hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমানের স্বচ্ছ ধারণা

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

৩২
আল্লাহ সবকিছুর মালিক এর অর্থ কী?
আল্লাহ আমাদের এবং প্রত্যেক জিনিসেরই মালিক একথা আমরা স্বীকার করেছি। কিন্তু এর অর্থ কী? এর অর্থ এই যে, আমাদের জান-মাল আমাদের নিজ দেহ আল্লাহর। আমাদের হাত, কান এবং আমাদের দেহের কোনো একটা অঙ্গও আমাদের নিজের নয়। যে জমি আমরা চাষাবাদ করি, যে গাড়ি আমরা চালাই, যে বাড়িতে আমরা বসবাস করি, যেসব জিনিস-পত্র আমরা সবসময় ব্যবহার করি, এদের কোনোটাই আমাদের নিজের নয়। সবকিছুই আল্লাহর মালিকানা এবং আল্লাহর দান হিসেবেই এগুলো আমরা পেয়েছি। একথা স্বীকার করার পর আমাদের একথা বলার কি অধিকার থাকতে পারে যে, জান-প্রাণ আমার, শরীর আমার, মাল আমার, অমুক জিনিস আমার। অন্য একজনকে কোনো জিনিসের মালিক বলে ঘোষণা করার পর তার জিনিসকে আবার নিজের বলে দাবী করা সম্পূর্ণ অর্থহীন। যদি বাস্তবিকই আল্লাহকে দুনিয়ার সমস্ত জিনিসের মালিক মনে করি, তবে তা হতে আপনা আপনি দুটি জিনিস আমাদের উপর এসে পড়ে।

প্রথম এই যে, আল্লাহ-ই যখন মালিক আর তিনি তাঁর মালিকানার জিনিস আমানত স্বরূপ আমাদেরকে দিয়েছেন, তখন সেই মালিকের হুকুম মতোই আমাদের সে জিনিসগুলো ব্যবহার করতে হবে। তাঁর ইচ্ছার বিপরীত কাজ যদি এর দ্বারা করি, তাহলে নিশ্চয়ই আমরা আমানতের খিয়ানত করছি। আমাদের হাত-পা পর্যন্ত সেই মালিকের ইচ্ছার বিপরীত কাজে ব্যবহার করার কোনো অধিকার আমাদের নেই। আমাদের চোখ দ্বারাও কোন নিষিদ্ধ জিনিস দেখতে পারি না, যা তাঁর ইচ্ছার বিপরীত। আমাদের এ জমি-জায়গাকে মালিকের বিধানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার আমাদের কোনোই অধিকার নেই। আমাদের যে স্ত্রী বা স্বামী এবং সন্তানকে নিজেদের বলে দাবী করি, তাদেরকে আল্লাহ আমাদেরকে দান করেছেন বলেই তারা আমাদের আপন হয়েছে।

কাজেই তাদের সাথে আমাদের ইচ্ছামত নয়- মালিকেরই আদেশ মত ব্যবহার করা কর্তব্য। তার মতের উলটা যদি ব্যবহার করি, তবে আমরা অবাধ্য বলে অভিহিত হবার যোগ্য। পরের জিনিস হরণ করলে পরের জায়গা শক্তির বলে দখল করলে আমরা তাকে বলি, যালিম; সেরূপ আল্লাহর দেয়া জিনিসকে নিজের মনে করে নিজের ইচ্ছা কিংবা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারোও ইচ্ছামত যদি ব্যবহার করি, তবে সেই যুলুমের অপরাধে আমরাও অপরাধী হবো। মালিকের ইচ্ছা অনুসারে কাজ করলেও যদিও আমাদের কোনো ক্ষতি হয় হোক, জান চলে যায় যাক, হাত-পা ভেংগে যায় যাক, সন্তানের ক্ষতি হয় হোক, টাকা-পয়সা ও জায়গা-জমি লস হয়ে যায় যাক, আমরা সেই জন্য কোনো দুশ্চিন্তা করবো না। জিনিসের মালিকই যদি এর ক্ষয় বা ক্ষতি পছন্দ করেন, তবে তা কার তাঁর অধিকার আছে, তবে হাঁ, মালিকের ইচ্ছার বিপরীত যদি আমরা করি, আর তাতে যদি কোনো জিনিসের ক্ষতি হয়ে পড়ে, তবে সে জন্য আমরাই অপরাধী হবো, সন্দেহ নেই। কারণ পরের জিনিস আমরা নষ্ট করেছি। আমরা আমাদের জানকে পর্যন্ত নিজের ইচ্ছামত ব্যবহার করতে পারি না। মালিকের ইচ্ছা অনুসারে জান কুরবানী করলে মালিকেরই হক আদায় হবে, তাঁর মতের উলটা কাজে প্রাণ দিলে মস্তবড় যুলুম করা হবে।

দ্বিতীয় কথা এই যে, মালিক যে জিনিসই আমাকে দান করেছে, তা যদি সেই মালিকের কাজেই ব্যবহার করি, তবে তার দ্বারা কারোও প্রতি কোনো অনুগ্রহ হতে পারে না- মালিকের প্রতিও নয়। এ পথে যদি আমরা কিছু দান করলাম, কোনো খেদমত করলাম, কিংবা আমাদের প্রিয়বস্তু কুরবানী করলাম, তবে তা কারোও প্রতি আমাদের একবিন্দু অনুগ্রহ নয়। আমাদের প্রতি মালিকের যে ‘হক’ ছিল এর দ্বারা শুধু তাই আদায় করলাম মাত্র। এতে গৌরব বা অহংকার করার মত কিংবা তারীফ বা প্রশংসা পাবার মতো কিছু নেই। মনে রাখতে হবে, মুসলিম ব্যক্তি মালিকের পথে কিছু খরচ করে কিংবা তার কিছু কাজ করে কিছুমাত্র গৌরব বোধ করে না, বরং সে বিনয় ও নম্রতা অবলম্বন করে; গৌরব বা অহংকার ভাল কাজকে নষ্ট করে দেয়। যে ব্যক্তি প্রশংসা পাবার আশা করে এবং শুধু সে উদ্দেশ্যেই ভাল কাজ করে কারণ সে তার কাজের প্রতিফল এ দুনিয়াতেই পেতে চাচ্ছে, আর তাই সে পেয়েছে। নিখিল দুনিয়ার মালিক আল্লাহর অনুগ্রহ দেখি, তিনি তাঁর নিজের জিনিস আমাদের কাছ থেকে গ্রহণ করেন, আর বলেন যে, এ জিনিস তোমাদের কাছ থেকে আমি ক্রয় করলাম এবং তার মূল্যও তোমাদেরকে দেব। আল্লাহু আকবার। আল্লাহর দান ও অনুগ্রহের কি কোনো সীমা-পরিসীমা আছে। কুরআনে বলা হয়েছে :

إن الله اشي من المؤمنيين أنفسهم وأموالهم بأن لهة الجنة

“আল্লাহ ঈমানদার ব্যক্তিদের কাছ থেকে তাদের জান ও মাল খরিদ করেছেন এবং তার বিনিময়ে তাদের জন্য জান্নাত নির্দিষ্ট করে রেখেছেন।” (সূরা আত তাওবা ৯ : ১১১)

আমাদের সাথে মালিকের এরূপ ব্যবহার! কিন্তু আমি তার সাথে কিরূপ ব্যবহার করছি? তা একবার বিচার করে দেখি। মালিক যে বস্তু আমাদেরকে দিয়েছেন, তারপর সেই মালিক সে জিনিস মূল্য দিয়ে আমাদের কাছ থেকে ক্রয় করছেন,

সে জিনিসকে আমরা অন্যের কাছে বিক্রি করছি, আর খুবই সামান্য মূল্যের। বিনিময়ে বিক্রি করছি। যার কাছে বিক্রি করছি সে মালিকের ইচ্ছার উলটা কাজে আমাদের সেসব জিনিসকে ব্যবহার করে, আর আমরা তাদেরকে আমাদের রিযিকদাতা মনে করে তাদের কাজ করে থাকি। মূলতঃ আমাদের দেহের শক্তিগুলো এমনভাবে বিক্রি করার কোনো অধিকার আমাদের নেই। আল্লাহদ্রোহী শক্তি যা কিছু কিনতে চায়, আমরা তাই তাদের কাছে বিক্রি করি, তা অপেক্ষা বড় দুনীর্তি আর কী হতে পারে? একবার বিক্রি করা জিনিসকে পুনরায় অন্যের কাছে বিক্রি করা আইনত এবং নীতিগতভাবে অপরাধ। দুনিয়ায় এজন্য আমার বিরুদ্ধে প্রবঞ্চনার মামলা চলতে পারে। আমরা কি মনে করি আল্লাহর আদালতে এ বিষয়ে মামলা চলবে না?

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন