই ইসলামের সঠিক ও নির্ভুল জ্ঞান অর্জনের জন্য আল্লাহর কালাম বুঝে পড়তে হবে। কুরআনে এসেছে - وَمَنْ أَصْدَقُ مِنَ اللهِ قِيْلًا ‘‘আল্লাহর কথার চেয়ে সঠিক কথা আর কার হতে পারে?’’ ذٰلِكَ الْكِتَابُ لَارَيْبَ فِيْهِ ‘‘এটা এমন কিতাব যার কথার মধ্যে কোন সন্দেহ-সংশয় নেই।’’

কুরআন যেহেতু আরবি ভাষায় নাযিল হয়েছে, তাই একে ভালোভাবে বুঝার জন্য আরবি ভাষা শিক্ষা করা সকলের কর্তব্য। কুরআন-হাদীস বুঝার জন্য যদি কেউ আরবি ভাষা শিখে তবে এটা ইবাদাত হিসেবে গণ্য হবে। তাছাড়া কুরআনের বিধিবিধান জানার জন্য মাতৃভাষার সহযোগিতা নেয়া যায়, বর্তমানে পৃথিবীর মধ্যে প্রচলিত যত ভাষা আছে প্রায় সকল ভাষাতেই কুরআনের অনুবাদ ও তাফসীর প্রকাশিত হয়েছে এবং হচ্ছে। আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশেও বাংলা ভাষায় কুরআন বুঝার যথেষ্ট উপকরণ বের হয়েছে। কুরআনের শাব্দিক অনুবাদ, ব্যাখ্যামূলক অনুবাদ, কুরআনের শব্দের অভিধানসহ বেশ কিছু ভালো ভালো তাফসীর গ্রন্থও বাংলা ভাষায় অনূদিত ও প্রকাশিত হয়েছে এবং সর্বত্রই এসব পাওয়া যাচ্ছে।

আমাদের ‘ইমাম পাবলিকেশন্স’ থেকে প্রকাশিত একটি বিষয়ভিত্তিক তাফসীর রয়েছে যার নাম ‘তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন’। এতে একেকটি বিষয় সম্পর্কিত কুরআনের আয়াতগুলো একত্র করে বিভিন্ন পয়েন্টে সাজানো হয়েছে। কুরআনে আলোচিত মৌলিক বিষয়গুলোকে হাদীসের কিতাবের মতো করে বিভিন্ন অধ্যায়ে বিন্যস্ত করা হয়েছে। এ গ্রন্থের মাধ্যমে একেকটি বিষয় সম্পর্কে কুরআনের বক্তব্য কী তা একই জায়গায় ধারাবাহিকভাবে জানা যাবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন