hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমানের স্বচ্ছ ধারণা

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

৯৯
ইকামাতে দ্বীন
ইকামাতে দ্বীন অর্থ আল্লাহর প্রেরিত বিধানকে সমাজে-রাষ্ট্রে বাস্তবায়িত করা বা প্রতিষ্ঠিত করা। আল কুরআনে কথাটি অনেক বার ব্যবহার করা হয়েছে। আকিমুস সলাত’ (ইকামাতুস সলাত) অর্থাৎ ‘সলাত প্রতিষ্ঠা কর’ অর্থাৎ সলাত চালু কর। ফরয সলাতের পূর্বে মুয়াযযিন ইকামাত দেয় বা তাকবীর বলে। এর শেষ দিকে বলা হয় সলাত দাঁড়িয়ে গেছে বা সলাত শুরু হয়েছে।

সলাতের মাসয়ালা শেখা, সলাত জানা বা সলাতের ওয়ায করাকে ইকামাতে সলাত বলে না। বাস্তবে সলাত চালু হয়ে যাওয়াকেই ইকামাতে সলাত বলে। কোন ব্যক্তির জীবনে সলাত প্রতিষ্ঠা হওয়ার অর্থ হলো যে, সে নিয়মিত, সময় মত, জামায়াতে সঠিক নিয়মে সলাত আদায় করে। কোন মহল্লায় সলাত প্রতিষ্ঠা হওয়ার অর্থ মহল্লায় মসজিদ প্রতিষ্ঠা হওয়া, পাঁচ ওয়াক্ত সেখানে জামায়াত চালু হওয়া এবং মহল্লার অধিকাংশ লোকের জামায়াতে শরীক হওয়া। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হওয়া অর্থ হলো বাস্তবে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ নামে একটি রাষ্ট্র স্থাপিত হওয়া। একটা কারখানা প্রতিষ্ঠা হওয়া অর্থ কারখানা চালু হওয়া। ঠিক তেমনি দেশে দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠা হওয়া অর্থ হলো সরকার ও জনগণের যাবতীয় কাজকর্ম কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী চলা।

আকিমুস্ সলার মতোই আকিমুদ্দিন থেকে ‘ইকামাতে দ্বীন’। এটি এমন একটি পরিভাষা যার অর্থ বাংলায় বিভিন্নভাবে প্রকাশ করা যায়। আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করা’ বা ‘দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা’ বললে এর সহজ অনুবাদ হতে পারে। ইসলামী রাষ্ট্র, ইসলামী হুকুমাত, ইসলামী সমাজ ইত্যাদির যে কোন একটা কথার সাথে প্রতিষ্ঠা করা কথাটি যোগ করলে ‘ইকামাতে দ্বীন পরিভাষাটিরই অর্থ বুঝায়।

ইকামাতে দ্বীনের মর্ম সঠিকভাবে বুঝবার জন্য বাস্তব উদাহরণ দরকার। আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের উদাহরণ দিলেই বিষয়টা সহজ হবে। সবাই একথা স্বীকার করতে বাধ্য হবে যে, বাংলাদেশে কুরআনের আইন ও রসূলের আদর্শ প্রতিষ্ঠিত নেই। এ দেশটি ইসলামী রাষ্ট্র নয় যদিও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট। সরকারও ইসলামী নয়। দেশের ব্যবসা ও বাণিজ্য, ব্যাংক ও বীমা, আদালত ও কোর্ট, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, রাজনীতি ও অর্থনীতি, দেশীয় ও বৈদেশিক নীতি ইত্যাদির কোনটাই ইসলামী বিধান দ্বারা পরিচালিত নয়। কিন্তু এসবই তো চলছে।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে যে, কোন আদর্শ, নীতি বা বিধান অনুযায়ী দেশের রাষ্ট্র, সরকার ও অন্যান্য সবকিছু চলছে? আল্লাহর আনুগত্য করাই একমাত্র সত্য পথ। সমাজে একজন অন্যজনের আনুগত্য না করলে কোন সমাজই চলতে পারে না। ইসলামের দাবী হলো যে,

‘জেনে রাখ, আল্লাহ-ই সৃষ্টি করেছেন এবং হুকুম করার অধিকারও তাঁরই। (সূরা আল আ'রাফ ৭: ৫৪)

অর্থাৎ সবার কর্তব্য একমাত্র আল্লাহরই আনুগত্য করা। মানব সমাজে শান্তি ও সুশৃঙ্খলা একমাত্র একজন মনিবের পূর্ণ আনুগত্যের উপরই নির্ভর করে। আল্লাহ ছাড়া আর কেউ সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থ হতে পারে না। আর কেউ নির্ভুলও নয়। সকলের মঙ্গলের সত্য ও সঠিক বিধান শুধু তিনিই দিতে পারেন। তার রচিত বিধান দ্বীন ইসলামই একমাত্র সত্য। সত্য দ্বীনের বিপরীত যা কিছু সবই অসত্য, ভুল ও ক্ষতিকর। আল্লাহর আনুগত্যের বিরুদ্ধে আর যত প্রকার আনুগত্য রয়েছে। তা সবই ‘দ্বীনে বাতিল বা মিথ্যা আনুগত্য। হকের (সত্যের) বিপরীত পরিভাষাই হলো বাতিল (মিথ্যা)।

উপরোক্ত ব্যাখ্যা অনুযায়ী বাংলাদেশে যে সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা চালু রয়েছে তা দ্বীনে বাতিল। দ্বীনে হক যেখানে প্রতিষ্ঠিত নেই সেখানে যেটাই চালু আছে সেটা। অবশ্যই বাতিল। সে হিসেবে পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ও সরকার, সমাজতান্ত্রিক ও কমিউনিষ্ট ব্যবস্থা ইত্যাদি সবই “দ্বীনে বাতিল”। আল্লাহ বলেন : তোমরা পূর্ণরূপে ইসলাম গ্রহণ কর এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ করে না।' (সূরা আল বাকারা ২: ২০৮)

আল্লাহ বলতে চান যে, ইসলাম গ্রহণ করলে এর সবটুকুই গ্রহণ করতে হবে। তোমাদের ইসলাম গ্রহণে আমার কোন লাভ নেই। তোমাদের পছন্দমত ইসলামের একাংশ গ্রহণ করে অন্য অংশ ত্যাগ করলে ইসলাম গ্রহণ করা হলো না। আমার আনুগত্য করতে হলে সব ক্ষেত্রেই আমাকে মনিব হিসেবে মেনে নাও। যেখানেই তোমরা ইসলামকে বাদ দিবে সেখানেই তোমরা শয়তানের অনুসারী হবে।

এজন্যই কোন ব্যক্তি যদি ধর্মীয় ক্ষেত্রে ইসলামকে মানে কিন্তু দেশ পরিচালনায় ধর্মনিরপেক্ষ হয় এবং অর্থনীতি ক্ষেত্রে সমাজতন্ত্রী বা পুঁজিবাদী হয় তাহলে সে ইসলামকে পূর্ণরূপে গ্রহণ করেনি বলেই বুঝা যাবে। বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষ মুসলিম থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ইসলামী রাষ্ট্র নয়। কারণ ‘দ্বীনে হক’ অর্থাৎ সঠিক দ্বীন ইসলাম এ দেশে চালু নেই যা আল্লাহ পাঠিয়েছেন। যেটা চালু আছে সেটা সাধারণ যুক্তিতেই দ্বীনে বাতিল (মানুষের তৈরী দ্বীন), এ বাতিল ব্যবস্থা ইংরেজ আমল থেকেই রয়েছে। দ্বীনে বাতিলই এখানে দু’শ বছর থেকে বিজয়ী হয়ে আছে অর্থাৎ প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন