মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আমরা সকলে জানি যে, মানুষ দুনিয়ায় যে কাজই করুক না কেন, তার মূলে একটা উদ্দেশ্য নিশ্চয়ই বর্তমান থাকে এবং কিছু না কিছু উপকার পাবার জন্যই মানুষ সে কাজ করে থাকে। বিনা উদ্দেশ্যে, বিনা গরজে এবং বিনা উপকারিতায় কোনো কাজ কেউই করে না। আমরা পানি পান করি কেন? পান করি এ জন্য যে, তাতে আমাদের পিপাসা নিবারণ হয়। কিন্তু পানি পান করার পরও যদি আমাদের পিপাসা না মিটতো তবে আমরা কিছুতেই পানি পান করতাম না। কারণ, এ পানি পান করার কোনো ফল নেই। আমরা খাদ্যদ্রব্য কেন খাই? এ উদ্দেশ্যে যে, তাতে আমাদের ক্ষুধার নিবৃত্তি হবে এবং আমাদের জীবনীশক্তি বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু আহার ও অনাহার উভয়েরই ফল যদি একরূপ হয়, তবে খাদ্য ভক্ষণের কাজটাকে আমরা একটা বাজে কাজ বলে মনে করতাম। রোগ হলে আমরা ওষুধ সেবন করি এ জন্য যে, তাতে রোগ দূর হয়ে যাবে এবং আমরা সুস্থ হবো; কিন্তু ওষুধ সেবন করার পরও যদি রোগ দূর না হয়, বরং পূর্বের মতোই অবস্থা বর্তমান থাকে তাহলে আমরা অবশ্যই বলবো, এ ওষুধ সেবন করা সম্পূর্ণ নিস্ফল। কৃষি কাজে আমরা এত পরিশ্রম করি কেন? করি এ জন্য যে, আমরা এর দ্বারা শস্য, ফল ও নানারকমের তরিতরকারী পেতে পারবো। কিন্তু বীজ বপন করার পরও যদি জমিতে কোনো শস্য না হয় তবে আমরা হাল চাষ, বীজ বোনা এবং তাতে পানি দেয়ার জন্য এতদূর কষ্ট কিছুতেই স্বীকার করতাম না। মোটকথা দুনিয়ায় আমরা যে কাজই করি না কেন, তাতে উদ্দেশ্য সফল হলে কাজ ঠিকমত হয়েছে বলে মনে করা হয়। আর উদ্দেশ্য ব্যর্থ হলে আমরা বলি যে, কাজ ঠিকমত করা হয়নি।
প্রথম প্রশ্ন এই যে, কালিমা পড়া হয় কেন? এ প্রশ্নের উত্তরে এককথায় বলতে পারি যে, কালিমা পড়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে এর দ্বারা কাফির ও মুসলিমের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করা। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয় যে, কাফির ও মুসলিমের মধ্যে পার্থক্য করার অর্থ কী? এর অর্থ কি এই যে, কাফিরের দুটি চোখ, কাজেই মুসলিম কালিমা পড়লে তার চারটি চোখ হবে? অথবা কাফিরের মাথা একটি কাজেই মুসলিমের মাথা দুটি হবে? ... আমরা নিশ্চয়ই বলবো যে, না এখানে দৈহিক পার্থক্যের কথা বলা হচ্ছে না। পার্থক্য হওয়ার আসল অর্থ এই যে, কাফিরের পরিণাম ও মুসলিমের পরিণাম পার্থক্য হবে। কাফিরের পরিণাম এই যে, পরকালে সে আল্লাহর রহমত হতে বঞ্চিত হবে এবং তার জীবনের উদ্দেশ্য বিফল হয়ে যাবে। আর মুসলিমের পরিণাম এই যে, সে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে পারবে এবং পরকালে সে সফল হবে- মহাসুখে জীবনযাপন করবে।
এখন আবার প্রশ্ন : পরকাল কাকে বলে? পরকাল বিফল ও সার্থক হওয়ার অর্থ কী? আর সেখানে সফলতা লাভের তাৎপর্য-ই বা কী?
একথাগুলো ভাল করে বুঝে নিতে হবে। এ প্রশ্নের উত্তর আমরা পূর্বেই পেয়েছি যে : “ইহকাল পরকালের কৃষি ক্ষেত।” দুনিয়া ও আখিরাত দু'টি ভিন্ন জিনিস নয়। উভয়ই মানুষের একই রাস্তার দু'টি স্টেশন। দুনিয়া এই রাস্তার প্রথম স্টেশন, আর আখিরাত সর্বশেষ স্টেশন।
জমি চাষ করা এবং তা হতে ফসল পাওয়ার মধ্যে যে সম্পর্ক এ দুনিয়া ও আখিরাতের মধ্যে ঠিক সে সম্পর্কই বিদ্যমান। আমরা জমিতে হাল-চাষ করি, তার পরে বীজ বপন করি, দরকার হলে তাতে পানি দেই, তারপরে আমরা ফসল পেতে থাকি। সেই ফসল ঘরে এনে তা আমরা সারা বছর নিশ্চিত হয়ে খেতে থাকি। আমি জমিতে যে জিনিসেরই চাষ করবো, ফলও তারই পাবো। ধান বপন করলে ধান পাবো, পাট বপন করলে পাট পাবো, গম বপন করলে গমেরই ফসল পাবো, কাটার গাছ যদি বপন করি, তবে কাটার গাছই আমার ক্ষেতে জন্মাবে। আর যদি কিছুই বপন না করি, তবে আমার ক্ষেতে কিছুই জন্মাবে না। তারপর হাল-চাষ করতে, বীজ বপন করতে, তাতে দরকার মত পানি দিতে এবং ক্ষেতের দেখাশুনা করতে যে ভুল-ত্রুটি আমার দ্বারা হয় তার মন্দ ফল আমার ফসল কাটার সময়ই জানতে পারি। আর এসব কাজ যদি আমি খুব ভালভাবে করে থাকি, তবে ফসল কাটার সময়ই আমি এর বাস্তব ফল দেখতে পাবো।
দুনিয়া ও আখিরাতের অবস্থাও ঠিক এরূপ। দুনিয়াকে মনে করি একটা শষ্য ক্ষেত। এখানে নিজের পরিশ্রম ও চেষ্টার দ্বারা নিজের জন্য ফসল উৎপন্ন করার উদ্দেশ্যে মানুষকে পাঠান হয়েছে। জন্ম হতে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষকে এ কাজের জন্য সময় দেয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে মানুষ যে ফসলেরই চাষ করে, সেই ফসলই সে মৃত্যুর পর পরকালের জীবনে পেতে পারবে, আর যে ফসলই সেখানে পাবে তার পরকালীন জীবন একমাত্র তারই উপর নির্ভর করবে। যদি কেউ দুনিয়ায় জীবনভর ভাল ফসলের চাষ করে, তাতে দরকার মত পানি দেয় এবং তার দেখাশুনাও যদি খুব ভালভাবে করে, তবে পরকালের জীবনে সে যখনই পা রাখবে, তখনই তার পরিশ্রমের ফল স্বরূপ একটি ফলেফুলে ভরা শ্যামল বাগিচা দেখতে পাবে। তাকে এ পরকালের জীবনে আর কোনো পরিশ্রম করতে হবে না, বরং দুনিয়ায় জীবন ভর পরিশ্রম করে যে বাগান সে তৈরী করেছে, সেই বাগানের অফুরন্ত ফলেই তার জীবন সুখে ও স্বাচ্ছন্দ্যে অতিবাহিত হবে। এ জিনিসেরই নাম হচ্ছে জান্নাত। এটা লাভ করতে পারলেই বুঝতে হবে যে, পরকালে সে সফল হয়েছে।
কিন্তু যে ব্যক্তি তার দুনিয়ার জীবনে কেবল কাঁটা, তিক্ত ও বিষাক্ত ফলের বীজ বপন করে, পরকালের জীবনে শুধু তারই ফসল পাবে। সেখানে খারাপ ফসল নষ্ট করে দিয়ে ভাল ফসল তৈরী করার এবং নিজের এ নির্বুদ্ধিতার পরিবর্তে বুদ্ধিমানের মত কাজ করার কোনো সুযোগ বা সময় সে আর পাবে না। সেই খারাপ ফসলের দ্বারাই পরকালের সমস্ত জীবন কাটাতে হবে, কারণ দুনিয়ায় সে শুধু এরই চাষ করেছে। যে কাঁটা সে রোপণ করেছিল, পরকালে তাকে সেই কাটার শষ্যায়ই শায়িত করা হবে। আর যে তিক্ত ও বিষাক্ত ফলের চাষ করেছিল, সেখানে তাঁকে তাই ভোগ করতে হবে। পরকালে ব্যর্থ ও বিফল হওয়ার অর্থ এটাই।
আখিরাতের ব্যাখ্যা কুরআন ও হাদীস হতেও এটাই প্রমাণিত হয়। এ ব্যাখ্যা হতে নিঃসন্দেহে জানা গেল যে, পরকালের জীবনে মানুষের বিফল কিংবা সফল হওয়া এবং তার পরিণাম ভাল কিংবা মন্দ হওয়া প্রকৃতপক্ষে তার এ দুনিয়ার জীবনের ইলম ও আমল, জ্ঞান ও কাজের ভাল কিংবা মন্দ হওয়ারই একমাত্র ফল এতে কোনো সন্দেহ নেই। একথাটি বুঝে নেয়ার সাথে সাথে একথাটিও অতি সহজেই বুঝতে পারবো যে, মুসলিম ও কাফিরের পরিণাম ফলের পার্থক্য বিনা কারণে হতে পারে না। প্রকৃতপক্ষে পরিণামের পার্থক্য প্রথম সূচনার পার্থক্যের ফলমাত্র। দুনিয়ায় যদি মুসলিম এবং কাফিরের জ্ঞান ও কাজের পার্থক্য না হয়, তবে পরকালেও তাদের পরিণামের দিক দিয়ে কোনোই পার্থক্য হতে পারে না। দুনিয়ায় এক ব্যক্তির জ্ঞান ও কাজ ঠিক একজন কাফিরের জ্ঞান ও কাজের মতই হবে অথচ পরকালে কাফিরের দুঃখময় পরিণাম হতে সে বেঁচে যাবে, এটা কিছুতেই হতে পারে না।
এখন আবার সেই গোড়ার প্রশ্ন জেগে ওঠে যে, কালিমা পড়ার উদ্দেশ্য কী? প্রথমে এ প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় যে, কাফিরের পরিণাম ও মুসলিমের পরিণামে পার্থক্য হওয়াই কালিমা পড়ার একমাত্র উদ্দেশ্য। তারপরে পরিণাম ও পরকালের যে ব্যাখ্যা দেখলাম সেই অনুসারে আবার একটু ভেবে দেখতে হবে এবং এখন একথাই বলতে হবে যে, কালিমা পড়ার উদ্দেশ্য দুনিয়ার মানুষের ইলম বা জ্ঞান ও কাজকে ঠিক এমনভাবে করা- যেন পরকালে তার পরিণাম ভালো হয়। পরকাল মানুষকে এ দুনিয়ায় সেই ফলের বাগান তৈরীর কাজ শিক্ষা দেয়। মানুষ যদি এ কালিমাকেই স্বীকার না করে তবে সেই বাগান করার নিয়ম সে মোটেই জানতে পারবে না। তাহলে সে বাগানই বা তৈরী করবে কী করে, আর পরকালে সে কিসের ফল ভোগ করবে? মানুষ যদি কেবল মুখে মুখেই এ কালিমা পড়ে, কিন্তু তার জ্ঞান যদি কালিমা না পড়া ব্যক্তির মতো হয় এবং তার কাজকর্ম যদি একজন কাফিরের মতো হয়, তাহলে তার বিবেক বলে উঠবে যে, এভাবে কালিমা পড়ায় কোনোই লাভ নেই। এমন ব্যক্তির পরিণাম একজন কাফিরের পরিণামের চেয়ে ভাল হবার কোনো কারণ থাকতে পারে না। শুধু মুখ দিয়ে কালিমা পড়ে আল্লাহর উপর সে কোনো অনুগ্রহ করেনি। কাজেই বাগান বানাবার নিয়ম না শিখে, বাগান তৈরী না করে এবং সারা জীবন কেবল কাঁটার চাষ করে কোনো মানুষই পরকালের সবুজ শ্যামল ও ফুলে-ফলে ভরা বাগান লাভ করতে পারে না। সেরূপ ধারণা করাও আকাশকুসুম কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়।
পূর্বে কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে বুঝানো হয়েছে যে, যে কাজ করা এবং না করা উভয়েরই ফল এক রকম, সেই কাজের কোনো দাম নেই, তা একেবারেই অর্থহীন। যে ঔষুধ সেবন করার পরও রুগীর অবস্থা ঠিক সেই রকম থাকে যেমন ছিল ঔষুধ পান করার পূর্বে। ঠিক এ রকমই কালিমা পড়া মানুষের জ্ঞান এবং কাজ যদি ঠিক কালিমা না পড়া লোকদের মতোই থাকে তবে এমন কালিমা পড়া একেবারেই অর্থহীন। দুনিয়ায়ই যখন কাফির ও মুসলিমের বাস্তব জীবনধারায় কোনোরূপ পার্থক্য হলো না তখন পরকালে তাদের পরিণাম ফল ভিন্ন ভিন্ন হবে কেন? এখন কালিমায়ে তাইয়্যিবা মানুষকে কোন ধরনের শিক্ষা দেয় এবং সেই জ্ঞান শেখার পর মুসলিম ও কাফিরের দৈনন্দিন কাজে কোন ধরনের পার্থক্য হওয়া বাঞ্ছনীয় তারই আলোচনা করা যাক।
এ কালিমা হতে আমি সর্বপ্রথম জানতে পারি যে, আমি আল্লাহর বান্দা, আর কারো বান্দা আমি নই। একথা যখন আমি জানতে পারলাম তখন একথাও আমার জানা হয়ে গেল যে, আমি যার বান্দা দুনিয়ায় তাঁরই ইচ্ছামত আমাকে কাজ করতে হবে। কারণ তাঁর ইচ্ছার বাইরে যদি আমি চলি বা কাজ করি, তবে আমার মালিকের বিরুদ্ধে আমার বিদ্রোহ করা হবে।
অতএব এ কালিমা আমাকে শিক্ষা দেয় যে, মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর রসূল। একথা জেনে নেয়ার সাথে সাথে একথাও আমি জানতে পারলাম যে, আল্লাহর রসূল দুনিয়ার ক্ষেতে কাঁটা ও বিষাক্ত ফলের চাষ করার পরিবর্তে ফুল ও মিষ্টি ফলের বাগান রচনা করার যে নিয়ম দেখিয়ে দিয়েছেন, আমাকেও ঠিক সেই নিয়মেই কাজ করতে হবে। আমি যদি সেই নিয়ম অনুসরণ করি, তাহলেই পরকালে আমি ভাল ফসল পেতে পারবো। আর যদি তার বিপরীত পন্থায় কাজ করি, তবে দুনিয়ায় আমার কাঁটার চাষ করা হবে এবং পরকালে ঠিক কাঁটাই আমি ফসলরূপে পাবো, অন্য কিছু নয়।
এ জ্ঞান লাভের পর আমার দৈনন্দিন জীবনধারাকেও সেই অনুসারে গঠন করতে হবে। আমি যদি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আমাকে একদিন মরতে হবে, মরার পরে এক ভিন্ন রকমের জীবনযাপন করতে হবে এবং সেই জীবনেও আমাকে এ দুনিয়ায় অর্জিত ফসলের উপর নির্ভর করে চলতে হবে, তাহলে মুহাম্মাদ (ﷺ)- এর উপস্থাপিত নিয়ম ও বিধান অনুসরণ না করে অন্য কোনো পন্থা অনুযায়ী চলা আমার পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। দুনিয়ায় আমি চাষাবাদ করি কেন? করি এ জন্য যে, চাষ না করলে ফসল পাওয়া যাবে না। আর ফসল না হলে না খেয়ে কষ্ট পেতে হবে- একথার প্রতি আমার খুবই বিশ্বাস আছে। আমি যদি একথা বিশ্বাস না করতাম এবং যদি মনে করতাম যে, চাষ না করলেও ফসল ফলবে। কিংবা ফসল ছাড়াও আমি বেঁচে থাকতে পারবো, তাহলে আমি চাষাবাদের জন্য এত পরিশ্রম কিছুতেই করতাম না।
এখন নিজের সম্বন্ধে নিজে চিন্তা করি। যে ব্যক্তি আল্লাহকে নিজের প্রভু ও মুহাম্মাদ (ﷺ) -কে আল্লাহর রসূল মুখে মুখে স্বীকার করে এবং আখিরাতের উপর বিশ্বাস আছে বলে দাবী করে কিন্তু তার দৈনন্দিন জীবনে কাজকর্ম আল্লাহর কুরআন ও রসূল (ﷺ) -এর হাদীসের সম্পূর্ণ বিপরীত ধারায় চলে, তার সম্বন্ধে জেনে রাখা প্রয়োজন যে, তার ঈমান প্রকৃতপক্ষে অতিশয় দুর্বল। সে নিজের ক্ষেতের কাজ না করার মন্দ পরিণাম যেরূপ নিশ্চয়তার সাথে বিশ্বাস করে, যদি ততটুকু নিশ্চয়তার সাথে আখিরাতের জন্য ফসল তৈরী না করার দুঃখময় পরিণাম বিশ্বাস করতো, তবে কখনই সে পরকালের কাজে এরূপ অবহেলা প্রদর্শন করতে পারতো না। কেউ জেনে শুনে নিজের ভবিষ্যতের জন্য কাঁটা বীজের চাষ করে না। যে ব্যক্তি বিশ্বাস করে না যে, কাঁটা রোপন করলে তা হতে কাটাই জন্মাবে, আর সেই বাঁটাই তাকে কষ্ট দেবে একমাত্র সেই ব্যক্তিই কাঁটা চাষ করতে পারে অন্য কেউ নয়। আমি জেনে শুনে আমার হাতে জ্বলন্ত অংগার কখনই নিতে পারি না। কারণ আমি নিশ্চিত জানি যে, এতে হাত পুড়ে যাবে। কিন্তু একটি অবুঝ শিশু আগুনে হাত দেয়, কেননা তার পরিণাম যে কত কষ্টদায়ক তা সে আদৌ জানে না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/22/34
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।