hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমানের স্বচ্ছ ধারণা

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

১০
৬) তাকদীরে বিশ্বাস
তাকদীর হচ্ছে আল্লাহর পূর্বজ্ঞান ও হিকমতের দাবি অনুযায়ী সমগ্র বিশ্বের ভাগ্যলিপি। তবে এর অর্থ এই নয় যে, আল্লাহ সবকিছু নির্ধারণ করে দিয়েছেন এবং এভাবেই সবকিছু চলছে। তাই মানুষের কোন ইচ্ছাশক্তি নেই এবং তাদেরকে আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত কর্মগুলিই সম্পাদন করতে হবে। এর গূঢ়ার্থ এই যে, মানুষকে আল্লাহ ইচ্ছাশক্তি ও এখতিয়ার দিয়েছেন। সে ইহা অনুসারে কাজ করবে। কিন্তু তারা তাদের এখতিয়ার অনুসারে কী করবে তা আল্লাহ পূর্ব হতেই জানেন। কারণ তিনি সর্বজ্ঞাতা। আর সে জ্ঞাত বিষয়গুলি পূর্বেই তিনি লিখে রেখেছেন। এর উপর ঈমান আনতে হবে। আর এটাই তাকদীরের উপর বিশ্বাসের সারকথা যা কয়েকটি পর্যায়ে আলোচনা করা যায়।

তাকদীরের প্রথম পর্যায় : আল্লাহর ইলম বা জ্ঞান :

আল্লাহ হচ্ছেন সর্বজ্ঞানী ও সর্বজ্ঞাতা। এই সৃষ্টিজগত কি ছিল, তাতে কি হবে, কিভাবে হবে এসব তিনি তাঁর ইলমে আলী ও ইলমে আবাদী অর্থাৎ স্থায়ী ও চিরন্তন অপরিসীম জ্ঞান শক্তির মাধ্যমে জেনে নিয়েছেন। তাই অজানার পর নূতন করে জানা এবং জানার পর ভুলে যাওয়ার ব্যাপারটি আল্লাহর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয় আল্লাহ প্রতিটি বস্তু সম্পর্কে সর্বাধিক জ্ঞাত” (সূরা আনকাবুত ২৯: ৯২)।

দ্বিতীয় পর্যায় : বিধিলিপি :

এই বিশ্বাস স্থাপন করা যে, আল্লাহ যা কিছু নির্ধারণ করেছেন এর সবকিছুই লিখিত রয়েছে। এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেনঃ “আমি তো জানি মৃত্তিকা উহাদের ক্ষয় করে কতটুকু এবং আমার নিকট রয়েছে একটি সংরক্ষিত কিতাব” (সূরা কাফ ৫০: ৫৪)।

তৃতীয় পর্যায় : ইচ্ছা:

এ বিশ্বাস রাখা যে, আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে সবই আল্লাহর ইচ্ছায় সৃষ্টি হয়েছে। আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত কোন কিছু হয়নি। আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন তা হয়, যা ইচ্ছা করেন না তা হয় না। এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন : “আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন” (সূরা হাজ্জ ২২ : ২৮)।

“আর তোমাদের চাওয়ার কিছু হয় না যতক্ষণ না আল্লাহ রব্বুল আলামীন চান” (সূরা আত তাকভীর ৮১ : ২৯)।

চতুর্থ পর্যায় : সৃষ্টি :

এ বিশ্বাস রাখা যে, সমগ্র বস্তুজগত আল্লাহর সৃষ্টি। তিনি ব্যতীত কোন স্রষ্টা নেই, নেই কোন প্রভু-প্রতিপালক। আল্লাহ এ প্রসঙ্গে বলেন : “আল্লাহ সবকিছুর স্রষ্টা এবং তিনি সব কিছুর কর্মবিধায়ক। আসমানসমূহ ও যমীনের চাবি তাঁরই নিকট” (সূরা আয যুমার ৩৯ : ৬২)।

“হে মানুষ! তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর, আল্লাহ ব্যতীত এমন কোন স্রষ্টা আছে কি যে তোমাদিগকে আসমান ও যমীন হতে রিযিক দান করে? তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। সুতরাং তোমরা কোথায় বিপথে চলে যাচ্ছো? (সূরা ফাতির ৩৫:৩)

যেহেতু তিনি সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা সেহেতু মানুষের কর্মগুলির সৃষ্টিকর্তাও তিনি। আল্লাহ বলেন: “প্রকৃতপক্ষে আল্লাহই তোমাদিগকে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমরা যা তৈরী কর তাও” (সূরা সাফফাত ৩৭ : ৯৬)।

তবে এখানে সন্দেহ হতে পারে, যেহেতু আল্লাহ বান্দাগণের কাজ সৃষ্টি করেছেন, তা হলে বান্দাগণ মন্দ কাজ করলে তাদের দোষ কোথায়? এর উত্তরে বলা যেতে পারে যে, আল্লাহ বান্দাদিগকে ইচ্ছাশক্তি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন : “যার ইচ্ছা বিশ্বাস করুক এবং যার ইচ্ছা কুফরী করক” (সূরা কাহফ ১৮ : ২৯)। সুতরাং বান্দা তার সে ইচ্ছাশক্তি দ্বারা যখন কোন কাজ করতে সংকল্পবদ্ধ হয়, তখন আল্লাহ তার সে কাজ করার শক্তি তার মধ্যে সৃষ্টি করে দেন। তাকদীরে বিশ্বাসের উপকারিতা ও তাকদীরে বিশ্বাস করার মধ্যেও নিহিত আছে অশেষ কল্যাণ।

এক : কোন কাজের আনুসঙ্গিক বিষয়াদি সম্পন্ন করার সময় আল্লাহর উপর ভরসা করার প্রেরণা আসে।

দুই : মনের সুখ ও অন্তরের প্রশান্তি লাভ। কেননা নিজ দায়িত্ব হিসেবে আনুসঙ্গিক বিষয়াদি সম্পন্ন করার পর অন্তর যখন এ কথা জানতে পারবে যে, সবই আল্লাহর ফায়সালা, তা অনাকাঙ্ক্ষিত যা ঘটার তা ঘটবেই, তখন মন নিশ্চিত থাকবে, অন্তর লাভ করবে প্রশান্তি, আল্লাহর ফায়সালায় থাকবে সন্তুষ্ট। অতএব তাকদীরে বিশ্বাসী একজন লোক সুন্দর জীবন, শক্তিশালী মন ও প্রশান্ত হৃদয়ের অধিকারী হয়।

তিন : উদ্দেশ্য হাসিল না হলে, কিংবা অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটলে অন্তরের অশান্তি ও অস্থিরতা দূর করা। কেননা বান্দার ভাগ্যে যা ঘটে তা আল্লাহরই ফায়সালা, যিনি যমীন ও আসমানের সার্বভৌমত্বের অধিকারী। তাঁর যা ফয়সালা তা হবেই। ফলে নেককার লোকেরাই ধৈর্যধারণ করে এবং পরকালে এর পুরস্কার কামনা করে। এদিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ ইরশাদ করেন :

“পৃথিবীতে অথবা ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের উপর যে বিপর্যয় আসে আমি তা সংঘটিত করার পূর্বেই উহা লিখে রেখেছি। আল্লাহর পক্ষে খুবই সহজ। এ জন্য যে, তোমরা যা হারিয়েছ তাতে যেন বিমর্ষ না হও এবং যা তিনি তোমাদিগকে দিয়েছেন তার জন্য হর্ষোৎফুলু না হও। আল্লাহ উদ্ধত ও অহংকারীদিগকে পছন্দ করেন না” (সূরা হাদীদ ৫৭ : ২২-২৩)।

তাকদীর নিয়ে তর্ক করা যাবে না :

প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ওয়াজিব হল, সে এই আকীদা পোষণ করবে যে, ভাল ও মন্দ সমস্ত কিছুই আল্লাহ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত ও নির্ধারিত। আর উহা তাঁর এলেমে ও ইচ্ছাতে আছে। কিন্তু ভাল ও মন্দ করার সামর্থ বান্দার ইচ্ছা অনুসারেই হয়। আর তার উপর ওয়াজিব হল আদেশ ও নিষেধ পালনে তৎপর হওয়া। তার জন্য এটা জায়েয হবে না কোন পাপ কর্ম করে এ কথা বলা যে, আল্লাহ আমার জন্য এই পাপকে নির্দিষ্ট করেছিলেন তাই করেছি।

নাউযুবিল্লাহ! আল্লাহ তাআলা রসূলদেরকে প্রেরণ করেছেন। আর তাদের উপর কিতাবসমূহ অবতীর্ণ করেছেন। যাতে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে সুখের রাস্তা ও দুঃখ কষ্টের রাস্তা। আর মানুষকে সম্মানীত করেছেন বুদ্ধি, জ্ঞান ও চিন্তাশক্তি দ্বারা। আর সাথে সাথে তাকে গোমরাহী ও হিদায়াতের রাস্তা শিখিয়েছেন।

আল্লাহ বলেন:

“আমি অবশ্যই তাকে পথ দেখিয়েছি। হয় সে কৃতজ্ঞ হবে, না হয় অকৃতজ্ঞ হবে।” (সূরা দাহর ৭৬ ৩) মানুষ যদি সলাত ত্যাগ করে বা কোন কবিরা গুনাহ করে তবে সে অবশ্যই শাস্তি পাবে আল্লাহর হুকুম ও নিষেধ অমান্যের কারণে। তখন তার কর্তব্য হল তওবা করা এবং অনুতপ্ত হওয়া। তখন কৃদরে লেখা আছে বলে রেহাই পেতে পারে না।

আরকানুল ঈমান এর Arabic versionটা হচ্ছে এরকম : আল্ ঈমানু বিল্লাহি, ওয়া মালায়িকাতিহি, ওয়া কুতুবিহি, ওয়া রসূলিহি, ওয়াল ইয়াউমিল আ-খিরি, ওয়াল ঈমানু বিল জ্বলরি খইরিহি, ওয়া শাররিহি (অর্থ : ঈমান আল্লাহর উপর, তাঁর ফিরিশতাগণের উপর, তাঁর কিতাবগুলোর উপর, তাঁর রসূলগণের উপর, শেষ দিনের (আ-খিরাতের) উপর, এবং ঈমান কদরের অর্থাৎ ভাগ্যের ভালো ও মন্দের উপর।) [সহীহ মুসলিমের হাদীস, উমার বিন আল-খাত্তাব (রা.) বর্ণিত]

Reference:

AL-AQIDAH AL-WASITIYYAH by Muhammad bin Salih Al Uthaimin (Volume 1, Page 71). Published by DARUSSALAM, Riyadh, Saudi Arabia.

Additional references for Six Articles of Faith:

1. AL-QUR'AN (English Translations of the Meanings of) by Muhammed Farooq-i-Azam Malik, The Institute of Islamic Knowledge, 3110 Eastside Drive, Houston, Texas, USA.

2. The NOBLE QUR'AN (Interpretation of the Meanings of - in the English Language) by Dr. Muhammad Taqi-ud-Din Al Hilali and Dr. Muhammad Muhsin Khan (One Volume, Page 975)

বাংলাদেশে আমরা ঈমানে মুফাস্সাল শিখেছি ও আমান্তু বিল্লাহি, ওয়া মালায়িকাতিহি, ওয়া কুতুবিহি, ওয়া রুসূলিহি, ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি, ওয়াল কুদরি খইরিহি ওয়া শাররিহি মিনাল্লাহি তা'য়ালা, ওয়ালবাসি বা'দাল মাউত। এখানে ইয়াওমিল আখিরি (আখিরাতের দিন) এবং ওয়ালবাসি বা'দাল মাউত (মৃত্যুর পর পুনর্জীবন লাভ) আলাদা আলাদা দেখানো হয়েছে বলেই কারো কারো মতে ঈমানের আরকান ছ'টি নয়, সাতটি। এ নিয়ে বিতর্কে যাওয়া বৃথা কারণ বিষয় দু'টি মূলতঃ এক, শুধু প্রকাশভংগীর ভিন্নতা মাত্র। পুনর্জীবন লাভ আখিরাতেই ঘটবে, সেটা আখিরাতের অংগ। যার যা বিশ্বাস সেটা নিয়ে চলতে দেয়াই উত্তম পন্থা কারণ এতে কারো ঈমানের কোন ক্ষতি বা ঘাটতি হচ্ছে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন