hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সিয়াম ও যাকাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩১
সাহারী খাওয়া
রোযা রাখার নিয়তে ভোররাতে যে খাবার খাওয়া হয় তাকে সাহারী বলে। এখানে এ শব্দটির উচ্চারণ ‘সেহ্রী’ বা ‘সাহ্রী’ সঠিক নয়। কারণ আরবি ভাষায় ‘সেহ্রুন’ শব্দের অর্থ যাদু করা। যেমন : সূরা বাকারার ১২০ নং আয়াতে উল্লেখ আছে যে, يُعَلِّمُوْنَ النَّاسَ السِّحْرَ ‘‘তারা মানুষকে যাদু শিখাত।’’ আবার سَحْرٌ সাহ্রুন শব্দের অর্থ হলো বুকের উপরিভাগ। অথচ আরবি ভাষায় রাতের শেষ ভাগ বুঝাতে سَحَر ‘সাহার’ শব্দ ব্যবহৃত হয়। যেমন نَجَّيْنٰهُمْ بِسَحَرِ ‘‘আমি তাদেরকে (লূতের পরিবারকে) রাতের শেষ ভাগে মুক্তি দিয়েছি’’ (সুরা কামার- ৩৪)। তাই এর উচ্চারণে ‘সেহ্রী’ বা ‘সাহ্রী’ না বলে ‘‘সাহারী’’ বলাই শুদ্ধ।

সাহারী খাওয়ার গুরুত্ব :

عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ - - قَالَ : فَصْلُ مَا بَيْنَ صِيَامِنَا وَصِيَامِ أَهْلِ الْكِتَابِ أَكْلَةُ السَّحَرِ

আমর ইবনে আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আহলে কিতাব (ইয়াহুদি ও নাসারা) এর রোযা আর আমাদের রোযার মধ্যে পার্থক্য এই যে, আমরা সাহারী খেয়ে রোযা রাখি আর তারা সাহারী খায় না। [সহীহ মুসলিম, হা/২৬০৪; আবু দাউদ, হা/২৩৪৫; তিরমিযী, হা/৮০৯; নাসাঈ, হা/২১৬৬; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৯৪০; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৪৩৭৭; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৭০৯; মিশকাত, হা/১৯৮৩।]

সাহারীতে বরকত রয়েছে :

عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ - تَسَحَّرُوْا فَإِنَّ فِى السُّحُوْرِ بَرَكَةً

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমরা সাহারী খাও, কেননা সাহারী খাওয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে। [সহীহ বুখারী, হা/১৯২২; সহীহ মুসলিম, হা/২৬০৩; তিরমিযী, হা/৭০৮; নাসাঈ, হা/২১৪৪; ইবনে মাজাহ, হা/১৬৯২; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৮৮৫; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৯৩৭; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩৪৬৬; জামেউস সগীর, হা/৫২৫৪; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১০৬৩; মিশকাত, হা/১৯৮২।]

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو ، قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ  : تَسَحَّرُوْا وَلَوْ بِجَرْعَةٍ مِنْ مَاءٍ

আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমরা সাহারী খাও- এক ঢুক পানি দিয়ে হলেও। [সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩৪৭৬; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা৩৩৪০; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/৭৫৯৯; মারেফাতুস সাহাবা, হা/৩৭২২; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১০৭১।]

সাহারী ভক্ষণকারীদের উপর রহমত বর্ষিত হয় :

عَنْ أَبِي سَعِيْدٍ الْخُدْرِيِّ ، قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ  : السَّحُوْرُ أَكْلُهُ بَرَكَةٌ ، فَلَا تَدَعُوْهُ ، وَلَوْ أَنْ يَجْرَعَ أَحَدُكُمْ جُرْعَةً مِنْ مَاءٍ ، فَإِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ وَمَلَائِكَتَهٗ يُصَلُّوْنَ عَلَى الْمُتَسَحِّرِينَ

আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, সাহারী সম্পূর্ণটাই বরকতময়। অতএব তোমরা এটা ছেড়ে দিও না, যদি তোমাদের কেউ এক ঢুক পানি পান করার সুযোগ পায়, তবে যেন তা পান করে। কেননা আল্লাহ তা‘আলা সাহারী ভক্ষণকারীদের উপর রহমত বর্ষণ করেন এবং তাঁর ফেরেশতারা তাদের জন্য মাগফিরাতের দু‘আ করতে থাকেন। [মুসনাদে আহমাদ, হা/১১৪১৪; জামেউস সগীর, হা/৫৯৯৬।]

সাহারী দেরিতে খাওয়া উত্তম :

সাহারী খাওয়ার সময় হলো মধ্যরাত থেকে শুরু করে সুবহে সাদিক এর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত। তবে বিলম্ব করে (সুবহে সাদিকের পূর্বে) খাওয়া মুস্তাহাব। হাদীসে বর্ণিত আছে,

عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ ، ، قَالَ : كُنْتُ أَتَسَحَّرُ فِي أَهْلِي ثُمَّ تَكُوْنُ سُرْعَتِي أَنْ أُدْرِكَ السُّجُوْدَ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ .

সাহল ইবনে সা‘দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পরিবারের সাথে সাহারী সম্পন্ন করি। তারপর রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে জামা‘আতে সালাত ধরার জন্য আমাকে তাড়াতাড়ি মসজিদে যেতে হতো। [সহীহ বুখারী, হা/১৯২০; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৯৪২; বায়হাকী, হা/১৯৮১; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/৫৭৭০।]

এ হাদীস দ্বারা বুঝা গেল, সাহল ইবনে সা‘দ (রাঃ) সাহারীর একেবারে শেষ সময়ে খাবার গ্রহণ করতেন। অপর হাদীসে বলা হয়েছে,

عَنْ أَنَسٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ ، ، قَالَ تَسَحَّرْنَا مَعَ النَّبِيِّ ثُمَّ قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ قُلْتُ كَمْ كَانَ بَيْنَ الْأَذَانِ وَالسَّحُوْرِ قَالَ قَدْرُ خَمْسِيْنَ اٰيَةً

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি যায়েদ ইবনে সাবিত (রাঃ) হতে বর্ণনা করে বলেন, আমরা নবী ﷺ এর সাথে সাহারী খেয়েছি। তারপর তিনি সালাতে দাঁড়িয়েছেন। বর্ণনাকারী আনাস (রাঃ) বলেন, আমি যায়েদ ইবনে সাবিত (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, সাহারী ও আযানের মাঝখানে কত সময়ের ব্যবধান ছিল? তিনি বললেন, পঞ্চাশ আয়াত পাঠ করার মতো। [সহীহ বুখারী, হা/১৯২১; সহীহ মুসলিম, হা/২৬০৬; নাসাঈ, হা/২১৫৫; ইবনে মাজাহ, হা/১৬৯৪; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৯৪১।]

এ হাদীস থেকে জানা যায় যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর যুগে সাহারী খাওয়া ও ফজরের আযানের মধ্যখানে ৫০টি আয়াত পড়ার সমপরিমাণ সময় থাকত। ৫০টি আয়াত পড়তে প্রায় ১৫-২০ মিনিট সময় লাগতে পারে। এ থেকে বুঝা যায় যে, সাহাবীরা খুব আগে সাহারী খেতেন না। আযানের কিছু সময় আগে খাওয়া শেষ করতেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন