hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমানের স্বচ্ছ ধারণা

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

৩১
কালিমার অর্থ
এখন ‘কালিমা’র অর্থ কি, তা পড়ে মানুষ কী কথা স্বীকার করে, আর তা স্বীকার করলেই মানুষ কোন বিধান মত চলতে বাধ্য হয় প্রভৃতি বিষয় আলোচনা করা যাক। “আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর রসূল বা প্রেরিত পুরুষ।” কালিমার মধ্যে যে ইলাহ' শব্দটি রয়েছে, এর অর্থ হচ্ছে মালিক, সৃষ্টিকর্তা, মানুষের জন্য বিধান রচনাকারী, মানুষের দু'আ যিনি শোনেন এবং গ্রহণ করেন। তিনিই উপাসনা পাবার একমাত্র উপযুক্ত। এখন ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পড়লে তার অর্থ হবে যে, আমি প্রথম স্বীকার করলাম। এ দুনিয়া আল্লাহ ছাড়া সৃষ্টি হতে পারেনি, এর সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই বর্তমান আছেন, আর সেই সৃষ্টিকর্তা একাধিক নন- মাত্র একজন। তিনি ছাড়া আর কারোও প্রভুত্ব কোথাও নেই;

দ্বিতীয়ত ‘কালিমা পড়ে আমি স্বীকার করলাম যে, সেই এক আল্লাহ-ই মানুষের ও সারা জাহানের মালিক। আমি ও আমার প্রত্যেকটি জিনিস এবং দুনিয়ার প্রত্যেকটি বস্তুই তাঁর। সৃষ্টিকর্তা তিনি, রিযিকদাতা তিনি, জীবন ও মৃত্যু তাঁরই হুকুম মত হয়ে থাকে। সুখ ও বিপদ তাঁরই কাছ হতে আসে। মানুষ যা কিছু পায়, তাঁরই কাছ হতে পায়- সকল কিছুর দাতা প্রকৃতপক্ষে তিনি। আর মানুষ যা হারায়, তা প্রকৃতপক্ষে তিনিই কেড়ে নেন। শুধু তাঁকেই ভয় করা উচিত, শুধু তাঁরই কাছে প্রার্থনা করা উচিত, তাঁরই সামনে মাথা নত করা উচিত। কেবলমাত্র তারই ইবাদত ও বন্দেগী করা কর্তব্য। তিনি ছাড়া আমাদের মনিব, মালিক ও আইন রচনাকারী আর কেউই নেই। একমাত্র তাঁরই হুকুম মেনে চলা এবং কেবল তাঁরই আইন অনুসারে কাজ করা আমাদের আসল ও একমাত্র কর্তব্য।

‘কালিমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়ে আমি আল্লাহর কাছে এ ওয়াদাই করে থাকি, আর সারা দুনিয়া এ মৌলিক অঙ্গীকারের সাক্ষী হয়ে থাকে। এর বিপরীত কাজ করলে আমার জিহ্বা, আমার হাত-পা, আমার প্রতিটি লোম এবং আকাশ ও পৃথিবীর এক একটি অনু-পরমাণু যাদের সামনে আমি এ ওয়াদা করেছিলাম আমার বিরুদ্ধে আল্লাহর আদালতে সাক্ষ্য দেবে। আমি সেখানে একেবারে অসহায় হয়ে পড়বো। আমার যুক্তি প্রমাণ করার জন্য একটি সাক্ষী কোথাও পাবো না। তখন কেউ আমার পক্ষ সমর্থন করার জন্য সেখানে থাকবে না। বরং স্বয়ং উকিল সাহেব কিংবা ব্যারিষ্টার সাহেব দুনিয়ার আদালতে যারা আইনের মারপ্যাচ খেলে থাকে, তারা সকলেই সেখানে আমারই মতো নিতান্ত অসহায় অবস্থায় পড়ে যাবে। সেই আদালতে মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে, জাল দলীল দেখিয়ে এবং উকিলের দ্বারা মিথ্যা ওকালতী করিয়ে আমরা রক্ষা পেতে পারবো না।

দুনিয়ার পুলিশের চোখ হতে আমরা নিজেদের অপরাধ লুকাতে পারবো, কিন্তু আল্লাহর পুলিশের চোখ হতে তা গোপন করা সম্ভব নয়। দুনিয়ার পুলিশ ঘুষ খেতে পারে, আল্লাহর পুলিশ কখনও ঘুষ খায় না। দুনিয়ার সাক্ষী মিথ্যা বলতে পারে, আল্লাহর সাক্ষী সকলেই সত্যবাদী- তারা মিথ্যা বলে না। দুনিয়ার বিচারকরা অবিচার করতে পারে, কিন্তু আল্লাহ অবিচারক নন। তারপর আল্লাহ যে জেলখানায় পাপীদেরকে বন্দী করবেন, সেখান হতে পলায়ন করা কোনো মতেই সম্ভব নয়। কাজেই আল্লাহর সাথে মিথ্যা ওয়াদা করা বড় বোকামী সন্দেহ নেই। যখন আল্লাহর সামনে ওয়াদা করছি, তখন খুব ভালো করে বুঝে শুনে করতে হবে এবং তা পালন করার চেষ্টা করতে হবে, নতুবা শুধু মুখে ওয়াদা করতে আমাকে কেউ জোর করছে না। কারণ মুখে শুধু স্বীকার করার কোনো মূল্যই নেই।

“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ বলার পর বলতে হয় মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ’। এর অর্থ এই যে, মুহাম্মাদ (ﷺ) -এর মধ্যস্থতায়ই আল্লাহ তাঁর আইন মানুষের কাছে পাঠিয়েছেন- একথা আমরা স্বীকার করেছি।

আল্লাহকে নিজেদের মনিব, মালিক ও বাদশাহ স্বীকার করার পর একথা অবগত হওয়ার একান্ত দরকার ছিল যে,

সেই বাদশাহর আইন ও হুকুম কী?

আমরা কোন্ কাজ করলে তিনি খুশী হবেন, আর কোন্ কাজ করলে তিনি অসন্তুষ্ট হবেন?

কোন্ আইন অনুসরণ করলে তিনি আমাদের ক্ষমা করবেন, আর কোন্ আইনের বিরোধিতা করলে তিনি আমাদেরকে শাস্তি দেবেন?

এসব জানার জন্য আল্লাহ মুহাম্মাদ (ﷺ) -কে তাঁর দূত নির্দিষ্ট করেছেন। তাঁর মধ্যস্থতায় তিনি আমাদের প্রতি তাঁর কিতাব পাঠিয়েছেন এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) -এর আল্লাহর হুকুম মতো কিরূপে জীবনযাপন করতে হয়, তা বাস্তব ক্ষেত্রে দেখিয়ে গেছেন।

কাজেই আমরা যখন বলি, মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ’ তখন এর দ্বারা আমরা একথাই স্বীকার করে থাকি যে, যে আইন এবং যে নিয়ম মুহাম্মাদ (ﷺ) বলেছেন, আমরা তা অনুসরণ করে চলবো। আর যে আইন এর বিপরীত হবে তাকে পদদলিত করবো। এ ওয়াদা করার পর যদি আমরা মুহাম্মাদ (ﷺ) -এর প্রচার আইনকেই ছেড়ে দেই, আর দুনিয়ার আইন অনুসরণ করে চলি তবে আমাদের চেয়ে বড় মিথ্যাবাদী ও বেঈমান আর কেউ নেই। কারণ মুহাম্মাদ (ﷺ) -এর প্রচারিত আইনকে একমাত্র সত্য আইন মেনে এবং তার অনুসরণ করে চলার অঙ্গীকার করে আমরা ইসলামের সীমার মধ্যে এসেছি। একথা স্বীকার করে আমরা মুসলিমদের ভাই হয়েছি, এরই দরুন আমরা মুসলিম পিতার উত্তরাধিকারী হতে পেরেছি। এরই বদৌলতে আমরা মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করেছি। এরই কারণে আমাদের সন্তান ন্যায় সন্তান হতে পেরেছে। এরই দরুন মুসলিমগণ আমাদেরকে সাহায্য করেছে, আমাদেরকে যাকাত দিয়েছে, আমাদের জান-মাল। ও মান-সম্মানের হিফাযত করার দায়িত্ব নিয়েছে।

এতসব হওয়া সত্ত্বেও যদি আমরা নিজেদের ওয়াদা ভঙ্গ করি, তবে এটা অপেক্ষা বড় বেঈমানী দুনিয়ায় আর কি হতে পারে? আমরা যদি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ’-এর অর্থ জানি এবং জেনে-বুঝেই এটা স্বীকার করি, তাহলে সকল অবস্থাতেই আল্লাহর আইন মেনে চলা আমাদের কর্তব্য। আল্লাহর আইন জারি হয়ে না থাকলেও আমাদের এটা জারি করা উচিত।

যে ব্যক্তি মনে করে যে, আল্লাহর পুলিশ, সৈন্য, আদালত এবং জেলখানা কোথাও মওজুদ নেই, কাজেই তাঁর আইন লংঘন করা সহজ, আর গভর্মেন্টের পুলিশ, ফৌজ, আদালত এবং জেলখানা চারদিকে বর্তমান আছে, কাজেই তার আইন ভঙ্গ করা বড়ই মুশকিল। তবে এমন ব্যক্তি সম্পর্কে পরিষ্কার ভাষায়ই বলা যায় যে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ’ কালিমা সে বুঝেনি। সে এটা দ্বারা তার আল্লাহকে, সমগ্র বিশ্বকে, সমস্ত মুসলিমকে এবং স্বয়ং নিজের মনকে ধোঁকা দিচ্ছে, তাতে কোন সন্দেহ নেই।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন