hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমানের স্বচ্ছ ধারণা

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

৬০
আমরা যে দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানি না, এইটাই আমরা জানি না
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ তা'আলার যিনি ক্যানাডার মতো একটি অমুসলিম দেশে এনে আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দিয়েছেন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশের মতো একটি মুসলিম প্রধান দেশে থেকেও আমরা দ্বীনের সঠিক বুঝ পাইনি অথচ এটা আমরা পেয়েছি অমুসলিম দেশ কানাডাতে এসে। বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষই আমরা যে দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানি না এইটাই আমরা জানি না। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই দ্বীন ইসলামের পূণ্যের কাজ মনে করে খুব বেশী বেশী ইসলাম বিরোধি কাজ নিয়মিত করে যাচ্ছি। আমরা কুরআন থেকে নিজেদেরকে অনেক দূরে সরিয়ে রেখে নিজেদের ইচ্ছেমতো জীবনযাপন করছি। কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়। ইসলাম অর্থ আল্লাহর আনুগত্য করা ও হুকুম পালন করে চলা। নিজেকে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্থন করে দেয়ার নাম হচ্ছে ইসলাম। আল্লাহর সম্মুখে নিজের স্বাধীনতাকে স্বেচ্ছায় পরিত্যাগ করার নাম ইসলাম। আল্লাহর বাদশাহী এবং আনুগতকে মাথানত করে স্বীকার করে নেয়ার নাম ইসলাম। যে ব্যক্তি নিজের সমস্ত কাজকর্মকে আল্লাহর হাতে সঁপে দেয়, সেই ব্যক্তি মুসলিম। আর যে ব্যক্তি নিজের সব ব্যাপারে নিজের ইচ্ছেমত সম্পন্ন করে কিংবা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারোর হাতে তা আত্মসমর্থন করে সে মুসলিম নয়। আল্লাহর হাতে সঁপে দেয়ার তাৎপর্য এই যে, তিনি তাঁর কিতাব এবং তাঁর নবীর দ্বারা যে হিদায়াত ও সৎপথের বিধান পাঠিয়েছেন, মানুষ তাকে পুরোপুরি কবুল করবে এবং তাতে বিন্দুমাত্র আপত্তি করতে পারবে না। জীবনের প্রত্যেকটি ব্যাপারে এবং কাজে শুধু কুরআন ও সুন্নাহর নিয়ম অনুসরণ করে চলবে। যে ব্যক্তি নিজের বুদ্ধি, দুনিয়ার প্রথা এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য সকলকেই কিছু পেছনে ফেলে রেখে এবং প্রত্যেক ব্যাপারেই কেবল আল্লাহর কিতাব ও রসূলের সুন্নাহর কাছে পথের সন্ধান জানতে চেয়ে জিজ্ঞেস করে যে, আমার কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়, আর সেখান হতে যে নিয়মই পাওয়া যাক না কেন বিনা আপত্তিতে তা মেনে নেয়, তার বিপরীত যা তা সবই সে অস্বীকার করে শুধু সেই ব্যক্তি মুসলিম। কারণ সে তা নিজেকে আল্লাহর কাছে একেবারে সঁপে দিয়েছে। আর এভাবে আল্লাহর হাতে নিজেকে সঁপে দিলেই মানুষ মুসলিম হতে পারে। এর বিপরীত--যে ব্যক্তি কুরআন ও সুন্নাহর উপর মোটেই নির্ভর করে না, বরং নিজের মন যা বলে তাই করে, কিংবা বাপ-দাদা হতে চলে আসা নিয়ম-কানুনের অনুসরণ করে চলে, কিংবা দুনিয়ায় যা কিছু হচ্ছে সে-ও তাই করে, নিজের কোনো ব্যাপারেই সে কুরআন ও হাদীসের কাছে জিজ্ঞেস করে না যে, তার কী করা উচিত, কুরআন ও সুন্নাহর বিধান জেনে সে বলে ওঠে যে, আমার বুদ্ধি তা গ্রহণ করতে চায় না, তাই আমি তা মানি না, অথবা বাপ-দাদার কাল হতে তার উল্টা নিয়ম চলে আসছে কাজেই তার অনুসরণ করব না; কিংবা দুনিয়ার নিয়ম তার বিপরীত, তাই আমি সেই নিয়ম অনুসারেই চলবো, তবে সেই ব্যক্তি কিছুতেই মুসলিম হতে পারে না। আল্লাহর আইন আমার জন্য একমাত্র আইন : আমি যখন কালিমা 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ’ পড়ি এবং মুসলিম হওয়ার কথা স্বীকার করি, তখন আমি তার মধ্য দিয়ে একথাও স্বীকার করে থাকি যে, আমার আল্লাহর আইন আমার জন্য একমাত্র আইন; আল্লাহই আমার প্রভু ও আদেশ কর্তা। তখন আমার শুধু আল্লাহরই আনুগত্য করতে হবে। আমার কাছে শুধু সেই বিধানই সত্য বিধানরূপে স্বীকৃতি পাবে যা আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর রসূলের সাহায্যে পাওয়া যায়। এর অর্থ এই যে, আমি মুসলিম হওয়ার সাথে সাথে আল্লাহর সামনে নিজের ইচেছ বিসর্জন দিয়েছি। অতঃপর আমার নিজের স্বতন্ত্র মত বলতে কিছুই থাকতে পারে না, দুনিয়ার বিভিন্ন প্রথা বা পারিবারিক নিয়ম-রীতিরও কোনোই গুরুত্ব থাকতে পারে না ।

অথবা অমুক এবং অমুক বুযুর্গ সাহেব কী বলেছেন, আল্লাহর কালাম এবং তাঁর রসূলের সুন্নাতের মোকাবিলায় এ ধরনের কোনো কথাই আমি এখন পেশ করতে পারি না। আমার প্রত্যেকটি বিষয়ই কুরআন ও সুন্নাহর সামনে পেশ করাই এখন আমার একমাত্র কাজ। যা তার অনুরূপ হবে না আমি তা উঠিয়ে দূরে নিক্ষেপ করবো তা যারই প্রথা হোক না কেন। নিজেকে মুসলিম বলা এবং তারপর কুরআন ও হাদীসকে বাদ দিয়ে নিজের মত, দুনিয়ার প্রথা কিংবা মানুষের কোনো কথা বা কাজের অনুসরণ করা সম্পূর্ণরূপে পরস্পর বিরোধী।

কোনো অন্ধ ব্যক্তি যেমন নিজেকে চোখওয়ালা বলতে পারে না, কোনো নাকহীন ব্যক্তি যেমন নিজেকে নাকওয়ালা বলতে পারে না, ঠিক তেমনি যে ব্যক্তি নিজের সমস্ত কাজকর্ম কুরআন হাদীস অনুসারে সমাধা করে না, বরং তা পরিত্যাগ করে নিজের বুদ্ধি বা দুনিয়ার প্রথা অথবা কোনো ব্যক্তি বিশেষের কথা বা কাজের অনুসরণ করে চলে--সে কিছুতেই নিজেকে মুসলিম বলতে পারে না।

ইসলামের সীমা :

কেউ যদি নিজে মুসলিম থাকতে না চায়, তবে তার মুসলিম থাকার জন্য তার উপর জোর-জবরদস্তি করতে পারে না। যে কোনো ধর্ম গ্রহণ করা এবং যে কোনো নাম ধারণ করার স্বাধীনতা প্রত্যেকটি মানুষেরই রয়েছে। কিন্তু কোনো মানুষ যখন নিজেকে মুসলিম বলে পরিচয় দেয়, তখন তার একথা খুব ভালো করে বুঝে নেয়া উচিত যে, সে ঠিক ততক্ষণ পর্যন্ত মুসলিম থাকতে পারে, যতক্ষণ সে ইসলামের সীমার মধ্যে থাকবে। আল্লাহর কালাম এবং তাঁর রসূলের হাদীসকে সত্য ও মঙ্গলের একমাত্র মাপকাঠিরূপে গ্রহণ করা এবং এর বিরোধী প্রত্যেকটি জিনিসকে বাতিল ও মিথ্যা মনে করাই হচ্ছে ইসলামের সীমা। এ সীমার মধ্যে যে থাকবে সে মুসলিম; এটা যে লংঘন করবে সে ইসলাম হতে বিচ্যুত-বহির্ভূত হয়ে পড়বে। তারপরও সে যদি নিজেকে মুসলিম মনে করে এবং মুসলিম বলে দাবী করে, তবে সে নিজেকেও ধোঁকা দিচ্ছে, আর দুনিয়াকেও ধোঁকা দিচ্ছে সন্দেহ নেই।

আমাদের নিজেদের অভিজ্ঞতা :

আমরা ক্যানাডা আসার আগে বাংলাদেশে নিজেদের মতো ইসলাম পালন করতাম যেভাবে অন্যেরা পালন করে থাকে। ইসলামের উপর তেমন একটা পড়াশোনা ছিল না চার-পাঁচটা বই ছাড়া তাও আবার সহীহ নয়। যা হোক, অন্যান্যদের মতো আমরাও মনে করতাম যে জান্নাত পাওয়া তো খুবই সহজ এবং জান্নাতে তো অবশ্যই যাচ্ছি। কানাডা আসার পর যখন সঠিক ইসলামের দেখা পেলাম তখন অথেন্টিক সোর্স থেকে নিয়মিত পড়াশোনা শুরু করলাম। যতো পড়ি দেখি তো জানি না। আগে পড়াশোনা ছিল না তখন মনে হতো ইসলাম সম্পর্কে জানি। কিন্তু এখন দেখছি আসলে কিছু জানি না। যতো পড়ি দেখি তো জানি না। তখন বুঝতে পারলাম যে, আমরা যে জানি না তা বুঝার জন্য একটি লেভেল অফ নলেজ প্রয়োজন। আমরা আসলে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ জানি না যে আমরা ইসলাম সম্পর্কে জানি না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন